প্রিয় শিক্ষার্থী, তোমরা যারা অতিথি পাখি – অনুচ্ছেদ অনুসন্ধান করছো আমার আজকের পোস্ট তাদের জন্য। কারণ বিভিন্ন পরীক্ষায়  অতিথি পাখি – অনুচ্ছেদ লিখতে আসে যার কারণে আমি  অতিথি পাখি – অনুচ্ছেদ যথাযথভাবে লিখার চেষ্টা করেছি।

প্রিয় শিক্ষার্থী পরীক্ষার সিলেবাসে থাকা অতিথি পাখি – অনুচ্ছেদ পড়া খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ কারণ বিভিন্ন পরীক্ষাতেই এই অতিথি পাখি – অনুচ্ছেদ লিখতে আসে। তুমি যদি পরীক্ষায় ভালো নম্বর পেতে চাও তাহলে অতিথি পাখি – অনুচ্ছেদ পড়তে পারো।

অতিথি পাখি – অনুচ্ছেদ 

শীতকালে প্রতি বছর আমাদের দেশে হাজার হাজার মাইল পথ পাড়ি দিয়ে বিভিন্ন স্থান থেকে অতিথি পাখি আশ্রয় নেওয়ার জন্য আসে। আর শীতকালে আগমনরত এ ধরনের পাখিকে বলা হয় অতিথি পাখি। এরা আমাদের দেশে স্থায়ীভাবে বসবাস করে না, শুধু শীতকালে যখন হিমালয়ে প্রচন্ড শীত অনুভূত হয় তখন শীত থেকে বাঁচার জন্য আমাদের দেশে এসে এরা আশ্রয় নেয় যার কারনে এদের অতিথি পাখি বলা হয়। 

বাংলাদেশ নাতিশীতোষ্ণ দেশ হওয়ার কারণে অতিথি পাখির আমাদের দেশে আসে। এই পাখিগুলো শীতের শুরুতে আমাদের দেশে আসে আবার শীত শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নিজেদের দেশে ফিরে যায় অল্প সময়ের জন্য আমাদের দেশে এরা আশ্রয় গ্রহণ করে। প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষায় এবং দেশের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে পাখির অবদান অনেক বেশি। আর অতিথি পাখি আমাদের দেশের এই ভারসাম্য বজায় রাখে তবে অনৈতিক কিছু মানুষ রয়েছে যারা নির্বিচারে আমাদের দেশে আসা এই অতিথি পাখিকে নিধন করে।

অতিথি পাখি সাধারণত তিব্বত, সাইবেরিয়া, মঙ্গোলিয়া এবং হিমালয়ের পাদদেশ সহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকে আমাদের দেশে আসে। কয়েক মাসের জন্য আশ্রয় খুঁজে নেওয়া এসব পাখিদের অধিকাংশই জলচর। অতিথি পাখি দেখার জন্য আমাদের দেশে অনেক পর্যটকের আগমন হয়। অতিথি বাড়িতে আসলে যেমন আমরা সাদরে তাদের গ্রহণ করি ঠিক তেমনি অতিথি পাখিদের আমাদের সাদরে গ্রহণ করা উচিত। তাদের জন্য অভয়ারণ্য তৈরি করা উচিত।

বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা যেমন সুন্দরবন, সুনামগঞ্জের হাওর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকার চিড়িয়াখানার জলাশয় এবং গোপালগঞ্জ, খুলনার বিল, যশোর এসব বিলগুলোতে অনেক বেশি অতিথি পাখি আশ্রয় গ্রহণ করে। এসব পাখিদের মধ্যে রয়েছে কাইন, রাঙ্গো, ডাক, বালি হাঁস, চখাচখি, কুদলা, কোড়া, হাঁস জাতীয় পাখি, টেকুর, বড়দিঘির গুলিন্দা ইত্যাদি এসব পাখিদের আমাদের রক্ষা করতে হবে।

শেষ কথা

আমাদের দেশে আসা অতিথি পাখিদের যারা নিধন করে তাদের কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে কারণ অতিথি পাখি আমাদের দেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং ভারসাম্য বজায় রাখে। সেই সাথে আমাদের সকলকে এই পাখি রক্ষার জন্য সচেতন হতে হবে।