রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদ ২০০০ সালে স্থাপিত হয় এবং এখানে বর্তমানে বিভাগ রয়েছে দুইটি এবং এর অবস্থান হলো রাজশাহীর মেহের চন্ডিতে। প্রায় ৭৫০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে এই বিভাগটি চালু রয়েছে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদের বিভাগ সমূহ হলো – কৃষি ও কৃষি সম্প্রসারণ এবং শস্য বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি।
ফলিত পদার্থবিজ্ঞান ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল (এপিইই) বিভাগকে ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল (ইইই) বিভাগ ২০১৮ সালের ৬ই ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ একোভূতকরণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। এবং ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে এই সিদ্ধান্তটি কার্যকর করা হয়েছে।
১৯৭৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে চারুকলা অনুষদ প্রতিষ্ঠিত হয়। তবে এই অনুষদ রাজশাহীর মেহের চন্ডিতে শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন একাডেমিক ভবনে অবস্থিত।এই চারুকলা অনুষদটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আলাদা ভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। চারুকলা অনুষদের তিনটি বিভাগ খোলা রয়েছে এবং সেখানে রয়েছে আটটি বিষয় এগুলো হলো –
১৯৮৩ – ৮৪ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এই চারুকলা অনুষদটি রাজশাহীর রেললাইন সংলগ্ন শহীদ হাবিবুর রহমান হলের উত্তরে দশ ১০ বিঘা জমির ওপর নিজস্ব ভবন নির্মিত হয় এবং সূচনা লগ্নে অর্থাৎ ৯0 এর দশকে এই চারুকলা অনুষদ তাদের যাত্রা শুরু করেন ১৬ জন শিক্ষক এবং ১৪ জন কর্মচারী নিয়ে এবং এখানে ছিল কিছু সংখ্যক ছাত্রছাত্রী। ১৯৯৪ সালের ১৯ মার্চ এই মহাবিদ্যালয়টিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কাঠামোর অধীনে এনে চারুকলা বিভাগ নামকরণ করা হয়।
চারুকলা শিক্ষাকে সম্প্রসারিত করার লক্ষ্যে এবং এই কাজটি করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এবং পরবর্তীতে এটি একটি অনুষদের মর্যাদা লাভ করে। চারুকলা এই বিভাগটি চার বছর মেয়াদী স্নাতক এবং এক বছর মেয়াদী স্নাতকোত্তর সম্মান কোর্স চালু করা রয়েছে এবং এই অনুষদের রয়েছে ৬০০ জন ছাত্রছাত্রী এবং বৃষ্টির শ্রেণী কক্ষ এবং এর পরিচালনার জন্য রয়েছেন ৩৫ জন শিক্ষক এছাড়া এখানে ১৯০০ বই সমৃদ্ধ একটি অনুষদ লাইব্রেরী রয়েছে।
চারুকলা বিভাগে ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষা প্রদানের পাশাপাশি এখানে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক এবং সামাজিক কর্মকান্ডের সঙ্গে ও তারা জড়িত রয়েছে। যেমন – তারা প্রতিবছর বার্ষিক প্রদর্শনী, বর্ষবরণ অনুষ্ঠান, পহেলা ফাল্গুন, পিঠা উৎসব এমনকি বিভিন্ন ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও করে থাকে।
চিকিৎসা বিজ্ঞান অনুষদ
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা বিজ্ঞান অনুষদে সরকারি নয় ৯ টি মেডিকেল কলেজ, বেসরকারি দশ ১০টি মেডিকেল কলেজ এবং তিন ৩ টি ডেন্টাল কলেজ, সরকারি নার্সিং কলেজ, বেসরকারি নার্সিং কলেজ, সরকারি মেডিকেল ইনস্টিটিউট, বেসরকারি মেডিকেল ইনস্টিটিউট, নিয়ে এই অনুষদ গঠিত। নিচে এগুলো পর্যায়ক্রমে তুলে ধরা হলো –
সরকারি মেডিকেল কলেজ – নয় ৯ টি
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ – রাজশাহী
পাবনা মেডিকেল কলেজ – পাবনা
কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ – কুষ্টিয়া
