‘বীরাঙ্গনা কাব্য’ থেকে নেওয়া ‘নীলধ্বজের প্রতি জনা’ শীর্ষক একাদশ পত্রে ‘মহাভারত’-এর ‘অশ্বমেধ পর্ব’ অনুযায়ী দেখা যায় যে, অর্জুনের অশ্বমেধ যজ্ঞের ঘােড়া ধরার কারণে মাহেশ্বরী পুরীর যুবরাজ প্রবীর যুদ্ধে অর্জুনের হাতে নিহত হন। পুত্র প্রবীরের এই মৃত্যুতে শােকাবকুলা জনা প্রতিশােধ আকাঙ্ক্ষায় অধীর হয়ে ওঠেন। স্বামী নীলধ্বজের কাছে তখন তার একমাত্র দাবি, যথার্থ ক্ষত্রিয়ের মতাে বীরধর্মে উজ্জীবিত হয়ে পুত্রঘাতকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘােষণার। অথচ সেইসময় জনা লক্ষ করেন যে, যুদ্ধ ঘােষণার পরিবর্তে স্বামী নীলধ্বজ পুত্রহন্তার সঙ্গে সন্ধি ও সখ্য স্থাপনে তৎপর। ক্ষোভে, দুঃখে জনা তখন স্বামীর চেতনা ফিরিয়ে আনার জন্য অর্জুনের জননী কুন্তীর চরিত্রের নানা দিকের কথা তুলে নিন্দায় সরব হয়ে ওঠেন।

জনার দৃষ্টিতে ভােজরাজকন্যা কুন্তী একজন স্বৈরিণী বা চরিত্রহীনা নারী ছাড়া আর কিছুই নন। অর্জুন তাঁর জারজ সন্তান। দুর্বাসার মন্ত্র জপ করে ভােজবালা কুন্তী ধর্মের কাছ থেকে যুধিষ্ঠির, পবনদেবের কাছ থেকে ভীম এবং ইন্দ্রের কাছে থেকে অর্জুনকে লাভ করেছিলেন। এ ছাড়া, কুমারী অবস্থাতে সূর্যের ঔরসে তাঁর গর্ভে কর্ণের জন্ম হওয়ায় কুন্তীকে জনা কুলটা ও বেশ্যা নারী হিসেবে উল্লেখ করেন। এরকম রমণীর গর্ভে যে কোনাে পুণ্যাত্মার জন্ম হতে পারে না, সেকথারও উল্লেখ করে জনা তার স্বামীর মনে পাণ্ডবদের বংশগৌরবের অসারতা প্রমাণ করে তাকে বীরধর্মে জাগিয়ে তুলতে চেয়েছিলেন।

‘বীরাঙ্গনা কাব্য’ পত্রকাব্যগ্রন্থ থেকে নেওয়া নীলধ্বজের প্রতি জনা শীর্ষক একাদশ পত্র অর্জুনের অশ্বমেধ যজ্ঞের ঘােড়া ধরার কারণে মাহেশ্বরী পুরীর যুবরাজ প্রবীর এক অসম যুদ্ধে অর্জুনের হাতে নিহত হলে শােকাকুলা জনা প্রতিশােধ আকাঙ্ক্ষায় অধীর হয়ে ওঠেন। অথচ সেইসময় জনা লক্ষ করেন যে, যুদ্ধ ঘােষণার ও প্রতিশােধগ্রহণের পরিবর্তে স্বামী নীলধ্বজ পুত্রহন্তার সঙ্গে সন্ধি ও সখ্যস্থাপনে তৎপর। ক্ষোভে, দুঃখে জনা তখন স্বামীর চেতনা ফিরিয়ে আনার জন্য, অর্জুনের স্ত্রী দ্রৌপদীর চরিত্রের নানা দিকের কথা তুলে নিন্দায় সরব হয়ে পাণ্ডব বংশের মাহাত্ম্যকে খাটো করতে চেয়েছেন।

