শিশুর জীবন বিকাশের ক্ষেত্রে অনিয়ন্ত্রিত শিক্ষা বিশেষ ভূমিকা পালন করলেও এই শিক্ষা সম্পূর্ণ ভুটিমুক্ত নয়। এর কয়েকটি সীমাবদ্ধতা বা অসুবিধার কথা উল্লেখ করা হল一
(১) অসম্পূর্ণ অভিজ্ঞতা দান: কোনাে নির্দিষ্ট পাঠক্রম বা পাঠ্যসূচি না থাকায় অনিয়ন্ত্রিত শিক্ষা কোনাে বিষয়ে সম্পূর্ণ অভিজ্ঞতা দান করতে পারে না।
(২) চাহিদাপূরণের অসামর্থ্য: অনিয়ন্ত্রিত শিক্ষা শিক্ষার সব চাহিদাপূরণ করতে পারে না। অনিয়ন্ত্রিত শিক্ষায় যেহেতু শিক্ষক, শিক্ষালয় ইত্যাদি থাকে না, তাই এটি শিক্ষার্থীর ওইসব চাহিদাপূরণে অসমর্থ।
(৩) সামাজিক পরিবর্তনে উপযােগী না হওয়া: অনিয়ন্ত্রিত শিক্ষাব্যবস্থায় রাষ্ট্রের কোনাে নিয়ন্ত্রণ না থাকায় সামাজিক বিকাশে এই শিক্ষা বিশেষ সাহায্য করতে পারে না।
(৪) সৃজনমূলক বিকাশে সহায়ক নয়: অনিয়ন্ত্রিত শিক্ষায় শিক্ষাথীর সৃজনশীল প্রতিভার বিকাশ ঘটার সুযােগ খুবই কম। এক্ষেত্রে কেবল পর্যবেক্ষণ এবং অনুকরণের দ্বারা শিক্ষা আয়ত্ত হয়।
(৫) প্রকৃত মূল্যায়নের অভাব: অনিয়ন্ত্রিত শিক্ষার দ্বারা শিক্ষার্থীরা যে জ্ঞান অর্জন করে, সেই জ্ঞানের প্রকৃত মূল্যায়নের কোনাে ব্যবস্থা এই শিক্ষাপদ্ধতিতে নেই।
(৬) শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে সুযোগ ও গুরুত্বের অভাব: অনিয়ন্ত্রিত শিক্ষায় যেহেতু কোনাে সময়সূচি থাকে না, তাই শিক্ষার্থীরা প্রয়ােজনের তুলনায় অনেক কম সুযােগ পায়।
(৭) বিশ্বাসযোগ্যতার অভাব: অনিয়ন্ত্রিত শিক্ষায় মূল্যায়ন নেই, পাঠক্রম নেই, শিক্ষকও নেই। তাই সমাজে এই ধরনের শিক্ষার বিশেষ বিশ্বাসযােগ্যতা নেই বললেই চলে।
Leave a comment