যশোর মেডিকেল কলেজ – যশোর
খুলনা মেডিকেল কলেজ – খুলনা
সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ – সাতক্ষীরা
শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল – বগুড়া
রংপুর মেডিকেল কলেজ – রংপুর
দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ – দিনাজপুর
বেসরকারি মেডিকেল কলেজ – ১০ টি
বারেন্দ্র মেডিকেল কলেজ – রাজশাহী
ব্যাংক মেডিকেল কলেজ – রাজশাহী
নর্দান প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ – রংপুর
প্রাইম মেডিকেল কলেজ – রংপুর
রংপুর কমিউনিটি মেডিকেল কলেজ – রংপুর
টি এম এস এস মেডিকেল কলেজ – বগুড়া
আদ-দ্বীন সখিনা মেডিকেল কলেজ – যশোর
গাজী মেডিকেল কলেজ – খুলনা
খাজা ইউনুছ আলী মেডিকেল কলেজ – সিরাজগঞ্জ
নর্থ বেঙ্গল মেডিকেল কলেজ – সিরাজগঞ্জ
বেসরকারি ডেন্টাল কলেজ
উদয়ন ডেন্টাল কলেজ – রাজশাহী
রংপুর ডেন্টাল কলেজ – রংপুর
ডেন্টাল কোর্স টি এম এস এস মেডিকেল কলেজ – বগুড়া
সরকারি নার্সিং কলেজ
রাজশাহী নার্সিং কলেজ – রাজশাহী
পি এম এস এস নার্সিং কলেজ – বগুড়া
রংপুর নার্সিং কলেজ – রংপুর
বেসরকারি নার্সিং কলেজ
টিএমএসএস নার্সিং কলেজ -বগুড়া
প্রাইম নার্সিং কলেজ – রংপুর
সরকারি মেডিকেল ইনস্টিটিউট
ইনস্টিটিউট অফ মেডিকেল টেকনোলজি – রাজশাহী
বেসরকারি মেডিকেল ইনস্টিটিউট
প্রাইম মিনিস্টিটিউট অফ মেডিকেল টেকনোলজি – রাজশাহী
রাজশাহী ইনস্টিটিউট অফ মেডিকেল টেকনোলজি – রাজশাহী
প্রাইম মিনিস্টিটিউট অফ সায়েন্স এন্ড মেডিকেল টেকনোলজি – রংপুর
চিকিৎসা অনুষদ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত হলেও এটি বাংলাদেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে পরিচালিত হয়ে থাকে।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কয়টি বিভাগ আছে
সম্প্রতি ২০২৩ সালের এইচএসসি পরীক্ষা শেষ হয়েছে এই পরীক্ষায় যারা উত্তীর্ণ হবে তাদের অধিকাংশ শিক্ষার্থী বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবে আর সে সূত্র ধরে তারা বাংলাদেশের দ্বিতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আশায় বিশ্ববিদ্যালয়েও ভর্তি যুদ্ধে অংশগ্রহণ করবে যার কারনে আমাদের শিক্ষার্থীরা গুগলে সার্চ করে থাকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কতটি অনুষদ রয়েছে এবং কতটি বিভাগ রয়েছে তোমরা যারা জানতে চাও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে কয়টি অনুষদ এবং কয়টি বিভাগ আমি তাদের জন্য বলছি
১৯৫৩ সালে প্রতিষ্ঠিত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়টি বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বিশ্ববিদ্যালয় এবং এই বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে ১২টি অনুষদ এবং এই ১২ টি অনুষদে রয়েছে ৫৯ বিভাগ।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী কত
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তির আসন সংখ্যা ৪১৭৩ টি অর্থাৎ মানবিক, ব্যবসায় শিক্ষা এবং বিজ্ঞান বিভাগ মিলে মোট আসন সংখ্যা ৪১৭৩ টি। এর মধ্যে “এ” ইউনিট অর্থাৎ মানবিক বিভাগে আসন সংখ্যা ২০১৯ টি এবং “বি” ইউনিট অর্থাৎ ব্যবসায়িক শিক্ষা আসন সংখ্যা ৫৬০ টি এবং “সি” ইউনিট অর্থাৎ বিজ্ঞান বিভাগের আসন সংখ্যা ১৫৯৪ টি। আর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২০১৯ সালের হিসেব অনুযায়ী স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার্থী রয়েছে ৩৮,২৯১ জন এবং স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৭ হাজার ৭১ জন এবং ডক্টরের শিক্ষার্থী রয়েছেন ২০১৫ সালের হিসেব অনুযায়ী ২১১২ জন।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি ফি কত