অর্জুনপত্নী দ্রৌপদীও জনার নিন্দাবাণে বিদ্ধ হওয়া থেকে রক্ষা পাননি। পঞ্চপাণ্ডবের স্ত্রী দ্রৌপদীকে জনা ব্যঙ্গ করে বলেছেন—“পৌরব-সরসে/নলিনী। অলির সখী, রবির অধীনী,/ সমীরণ-প্রিয়া।” অর্থাৎ পুরুবংশের সরােবরে দ্রৌপদী হলেন পদ্মের মতাে। পদ্ম হল অলি অর্থাৎ মৌমাছির সখী, সূর্যের অধীনা এবং বাতাসের প্রিয়া, কারণ পদ্মের সঙ্গে এদের প্রত্যেকেরই গভীর যােগ আছে। দ্রৌপদীও সেরকম একইসঙ্গে পঞ্চপাণ্ডবের প্রিয়া এবং ভােগ্যা। এই উপমার সাহায্যে দ্রৌপদীর পঞ্চস্বামী গ্রহণের দিকেই ইঙ্গিত করা হয়েছে। ব্যাসদেব রচিত মহাভারতে উল্লিখিত আছে দ্রৌপদী আসলে রূপান্তরিত লক্ষ্মী। এই ভাবনাকে নস্যাৎ করে দিয়ে জনা বলেছেন- “ভাবি যদি পাঞ্চালীর কথা।/লােক-মাতা রমা কি হে এ ভ্রষ্টা রমণী?” প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কুন্তীকে আক্রমণের সূত্রেই জনার আক্রমণের লক্ষ্য হয়ে ওঠেন দ্রৌপদী।

বীরাঙ্গনা কাব্য থেকে নেওয়া নীলধ্বজের প্রতি জনা শীর্ষক একাদশ পত্রে ‘মহাভারত-এর ‘অশ্বমেধ পর্ব অনুযায়ী দেখা যায় যে, অর্জুনের অশ্বমেধ যজ্ঞের ঘােড়া ধরার কারণে মাহেশ্বরী পুরীর যুবরাজ প্রবীর এক অসম যুদ্ধে অর্জুনের হাতে নিহত হন। পুত্র প্রবীরের এই মৃত্যুতে শােকাকুলা জনা প্রতিশােধ আকাঙ্ক্ষায় অধীর হয়ে ওঠেন। অথচ সেইসময় জনা লক্ষ করেন যে, যুদ্ধ ঘােষণার পরিবর্তে স্বামী নীলধ্বজ পুত্রহন্তার সঙ্গে সন্ধি ও সখ্য স্থাপনে তৎপর। ক্ষোভে, দুঃখে জনা তখন স্বামীর চেতনা ফিরিয়ে আনার জন্য, তার মনে পার্থ সম্পর্কে ঘৃণাবােধ জাগিয়ে তােলার জন্য অর্জুন চরিত্রের নানা দিকের কথা তুলে নিন্দায় সরব হয়ে ওঠেন।

যেভাবে ব্রাহ্মণের ছদ্মবেশে স্বয়ংবরসভায় অর্জুন দ্রৌপদীকে লাভ করেছেন কিংবা কৃয়ের সাহায্যে আপন স্বার্থসিদ্ধির জন্য খাণ্ডব বন পুড়িয়ে দিয়ে লক্ষ লক্ষ জীবকে হত্যা করেছেন অথবা শিখণ্ডীর সাহায্য নিয়ে অন্যায়ভাবে পিতামহ ভীষকে নিহত করেছেন, তা পার্থের পাপাচার ও চারিত্রিক নীচতার দৃষ্টান্ত বলেই জনা মনে করেছেন। ছলনার দ্বারা গুরু দ্রোণাচার্যকে হত্যা করা বা কৌশলে কর্ণকে বধ করার মধ্যে যে। মহারথীপ্রথা কোনােভাবেই রক্ষিত হয়নি, সে কথা বলতেও দ্বিধাহীন থেকেছেন জনা। এভাবেই জনা অর্জুন চরিত্রের বীরধর্মের প্রচলিত ধারণাকে সম্পূর্ণ নস্যাৎ করে দিয়েছেন। এর মধ্যে দিয়ে স্বামী নীলধ্বজকে অর্জুনের সঙ্গে তার সখ্য যে কতটা অনুচিত তা বােঝানােই ছিল জনার লক্ষ্য।

