‘রাধা কৃষ্ণের প্রেমগীতিকায় ভক্তিরসের সঙ্গে একটি পরিচিত মর্ত্যধরণীর মেদুর স্পর্শ রহিয়াছে।” বৈষ্ণব পদাবলীর বিভিন্ন রস পর্যায়ের পদ অবলম্বনে মন্তব্যটির যাথার্থ বিচার করো।
আধুনিক গীতিকবিতার সংজ্ঞা অনুযায়ী বৈষ্ণব পদাবলীকে গীতিকবিতা বলা যায় কী | ধর্মনিরপেক্ষ গীতি কবিতা হিসেবে বৈষ্ণব পদাবলীর রস আস্বাদন
‘বৈষ্ণব কবিগণ প্রেম মনস্তত্বের সুনিপুণ রূপকার।’ – বিভিন্ন পর্যায় থেকে উদ্ধৃতি সহযোগে বিষয়টি বিস্তারিত করো।
ব্রজবুলি ভাষা সম্পর্কে সবিশেষ বিচারসহ সাধারণভাবে বৈষ্ণব পদাবলীর ভাষা সম্পর্কে আলোচনা করো।
উপযুক্ত উদ্ধৃতিসহ বৈষ্ণব পদাবলীর ভাষা, ছন্দ ও অলঙ্কারের বৈশিষ্ট্য আলোচনা করো।
বিদ্যাপতি রচিত বিভিন্ন পদ অবলম্বনে তাহার কবি-প্রতিভার বৈশিষ্ট্যের পরিচয় দাও।
চণ্ডীদাস ও বিদ্যাপতির কয়েকটি পদ বিশ্লেষণ করে বৈষ্ণব কবি হিসাবে তাহাদের কবিমানস ও রচনাভঙ্গির পার্থক্য নির্দেশ করো।
বৈষ্ণব পদাবলী গ্রন্থে তোমাদের পাঠ্য পদাবলী অবলম্বনে চণ্ডীদাসের কবি কৃতিত্ব | বৈষ্ণব পদকর্তা হিসাবে চণ্ডীদাসের কাব্যোকর্ষ
জ্ঞানদাসকে চণ্ডীদাসের ভাবশিষ্য বলার কারণ কী তাহা আলোচনা করিয়া বুঝাইয়া দাও।
বৈষ্ণব পদাবলী সাহিত্যের অনুষঙ্গে ‘মহাজন’ শব্দটির অর্থ বল এবং জ্ঞানদাস বৈষ্ণব পদসাহিত্যের একজন বিশিষ্ট মহাজন’ এই উক্তিটির সার্থকতা প্রতিষ্ঠিত করো।
তুলনামূলকভাবে জ্ঞানদাস ও গোবিন্দদাসের কবি প্রতিভার পরিচয় দাও। কোন রস পর্যায়ের পদে কাহার নৈপুণ্য অন্যজন অপেক্ষা অধিক তাহার উপযুক্ত দৃষ্টান্তসহ বুঝাইয়া দাও।
বৈষ্ণব পদকর্তা হিসাবে গোবিন্দদাসের কবিপ্রতিভার বিচার করো।
গোবিন্দদাসকে বিদ্যাপতির ভাবশিষ্য বলার কারণ কী তাহা আলোচনা করিয়া বুঝাইয়া দাও।
বৈষ্ণব পদাবলী সাহিত্যের উদ্ভব
গৌড়ীয় বৈষ্ণব ধর্ম ও বৈষ্ণব পদাবলী
বৈষ্ণব পদাবলীর বিষয়-বৈচিত্র্য
বৈষ্ণব পদে নায়িকা বৈচিত্র্য
“বৈষ্ণব পদাবলী বৈষ্ণব তত্ত্বের রসভাস্য।”- আলোচনা করো।
‘বৈষ্ণব পদাবলীর রসভিত্তি বৈষ্ণবীয় পঞ্চরস’ -সবিস্তারে আলোচনা করো।
“বৈষ্ণব কবিদের পদাবলী বসন্তকালের অপর্যাপ্ত পুষ্পমঞ্জরীর মতো যেমন তাহাতে ভাবের সৌরভ, তেমনি তাহার গঠনের সৌন্দর্য।” – তোমার অধীত দুইজন বৈষ্ণব কবির পদ বিশ্লেষণ করে এই মন্তব্যের সার্থকতা নিরূপণ করো।
‘গৌরচন্দ্রিকা’ কাকে বলে? তোমার পাঠ্য একটি পদ অবলম্বনে রাধাকৃষ্ণ লীলা মিশ্রিত পদাবলীর ক্ষেত্রে গৌরচন্দ্রিকার গুরুত্ব আলোচনা করো।
এই গৌরচন্দ্রিকায় শ্রোতার মানস-নয়নে যে চিত্রখানি ফুটিয়া উঠে তাহা পূর্বরাগে ভাবান্তরিতা রাধার চিন্তা ঔৎসুক্য উদ্বেগের চিত্র।”—তোমার অধীত ‘গৌরচন্দ্রিকা’ এবং ‘পূর্বরাগে’র পদ অবলম্বনে উদ্ধৃত উক্তিটি বিশ্লেষণ করে বুঝিয়ে দাও।
বৈষ্ণব রসপর্যায়ে ‘পূর্বরাগ’ কথাটির তাৎপর্য ব্যাখ্যা করো এবং পূর্বরাগের রচনায় পদাবলীর চণ্ডীদাসের কৃতিত্ব বিচার করো।
বৈষ্ণব পদাবলীতে ‘অভিসার’ পর্যায়ের তত্ত্বগত তাৎপর্য বুঝিয়ে দাও। পঠিত পদ অবলম্বনে এই পর্যায়ের শ্রেষ্ঠ কবির কৃতিত্ব বিচার করো।
‘মান’ সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করো।
বৈষ্ণব পদাবলী সাহিত্যে ‘প্রেমবৈচিত্ত্য’ ও ‘আক্ষেপানুরাগ’ রসপর্যায় দুটির বৈশিষ্ট্য দেখিয়ে আক্ষেপানুরাগের শ্রেষ্ঠ পদকর্তার কৃতিত্ব আলোচনা করো।
‘মাথুর’ কাকে বলে? বৈষ্ণব পদাবলীতে ‘মাথুর’ পর্যায়ের তত্ত্বগত তাৎপর্য ব্যাখ্যা করো। তোমার পাঠ্য কোনো একটি পদ অবলম্বনে এই পর্যায়ের শ্রেষ্ঠ কবির লক্ষণীয় বৈশিষ্ট্য সম্বন্ধে আলোচনা করো।
