প্রেক্ষাপট: প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘কে বাঁচায়, কে বাঁচে’ ছোট গল্পের প্রধান চরিত্র মৃত্যুঞ্জয় অফিস যাওয়ার পথে একদিন ফুটপাথে অনাহারে মৃত্যুর দৃশ্য দেখে। মন্বন্তরের সময়ে এরকম মৃত্যু নিয়মিত ঘটলেও তা ছিল মৃত্যুঞ্জয়ের জীবনের প্রথম অভিজ্ঞতা।
শারীরিক প্রতিক্রিয়া : আবেগপ্রবণ আদর্শবাদী মৃত্যুঞ্জয় তাই করুণ এই দৃশ্যটি দেখার কয়েক মিনিটের মধ্যেই প্রচণ্ড মানসিক বেদনাবােধের সঙ্গে শারীরিকভাবেও অসুস্থ হয়ে পড়ে। রীতিমতাে কাহিল অবস্থায় অফিসে পৌঁছে সে অফিসের বাথরুমে বাড়ি থেকে খেয়ে-আসা খাবার বমি করে বের করে দেয়।
মানসিক প্রতিক্রিয়া : পাশের কুঠুরি থেকে খবর নিতে আসে তার সহকর্মী বন্ধু নিখিল। নিখিল দেখে মৃত্যুঞ্জয় ভাবলেশহীন চাহনিতে দেয়ালের দিকে তাকিয়ে আছে, সামনে টেবিলের ওপর শূন্য কাচের গ্লাস রাখা। তাকে দেখে নিখিলের মনে হয় যে, নিশ্চয়ই কোনাে-এক বড়াে সমস্যায় পড়েছে মৃত্যুঞ্জয়। সেই সমস্যার নিরর্থক, অন্যায্য কঠোরতায় শার্সিতে আটকে-পড়া মৌমাছির মতাে মৃত্যুঞ্জয় মাথা খুঁড়ছে। লেখক নিখিলের এই দেখার মধ্য দিয়ে মৃত্যুঞ্জয়ের প্রাথমিক প্রতিক্রিয়ার একটা স্বচ্ছ ধারণা সুন্দরভাবে পাঠকের সামনে তুলে ধরেছেন। এককথায় মৃত্যুঞ্জয়ের প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া ছিল হতাশার, যন্ত্রণার এবং অস্থিরতার।
কে বাঁচায়, কে বাঁচে ছোট গল্প অবলম্বনে প্রথম অনাহার-মৃত্যু দেখার দিন মৃত্যুঞ্চয়ের সঙ্গে নিখিলের যে সাক্ষাৎকার হয়েছিল, তা নিজের ভাষায় বিবৃত করাে।
…শার্সিতে আটকানাে মৌমাছির মতো সে মাথা খুঁড়ছে সেই স্বচ্ছ সমস্যার অকারণ অর্থহীন অনুচিত কাঠিন্যে। -মৌমাছি বলতে এখানে কাকে বােঝানাে হয়েছে? উদ্ধৃতিটি ব্যাখ্যা করাে।
অন্য সকলের মতাে মৃত্যুঞ্জয়কে সেও খুব পছন্দ করে।- কার কথা বলা হয়েছে? তার মৃত্যুঞ্জয়কে পছন্দ করার যে কারণ লেখক আলােচনা করেছেন এই প্রসঙ্গে সেটির বিবরণ দাও।
অথচ নিখিল প্রশ্ন করলে সে জবাবে বলল অন্য কথা।- নিখিল মৃত্যুঞ্জয়কে কেন প্রশ্ন করেছিল? মৃত্যুঞ্জয় কেন অন্য কথা বলে?
মরে গেল। না খেয়ে মরে গেল।- বক্তা কে? এর মধ্য দিয়ে বক্তার চরিত্রের কোন্ দিক ফুটে উঠেছে?
এ অপরাধের প্রায়শ্চিত্ত কি?- কোন অপরাধের কথা বলা হয়েছে? বক্তার এই অপরাধবােধের কারণ কী?
নিখিল ভাবছিল বন্ধুকে বুঝিয়ে বলবে, এ ভাবে দেশের লােককে বাঁচানাে যায় না।- কোন প্রসঙ্গে নিখিলের এই ভাবনা? এই ভাবনার মাধ্যমে নিখিলের চরিত্রের কোন বৈশিষ্ট্য প্রকাশ পেয়েছে?
সেদিনের পর থেকে মৃত্যুঞ্জয়ের মুখ বিষয় গম্ভীর হয়ে আছে।—কোন দিনের ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে? সেদিনের পর থেকে মৃত্যুঞ্জয়ের মুখ কেন বিষয় গম্ভীর হয়ে গিয়েছিল?
ওটা পাশবিক স্বার্থপরতা।- বক্তা কে? কোন্ কাজকে পাশবিক স্বার্থপরতা বলা হয়েছে?
মৃত্যুঞ্জয়ের চোখ ছল ছল করছে দেখে নিখিল চুপ করে থাকে।- মৃত্যুঞ্জয়ের চোখ ছলছল করতে থাকার কারণ কী? চুপ করে থাকা সত্ত্বেও নিখিল মনে মনে কী ভাবতে লাগল?
কদিন পরেই মাইনের তারিখ এল।—মাইনের দিনের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে নিখিল ও মৃত্যুঞ্জয়ের বক্তব্য ও মনোভাব বিশ্লেষণ করাে।
Leave a comment