অবৈধ কয়েদকরণঃ প্রত্যেক ব্যক্তির চলাফেরার স্বাধীনতা আছে। বৈধ কারণ ব্যতীত এই স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করলে এবং স্বল্প সময়ের জন্যও কাউকে আটক করলে তাকে কৃত্রিম অবরুদ্ধকরণ বলা হয়। চলাফেরার স্বাধীনতা রোধ হয়েছে। এটা সে সময়ে বাদী না জানলেও চলবে, যেমন, ঘুমন্ত অবস্থায় ঘর বন্ধ করা এবং জেগে উঠার আগেই তা’ খুলে দেয়া। অবশ্য এ বিষয়ে মত বিরোধ লক্ষ্য করা যায়। এ অপকার সংঘটনে বাদীর চলাফেরা সম্পূর্ণরূপে রোধ করা হয়েছিল তা প্রমাণ করতে হবে, আংশিক রোধ যথেষ্ট নয়। তাই কোন এক বিশেষ দিকে যেতে বাধা দিলে এই অপকারের আওতায় পড়ে না। কাউকে জোরপূর্বক কোথাও বসিয়ে রাখা, কোথাও যেতে বাধ্য করা মেয়াদ অন্তে কয়েদীকে জেলে রাখা, ইত্যাদি কৃত্রিম অবরুদ্ধকরণ বা অবৈধ কয়েদকরণ। বিবাদীর বিদ্বেষ যদিও অপ্রাসঙ্গিক কিন্তু অপকারটি বিবাদীর ইচ্ছাকৃত তা প্রমাণ করতে হবে। অবহেলাক্রমে বন্দী করলেও বিবাদী দায়ী।
অবৈধ কয়েদকরণের উপাদানঃ অবৈধ কয়েদকরণের উপাদানগুলো নিম্নরূপঃ
(১) কয়েদকরণঃ কয়েদকরণ বা কারারুদ্ধকরণ বলতে চলাফেরার স্বাধীনতা খর্ব করা বুঝায়।
(২) বিবাদীকর্তৃক এ কয়েদকরণঃ বিবাদী নিজে বা তার কর্মচারী কর্তৃক কার্যকালীন অবস্থায় এ কয়েদকরণ করে থাকবে।
(৩) মিথ্যা (False) কয়েদকরণঃ মিথ্যা বলতে এক্ষেত্রে অবৈধ বা যথার্থ কারণ ব্যতিরেকে কয়েদকরণ বুঝায় বিবাদী যদি যথার্থ কারণ প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয় তবে তা বাদীর অনুকূলে যাবে। তাকে আর প্রমাণ করতে হবে না যে, যথার্থ কারণ ব্যতিরেকেই তাকে কয়েদ করা হয়েছিল।
Leave a comment