প্ৰেমবৈচিত্র’, ‘আক্ষেপানুরাগ’ ও ‘ভাবোল্লাস’ – এই তিন শ্রেণীর পদের তাৎপর্য – দৃষ্টাত্তসহ আলোচনা করো।
“নিবেদন’ এবং ‘প্রার্থনা’ পদ-অবলম্বনে চণ্ডীদাস ও বিদ্যাপতির কবিপ্রতিভার বৈশিষ্ট্য | বৈষ্ণব পদাবলী সাহিত্যে ‘নিবেদন’ ও ‘প্রার্থনা’ শ্রেণীর পদের গুরুত্ব
চণ্ডীমঙ্গল কাব্য : সাধারণ পরিচয় | চণ্ডীমঙ্গল কাব্যের উদ্ভব, লক্ষণ
“মধ্যযুগের মঙ্গল কাব্য-গোষ্ঠীর মধ্যে যে একখানি কাব্য সন্তীর্ণ ধর্মগত প্রয়োজন ছাড়াইয়া সার্বভৌম রস-স্বীকৃতি লাভ করিয়াছে তাহা মুকুন্দরামের কবিকঙ্কণ চণ্ডী।”—তোমার অধীত গ্রন্থ অবলম্বনে এই মন্তব্যের কারণগুলি বুঝিয়ে দাও।
কবিকঙ্কণ মুকুন্দ চক্রবর্তীর ‘চণ্ডীমঙ্গল’ গ্রন্থটির কাহিনী
‘কালকেতু’ কাহিনীতে দেবী চণ্ডীর ভূমিকা অলোচনা করো | দেব-দেবী-চরিত্রে মানবীয় উপাদান
‘চণ্ডীমঙ্গল কাব্যের প্রধান দেব-দেবী চরিত্রগুলি বিশ্লেষণ করে তার মধ্যে মানবিক উপাদানের পরিমাণ নির্ধারণ করো।
“মধ্যযুগীয় বাংলা সাহিত্যে মুকুন্দরাম বাস্তবতার প্রবর্তক নহেন, কিন্তু তাহার কাব্যে ইহার শ্রেষ্ঠ সাবলীলতম প্ৰকাশ।” প্রসঙ্গ ও দৃষ্টান্ত উল্লেখ করে মন্তব্যটির সমর্থন অথবা খণ্ডন করো।
“মুকুন্দরামের কাব্যে যে সমাজসচেতনতা, বাস্তবজীবন-চেতনা ও কৌতুকরস সৃষ্টিনৈপুণ্য লক্ষ্য করা যায়, তাহাই তাঁহাকে মধ্যযুগের বাঙলা মঙ্গলকাব্যের শ্রেষ্ঠ কবির সিংহাসনে বসাইয়াছে।”- পাঠ্য ‘চণ্ডীমঙ্গল’ কাব্য প্রথম খণ্ড অবলম্বনে মন্তব্যটি বিচার করো।
“বাঙ্গালা দেশের এবং বাঙ্গালী মানুষের এমন পরিপূর্ণ চিত্র বাঙ্গালা সাহিত্যের আর কোথাও মিলে কিনা সন্দেহ।” “কবিকঙ্কণ চণ্ডী’ বিষয়ে উদ্ধৃত এই উক্তিটির যাথার্থ্য বিচার করো।
“মুকুন্দরাম দুঃখের কথায় পঞ্চমুখ বটেন, তবু তাঁহাকে নৈরাশ্যবাদের কবি বলা যায় না।” কালকেতুর উপাখ্যানের সামগ্রিক রসাবেদনের আলোকে এই মন্তব্যটি সমর্থন অথবা প্রত্যাখ্যান করো।
‘কালকেতুর উপাখ্যানে’ কবিকঙ্কণের গল্পরস ও কৌতুক সৃষ্টির দক্ষতার পরিচয় | কবি মুকুন্দের ‘চণ্ডীমঙ্গল কাব্যে’ হাস্যরস ও লঘু কৌতুক
বিভিন্ন দেবদেবীর চরিত্র সৃষ্টিতে কবিকঙ্কণ যে সার্থকতার চিহ্ন রেখেছেন, তার পরিচয় দাও।
কালকেতু (ও ভাড়ুদত্ত) চরিত্র বিশ্লেষণ ক’রে চরিত্র সৃষ্টিতে মুকুন্দরামের সাফল্যের পরিমাণ নির্ধারণ করো।
শুধু মধ্যযুগ নয়, সমগ্র বাংলা সাহিত্যে ফুল্লরা এক অনন্য সাধারণ নারী চরিত্র- এই উক্তির পক্ষে বা বিপক্ষে তোমার যুক্তি বিন্যস্ত করো।
ভাঁড়ুদত্ত মধ্যযুগের বাঙলা সাহিত্যে তার আচরণগত বৈশিষ্ট্যর জন্যে একটি উজ্জ্বল মানব চরিত্র– আলোচনা করো।
কবিকঙ্কণ-অঙ্কিত মুরারিশীলের একটি চরিত্র-চিত্র অঙ্কন করো।
কালকেতু উপাখ্যানে কাহিনী ও চরিত্রাঙ্কণ-কুশলতার সূত্র অনুসরণ করা কবিকঙ্কণের জীবনবোধের পরিচয় দাও।
কবিকঙ্কণ মুকুন্দ বিরচিত কালকেতু উপাখ্যানে সামন্ততান্ত্রিক পরিবেশের অন্তর্বর্তী কৃষক-জীবনের যে পরিচয় ফুটিয়াছে তাহা বর্ণনা করো।
“মধ্যযুগীয় ধারা অনুসরণ করিয়া কবিকঙ্কণ মুকুন্দ তাহার চণ্ডীমঙ্গল কাব্যে প্রচুর অলৌকিক ক্রিয়াকলাপকে প্রশ্রয় দিলেও তাঁহার কাব্যে খাঁটি সম্পদ যে জীবন-রস-রসিকতা তাহা অস্বীকার করা যায় না।” কালকেতুর উপাখ্যান হইতে অলৌকিক ক্রিয়াকলাপ ও জীবন রস-রসিকতার দৃষ্টাত্ত উদ্ধৃত করিয়া এই মন্তব্যের যথার্থতা সমর্থন অথবা খণ্ডন করো।
কবিকঙ্কণ মুকুন্দ বিরচিত কালকেতু উপাখ্যানে সামন্ততান্ত্রিক পরিবেশে প্রজাদের ওপর শোষণ অত্যাচারের যে চিত্র ফুটে উঠেছে তা বর্ণনা করো।
হরগৌরীর জীবন-চিত্র ও চরিত্র-চিত্রণে মুকুন্দরামের অনন্যতা বুঝিয়ে দাও।
