আমরা শ্বসন কার্য পরিচালনা করার জন্য ২৪ ঘন্টা বাতাসের অক্সিজেন গ্রহন করছি। বাতাসে বিভিন্ন উপাদান অক্সিজেন, নাইট্রোজেন, জলীয় বাষ্প, কার্বন ডাই অক্সাইড ইত্যাদি উপস্হিত থাকে।
আমরা খাদ্য হিসেবে উদ্ভিদ থেকে চাল, গম, আলু, ভুট্টা ইত্যাদি খাদ্যশস্য গ্রহন করি। এসব খাদ্যশস্যে গ্লুকোজ (C₆H₁₂O₆) থাকে। গ্লুকোজ অণু রক্তের মাধ্যমে শরীরের প্রতিটি কোষে পৌঁছে যায়।
অপর দিকে অক্সিজেনও রক্তের মাধ্যমে প্রতিটি কোষে পৌঁছায়। শ্বসন প্রক্রিয়ায় গ্লুকোজ অণু অক্সিজেন দ্বারা জারিত হয়ে কার্বন ডাই অক্সাইড (CO₂) পানি (H₂O) ও শক্তি উৎপন্ন হয়। এ শ্বসন প্রক্রিয়া কোষের মাইট্রোকনড্রিয়ায় ঘটে।
C₆H₁₂O₆ + 6O₂ ———> 6CO₂ + 6H₂O + শক্তি
এ শ্বসন প্রক্রিয়ায় ৩৮ টি ATP উৎপন্ন হয়। যা আমাদের শরীরে তাপ শক্তি হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
এজন্য শর্করা জাতীয় খাবার গ্লুকোজকে জারিত করতে আমাদের অক্সিজেনের প্রয়োজন হয়।
তাই আমরা প্রতিনিয়ত বাতাস থেকে অক্সিজেন গ্রহন করি।
Leave a comment