রসায়ন পরীক্ষাগারে কোন নমুনার ওজন পরিমাপ করার জন্য সারটোরিয়াসের ব্যালেন্স ব্যবহার করা হয়। সারটোরিয়াস ব্যালেন্সের ক্ষেত্রে বীমে স্কেলের মাঝখানে ‘0’ দাগ থাকে। শূন্য দাগের ডান পাশে 50 টি ঘর এবং বাম পাশে 50 টি ঘর দাগাঙ্কিত থাকে। 

এজন্য সারটোরিয়াস ব্যালেন্সে বস্তুর ভর গণনার ক্ষেত্রে পল বুঙ্গি ব্যালেন্স থেকে কিছুটা ভিন্ন হয়।

সারটোরিয়াস ব্যালেন্সে বস্তুর ভর গণনা করার পদ্ধতি নিম্নরূপঃ

সারটোরিয়াস ব্যালেন্সে ডান পাল্লায় যে বাটখারা যোগ করা হয় তার মোট ভরের সাথে, রাইডারটি স্কেলের যত দাগ সরানো হয় সেই দাগ সংখ্যার সঙ্গে রাইডার ধ্রুবক গুণ করতে হয়।

 

এক্ষেত্রে রাইডার যদি স্কেলের ‘0’ দাগের ডান পাশে থাকে তবে ডান পাল্লায় যোগ করা বাটখারা মোট ভরের সাথে, রাইডারটি স্কেলের যত দাগ ডানে সরানো হয় সেই দাগ সংখ্যার সঙ্গে রাইডার ধ্রুবক গুণ করে যোগ করতে হবে। 

অর্থাৎ, বস্তুর মোট ভর = (বাটখারার মোট ভর) + (স্কেলের দাগ সংখ্যা x রাইডার ধ্রুবক)।

যেমনঃ সারটোরিয়াস ব্যালেন্সের ডান পাল্লায় 5g, 2g, 1g এবং 500mg, 20mg, 5mg ওজনের বাটখারা যোগ করা হলো। সেইসাথে রাইডারকে স্কেলের ‘0’ দাগের 15 দাগ ডানে সরানো হলো। যদি 5mg ভরের রাইডার ব্যবহার করা হয় তবে, 

রাইডার ধ্রুবক = 5 ÷ 50 

= 0.1mg বা 0.0001g.

বস্তুর মোট ওজন = (5+2+1)g + (500+20+5)mg + (15x 0.0001)g

= 8g + 525 mg + 0.0015g

= 8g + 0.525g + 0.0015g

= 8.5265g

অপরদিকে, সারটোরিয়াস ব্যালেন্স রাইডার যদি ‘0’ দাগের বাম পাশে থাকে তবে, ডান পাল্লায় যোগ করা বাটখারা মোট ভরের সাথে, রাইডারটি স্কেলের যত দাগ বামে সরানো হয়, সেই দাগ সংখ্যার সঙ্গে রাইডার ধ্রুবক গুণ করে  বিয়োগ করতে হবে। 
অর্থাৎ, বস্তুর মোট ভর = (বাটখারার মোট ভর) – (স্কেলের দাগ সংখ্যা x রাইডার ধ্রুবক)।

সারটোরিয়াস ব্যালেন্সের ডান পাল্লায় 5g, 2g, 1g এবং 500mg, 20mg, 5mg ওজনের বাটখারা যোগ করা হলো। সেইসাথে রাইডারকে স্কেলের ‘0’ দাগের 15 দাগ বামে সরানো হলো। যদি 5mg ভরের রাইডার ব্যবহার করা হয় তবে, 

রাইডার ধ্রুবক = 5 ÷ 50  

= 0.1mg বা 0.0001g.

বস্তুর মোট ওজন = [(5+2+1)g + (500+20+5)mg] – (15x 0.0001)g

= [8g + 525 mg] – 0.0015g

= [8g + 0.525g] – 0.0015g

= 8.5235g

এই পদ্ধতিতে সারটোরিয়াস ব্যালেন্সের সাহায্যে বস্তুর ভর গণনা করা হয়।