ভাষাবিজ্ঞানের একটি গুরুত্বপূর্ণ শাখা হল অভিধান বিজ্ঞান (Lexicography)। গ্ৰিক ‘Lexikon’ শব্দ থেকে ইংরেজি ‘Lexicon’  শব্দটি এসেছে। সেখান থেকেই Lexicography শব্দ। ত্রয়ােদশ শতাব্দীতে অভিধান বােঝাতে ‘Dictionarius’ শব্দটি ব্যবহার করেন জন গারল্যান্ড। ১৫৩৮ খ্রিস্টাব্দে ‘Dictionary’ শব্দটি পাওয়া যায় স্যার থমাস এলিয়েটের লাতিন ইংরেজি অভিধানে। বেদাঙ্গ শাস্ত্রের যে ‘নিবুক্ত’ অংশ থাকত, সেটিই ভারতের প্রথম অভিধান এবং এর পথিকৃৎ ছিলেন যাস্ক। অভিধান-সংকলনই হল অভিধান বিজ্ঞান।


অভিধান হল ভাষাবিজ্ঞানের একটি সংযােগমূলক বিভাগ। প্রাচীন ও মধ্যযুগের অভিধানে শব্দের ব্যুৎপত্তি নির্ণয়, প্রতিশব্দ বা সমার্থক শব্দের প্রদর্শন এবং শব্দার্থের পরিবর্তনের প্রদর্শনই করা হত। আধুনিককালে যুক্ত হয়েছে। শব্দের মান্য উচ্চারণ এবং শুদ্ধ বানান প্রদর্শন, শব্দের অর্থ-বৈচিত্র্য প্রদর্শন, শব্দের উৎস-নির্দেশ, শব্দের প্রায়ােগিক বৈচিত্র্য প্রদর্শন, শব্দের উপভাষাগত পার্থক্য। ভাষাবিজ্ঞানের দিক থেকে আদর্শ অভিধানে নিম্নলিখিত তিনটি স্তর থাকবে一 (১) শব্দের গঠনগত স্তর, (২) অন্বয়গত স্তর ও (৩) বাগার্থগত স্তর। আধুনিক অভিধান বিভিন্ন প্রকারের হতে পারে一


[1] একভাষী অভিধান: এখানে এক ভাষার শব্দকে সেই ভাষাতেই ব্যাখ্যা করা হয়। যেমন বাংলা থেকে বাংলা, ইংরেজি থেকে ইংরেজি।


[2] দ্বিভাষী অভিধান: এখানে এক ভাষার শব্দকে অন্য ভাষায় ব্যাখ্যা করা হয়। যেমন বাংলা থেকে ইংরেজি।


[3] ইতিহাসভিত্তিক অভিধান: একটি শব্দের প্রথম প্রচলন কবে হয়েছিল, প্রথম প্রচলনের সময় তার বানান-উচ্চারণ এবং অর্থ কী ছিল, পরে কখন তার বানান উচ্চারণ এবং অর্থের বদল ঘটল এবং শব্দটির বর্তমান রূপ ও অর্থ কী এইভাবে শব্দের বর্ণনা দেওয়া হয় যে অভিধানে, তাই ই ইতিহাসভিত্তিক অভিধান। যেমন The Shorter Oxford English Dictionaryl


[4] বিষয় অভিধান: এই অভিধানে কোনাে বিষয়ের আলােচ্য সব কিছু অভিধানের মতাে করে সাজানাে ও ব্যাখ্যা করা থাকে। যেমন— ইতিহাস অভিধান, উদ্ভিদবিদ্যার অভিধান, অর্থনীতির অভিধান।


ধ্বনিমূল সম্পর্কে তােমার ধারণাটি সংক্ষেপে স্পষ্ট করাে। 

ধ্বনিমূলের স্বাতন্ত্র্যসূচক বৈশিষ্ট্য (Distinctive feature) উদাহরণ সহযােগে বুঝিয়ে দাও। 

ধ্বনিতত্ত্বে ন্যূনতম শব্দজোড়ের (Minimal pair) ভূমিকা সবিস্তারে লেখাে। 

সহধ্বনির (Allophone) স্বরূপ বিশ্লেষণ করাে। 

বিভাজ্য ধ্বনিমূল ও অবিভাজ্য ধ্বনিমূলের তুলনামূলক আলােচনা করাে। 

উদাহরণ সহযােগে ধ্বনিমূলের অবস্থান (Distribution) ব্যাখ্যা করাে। 

কয়েকটি পদ্ধতির সাহায্যে খুব সংক্ষেপে ভাষায় উচ্চারিত বিভিন্ন ধ্বনির মধ্যে ধ্বনিমূল ও সহধবনি শনাক্ত করাে। 

অথবা, ভাষার ধ্বনিমূল এবং সহধ্বনি শনাক্তকরণের প্রধান তিনটি পদ্ধতির আলােচনা সংক্ষেপে করাে। 

উদাহরণসহ ধ্বনিমূল এবং সহ ধ্বনির সম্পর্ক নির্ণয় করাে। 

দুটি করে উদাহরণ-সহ গুচ্ছ ধ্বনি ও যুক্ত ধ্বনি-র পরিচয় দাও। 

অবিভাজ্য ধ্বনি বলতে কী বােঝ? উদাহরণসহ অবিভাজ্য ধ্বনিগুলি সম্পর্কে আলােচনা করাে। 

অথবা, অবিভাজ্য ধ্বনি কাকে বলে? দুটি অবিভাজ্য ধ্বনির পরিচয় দাও। 

উদাহরণসহ গুচ্ছ ধ্বনির পরিচয় দাও। 

যুক্ত ধবনি কাকে বলে? উদাহরণ দিয়ে বুঝিয়ে দাও। 

অথবা, উদাহরণসহ যুক্ত ধ্বনির পরিচয় দাও।