আমাদের শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে অর্থাৎ যুদ্ধ করে তাদের ভর্তি পরীক্ষার যোগ্যতা অর্জন করে এবং যারা চূড়ান্তভাবে ভর্তির জন্য নির্বাচিত হয় তখন তাদের মনে প্রশ্ন জাগে ভর্তি পরীক্ষার ফি কত ! আর তোমরা যারা জানতে চাও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি ফি কত তাহলে তারা জেনে রাখো ২০২১ – ২২ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি ফি ছিল ১ হাজার১০০ টাকা অর্থাৎ ১১০০ টাকা। আর ২০২২ – ২৩ শিক্ষাবর্ষে এ ইউনিট অর্থাৎ মানবিক বিভাগ এবং সি ইউনিট অর্থাৎ বিজ্ঞান বিভাগে চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ফি বাড়িয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে ১৩২০ টাকা। অর্থাৎ ২০২২ – ২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের জন্য ২২০ টাকা ফি বেশি নির্ধারণ করা হয়েছে।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি কে
১৯৫৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় যা বাংলাদেশের দ্বিতীয় বিশ্ববিদ্যালয় এবং এই বিশ্ববিদ্যালয়টি রাজশাহীর বিনোদপুরে অবস্থিত। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সূচনা লগ্নে অর্থাৎ ১৯৫৩ সালে ইংরেজি এবং দর্শন বিভাগ নিয়ে যাত্রা শুরু করে এই বিশ্ববিদ্যালয় এবং তখন এই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ছিলেন পাকিস্তানের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ প্রফেসর ডক্টর ইথরাত হোসেন জুবেরী। ১৯৫৩ সাল থেকে ২০২১ সালের মে মাসের ৬ তারিখ পর্যন্ত প্রফেসর ডক্টর এম আব্দুস সোবহান উপাচার্যের দায়িত্বে ছিলেন।
এবং ২০২১ সালের ৬ মে পর্যন্ত অধ্যাপক আনন্দ কুমার সাহা ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং ২০২১ সালের ১৮ জুলাই থেকে ২০২১ সালের ২৮ আগস্ট পর্যন্ত অধ্যাপক সুলতানুল ইসলাম ভারপ্রাপ্ত উপাচার্যের দায়িত্বে ছিলেন। তবে বর্তমানে ২০২১ সালের ২৯ আগস্ট থেকে “অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার তাপু” উপাচার্যের দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং তিনি বর্তমানে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত রয়েছেন এবং তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৪ তম উপাচার্য।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ওয়েবসাইট রয়েছে। শিক্ষার্থী বন্ধুরা, তোমরা যারা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য জানতে চাও তারা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে সার্চ করলে সমস্ত তথ্য পেয়ে যাবে। তাই আমি তোমাদের সুবিধার্থে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটের ঠিকানা দিয়ে দিলাম। আশা করি তোমরা ওয়েবসাইটে যাবতীয় তথ্য পাবে। ওয়েবসাইটে ঠিকানা হলো – http://www.ru.ac.bd
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সি ইউনিট
১৯৫৩ সালের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয় ইংরেজি এবং দর্শন বিভাগ খোলার মাধ্যমে এর যাত্রা শুরু করে এবং পরবর্তীতে ১৯৫৪ সালে গণিত বিভাগ খোলার মাধ্যমে বিজ্ঞান বিভাগের পদচারনা শুরু হয়। সি ইউনিট বলতে বিজ্ঞান বিভাগকে বোঝানো হয়ে থাকে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সি ইউনিটের আসন সংখ্যা ১৫৬০ টি। সি ইউনিটে যারা ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে চাও তাদের বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের উত্তীর্ণ আবেদনের এসএসসি এবং এসএসসি পরীক্ষার তোমাদের ন্যূনতম জিপিএ থাকতে হবে ৩.৫০ অর্থাৎ এস এস সি এবং এইচএসসি মিলে জিপিএ হতে হবে ৮.০০।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সি ইউনিটের মানবন্টন
