মার্কসের ঐতিহাসিক বস্তুবাদ অনুসারে সমাজ-বিকাশের ধারায় সাম্যবাদী সমাজব্যবস্থাই হল চূড়ান্ত অধ্যায়। সমাজতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থা হল বৈপ্লবিক পরিবর্তনের অবস্থা বা সাম্যবাদের প্রথম পর্যায়। সমাজতান্ত্রিক সমাজে রাষ্ট্রের প্রয়োজন ফুরিয়ে যায় না। প্রতিক্রিয়াশীল ও প্রতি-বিপ্লবী চক্রান্ত ধ্বংস করার জন্য, প্রতিকূল আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য এবং সমাজতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থা সংরক্ষণের জন্য রাষ্ট্রের ভূমিকা থাকবে। তবে এই রাষ্ট্র আগেকার দাসসমাজের, সামন্তসমাজের ও পুঁজিবাদী সমাজের রাষ্ট্রব্যবস্থা থেকে স্বতন্ত্র প্রকৃতির। এই রাষ্ট্র মুষ্টিমেয় শোষক শ্রেণীর হয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের বিরুদ্ধে কাজ করবে না। সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র শ্রমিকশ্রেণীর নেতৃত্বে সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের স্বার্থে কাজ করবে। সমাজতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থা হল সাম্যবাদী সমাজ প্রতিষ্ঠার প্রাথমিক স্তর। সমাজ বিকাশের এই স্তরে ব্যক্তিগত সম্পত্তির অধিকার অবলুপ্ত হয় এবং শ্রেণীবৈষম্য ও শ্রেণীশোষণের অবসান ঘটে। সমাজতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থায় প্রলেতারিয়েতের রাজনীতিক জয় সুনিশ্চিত হয় এবং রাজনীতিক আধিপত্য সুপ্রতিষ্ঠিত হয়। বুর্জোয়াদের হাত থেকে পুঁজি পুরোপুরি কেড়ে নেওয়ার জন্য প্রলেতারিয়েতের উদ্যোগ অব্যাহত থাকে। এই পর্যায়ে প্রলেতারিয়েত শাসকশ্রেণী হিসাবে আত্মপ্রকাশ করে এবং উৎপাদনের উপকরণকে নিজেদের হাতে কেন্দ্রীভূত করে। উৎপাদিকা শক্তির সত্বর বিকাশের জন্য তারা তাদের রাজনীতিক কর্তৃত্বকে কার্যকর করে।

সাম্যবাদী সমাজে উত্তরণ

এই সমাজতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থাই কালক্রমে পরিপূর্ণ সাম্যবাদী সমাজে উত্তীর্ণ হয়। তবে এই উত্তরণ পর্ব আপনা-আপনি সম্পাদিত হয়ে যায় এমন নয়। এই উত্তরণ সংগঠিত হয় নির্দিষ্ট একটি ঐতিহাসিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে। পরিপূর্ণভাবে বিকশিত সমাজতন্ত্র সৃষ্টি করে সাম্যবাদী সমাজে উত্তরণের সম্ভাবনা। সাম্যবাদী সমাজে উত্তরণের জন্য আবশ্যক হল সমাজতন্ত্রের শক্তিশালী উৎপাদন-ভিত্তি গড়ে তোলা; সামাজিক সম্পর্কসমূহের বিকাশ ও উৎকর্ষ সাধন এবং মানুষের চেতনার গুণগত পরিবর্তন সাধন। সুতরাং সাম্যবাদী সমাজে উত্তরণের জন্য প্রয়োজন হল সহায়ক বৈষয়িক, প্রাতিষ্ঠানিক ও বৌদ্ধিক ভিত্তি প্রস্তুত করা। সমাজতান্ত্রিক সমাজেই এ রকম সহায়ক পরিস্থিতি-পরিমণ্ডলের সৃষ্টি সম্ভব।

