অথবা, লিঙ্গভিত্তিক অসমতার জৈবিক কারণগুলাে উল্লেখ কর।
ভূমিকাঃ প্রকৃতিগত ভাবেই নারী ও পুরুষের মধ্যে পার্থক্য বিদ্যমান। এ কারণে নারী ও পুরুষের প্রতি মানুষের সামাজিক আচরণ ও ভিন্ন। নারী ও পুরুষের এ পার্থক্যকে জেন্ডার ও সেক্স দ্বারা চিহ্নিত করা হয়। নিম্নে বিষয়গুলাে বিস্তারিত আলােচনা করা হলােঃ
লিঙ্গভিত্তিক অসমতার জৈবিক কারণঃ জীববিজ্ঞানের দৃষ্টিকোণ থেকে পাওয়া নারী ও পুরুষের লিঙ্গভিত্তিক অসমতার জৈবিক কারণগুলাে হলােঃ
(১) পুরুষের এস্ট্রোজেন ও নারীদেহে প্রােজেস্টেরন হরমােন বিদ্যমান।
(২) পুরুষের দেহ অম্লীয়, নারীদেহ ক্ষারীয়।
(৩) পুরুষদেহে X ও Y ক্রমােজম ও নারীদের X ও X ক্রোমােজম বিদ্যমান যা সন্তান ছেলে হবে না মেয়ে হবে, তা নির্ধারণ করে।
(৪) নারী ও পুরুষের জৈবিক চাহিদাগত পার্থক্য।
(৫) নারী ও পুরুষের শারীরিক কাঠামােগত পার্থক্য।
পরিশেষঃ পরিশেষে বলা যায় যে, নারী ও পুরুষের লিঙ্গভিত্তিক অসমতা নির্ণয়ে মনস্তাত্ত্বিক ও জৈবিক কারণ উভয়ই গুরুত্বপূর্ণ। সমাজে নারী ও পুরুষের মনস্তাত্ত্বিক বিষয়াবলি নির্ণয়ে বিভিন্ন সামাজিক বিষয়াবলী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি ও আচরণগত কারণে মানুষের মন-মানসিকতায় পরিবর্তন আসে। ফলে প্রত্যেক মানুষ নিজেকে পুরুষ অথবা নারী হিসেবে আলাদা করে ভাবতে শিখে। আবার জৈবিক কারণগুলােও লিঙ্গভিত্তিক অসমতার জন্য কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। কারণ প্রত্যেক মানুষ নারী বা পুরুষ হয়ে জন্মায়। ফলে তাদের দৈহিক অনেক পার্থক্য বিদ্যমান থাকে যা তাদের পরিচয় বহন করে।
Leave a comment