‘গৌরীর অধিবাস’, ‘হরগৌরীর বিবাহ’ ‘কালকেতুর বিবাহের অনুবন্ধ’ ও ‘কালকেতুর বিবাহ’ অবলম্বনে প্রাচীন বঙ্গের বিবাহ-সংস্কার ও স্ত্রী আচারের একটি বিবরণ দাও।
‘হরগৌরীর কলহারম্ভ ও গৌরীর খেদ’, ‘গুজরাট নগরনির্মাণ’ এবং ‘ভাড়ুদত্তের মস্তকমুণ্ডন’—অংশগুলির যে কোনো দুইটি অংশের রচনানৈপুণ্য আলোচনা করো।
ইন্দ্র-পুত্র নীলাম্বরের ব্যাধরূপে জন্মগ্রহণের কারণ বর্ণনা করো।
‘নিদয়ার সাধভক্ষণ’ অবলম্বনে মুকুন্দরামের সাংসারিক জ্ঞান ও মানবিকতাবোধের পরিচয় দাও।
কালকেতুর ভোজনের একটি মনোজ্ঞ বিবরণ দাও এবং এই রচনার মধ্য দিয়ে কবিকঙ্কণের প্রতিভা বৈশিষ্ট্যের কী পরিচয় পাওয়া যায় আলোচনা করো।
“বনের পশুরাও মুকুন্দরামের কাব্যে মানবিক মর্যাদা লাভ করেছে”— ‘কবিকঙ্কণ চণ্ডী’ থেকে প্রসঙ্গ নির্দেশ করে বিষয়টি আলোচনা করো।
‘ফুল্লরার বারমাস্যা’ বর্ণনায় কবি বাস্তবতা ও সামাজিকতাবোধের এবং চরিত্রচিত্রণাদি যে সকল গুণের পরিচয় দিয়েছেন, তার পরিচয় দাও।
চণ্ডী ও ফুল্লরার কথোপকথন-অবলম্বনে উভয়ের চরিত্রের অভিনবত্ব কোথায় তা’ দেখাও। ফুল্লরার বারমাসের দুঃখ বর্ণনায় কবির কৃতিত্ব বিচার করো।
কালকেতুর উপাখ্যান অবলম্বনে ব্যাধ জীবনের একটি যথাযথ বিবরণ দাও।
বণিকসহ কালকেতুর কথোপকথন’ এবং ‘কালকেতুর’ অঙ্গুরী বিক্রয়’—উপাখ্যান দুটি সংক্ষেপে বিবৃত করো।
‘গুজরাট নগর পত্তনে’ মুকুন্দরামের সমাজ চেতনা ও অসাম্প্রদায়িক দৃষ্টিভঙ্গীর পরিচয় | ‘গুজরাট নগর পত্তন’ অংশটির কাব্যসৌন্দর্য বিশ্লেষণ করো।
কালকেতু-কাহিনীতে ভাড়ুদত্তের ভূমিকাটি বিশ্লেষণ ক’রে তার চরিত্র-বৈশিষ্ট্যটি পরিস্ফুট করো।
কলিঙ্গরাজ্যের সঙ্গে যুদ্ধের শেষ পরিণতি রূপে কালকেতুর পরাজয় ও বন্দীদশার পরিচয় দাও।
শাক্ত পদাবলীর উদ্ভব
শাক্ত পদাবলীর পরিচয়
শাক্তপদাবলীর শ্রেণীবিভাগ
তোমার পঠিত-পদ অবলম্বনে রামপ্রসাদের কবিকৃতির পরিচয় দাও।
‘ভক্তের আকৃতি’ অংশ হইতে উপযুক্ত উদ্ধৃতিসহ রামপ্রসাদকে ‘সাধক কবি’ আখ্যা দিবার কারণ বুঝাইয়া দাও।
সাধক কবি কমলাকান্তের কবিকৃতির মূল্যায়ন | পাঠ্য পদগুলি অবলম্বনে কমলাকান্তের কবি প্রতিভার পরিচয়
শাক্তপদকর্তা হিসাবে রামপ্রসাদ ও কমলাকান্তের কবি-প্রতিভা | ভক্তের আকৃতি পর্যায় অবলম্বনে রামপ্রসাদ সেন ও কমলাকান্ত ভট্টাচার্যের কবিকৃতির তুলনা
‘আগমনী ও বিজয়া’র চরিত্রগুলির বৈশিষ্ট্য সংক্ষেপে আলোচনা করো।
“কাব্যধর্ম, নাটকীয়তা, ভক্তিপ্রাল্য ও সমাজচিত্রের বিচারে ‘আগমনী’ ও ‘বিজয়া’ শ্রেণীর পদগুলির অন্য কোনো শ্রেণীর পদের তুলনা হয় না।”—মন্তব্যটির সমর্থনে বা বিপক্ষে যুক্তিসহ আলোচনা করো।
শাক্ত পদাবলীতে বাঙালী পরিবারের অন্তরঙ্গ চিত্র | ‘আগমনী’ ও ‘বিজয়া’ পর্যায়ের পদ অবলম্বন করিয়া হিমালয় ও মেনকার গার্হস্থ্যজীবনের পরিচয়
‘আগমনী’ ও ‘বিজয়া’ পর্যায়ের শাক্তগীতিতে একই সাথে মানবিক অনুভূতি ও আধ্যাত্মিক উপলব্ধি কীভাবে কাব্যরূপ লাভ করিতেছে তাহা উদাহরণসহ বুঝিয়ে দাও।
“আগমনী-বিজয়া’র গানই হউক অথবা ‘ভক্তের আকৃতি’ শীর্ষক পর্যায়ের পদই হউক শাক্ত পদাবলীর সর্বত্র মাধুর্য ও ঐশ্বর্যভাবের একাত্মতা দৃষ্টিগোচর হয়।”—বিভিন্ন পর্যায়ের তিনটি পদের সাহায্যে উক্তিটির যথার্থতা সমর্থন অথবা খন্ডন করো।
“বাৎসল্যরসের সৃষ্টি ও প্রকাশে শাক্তপদকর্তাগণ বৈষ্ণবপদ-কর্তাগণ অপেক্ষা অনেক বেশি কৃতিত্বের অধিকারী।”—উক্তিটি বিচার করো।
‘আগমনী-বিজয়া’র পদে যে বিরহের চিত্র | “শাক্তপদাবলীতে নবমী রজনী যেন বৈষ্ণব পদাবলীর অর্জুরের ভূমিকা গ্রহণ করিয়াছে।”—আলোচনা করো।