সাম্যবাদী সমাজের স্বরূপ

সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্থা সাম্যবাদী সমাজে পূর্ণ পরিণতি লাভ করে। সাম্যবাদী ব্যবস্থায় উৎপাদন, বিজ্ঞান-প্রযুক্তি, শিক্ষা-সংস্কৃতি প্রভৃতির সর্বাঙ্গীণ বিকাশ সাধিত হয়। উৎপাদন শক্তিগুলির চূড়ান্ত উন্নয়নের জন্য উৎপাদন বিপুল পরিমাণে বৃদ্ধি পাবে। প্রত্যেক ব্যক্তির জীবনের সর্বাঙ্গীণ বিকাশের ফলে উৎপাদন শক্তির অভাবনীয় উন্নতি সাধিত হবে। এই সময় সমাজের সম্মিলিত সম্পদের প্রত্যেক উৎস থেকে অপর্যাপ্ত সম্পদের যোগান আসবে। ফলে প্রত্যেকে প্রয়োজনমত ভোগ করার সুযোগ পাবে। সাম্যবাদী সমাজব্যবস্থার বণ্টন নীতি হল ‘প্রত্যেকে তার সামর্থ্য অনুসারে কাজ করবে এবং প্রয়োজন অনুসারে ভোগ করবে’ (“From each according to his ability to each according to his needs.)। সাম্যবাদী সমাজে কোনরূপ শ্রেণী-বৈষম্য থাকবে না। সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্থা সাম্যবাদী ব্যবস্থার দিকে যতই অগ্রসর হতে থাকবে শ্রেণী-বৈষম্য ততই হ্রাস পেতে থাকবে এবং শ্রেণীহীন ও শোষণহীন সমাজ প্রতিষ্ঠার পথ প্রশস্ত হবে। এইভাবে সম্পূর্ণ সাম্যবাদী ব্যবস্থায় সমাজ হবে শ্রেণীহীন এবং শোষণশূন্য।

বৈষম্য ও শোষণের অবসান

সাম্যবাদী সমাজের উচ্চস্তরে মানুষের উপর শ্রমবিভাগজনিত দাসত্ব থাকবে না। সব রকম কায়িক ও মানসিক শ্রমের মধ্যে পার্থক্য দূর হবে। সমাজ বিকাশের এই স্তরে শ্রম আর জীবনধারণের উপায় হিসাবে গণ্য হবে না। শ্রম এখন জীবনের প্রাথমিক প্রয়োজন হিসাবে পরিগণিত হবে। এই অবস্থায় সমাজের সামগ্রিক স্বার্থে নরনারী স্বতঃস্ফূর্তভাবে শ্রম করবে। নারী জাতির কোন রকম অমর্যাদা থাকবে না। নারী সমাজ কোন কাজের জন্য আর অনুপযুক্ত বলে গণ্য হবে না। শহর ও গ্রামাঞ্চলের মধ্যে কোন পার্থক্য থাকবে না। উৎপাদনের উপাদানসমূহের উপর সমানাধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে। প্রত্যেকের ব্যক্তিত্ব বিকাশের সমান সুযোগ বর্তমান থাকবে। তার ফলে সব রকম শ্রেণী-বৈষম্য ও শ্রেণী-শোষণের অবসান ঘটবে। মানবসমাজে তখন প্রকৃত সাম্য ও স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠিত হবে।

সমাজ বিকাশের এই পর্যায়ে এমন এক পরিবেশের সৃষ্টি হয় যেখানে প্রত্যেকের স্বাধীন বিকাশের মাধ্যমে সকলের স্বাধীন বিকাশ সম্ভব হয়। পরস্পর-বিরোধী শ্রেণী ও শ্রেণী-স্বার্থ থাকে না। সমগ্র সমাজের কল্যাণের জন্য সকল মানুষের কর্মকাণ্ড পরিচালিত হয়। এইভাবে শ্রেণীহীন, শোষণহীন সাম্যবাদী সমাজ প্রতিষ্ঠিত হয়। তখন শ্রেণী-শোষণের যন্ত্র হিসাবে পরিচিত রাষ্ট্রের আর কোন প্রয়োজন থাকবে না। ফলে রাষ্ট্র আপনা থেকে উবে যাবে। এঙ্গেলস (Engels) মন্তব্য করেছেন: “The government of persons is replaced by the administration of things and the direction of the process of production. The state is not abolished it withers away.”