পদার্থবিজ্ঞান – প্রশ্ন সংখ্যা ২৫ টি, নম্বর ৩১.২৫
রসায়ন – প্রশ্ন সংখ্যা ২৫ টি, নম্বর ৩১.২৫
জীববিজ্ঞান – প্রশ্ন সংখ্যা ২৫ টি, নম্বর ৩১.২৫
গণিত – প্রশ্ন সংখ্যা ২৫ টি, নম্বর ৩১.২৫
গণিত এবং জীববিজ্ঞান – প্রশ্ন সংখ্যা ২৫ টি. নম্বর ৩১.২৫
আইসিটি – প্রশ্ন সংখ্যা পাঁচ ৫ টি , নম্বর ৬.২৫
প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা তোমাদের মোট ১০০ মার্কের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে এবং প্রশ্নের সংখ্যা থাকবে মোট আশি ৮০ টি। প্রতিটি প্রশ্নের মান হবে ১.২৫ করে। পরীক্ষার সময় এক ১ ঘন্টা এবং ৮০ মার্কের তোমাদের বহুনির্বাচনী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে। তবে তোমরা মনে রেখো একটি ভুল প্রশ্নের উত্তরের জন্য তোমাদের নম্বর কাটা যাবে ০.২৫ করে। তাই তোমরা পরীক্ষার প্রশ্নের উত্তর করার সময় অবশ্যই সতর্কতার সঙ্গে উত্তর করবে।
তবে সি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীগণ তোমরা গণিত, জীববিজ্ঞান, অথবা জীববিজ্ঞান এবং গণিত এই তিনটি বিষয়ের মাঝে যেকোনো একটি বিষয়ে পরীক্ষা দিতে হবে।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তির ক্ষেত্রে ন্যূনতম কত জিপিএ লাগবে
১৯৫৩ সালের ৬ই জুলাই প্রতিষ্ঠিত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের দ্বিতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের যে যোগ্যতা অর্জন করতে হবে তা হল এ ইউনিট অর্থাৎ মানবিক বিভাগ বি ইউনিট অর্থাৎ ব্যবসায় শাখা এবং সি ইউনিট অর্থাৎ বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তির ক্ষেত্রে তোমাদের যে যোগ্যতা প্রয়োজন তা হলো –
এ ইউনিট – মানবিক বিভাগ
তোমরা যারা মানবিক বিভাগে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে চাও তাদের জন্য মানবিক বিভাগ থেকে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে এসএসসি এবং এইচএসসি উভয় পরীক্ষায় চতুর্থ বিষয়সহ ন্যূনতম আলাদা ভাবে তোমাদের ৩.0 জিপিএ পেতে হবে এবং তোমাদের এসএসসি এবং এইচএসসি মিলে মোট জিপিএ থাকতে হবে ৭.০। আর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্ধারিত এই ৭.০ জিপিএ থাকলে তোমরা মানবিক বিভাগের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে।
বি ইউনিট – বাণিজ্য বা ব্যবসায় শাখা
প্রিয় শিক্ষার্থী তোমরা যারা বি ইউনিটে অর্থাৎ বাণিজ্য বিভাগে বা ব্যবসায়ী শাখায় ভর্তি হতে চাও বা ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে চাও সে ক্ষেত্রে তোমাদের জিপিএ থাকতে হবে এসএসসি এবং এইচএসসি পরীক্ষায় চতুর্থ বিষয়সহ ন্যূনতম ৩.৫০ এবং এসএসসি এবং এইচএসসি মিলে মোট জিপিএ হতে হবে ৭.৫০।
সি ইউনিট – বিজ্ঞান বিভাগ
তোমরা যারা বিজ্ঞান বিভাগের আশায় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে চাও তাদের জন্য মোট জিপিএ হল এসএসসি এবং এইচএসসি মেলে ৮.০০ তোমাদের ন্যূনতম জিপিএ থাকতে হবে ৩.৫০
প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা মনে রেখো, ভর্তি পরীক্ষায় তোমাকে প্রাথমিক ভাবে উত্তীর্ণ হতে হবে এবং তুমি ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হলে তোমাকে অবশ্যই একটি বিষয় জানতে হবে আর তা হল – রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে সর্বোচ্চ ৭২ হাজার আবেদনকারীকে পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ প্রদান করে থাকে। প্রতিটি ইউনিটের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় চার ৪ টি শিফটে। আর প্রতিটি শিফটে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া হয় ১৮ হাজার আবেদনকারী।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ও স্বাধীনতা যুদ্ধ
