প্রশ্নঃ শাস্তির নৈতিক যৌক্তিকতা দেখাও।

ভূমিকাঃ সমাজে বসবাস করতে গিয়ে মানুষকে কিছু নৈতিক দায়িত্ব পালন করতে হয় । যখন কেউ ঐ সকল দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে সক্ষম হয় তখন সে প্রশংসিত হয়। আর না পারলে নিন্দিত হয়। আর ব্যক্তির দায়িত্ব পালনের সফলতা ও ব্যর্থতাই পুরষ্কার ও দণ্ড হিসেবে কাজ করে।

শাস্তির নৈতিক ভিত্তিঃ শাস্তির নৈতিক ভিত্তি এটাই যে, কেউ কখন স্বেচ্ছায় এবং স্বজ্ঞানে অপরাধ করে তার জন্য তার অবশ্যই শাস্তি পাওয়া উচিত।

অপরাধীর শাস্তির প্রয়োজনীয়তাঃ একজন অপরাধী শুধু সমাজের নিরাপত্তাই বিঘ্নিত করে না সে তার নিজের নিরাপত্তা ও বিঘ্নিত করে। তাই সমাজের সকলের নিরাপত্তা এবং বৃহত্তর মঙ্গলের জন্য অপরাধীকে শাস্তি দেওয়া অবশ্যই প্রয়োজন।

এ প্রসঙ্গে, এরিস্টটল ও হিউমের মতে, ‘অপরাধের জন্য শাস্তি দেওয়া যেতে পারে, তবে তা যেন অবশ্যই অপরাধীর চরিত্র সংশোধনের জন্য কাজ করে।

প্লেটোর মতে, ‘অপরাধী যাতে অপরাধের পুনরাবৃত্তি ঘটাতে না পারে সে জন্য অবশ্যই শাস্তি দিতে হবে।

জে. এস. মিল বলেন, ‘সামাজিক মঙ্গল ও নৈতিক শৃঙ্খলার জন্য শাস্তির প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।

কান্টের মতে, ‘সৎ কাজের পুরস্কার এবং সৎকাজের শাস্তি হওয়াই দরকার।

উপসংহারঃ পরিশেষে বলা যায় যে, নৈতিক শৃঙ্খলা রক্ষা ও অপরাধীর চরিত্র সংশোধনের জন্য শাস্তি প্রদান একান্ত প্রয়োজন, তাই এর নৈতিক ভিত্তি অত্যন্ত সুদৃঢ়।