উত্তর: মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যের আদি নিদর্শন শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্য। এ কাব্যের ভাষা ও ছন্দ লালিত্যময়। বাংলা ছন্দের ইতিহাসে শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যের ছন্দের গুরুত্ব অনস্বীকার্য। এর অধিকাংশ ছন্দই পয়ার। এতে প্রথম বাংলা অক্ষরবৃত্তের নিদর্শন পাওয়া গেছে যেমন-

নিন্দায় চান্দ চন্দন রাধা-সব খানে।

গরল সমান মানে মলয় পবনে। (বিরহখণ্ড)

৮/৬ মাত্রার পয়ার ছন্দের উদাহরণ:

তোর ভাঁগে ছিল রাধা/রতি অনুমতি।

হরিষ করিআঁ তোর/ মাথে ধর ছাতী (ছত্রখণ্ড)

দ্বিপদী ছন্দ ১০/৮ মাত্রার:

গোআল জরম আহ্মেশুন।

দধি দুধে উতপতী। এবেঁ তাকে উপেন্থ কেহ্নে। তোর ভৈল কি কুমতী (নৌকা খণ্ড)

অন্যান্য ছন্দোবন্ধের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ৬/৬/৮ এবং ৮/৯/১০ ভাগের ত্রিপদী যেমন-

ক্ষেপে সজল নয়নে।

দশ দিশে খনে খনে।

নীলহীন কৈশ যেন নীল নলিনে (বিরহখণ্ড)