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকা ছিল অপরিসীম। তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের জনপ্রিয় প্রক্টর ছিলেন শামসুজ্জোহা। ১৯৬৯ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনপ্রিয় ছিলেন অধ্যাপক ডক্টর মোহাম্মদ শামসুজ্জোহা। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তিরক্ষার দায়িত্ব পালন করেছেন এবং ছাত্রদের মিছিলে রাখতে চেষ্টা করেছেন। তিনি তার প্রাণের বিনিময়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম মুক্তি যুদ্ধের ইতিহাসে লিখে যান।
শামসুজ্জোহা চেষ্টা করেছেন যেন তার ছাত্ররা পাকিস্তানি বর্বর বাহিনীর রোষের এর শিকার না হন। অথচ বর্বর হানাদার বাহিনী তাদের বর্বর আক্রমণের ঝাজরা করে দেয় তাদের বুক। শামসুজ্জোহার মৃত্যুতে বিস্ফোরনে ফেটে পড়েছিলেন সারা দেশ। সারাদেশের প্রতিবাদে আইয়ুব খানের গদি নড়ে উঠেছিল। পরাজিত হয়েছে হানাদার বাহিনী। মুক্ত হয়েছে দেশ। মুক্তি পেয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়। আমাদের প্রাণের রাজশাহী
বিশ্ববিদ্যালয়। এছাড়াও শহীদ হয়েছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শহীদ সুখরঞ্জন মজুমদার, শহীদ মীর আব্দুল কাইয়ুম এবং শহীদ হাবিবুর রহমান। এছাড়াও ছাত্র – কর্মচারী সহ শহীদ হন আরো ৩০ জন।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস স্থাপন হয়েছিল প্রায় ৭৫৩ একর এবং ৩০৪ হেক্টর এলাকা জুড়ে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে নয় ৯টি অনুষদ এবং ৫৯ টি বিভাগে। এছাড়াও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চতর গবেষণা ইনস্টিটিউট রয়েছে পাঁচ ৫টি। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের জন্য ১১ টি আবাসিক হল এবং যা ক্যাম্পাসের উত্তর-পূর্ব দিকে অবস্থিত এবং ছাত্রীর জন্য রয়েছে ছয় ৬ টি আবাসিক হল ক্যাম্পাসের পশ্চিম দিকে অবস্থিত।
এছাড়াও এই বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে ১৫ টি সাংবাদিক সংগঠনের কোট, ডিবেটিং ফোরাম, আর ইউ ডি এফ, গোল্ড বাংলাদেশ নামে দুটি বিতর্ক সংগঠন, বিতর্ক ক্লাব, আইন বিভাগে রয়েছে শিক্ষার্থীদের জন্য মুট কোর্ট, ক্যারিয়র ক্লাব, হায়ার স্টাডি ক্লাব এবং একটি পাঠক ফোরাম।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতীক
প্রতীক হিসেবে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে একটি বৃত্ত। দেখতে এক এটি বৃত্তের মত হলেও এটি আসলে বিশ্বের প্রতীক। রয়েছে জ্ঞানের প্রতি হিসাবে একটি উন্মুক্ত গ্রন্থ। জাতীয়তা, সৌন্দর্য ও পবিত্রতার প্রতীক হিসেবে আকাশ দৃষ্টি থেকে শাপলা ফুল। মূল প্রতীকের নকশা আঁকেন শিল্পী গোলাম সারোয়ার কিন্তু শিল্পীর এই আঁকা নকশা একটু পরিবর্তন করে বর্তমানে যে প্রতীক রয়েছে তার রূপ দেন শিল্পী হাসিম খান ও নন্দিত শিল্পী বাংলার বিখ্যাত শিল্পী জয়নুল আবেদীন।
প্রতীকের মূল গ্রন্থ আকাশ, নদী ও উদারতার রং হিসেবে একে ওবাল্ট ব্লু রং দেওয়া হয়েছে। আর এই গ্রন্থের বহিঃরেখায় রয়েছে রক্ত লাল রক্ত যা আমাদের জাতীয় পতাকার রং। গ্রন্থের মধ্যে লেখা রয়েছে সোনালী রং যা সোনার মত মূল্যবান একটি শিক্ষার গুণগত মূল শিক্ষা সোনার চেয়েও দামি।
