যোজনি ও  যোজ্যতা কি? কিভাবে নির্ণয় করা যায়।

যোজনিঃ কোন মৌলের সর্ববহিস্থঃ শক্তিস্তরে তার নিকটতম নিস্কিয় গ্যাস অপেক্ষা যতটি ইলেক্ট্রন কম বা বেশি থাকে সেই ইলেক্ট্রন সংখ্যাকে ঐ মৌলের যোজনি বলে। 

যেমনঃ F এর সর্ববহিস্থঃ শক্তিস্তরে এর নিকটতম নিস্কিয় গ্যাস Ne অপেক্ষা একটি  ইলেক্ট্রন কম থাকায় F এর যোজনি এক।  আবার O এর সর্ববহিস্থঃ শক্তিস্তরে এর নিকটতম নিস্কিয় গ্যাস Ne অপেক্ষা দুটি  ইলেক্ট্রন কম থাকায় এর যোজনি দুই। Ca এর সর্ববহিস্থঃ শক্তিস্তরে এর নিকটতম নিস্কিয় গ্যাস Ar অপেক্ষা দুটি ইলেক্ট্রন বেশি থাকায় এর যোজনি দুই।

আবার,  কোন মৌল হাইড্রোজেন বা হাইড্রোজেন সদৃশ যতটি মৌলের সাথে যুক্ত হতে পারে তাকে ঐ মৌলের যোজনি বলে। যেমন ঃ O দুটি হাইড্রোজেনের সাথে যুক্ত হতে (H2O) পারে, তাই  O এর যোজনি দুই।

আবার, কোন মৌলের ইলেক্ট্রন বিন্যাসে এর সর্ববহিস্থঃ শক্তিস্তরে যতটি বিজোড় ইলেক্ট্রন থাকে সেই বিজোড় ইলেক্ট্রনের সংখ্যাকেই ঐ মৌলের যোজনি বলে।
যেমন- Li এর সর্ববহিস্থঃ শক্তিস্তরে একটি বিজোড়  ইলেক্ট্রন থাকার কারনে এর যোজনি এক। তবে গ্রুপ-২
মৌলের ইলেক্ট্রন বিন্যাস উত্তেজিত অবস্হায় করতে হবে।
তবে নিস্কিয় গ্যাসের যোজনি শূণ্য।


যোজ্যতা
ইলেক্ট্রনঃ কোন মৌলের সর্ববহিস্থঃ শক্তিস্তরে যতটি ইলেক্ট্রন থাকে সেই ইলেক্ট্রনের মোট সংখ্যাকে ঐ মৌলের যোজ্যতা/ যোজ্যতা ইলেক্ট্রন বলে।     

যেমন ঃ Na এর ইলেক্ট্রন বিন্যাস করলে সর্ববহিস্থঃ শক্তিস্তরে একটি ইলেক্ট্রন থাকে। কাজেই Na এর যোজ্যতা এক। আবার P এর ইলেক্ট্রন বিন্যাস করলে সর্ববহিস্থঃ শক্তিস্তরে পাঁচটি ইলেক্ট্রন থাকে।কাজেই P এর যোজ্যতা পাঁচ। N এর ইলেক্ট্রন বিন্যাস করলে সর্ববহিস্থঃ শক্তিস্তরে পাঁচটি ইলেক্ট্রন থাকে।কাজেই N এর যোজ্যতা পাঁচ। কিন্তুু N এর ইলেক্ট্রন বিন্যাস করলে সর্ববহিস্থঃ শক্তিস্তরে তিনটি বিজোড় ইলেক্ট্রন পাওয়া যায়, তাই এর যোজনি তিন। সুতরাং N এর যোজনি ও যোজ্যতা ভিন্ন। আবার Li এর ইলেক্ট্রন বিন্যাস করলে সর্ববহিস্থঃ শক্তিস্তরে মোট একটি ইলেক্ট্রন থাকে এবং সেটি বিজোড়। সুতরাং  Li এর যোজনি ও যোজ্যতা একই।


আমদের মনে রাখতে হবে, যোজনি ও যোজ্যতা আলাদা বিষয়। তবে তারা কিছু মৌলের ক্ষেত্রে একই এবং কিছু মৌলের ক্ষেত্রে ভিন্ন হতে পারে।