“পুরাণের শক্তিদেবীর শাক্তপদাবলীতে আসিয়া কল্যাণী জননীর রূপ পরিগ্রহ করিয়াছেন।’—’ভক্তের আকৃতি’ পর্যায় হইতে রামপ্রসাদের পদ-অবলম্বনে ইহার সমর্থনযোগ্যতা বিচার করো।
শাক্তপদকর্তাগণ ‘ভক্তের আকৃতি’ শ্রেণীর পদগুলিতে কীভাবে ভারতীয় দর্শনের শক্তিতত্ত্ব ও তন্ত্রসাধনার মূল কথাকে জনপ্রিয় গীতিকায় রূপান্তরিত করেছেন তা’ উদ্ধৃতিসহ আলোচনা করো।
‘ভক্তের আকৃতি’ শীর্ষক পদণ্ডলির বৈশিষ্ট্য আলোচনা করো। এই পদ রচনায় কবিগণ যে রূপকগুলি ব্যবহার করেছেন সেগুলির সঙ্গে লোকজীবন ও লোকভাবনার সম্পর্ক বুঝিয়ে দাও।
শাক্তপদাবলীর ‘আগমনী’ ও ‘বিজয়া’ পর্যায়ের পদগুলিতে বাঙালি সমাজ-জীবনের যে পরিচয় পাওয়া যায় তা আলোচনা করো।
শাক্ত পদাবলী ও বৈষ্ণব পদাবলীর পারস্পরিক সাদৃশ্য ও বৈসদৃশ্য আলোচনা করো।
শাক্ত পদাবলীর মধ্যে জীবন রস, নাটকীয়তা ও গীতিময়তা | ‘শাক্ত পদাবলী আমাদের ঘরোয়া জীবনের প্রতিবিম্বন’- সমালোচকের এই মন্তব্য সাপেক্ষে আলোচনা করো।
বৈষ্ণব পদাবলী
বৈষ্ণব আলংকারিকদের রসতত্ত্বের পরিচয় দাও। তাঁদের মতে শ্রেষ্ঠ রস কোনটি এবং কেন? পাঠ্য পদ থেকে উদ্ধৃতি দিয়ে শ্রেষ্ঠ রসটির বিষয়ে অলোচনা করো।
চৈতন্যপূর্ব বৈষ্ণব ধর্মে ঐশ্বর্যরূপের প্রাধান্য ; চৈত্যন্যোত্তর যুগের বৈষ্ণব ধর্মে মাধুর্যই প্রধান। –তোমাদের পাঠ্য পদ অবলম্বনে মন্তব্যটির যৌক্তিকতা বিচার করো।
মানবিক জীবনের মধ্যবর্তিতায় দিব্যজীবনের আলো ফুটিয়ে তোলা বৈষ্ণব কবিদের উদ্দেশ্য ছিল। তোমার পাঠ্য কবিতা অবলম্বনে মন্তব্যটি বিচার করো।
বাংলা সাহিত্যে বৈষ্ণব পদাবলীর রূপ ও রসের আবেদন কী অর্থে অনন্য তা তোমাদের পাঠ্য পদ অবলম্বনে আলোচনা করো।
গীতি কবিতা বলতে কী বোঝ? বৈষ্ণব পদাবলীর কোন্ কোন্ পদকে আধুনিক বিচারে ও সার্থক গীতি কবিতা বলা যায় কিনা উপযুক্ত উদ্ধৃতি সহ আলোচনা করো।
প্রেম-মনস্তত্ত্বের সুনিপুণ রূপায়ণে বৈষ্ণব কবিদের রাধা কীভাবে একটি রমণীয় মূর্তি লাভ করেছে তোমার পঠিত পর্যায়গুলি অবলম্বনে দেখিয়ে দাও।
রবীন্দ্রনাথ বৈষ্ণব কবিতাকে শুধু বৈকুণ্ঠের গান বলে স্বীকার করতে চাননি কেন? বৈষ্ণব পদাবলীর পরিচায়নে তাঁর দৃষ্টিভঙ্গির বিশদ আলোচনা করো।
উভয়েই চৈতন্যোত্তর যুগের কবি হলেও জ্ঞানদাস ও গোবিন্দদাসের কবিদৃষ্টির মধ্যে প্রভেদ পরিলক্ষিত হয়।—মন্তব্যটির যৌক্তিকতা বিচার করো।
মহাজন পদাকর্তা রূপে গোবিন্দদাস বৈষ্ণব সাহিত্যে কোন্ গুণে বিশেষ সম্মানের স্থান অধিকার করে আছেন, উদ্ধৃতি সহ আলোচনা করো।
চন্ডীদাস নাকি সুখের মধ্যে দুঃখ আর দুঃখের মধ্যে সুখ দেখতে পেয়েছেন। তোমাদের পাঠ্য চন্ডীদাসের পদগুলি অবলম্বনে এরকম ধারণার যৌক্তিকতা বিচার করো।
জ্ঞানদাস চণ্ডীদাসের এবং গোবিন্দদাস বিদ্যাপতির ‘ভাবশিষ্য’ হিসেবে পরিচিত। এই পরিচিতির কারণ নির্দেশ করো। প্রসঙ্গত কোন দিক দিয়ে তাঁরা স্বতন্ত্র, তাও স্পষ্টভাবে বুঝিয়ে দাও।
বৈষ্ণব পদাবলীকে রোমান্টিক কবিতা হিসাবে বিচার করলে তার ভক্তিধর্মের প্রতি কি অমর্যাদা করা হয়? রোমান্টিকতার কোন্ কোন্ লক্ষণ বৈষ্ণব পদাবলীর মধ্যে পরিস্ফুটতা আলোচনা করো।
“নীরদ নয়নে” পদটিকে তুমি “গৌরলীলা” অথবা “গৌরচন্দ্রিকা”– কোন পদ হিসাবে চিহ্নিত করবে? এই শ্রেণির পদকে প্রভেদ নির্দেশ করে উল্লিখিত পদটির তাৎপর্য পরিস্ফুট করো।
বৈষ্ণব পদাবলীর ধর্মীয় মূল্য কি কাব্যমূল্যকে অতিক্রম করে গেছে? মধ্যযুগে রচিত হয়েও কোন বিশেষ গুণে আজও এই অজস্র সাহিত্যের ওপর প্রভাব বিস্তার করে চলেছে। প্রাসঙ্গিক উদাহরণ সহ ব্যাখ্যা করো।