রাষ্ট্রের অবলুপ্তি

রাষ্ট্র হল শ্রেণী-শাসনের হাতিয়ার। এই হাতিয়ারের মাধ্যমে এক শ্রেণী অন্য শ্রেণীর উপর দমন-পীড়ন কায়েম করে। সাম্যবাদী সমাজে শ্রেণী-শোষণ ও শ্রেণী-শাসন থাকে না। সাম্যবাদী সমাজ হল শ্রেণীহীন ও শোষণহীন এক সমাজ। স্বভাবতই এই সমাজে শ্রেণী-শাসনের হাতিয়ার স্বরূপ রাষ্ট্র অপ্রয়োজনীয় প্রতিপন্ন হয়। অপ্রয়োজনীয় হয়ে রাষ্ট্র অবলুপ্ত হয়। সাম্যবাদী সমাজ হল সম্পূর্ণ শ্রেণীহীন সমাজ। শ্রেণীহীন বলেই সাম্যবাদী সমাজে রাষ্ট্র অপ্রয়োজনীয় ও অপ্রাসঙ্গিক। রাষ্ট্র হল শ্রেণী-শাসন ও শ্রেণী-প্রভুত্বের হাতিয়ার। শ্রেণী না থাকলে, শ্রেণী শাসন না থাকলে রাষ্ট্রেরও প্রয়োজন থাকবে না। স্বভাবতই শ্রেণীহীন সাম্যবাদী সমাজে রাষ্ট্র অবলুপ্ত হবে। সমাজতান্ত্রিক স্তরে কিন্তু রাষ্ট্র অবলুপ্ত হয় না। সমাজতান্ত্রিক স্তর হল সাম্যবাদী সমাজের প্রাথমিক স্তর। সাম্যবাদী সমাজের সর্বোচ্চ স্তরে রাষ্ট্রের অস্তিত্ব অপ্রয়োজনীয় হয়ে পড়ে, তাই রাষ্ট্র অবলুপ্ত হয়। কিন্তু রাষ্ট্রের এই অবলুপ্তি যান্ত্রিক নিয়মে ঘটে না। মানুষের ইচ্ছায় কর্মনিরপেক্ষভাবে বা আপনা আপনি রাষ্ট্র অবলুপ্ত হয় না। আবার রাষ্ট্রের অবলুপ্তি প্রাকৃতিক নিয়মে এককালীন বিষয় হিসাবেও সংঘটিত হয় না। একটি প্রক্রিয়ায় রাষ্ট্র অবলুপ্ত হয়। এই প্রক্রিয়া দীর্ঘমেয়াদী ও ক্রমিক। রাষ্ট্রের অবলুপ্তির জন্য আবশ্যক হল বিশেষ বৈষয়িক ভিত্তি ও সক্রিয় উদ্যোগ।

আর্থনীতিক পূর্বশর্ত

সম্পূর্ণ সাম্যবাদী সমাজে রাষ্ট্রের অবলুপ্তি সম্ভব। কিন্তু রাষ্ট্রের বিলুপ্তির জন্য কিছু আর্থনীতিক, সামাজিক ও বৌদ্ধিক পূর্বশর্ত পূরণ হওয়া প্রয়োজন। আর্থনীতিক পূর্বশর্ত হল এ ক্ষেত্রে প্রাথমিক শর্ত। উৎপাদিকা শক্তি বিশেষভাবে বিকশিত হওয়া দরকার। এই বিকশিত উৎপাদন শক্তির সাহায্যে মানুষের ক্রমবর্ধমান বৈষয়িক ও মানসিক চাহিদার পরিপূর্ণ পরিত্ব ঘটবে। এবং পরিতৃপ্তি ঘটবে নিরবচ্ছিন্নভাবে। সাম্যবাদী সমাজে শ্রম হবে স্বেচ্ছাপ্রণোদিত। এই শ্রম হল সমাজের স্বার্থে শ্রম এবং বিনা পারিশ্রমিকে শ্রমদান। এই শ্রম পারিশ্রমিক বা পারিতোষিকের সঙ্গে সম্পর্কহীন। সাম্যবাদী সমাজে শ্রম হল সর্বসাধারণের স্বার্থে মেহনতের অভ্যাসগত শ্রম। এ শ্রম নিয়মের অতিরিক্ত এবং সুস্থদেহের দাবিতে শ্রম। সাম্যবাদী সমাজে শ্রম ও উপযোগের পরিমাপের কোন প্রয়োজন থাকে না। শ্রমের উৎপাদনশীলতা এবং সামাজিক সম্পদ বৃদ্ধি করা দরকার। তারজন্য মানুষের আগ্রহ সৃষ্টি করা আবশ্যক। এই উদ্দেশ্যে সাম্যবাদী সমাজের সদস্যদের এই সমাজের উপযোগী সম্পদ সৃষ্টি ও শ্রমের আদর্শে শিক্ষিত করে তোলা দরকার। শ্রমের উৎপাদনশীলতা ও সম্পদের প্রাচুর্য একটি বিশেষ মানে উপনীত হওয়া আবশ্যক, যার ফলে প্রত্যেকে তার সাধ্য অনুসারে শ্রম করবে এবং প্রয়োজন অনুসারে সম্পদ-সামগ্রী ভোগ করবে। সামর্থ্য অনুসারে শ্রম ব্যতিরেকে, চাহিদা অনুসারে বণ্টন বলবৎ হতে পারে না। এই কারণে সাম্যবাদী সমাজে শ্রম ও বণ্টনের নীতি গভীরভাবে সম্পর্কযুক্ত।