রাজশাহীতে কিভাবে আসবেন
রাজশাহী শহর বাংলাদেশের সকল বিভাগ এবং জেলাকে ছাপিয়ে বিশ্ব দরবারে স্থান করে নিয়েছে। রাজশাহী ক্লিন সিটি হিসেবে বিশ্বের দরবারে পরিচিতি রয়েছে। এই রাজশাহী শহরে ঢাকা থেকে দূরত্ব ২৬১ কিলোমিটার। ঢাকা শহর থেকে আপনি ইচ্ছে করলে খুব আরাম-আয়েশের সাথে রাজশাহীতে আসতে পারেন। আপনি রাজশাহীতে আসতে ইন্টারসিটি ট্রেন পাবেন। ট্রেনে আপনি এসি, নন এসি ট্রেনের কামরা পাবেন। এছাড়া রাজশাহী টু ঢাকা এবং ঢাকা টু রাজশাহী বনলতা ট্রেন পাবেন।
এই ট্রেনে আপনি চার ৪ থেকে সর্বোচ্চ ৬ ঘণ্টার মধ্যে রাজশাহীতে আসতে পারবেন। আর ট্রেনে করে আসলে রাজশাহী স্টেশনে এসে স্টেশন থেকে রিক্সা কিংবা অটো করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতে পারবেন ।তবে আপনি যদি রিক্সা করে যান তাহলে ভাড়া একটু বেশি লাগবে তাই আপনি অটো করে কম ভাড়ায় অনায়াসে বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতে পারবেন।আপনি ঢাকা থেকে রাজশাহীতে আসার জন্য সিল্ক সিটি এক্সপ্রেস, পদ্মা এক্সপ্রেস এবং
ধূমকেতু এক্সপ্রেস নামক ট্রেন পাবেন। বনলতার রাজশাহী থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায় সকাল৭.৪০ ঘটিকায়, বিকেল ৪.০০ মিনিট পদ্মা এবং ঢাকা থেকে খুব সহজেই মাত্র ৩0 মিনিটে বাংলাদেশ এয়ারলাইন বা বিমানে করে ঢাকা থেকে রাজশাহী আসতে পারেন। রাজশাহীর বিমানবন্দরটি বিখ্যাত ইসলামী সুধি সাধক হযরত শাহ মখদুম রহমাতুল্লাহ এর নামে নামকরণ করা হয়েছে। এখানে ঢাকা এবং সৈয়দপুর থেকে বিমান চলাচল করে।
এছাড়া ও রাজশাহী থেকে খুলনা, গোবরা, সিরাজগঞ্জ, রহনপুর, চাপাই সহ বিভিন্ন রুটে ট্রেন চলাচল করে থাকে। রাজশাহী থেকে খুলনা যেতে এবং খুলনা থেকে রাজশাহী আসতে আপনি সাগরদাড়ি এক্সপ্রেস ইন্টারসিটি ট্রেনটি পাবেন এবং মহানন্দা নামক লোকাল ট্রেনটিও পেয়ে যাবেন।আপনি টুঙ্গিপাড়া এক্সপ্রেস করে গোপালগঞ্জ – গোবরা পর্যন্ত যেতে পারবেন। আপনি
দিনাজপুর ফুলবাড়ী যেতে পারবেন তিতুমীর এক্সপ্রেস ইন্টারসিটি ট্রেন এবং উত্তরা লোকাল ট্রেন। এছাড়াও আপনি বিকেল তিন ৩ টায় বরেন্দ্র এক্সপ্রেস পাবেন ফুলবাড়ী যাওয়ার জন্য। আপনি ফরিদপুর যেতে পারবেন মধুমতি এক্সপ্রেস ট্রেনে করে। তবে লোকাল ট্রেনে আপনি অল্প ভাড়ায় যেতে পারবেন তবে সময় একটু বেশি লাগবে।
রাজশাহীতে এসে আপনি কোথায় থাকবেন
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্দেশ্যে রাজশাহীতে এসে আপনি যদি থাকতে চান তাহলে আপনার যদি কোন আত্মীয় থাকে তাহলে তো চিন্তার কোন কারণ নেই। আর যদি আত্মীয় না থাকে সে ক্ষেত্রে আপনি বিভিন্ন হোটেলে থাকতে পারেন। তবে আপনি বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশে তেমন কোনো ভালো হোটেল পাবেন না। আপনাকে রাজশাহী বোয়ালিয়া, শাহেবাজার এলাকায়, স্টেশন এলাকা ও লক্ষীপুর হোটেলে থাকতে হবে। তবে আপনি যেখানেই থাকেন না কেন খুব সহজেই আপনি অটো করে বিশ্ববিদ্যালয়ে পৌঁছে যেতে পারবেন।
শেষ কথা
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের প্রাণের বিশ্ববিদ্যালয় এই বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা করে বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা থেকে শিক্ষার্থীরা এসে এখানে থেকে অনায়াসে লেখাপড়া করতে পারে। ১৯৫৩ সালে এই বিশ্ববিদ্যালয় এটি প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকেই এখন পর্যন্ত সোনামের সাথে এর কার্যক্রম পরিচালনা করছে। বাংলাদেশসহ বিশ্বের দরবারে রাজশাহী শহর ক্লিন সিটি হিসেবে স্থান করে নিয়েছে। আমি গর্বিত যে আমি রাজশাহীতে জন্ম নিয়েছি।
Leave a comment