বৈষ্ণুব রসকীর্তনের প্রারম্ভে গৌরাঙ্গ বিষয়ক পদ সন্নিবিষ্ট করার কারণ বুঝিয়ে দাও। প্রসঙ্গ ক্রমে গৌরচন্দ্রিকার সঙ্গে সাধারণ গৌরাঙ্গ বিষয়ক পদের প্রভেদ নির্দেশ করো। এই জাতীয় পদ রচনায় শ্রেষ্ঠ কবির কৃতিত্বের পরিচয় দাও।
‘দাঁড়াইয়া নন্দের আগে—কার প্রসঙ্গে বলা হয়েছে? তাঁর সঙ্গে নন্দের সম্পর্ক কী? পদটি কোন্ পর্যায়ের অন্তর্গত? এই পর্যায়ের শ্রেষ্ঠ কবির কাব্য কৃতিত্ব বিচার করো।
বৈষ্ণুবীয় পঞ্চরসে সখ্যের স্থান নির্দেশ করে এই রসের যথাযথ পরিচয় দাও। তোমার পাঠ্যতালিকার অন্তর্ভুক্ত এই রসের একটি পদের ব্যাখ্যা করো।
“সই কেবা শুনাইল শ্যামনাম” পদের পদকর্তা এবং পর্যায়ের নাম উল্লেখ করো ৷ উল্লিখিত পদকর্তাকে কি তুমি এই পর্যায়ের শ্রেষ্ঠ বলতে চাও? হ্যা অথবা না, যে কোনো বক্তব্যের পিছনে কারণ নির্দেশ করো।
“প্রার্থনা” ও “নিবেদন” পর্যায়ের পদগুলি কি সমজাতীয় ? বিশ্লেষণ সহ উভয় পদের বৈশিষ্ট্য নির্ণয় করো।
গোষ্ঠী দর্শনের আশ্রয় ছাড়াই ব্যক্তিগত জীবনদর্শনের আলোকে উজ্জ্বল হয়ে আছে বিদ্যাপতির প্রার্থনা বিষয়ক পদ। প্রাসঙ্গিক পদ অবলম্বনে মন্তব্যটির যৌক্তিকতা বিচার করো৷
“দূতর পথ গমন ধনি সাধয়ে’ কোন পর্যায়ের পদে কার কোন সাধনার কথা বলা হয়েছে? পর্যায়টির তত্ত্বগত বৈশিষ্ট্য আলোচনা সূত্রে উল্লিখিত পদটির তত্ত্বগত ও কাব্যগত সৌন্দর্য বিচার করো।
“প্রেমবৈচিত্ত’ কথাটির গূঢ়ার্থ বিশ্লেষণ করো। প্রেম বৈচিত্র্যের সঙ্গে আক্ষেপানুরাগের সম্পর্ক কি? আক্ষেপানুরাগের শ্রেষ্ঠ কবি জ্ঞানদাসকে বলা যায় কিনা সে বিষয়ে যুক্তি দাও।
‘এসখি হামারি দুখের নাহি ওর’—পদটি যে পর্যায়ের তার সংজ্ঞা ও বৈশিষ্ট্য নির্দেশ করে পদটির কাব্যসৌন্দর্য বিশ্লেষণ করো।
পূর্বরাগের সঙ্গে অনুরাগের যে সূক্ষ্ম তাত্ত্বিক পার্থক্যের পরিচয় আছে, দুটি পর্যায়ের দুটি পদ বিশ্লেষণ করে তার স্বরূপ নির্ণয় করো।
‘চলত রাম সুন্দর শ্যাম— পদটি কোন পর্যায়ের ও কার রচনা? পদটির ভাববস্তু বিশ্লেষণ করে অন্য একটি পাঠ্য পদের সঙ্গে তুলনা করো।
বৈষ্ণব পদাবলীতে মাথুরের পর আরও একটি পর্যায় কল্পিত হয়েছে। কী সেই পর্যায় এবং সে পরিকল্পনার গুরুত্ব কোথায়? তোমার পাঠ্য তালিকা থেকে এ পর্যায়ভুক্ত পদের তাৎপর্য ব্যাখ্যা করো।
বৈষ্ণব পদাবলী সাহিত্যে পূর্বরাগ ও অনুরাগ কাকে বলে? পূর্বরাগের পদরচনায় কোন্ কোন্ কবি কৃতিত্ব দেখিয়েছেন?
বৈষ্ণব পদাবলীতে ব্যবহৃত ব্রজবুলি ভাষা সম্পর্কে আলোচনা করো।
অভিসার কাকে বলে তা ব্যাখ্যা করে এর বৈশিষ্ট্যগুলি আলোচনা করো এবং এই পর্যায়ের শ্রেষ্ঠ পদকতার পরিচয় দাও।
প্রেমবৈচিত্র্য ও আক্ষেপানুরাগের সংজ্ঞা নির্দেশ করো। এই রসপর্যায়ের পদ আলোচনা ক’রে চণ্ডীদাসের শ্রেষ্ঠত্বের কারণ নির্দেশ করো।
বৈষ্ণব পদাবলী সাহিত্যে মাথুর বলতে কি বুঝায়? এ প্রসঙ্গে তামাদের পঠিত পদ অবলম্বনে মাথুরের বৈশিষ্ট্য ও ভাবসৌন্দর্য বিশ্লেষণ করো।
ভাবোল্লাস পর্যায়ের পদগুলির কাব্যগুণ বিচার করো। এই প্রসঙ্গে ভাবোল্লাস পর্যায়টির পরিকল্পনার বৈশিষ্ট্য আলোচনা করো।
বৈষ্ণব পদাবলীর প্রার্থনা পর্যায়ের পদ সম্পর্কে আলোচনা করো এবং এই পর্যায়ের শ্রেষ্ঠ কবির পরিচয় দাও।
বৈষ্ণব পদকর্তা হিসাবে বিদ্যাপতির কবিপ্রতিভার পরিচয় দাও।
বৈষ্ণব পদাবলী সাহিত্যে অভিসার পদ রচনার বিদ্যাপতি ও গোবিন্দদাসের কবিপ্রতিভার পরিচয় দাও।
বিদ্যাপতি ও চণ্ডীদাসের কৃতিত্ব তুলনামূলক বিচার করো।
জ্ঞানদাসের কবিকৃতিত্ব সম্পর্কে আলোচনা করো। জ্ঞানদাসকে কেন চণ্ডীদাসের ভাবশিষ্য বলা হয়?