ধীবরপালিতা সত্যবতী যৌবনে যমুনায় খেয়া পারাপারের কাজ করতেন। একদা তীর্থ পর্যটনের সময় পরাশর মুনি তার নৌকায় ওঠেন এবং মৎস্যগন্ধা সত্যবতীর প্রতি আকৃষ্ট হন ও তার গর্ভে নিজের সন্তান প্রার্থনা করেন। ফলে পরাশর মুনি কৃত্রিমভাবে কুয়াশা সৃষ্টি করে নদীর ওপর সত্যবতীর সঙ্গে মিলিত হন। এরই পরিণতিতে সত্যবতীর গর্ভে কৃয়দ্বৈপায়ন ব্যাসের জন্ম হয়। শুধু মহাভারতের রচনাকার হিসেবেই ব্যাসদেব জগতে বিখ্যাত ছিলেন না, তিনি বেদের বিভাগ করেন এবং বেদান্তদর্শনও রচনা করেন।

নীলধ্বজের প্রতি জনা কাব্যাংশে পার্থের বীরত্ব শুধু নয়, তার জন্ম ইতিহাসকেও জনা আক্রমণ করেন। মহাভারতে পাণ্ডব-কীর্তনের জন্য ব্যাসদেবকেও আক্রমণ করতে ছাড়েন না। ব্যাসদেবের জন্মের পর সত্যবতীর সঙ্গে বিবাহ হয় ভীষ্মের পিতা শান্তনুর। বিবাহের পর তাদের চিত্রাঙ্গদ ও বিচিত্রবীর্য নামে দুই পুত্রসন্তান হয়। এরপর কাশীরাজের কন্যা অম্বিকা ও অম্বালিকার সঙ্গে বিচিত্রবীর্যের বিয়ে হয়। বিচিত্রবীর্যের যক্ষারােগে মৃত্যু হলে মাতা সত্যবতীর অনুরোধে পরলােকগত ভাই বিচিত্রবীর্যের দুই বিধবা স্ত্রী অম্বিকা ও অম্বালিকার গর্ভে যথাক্রমে ধৃতরাষ্ট্র ও পাণ্ডুর জন্ম দেন ব্যাসদেব। তাই জনার চোখে ব্যাস হলেনকু-কুলের কুলাচার্য্য। তাই তাঁর বক্তব্যকে শিরােধার্য বা সত্য বলে মেনে নেওয়ার কোনাে প্রয়ােজন নেই বলে জনা বােঝাতে চেয়েছেন।

‘গালিলিও’ প্রবন্ধ অবলম্বনে পাড়ুয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গালিলিওর স্বদেশে প্রত্যাবর্তনের ইতিবৃত্ত বর্ণনা করাে।

স্বদেশে ফেরার পর দেশের ধার্মিক ও শিক্ষিত মানুষদের সঙ্গে কীভাবে গালিলিও সংঘাতে জড়িয়ে পড়লেন, তা গালিলিও প্রবন্ধ অবলম্বনে লেখাে।

“আর এক কারণে তাঁর সব আবিষ্কার ও মতামত শুধু পণ্ডিত মহলে আবদ্ধ রইল না।” -কারণটি বিস্তৃতভাবে পর্যালােচনা করাে।

গালিলিওর শেষ ন’বছরের জীবনকথা গালিলিও’ প্রবন্ধ অবলম্বনে লেখাে।

“তখনকার দিনে ধার্মিক পণ্ডিতেরা এসব বিশ্বাস করতে চাইলেন না।” -ধার্মিক পণ্ডিতরা কী বিশ্বাস করতে চাইলেন না এবং কেন?

“প্রথমে Inquisition রায় দিলেন যে,” -কী রায় দিয়েছিলেন তা প্রসঙ্গ উল্লেখ করে লেখাে।

‘গালিলিও’ প্রবন্ধ অবলম্বন করে কার্ডিনাল বেলারিমিনের পরিচয় দাও।

গালিলিওর পিতৃ-পরিচয় লিপিবদ্ধ করে শিক্ষার্থী গালিলিওর তার্কিক মনােভাবের পরিচয় দাও।

দূরবিন আবিষ্কার করার ফলে ভেনিস কর্তৃপক্ষের নিকট কীভাবে গালিলিওর কদর বেড়ে গিয়েছিল?