সামাজিক পূর্বশর্ত

সাম্যবাদী সমাজে রাষ্ট্রের অবলুপ্তির জন্য সামাজিক শর্তও আছে। এ ক্ষেত্রে সামাজিক শর্ত হিসাবে শ্রেণীবিভাগ ও শ্রেণী পার্থক্যের বিলুপ্তির কথা বলা হয়। সমাজের মধ্যে ব্যক্তিবর্গের সম্পর্কের রাজনীতিক প্রকৃতির অবসান আবশ্যক। আবার মানুষের মানসিক শ্রম ও কায়িক শ্রমের মধ্যে পার্থক এবং শহর ও গ্রামের মধ্যে পার্থক্য বিলোপ সাধন করা দরকার।

বৌদ্ধিক পূর্বশর্ত

রাষ্ট্রের বিলুপ্তির জন্য বৌদ্ধিক বা মতাদর্শগত পূর্বশর্তের কথাও বলা হয়। সাম্যবাদী সমাজে মানুষ প্রকৃতির দাস হবে না। এই পর্যায়ে মানুষ প্রাকৃতিক ও সামাজিক শক্তিসমূহকে নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হবে এবং এই পথে সমগ্র সমাজের প্রগতিকে সুনিশ্চিত করবে। সাম্যবাদী সমাজে মানুষের শিক্ষা সংস্কৃতি ও ব্যক্তিত্বের সর্বাঙ্গীন বিকাশের ব্যাপারে নিশ্চয়তা থাকবে। এই সমাজে যাবতীয় বৈষম্যের অবসান এবং সব রকম সাম্য ও স্বাধীনতা সুনিশ্চিত হবে। সাম্যবাদী সমাজে প্রতিষ্ঠিত হবে সাম্যবাদী নীতিবোধ। মানুষের জীবনধারায় ও চেতনায় ধনতান্ত্রিক প্রভাব-প্রতিক্রিয়া থাকবে না। সমাজস্থ ব্যক্তিবর্গের সংস্কৃতি ও চেতনার মান হবে অতি উচ্চ।

বাহ্যিক শর্ত

সাম্যবাদী সমাজে রাষ্ট্রের অবলুপ্তি সম্পর্কিত উপরিউক্ত আর্থনীতিক, সামাজিক ও বৌদ্ধিক শর্তসমূহ আভ্যন্তরীণ প্রকৃতির। এই সমস্ত শর্তাদি ছাড়াও কিছু বাহ্যিক পূর্বশর্তের কথা বলা হয়। সাম্যবাদী সমাজের চারপাশে কোন ধনতান্ত্রিক রাষ্ট্র থাকা চলবে না। কারণ পুঁজিবাদী রাষ্ট্রের অস্তিত্ব সাম্যবাদী সমাজে রাষ্ট্রের অবলুপ্তির পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির চেষ্টা করবে। আন্তর্জাতিক স্তরে সাম্রাজ্যবাদের অবসান আবশ্যক এবং সমাজতন্ত্রের বিজয়ও চূড়ান্ত হওয়া দরকার।

সাম্যবাদী সমাজে শাসন

সমাজতান্ত্রিক সমাজে বিবিধ কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রণের জন্য থাকে বিভিন্ন রাষ্ট্রসংস্থা। সাম্যবাদী সমাজে এগুলি অবলুপ্ত হবে না। সমাজের বিকাশের পরিপ্রেক্ষিতে এই সমস্ত সংস্থা পুনর্গঠিত হবে। বস্তুত সাম্যবাদী সমাজেও শাসন থাকবে। কিন্তু সাম্যবাদী সমাজের শাসনের কোন রাজনীতিক চরিত্র থাকবে না। এই শাসন প্রতিষ্ঠিত হবে স্বেচ্ছামূলক শৃঙ্খলার উপর। শ্রম ও জীবনযাত্রার ক্ষেত্রে এই স্বেচ্ছামূলক শৃঙ্খলা থাকবে। সুনির্দিষ্ট সামাজিক কর্মকৌশল ও সামাজিক নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার মাধ্যমে সাম্যবাদী সমাজের কাজকর্ম পরিচালিত হবে। সাম্যবাদী সমাজে বিকাশের ধারায় যাবতীয় শ্রেণী পার্থক্যের অবসান ঘটে। সমগ্র জাতির একটি কমিটির হাতে উৎপাদন কেন্দ্রীভূত হয়। এ রকম অবস্থায় সরকারী ক্ষমতার কোন রাজনীতিক চরিত্র থাকে না। আগেকার শ্রেণী-বৈষম্যমূলক বুর্জোয়া সমাজের জায়গায় সৃষ্টি হবে একটি সমিতির। এখানে প্রত্যেকের অবাধ বিকাশ প্রতিপন্ন হবে সকলের অবাধ বিকাশের শর্ত হিসাবে।