গোবিন্দদাসের কবিপ্রতিভার বিশ্লেষণ করো।
‘গৌরচন্দ্রিকা’ কাকে বলে? গৌরচন্দ্রিকার সঙ্গে গৌরবিষয়ক পদের তুলনামূলক আলোচনা করো। সব গৌরবিষয়ক পদই কি গৌরচন্দ্রিকা?
গৌরবিষয়ক পদের প্রধান পদকতাদের পরিচয় দিয়ে তাদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ কে তা নিরূপণ করো।
চন্ডীদাসের পদাবলীর ভাব, ভাষা ও প্রকাশ ভঙ্গির বৈশিষ্ট্য আলোচনা করো।
গোবিন্দদাস ও বিদ্যাপতির পদাবলীর পার্থক্য কি এবং কোথায়? আলোচনা করো।
“বিদ্যাপতি রাধার বিরহ হাহাকারকে লৌকিক স্তর থেকে উত্তীর্ণ করিয়ে অলৌকিক রসে প্রতিপন্ন করেছেন”—এই উক্তির উপর নির্ভর করে বিদ্যাপতির বিরহ পদের আলোচনা করো।
‘বৈষ্ণব পদাবলী বৈষ্ণবতত্ত্বের রসভাষ্য’—এই উক্তির সমর্থনে তোমার মতামত প্রদর্শন করো।
বৈষ্ণব কবিতাকে তত্ত্ববিমুক্ত করে রোমান্টিক গীতিকবিতা হিসাবে গ্রহণ করা যায় কিনা তা আলোচনা করো।
বৈষ্ণব পদাবলী ছোটো প্রশ্ন (প্রশ্নের মান- ৫)
শাক্ত পদাবলি
“আঠারো শতকে বাঙালির জাতীয় জীবনে যে সর্বব্যাপী অবক্ষয় দেখা গিয়েছিল তার ছায়া সরাসরি পড়েছিল শাক্ত পদাবলিতে।” -তোমাদের পাঠ্যপদ অবলম্বনে মন্তব্যটি বিচার করো।
শাক্তপদাবলিতে যে মরমিয়াবাদ লক্ষ্য করা যায় তার স্বরূপ নিশ্লেষণ করো এবং তার উদ্ভব যে সমকালীন বাস্তবতার মধ্য থেকেই হয়েছিল, তামাদের পাঠ্যপদ অবলম্বনে তা যুক্তিসহ দেখাও।
“শাক্ত কবিরা ছিলেন মাতৃহৃদয়ের সুনিপুণ শিল্পী।”–তোমাদের পাঠ্যপদ অবলম্বনে দৃষ্টান্ত সহযোগে বিচার করো।
“পটভূমি যাই হোক আগমনী ও বিজয়া সঙ্গীত বাঙালির গার্হস্থ্য জীবনেরই সঙ্গীত।” –তোমাদের পাঠ্যপদ অবলম্বনে মন্তব্যটি বিচার করো।
শাক্ত পণবলির ‘আগমনী’ ও ‘বিজয়া’ শীর্ষক পদগুলির মধ্যে বাঙালির সামাজিক ও ধর্মনৈতিক চেতনার বিকাশ কীরকম ঘটেছে উদাহরণ দিয়ে বুঝিয়ে লেখো।
শাক্ত পদাবলিকে সার্থক গীতিকবিতা বলা যায় কিনা তা এই কাব্যের ধর্মনিরপেক্ষ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আলোচনা করো।
কাব্যপ্রেরণার দিক থেকে বাঙলার বৈষ্ণব পদাবলি ও শাক্তপদাবলিকে একই উৎস থেকে জাত বলা যায় কিনা যুক্তিসহকারে সে বিষয়ে তোমার অভিমত প্রতিষ্ঠিত করো।
“আঠারো শতকে নৈরাজ্যিক অবস্থার ছবি পদাবলিতে প্রতিফলিত।”—’ভক্তের আকুতি’র অন্তর্গত তোমাদের পঠিত পদগুলি অবলম্বনে মন্তব্যটি বিচার করো।
“বাঙালির ঐতিহ্যের মধ্যে রয়েছে সমন্বয়ের সুর।”– তোমাদের পঠিত শাক্ত পদাবলির পদগুলি অবলম্বনে উল্লিখিত অভিমতের যৌক্তিকতা নিরূপণ করো।
“বৈষ্ণব কবিতাই হোক আর শাক্ত কবিতাই হোক–বাংলা কবিতায় সর্বত্রই মাধুর্য ভাবের প্রাধান্য।”—উপযুক্ত উদ্ধৃতির সাহায্যে উক্তিটির যথার্থ্য নির্ণয় করো।
তত্ত্বনিরপেক্ষ পাঠক হিসাবে শাক্ত পদাবলির সাহিত্যিক মূল্য বিচার করো।
মা মেনকা মাঝে মাঝে স্বপ্ন এবং জাগ্রত অবস্থায় কন্যার মধ্যে জগজ্জননীর প্রকাশ লক্ষ্য করে কীভাবে বিহ্বল হয়ে পড়েছেন ‘আগমনী’ পর্যায়ের সংশ্লিষ্ট শাক্তপদ অবলম্বনে তার পরিচয় দাও।
“রামপ্রসাদই শাক্তগানের গোমুখী উৎস।”—উক্তিটির আলোকে তোমাদের পঠিত পদ অবলম্বনে রামপ্রসাদের কৃতিত্ব দেখাও।
“বাংলার আগমনী ও বিজয়া পর্যায়ের পদগুলিতে শাক্তসাধনা ও ভক্তিবাদকে ছাপিয়ে বড়ো হয়ে উঠেছে মানবিক আবেদন।” – উদ্ধৃতি সহযোগে অভিমতটি পর্যালোচনা করো।
“শাক্ত কবি মাত্রেই ভক্ত এবং তাদের সব পদেই এক ধরনের আকুতির প্রকাশ ঘটেছে।” – ভক্তের আকুতি পর্যায়ের পাঠ্যপদ থেকে উপযুক্ত উদ্ধৃতি দিয়ে এই আকুতির স্বরূপ ব্যাখ্যা করো।
