প্রশ্নঃ সাক্ষীর বিশ্বাসযোগ্যতাকে কখন, কিভাবে অভিযুক্ত করা যায়? সাক্ষীকে প্রশ্ন করার জন্য বিচারকের সাধারণ ক্ষমতায় কি কি সীমাবদ্ধতা আরোপ করা হয়েছে?

১৫৫ ধারা মতে নিম্নোক্ত উপায়ে সাক্ষীর বিশ্বাসযোগ্যতা নষ্ট করা যায়ঃ

১. অন্যান্য সাক্ষীদের মতে ঐ সাক্ষী বিশ্বাসের অযোগ্য বলে মনে বলে তাদের দ্বারা সে মর্মে সাক্ষ্য দেয়ায়।

২. সাক্ষীকে ঘুষ দেয়া হয়েছে বা সাক্ষী ঘুষের প্রস্তাবে সম্মত হয়েছে অথবা সাক্ষ্য দেয়ার জন্য কোনরূপ অবৈধ প্রলোভনের প্রস্তাবে সম্মত হয়েছে তা প্রমাণ করে।

৩. তার প্রদত্ত-সাক্ষ্যে যা প্রতিবাদসাপেক্ষ তা তার পূর্ববর্তী বিবৃতির সাথে সঙ্গতিবিহীন তা প্রমাণ করে।

৪. কোন ব্যক্তি যখন বলাৎকার অথবা শ্লীলতাহানির চেষ্টার অভিযোগ ফৌজদারীতে সোপর্দ হন তখন দেখানো যেতে পারে যে, অভিযোগকারিণী সাধারণভাবে দুশ্চরিত্রা বা ভ্রষ্টা।

এ ধারার ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে যে, একজন সাক্ষী যদি অপর একজন সাক্ষীকে বিশ্বাসের অযোগ্য বলে উক্তি করে, তবে জবানবন্দীর সময় এর কারণ ব্যাখ্যা নাও করতে পারেন। তবে জেরা করার সময় এরূপ বিশ্বাসের কারণ ব্যাখ্যা করার প্রয়োজন হতে পারে।

সাক্ষীকে প্রশ্ন করার জন্য বিচারকের সাধারণ ক্ষমতায় সীমাবদ্ধতা আরোপঃ জবানবন্দী, জেরা এবং পুনঃজবানবন্দী সংশ্লিষ্ট পক্ষগণ নিজেরা করে থাকেন। আদালত সেগুলি লিপিবদ্ধ করেন মাত্র। কিন্তু ১৬৫ ধারায় বিচারককেও সত্যতা নিরূপণের জন্য জিজ্ঞাসাবাদ করার অধিকার দেয়া হয়েছে। তবে সে অধিকার সুবিবেচনার সাথে প্রয়োগ করতে পরামর্শ দেয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট আইনজীবীদের থামায়ে দিয়ে বিচারক নিজেই প্রশ্নের মাধ্যমে জবানবন্দী ও জেরা করার বিষয় অনেক উচ্চ আদালতই সমর্থন করেন নি। তবে জেরা অত্যধিক লম্বা হলে বিচারক তা সীমিত করতে পারেন।

প্রাসঙ্গিক বা বিচার্য বিষয় হলে জেরার সময় যে কোন প্রশ্ন করা যায় সেক্ষেত্রে আদালত অযথা হস্তক্ষেপ করতে পারেন না। অন্যান্য ক্ষেত্রে উত্যক্তকারী প্রশ্ন, অপমানজনক প্রশ্ন বা অশ্লীল প্রশ্ন করা যাবে না।