স্বদেশে ফিরে এসে দূরবিনে চোখ রেখে গালিলিও কী কী আবিষ্কার করেছিলেন?

“এই সময় ফ্লোরেন্সের এক বন্ধুকে লেখা চিঠির থেকে কয়েক লাইনের সারাংশ উদ্ধৃত হলাে”—চিঠিটি লেখার কারণ বর্ণনা করে চিঠিটির সারাংশ নিজের ভাষায় লেখাে।

“১৬০৯ সালে ঘটল এক নতুন ব্যাপার” -১৬০৯ সালে ঘটা নতুন ব্যাপারটি উল্লেখ করে এই সূত্রে কোন্ ঘটনা গালিলিওকে আমােদ’ দিয়েছিল তা লেখাে।

“১৬১২ সালের মে মাসে তিনি চিঠিতে লিখলেন”—চিঠি লেখার প্রেক্ষাপট বর্ণনা করে চিঠিটির বক্তব্য নিজের ভাষায় লেখাে।

“এই স্বভাবই শেষ জীবনে তার অশেষ দুঃখের কারণ হলাে” -কার কোন্ স্বভাবের কথা বলা হয়েছে? সেই স্বভাব তার শেষ জীবনে অশেষ দুঃখের কারণ হলাে কীভাবে?

গালিলিও-র ছাত্রজীবন সম্পর্কে যা জান লেখাে।

গালিলিও’ প্রবন্ধটির নামকরণের সার্থকতা বিচার করাে।

‘গালিলিও’ প্রবন্ধ অনুসরণে গালিলিওর বিজ্ঞানসাধনার পরিচয় দাও।

“নিজের দূরবিন নিয়ে গালিলিও অনেক নতুন আবিষ্কার করলেন।”—দূরবিনের সাহায্যে গালিলিও কী কী আবিষ্কার করলেন? সনাতনীরা তার বিরুদ্ধতা করেছিলেন কেন?

সত্যেন্দ্রনাথ বসুর ‘গালিলিও’ প্রবন্ধ অবলম্বনে প্রখ্যাত বিজ্ঞানী গালিলিওর পরিবারের পরিচয় দাও। পারিবারিক দায়িত্ব পালনে গালিলিওর ভূমিকা আলােচনা করাে।

“গালিলিও রাজি হলেন,”—কোন্ ব্যাপারে রাজি হয়েছিলেন গালিলিও? গালিলিওর জীবনের শেষ পাঁচ বছরের পরিচয় দাও।

নীলধ্বজের প্রতি জনা কী ধরনের রচনা তার ব্যাখ্যা করাে।

পৌরাণিক চরিত্র নিয়ে ‘নীলধ্বজের প্রতি জনা রচিত হলেও সেখানে কবি মধুসূদনের যে স্বাতন্ত্রের পরিচয় পাওয়া যায় তা লেখাে।

রেনেসাঁর লক্ষণগুলি কীভাবে ‘নীলধ্বজের প্রতি জনা’ পত্রকাব্যে প্রতিফলিত হয়েছে লেখাে।

পত্ৰকাব্যের সংজ্ঞা দাও। কোন্ পত্রকাব্য দ্বারা প্রভাবিত হয়ে মধুসূদন তাঁর নীলধ্বজের প্রতি জনা লিখেছিলেন?

পত্ৰকবিতা হিসেবে ‘নীলধ্বজের প্রতি জনা’-র সার্থকতা আলােচনা করাে।

নীলধ্বজের প্রতি জনা কাব্যাংশ অবলম্বনে নীলধ্বজ চরিত্রটিকে বিশ্লেষণ করাে।

নীলধ্বজের প্রতি জনা’ কাব্যাংশে উল্লিখিত জনা চরিত্রটি সম্পর্কে আলােচনা করাে।

নীলধ্বজের প্রতি জনা কাব্যাংশে নীলধ্বজের প্রতি জনার যে ক্ষোভ ও অভিমানের প্রকাশ ঘটেছে, তা নিজের ভাষায় লেখাে।