“হরগৌরীর কথায় আমাদের বাংলাদেশের একটা বড়ো মর্মের কথা আছে।” – আগমনী ও বিজয়া পর্যায়ের পাঠ্যপদ অবলম্বনে আমাদের দেশের উক্ত মর্মের স্বরূপ বিশ্লেষণ করো।
‘ভক্তের সংশয়’ ও অভিমান শেষপর্যন্ত ‘ভক্তের আকৃতি’ পর্যায়ের পদে কীভাবে ভক্তের পরিণতি পেয়েছে তা দৃষ্টান্ত দিয়ে বুঝিয়ে লেখো।
ভক্তের আকৃতি কী? এই পর্যায়ের পদ অবলম্বনে কবিদের মনস্তত্ত্বের স্বরূপ নির্ণয় করো।
“আগমনী ও বিজয়া গানে আমাদের আঁতের কথা, ঘরের ছবিই বড়ো হয়ে উঠেছে।” –তোমাদের পাঠ্যপদ অবলম্বনে মন্তব্যটি বিচার করো।
“শাক্তপদাবলির সর্বত্র মাধুর্য ও ঐশ্বর্যভাবের একাত্মতা লক্ষ্য করা যায়।” –তোমাদের পাঠ্য পদ অবলম্বনে মন্তব্যটির যৌক্তিকতা বিচার করো।
শাক্তপদাবলিতে আগমনী ও বিজয়া পর্যায়ের মূল রসটি কী? সেই রস সৃষ্টিতে শাক্তপদকর্তাদের কৃতিত্ব পাঠ্যপদ অবলম্বনে আলোচনা করো।
শাক্তপদাবলির শ্রেষ্ঠ কবি হিসাবে তুমি কাকে ও কেন মনে করো ? তাঁর রচনা কীভাবে পাঠকদের মনে রসানন্দ জাগিয়ে তোলে তা লেখো।
নিজের সময়ের প্রত্যক্ষ সমস্যা জুড়ে দিয়ে রামপ্রসাদ শক্তিতত্ত্বে নতুন মাত্রা যোগ করেন – উদ্ধৃতিসহ আলোচনা করো।
চণ্ডীমঙ্গল
“মুকুন্দরামের সম-সাময়িক বা পরবর্তী বহু কবি চণ্ডীমঙ্গল আখ্যান অবলম্বন করিয়া কাব্য রচনা করিয়াছেন। কিন্তু মুকুন্দরামের চণ্ডীমঙ্গল আপন বৈশিষ্টে সমুজ্জ্বল।” এই মন্তব্যটির বিচার করো।
‘কবিকঙ্কণ চণ্ডী’-র কয়েকটি প্রধান চরিত্র অবলম্বন করিয়া মুকুন্দরামের মানবচরিত্রাভিজ্ঞতা, এবং জীবনরস উপভোগের বৈশিষ্ট্য সম্বন্ধে আলোচনা করো।
মঙ্গলকাব্য রচয়িতাদের মধ্যে মুকুন্দরামের কল্পনার মৌলিকতা ও জীবন-পর্যবেক্ষণের স্বাতন্ত্র্যের যে পরিচয় মিলে তাহা তাঁহার চণ্ডীমঙ্গল কাব্যের বিষয়বস্তু ও চরিত্রচিত্রণের সাহায্যে বুঝাইয়া দাও।
মুকুন্দরামের রসিকতা যে জীবনের লঘু ও গম্ভীর সর্বক্ষেত্রেই সমভাবে স্বতঃস্ফূর্ত ও উহার বিকাশ যে কেবলহাসির উপলক্ষের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, তাহা তাঁহার চণ্ডীমঙ্গল কাব্যের আলোচনার দ্বারা প্রতিপন্ন করিতে চেষ্টা করো।
মুরারি শীল ও ভাঁড়ুদত্ত এই দুইটি চরিত্র অবলম্বন করিয়া মুকুন্দরামের চরিত্রাঙ্কন নৈপুণ্যের পরিচয় দাও এবং এই দুইটি চরিত্রের হাস্যকরতা যে উহাদের জীবন্ত করিয়া তুলিতেও যথেষ্টা সহায়তা করিয়াছে তাহা আলোচনার সাহায্যে বুঝাইয়া দাও।
কালকেতুর অভিযানের ফলে আরণ্যক পশুজগতে তুমুল তোলপাড়ের কাহিনী বর্ণনায় কবির (ক) বর্ণনার যথাযথতা, (খ) মানবিকতার সার্থক আরোপ ও (গ) কৌতুকরস সৃষ্টি দক্ষতার নিদর্শন দেখাইয়া আখ্যায়িকার মধ্যে এই কাহিনী প্রবর্তনের উদ্দেশ্য সম্বন্ধে আলোচনা করো।
“শুধু কালকেতু নয়, ফুল্লরা, মুরারিশীল বা ভাঁড়ু দত্ত পরিবেশের উপযোগী সত্যতায় স্পন্দমান।”— তোমাদের পাঠ্য কাব্যাংশ অবলম্বনে মন্তব্যটি বিশ্লেষণ করো।
“কবি কঙ্কণ মুকুন্দরাম তাঁর কাব্যে প্রত্যক্ষরূপে ইতিহাস-সচেতন।” তোমাদের গঠিত কাব্যাংশ অবলম্বনে উদ্ধৃতি সহযোগে মন্তব্যটি আলোচনা করো।
“মানবধর্ম ও সামাজিক বোধই মুকুন্দের রচনার মর্মকথা”–তোমাদের পাঠিত কাব্যাংশ অবলম্বনে উদ্ধৃতি সহযোগে মন্তব্যটি বিশ্লেষণ করো।
“মধ্যযুগের বাঙালী সমাজের একটা বড়ো অংশের বাস্তব ছবি ধরা পড়েছে শ্রী কবি কঙ্কনের রচনায়।” – তোমাদের পঠিত অংশ থেকে উদ্ধৃতি দিয়ে মন্তব্যটি যথার্থ পতিপন্ন করো।
“মুকুন্দ দুঃখবাদী নন, খুব জোর তাঁকে দুঃখীবাদী বলা যেতে পারে।”— তোমাদের গঠিত ‘কবিকঙ্কণ চণ্ডী’র অংশ অবলম্বনে মন্তব্যটির পক্ষে বা বিপক্ষে যুক্তি দেখিয়ে নিজের অভিমত প্রতিষ্ঠিত করো।
“কবিকঙ্কন মুকুন্দ বস্তুর কারবারি ছিলেন না, ছিলেন বাস্তবরসের স্রষ্টা।”— উদ্ধৃতি সহযোগে মন্তব্যটি বিশ্লেষণ করো।
কবিকঙ্কন মুকুন্দের কাব্যে হাস্যরস সৃষ্টির আড়ালে যে গভীর জীবনবোধ নিহিত ছিল, সে সম্পর্কে আলোচনা করো।
“মঙ্গলকাব্যে চরিত্র-চিত্রণের গতানুগতিকতা থেকে সরে এসে কবিকঙ্কন এঁকেছেন কালকেতু ও ফুল্লরাকে।”–এই অভিমত যথার্থ কিনা আলোচনা করো।
“সমাজচেতনার বিচারে সমগ্র প্রাগাধুনিক বাঙলা সাহিত্যে কবি কঙ্কণের সুবিদিত কাব্যটির কোনও তুলনা নেই।”–তোমাদের পাঠ্য অংশ অবলম্বনে এই অভিমতটির যথার্থতা বিচার করো।
“মধ্যযুগীয় মানুষ হলেও—ব্রাহ্মণ এবং ভূস্বামীর আশ্রয়ে কাব্যরচনা করলেও আমাদের কবি ঠিক সামন্ততান্ত্রিকতাগ্রস্ত হননি।”—তোমাদের পঠিত কাব্যা অবলম্বনে এই অভিমতের পক্ষে বা বিপক্ষে তোমার নিজের মতটি যুক্তি দিয়ে প্রতিষ্ঠিত করো।
শুধু মধ্যযুগ নয়, সমগ্র বাংলা সাহিত্যে ফুল্লরা এক অনন্য সাধারণ নারী চরিত্র—এই উক্তির পক্ষে বা বিপক্ষে তোমার যুক্তি বিন্যস্ত করো।
‘কালকেতুর ভোজন’ এবং ‘কালকেতুর নিকট ভাঁড়ু দত্তের আগমন’ অংশ দুটির মধ্যে কবিকঙ্কনের কবি বৈশিষ্ট্যের কোন্ কোন্ দিক প্রকাশ পেয়েছে তা আলোচনা করো।
‘বুলান মণ্ডলের প্রতি কালকেতুর’ এবং কালকেতুর প্রতি ফুল্লার উপদেশ অংশদুটির মধ্যে মুকুন্দরামের কবি প্রতিভার কোন্ কোন্ বৈশিষ্ট্য ফুটে উঠেছে, তা আলোচনা করো।
‘বণিকসহ কালকেতুর কথোপকথন’ এবং ‘কালকেতুর অঙ্গুরী বিক্রয়’ উপাখ্যান দুটির বর্ণনায় কবির কৃতিত্ব বিচার করো।
“বাংলা সাহিত্যে পুরানো কবিদের মধ্যে শুধু মুকুন্দের প্রতিভায় শ্রেষ্ঠ ঔপন্যাসিক রসদৃষ্টি ছিল।”—চণ্ডীমঙ্গল কাব্যের কালকেতু-ফুল্লরার উপাখ্যান অবলম্বন করে এই মন্তব্যটির সার্থকতা বিচার করো।
‘ফুল্লরার বারমাসের দুঃখ’ এবং ‘চণ্ডীর নিকটে পশুগণের দুঃখ-নিবেদন’ অংশে কবি নিজের অভিজ্ঞতা উজাড় করে য়ছেন।—মন্তব্যটি উদ্ধৃতিসহ বিচার করো।
“ভাঁড়ু দত্ত সাহিত্যে অনন্য সংযোজন।”—তোমাদের পঠিত কাব্যাংশ অবলম্বনে ভাঁড়ু দত্তের অনন্যতাও এই চরিত্র সৃষ্টিতে কবিকঙ্কনের কৃতিত্ব বিচার করো।
কবিকঙ্কন চণ্ডীর কয়েকটি প্রধান চরিত্র অবলম্বন করে মুকুন্দ চক্রবর্তীর মানব চরিত্রাভিজ্ঞতা এবং জীবনরস উপভোগের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে আলোকপাত করো।
‘কালকেতুর বিবাহের অনুবন্ধ’ ও ‘কালকেতুর বিবাহ অবলম্বনে সে কালের সমাজের বিবাহ পদ্ধতি ও স্ত্রী আচারের পরিচয় দাও।
ফুল্লরার নিকট ভাঁড়ু দত্তের কপটবাক্য এবং কালকেতুর প্রতি ভাঁড়ু দত্তের কপট বাক্য অবলম্বনে ভাঁড় দত্তের চরিত্র বৈশিষ্ট্য আলোচনা করো।
কবিকঙ্কন-চণ্ডী অবলম্বনে নদনদীগণের কালিঙ্গদেশে যত্রার বিবরণ দাও। ‘কলিঙ্গ রাজ কর্তৃক বর্ষার শান্তি’ কেমন করে হয় নির্দেশ করো।
‘কবিকঙ্কন চণ্ডী’ কাব্যে ‘চণ্ডীকে ফুল্লরার প্রশ্ন’ ও চণ্ডীর প্রতি ফুল্লরা উপদেশ অবলম্বনে ফুল্লরার চরিত্র আলোচনা করো।
‘মুসলমানদিগের শ্রেণিবিভাগ’ ও ব্রাহ্মণগণের অংশে কবিকঙ্কন মুকুন্দের সমাজচেতনার ভিন্নতর মাত্রা উপলব্ধ হয়— আলোচনা করো।
অনার্স বাংলা প্রথম পত্রের সব প্রশ্ন উত্তর
Leave a comment