পরীক্ষায় আমাদের শিক্ষার্থীদের রচনা লিখতে হয়। পাবলিক পরীক্ষা হোক অথবা ক্লাস পরীক্ষা হোক যেকোনো পরীক্ষাতেই রচনা আবশ্যকীয়। মোবাইল ফোন রচনা সম্পর্কে আমি বিস্তারিত লেখার চেষ্টা করেছি। তোমাদের পরীক্ষায় যদি মোবাইল ফোন রচনা সম্পর্কে আসে তাহলে এই রচনাটি লিখলে আমি আশা করি অনেক ভালো নাম্বার পাবে।
এই মোবাইল ফোন রচনাটি পড়লে তোমরা আরো যে রচনাগুলো লিখতে পারবে তা হল- মোবাইল ফোনের সুফল ও কুফল, মোবাইল ফোনের অগ্রগতি প্রবন্ধ রচনা, মোবাইল ফোনের ব্যবহার, মোবাইলের ভালো-মন্দ ইত্যাদি। তাই মোবাইল ফোন রচনা সম্পর্কে বিস্তারিত নিচে আলোচনা করা হলো-
মোবাইল ফোন রচনা
ভূমিকা
আধুনিক বিজ্ঞানের যে কয়টি বিস্ময়কর আবিষ্কার রয়েছে মোবাইল ফোন তাদের মধ্যে অন্যতম। মোবাইল ফোন হলো টেলিফোনেরই একটি উন্নততর সংস্করণ। আমরা জানি বিবর্তনের সোপান বয়ে আসে সভ্যতা। আর সভ্যতা হচ্ছে মানব জীবনের বুদ্ধি, মেধা ও অভিজ্ঞতার সমষ্টি। আধুনিক এ সভ্যতায় সৃষ্টি হয়েছে অনেক বিস্ময়কর ইলেকট্রনিক জিনিস।আর এই বিংশ শতাব্দীতে সবচেয়ে প্রয়োজনীয় একটি আবিষ্কার হল মোবাইল ফোন।
আধুনিক এ গতিময় পৃথিবীর আবশ্যিক অঙ্গ হলো মোবাইল ফোন। এটি দ্রুত যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে একটি অতি আবশ্যকীয় উপকরণ। তবে এখন শুধু আর যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে নয়, নানা কাজে মোবাইল ফোন ব্যবহার করা হয়ে থাকে। মোবাইল ফোন আজ মানুষের কাছে সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং নিত্য প্রয়োজনীয় একটি মাধ্যম।
মোবাইল ফোন কি
মোবাইল ফোন হল একটি তার বিহীন ইলেকট্রনিক ডিভাইস। মোবাইল ফোনকে আবার সেলুলার ফোন বা হ্যান্ডফোন ও বলা হয়ে থাকে। ইংরেজি মোবাইল (Mobile) যার বাংলা প্রতিশব্দ হলো স্থানান্তর যোগ্য বা ভ্রাম্যমান ডিভাইস। মোবাইল ফোন হল একটি ছোট আকারের ডিভাইস যার সাহায্যে সেলুলার নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে দ্বিমুখী বা ফুল ডুপ্লেক্স যোগাযোগ করা যায়। মোবাইল এর মধ্যে তথ্য বা শব্দ গ্রহণ প্রেরণ করার জন্য ইনপুট ও আউটপুট ইউনিট থাকে।
প্রত্যেকটি মোবাইলে একটি ডিসপ্লে ইউনিট বা পর্দা থাকে আর এই ডিসপ্লে ইউনিট বা পর্দার সাহায্যে ব্যবহারকারী নিজের ফোনে অপরপ্রান্তে থেকে আশা কল সকল প্রকার তথ্য দেখতে পারে। প্রতিটি মোবাইলের ডিসপ্লের তে সময় ও তারিখ প্রদর্শিত হয়ে থাকে। প্রতিটি মোবাইল ফোনে একটি এন্টেনা থাকে যার সাহায্যে মানুষ অপর মানুষের সাথে দ্রুত যোগাযোগ করতে পারে।
মোবাইল ফোনের আবিষ্কার
ডক্টর মার্টিন কুপার মোবাইল ফোনের জনক। তিনি .১৯৭৩ সালের ৩ এপ্রিল সর্বপ্রথম মোবাইল ফোনের মাধ্যমে সফলভাবে যোগাযোগ করেন। ১৯৭৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরে প্রথম হাতে ধরা মোবাইল সেট তৈরির করেছিলেন ডঃ মার্টিন কুপার। আর এই কারণেই মাটিন কুপারকেই মোবাইল ফোনের জনক বলা হয়। ১৯৭৩ সালের যে ফোনটি সর্বপ্রথম উদ্ভাবন করেন তার ওজন ছিল প্রায় এক ১ কেজি।
১৯৮৩ সালে মটোরোলা ডায়ানা “Ts 8000x” নামের একটি ফোনটি বাজারে আসে। ১৯৮৯সালে জাপান সর্বপ্রথম সেলুলার নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা বাণিজ্যিকভাবে শুরু করেন এরপর ১৯৯০ সালে সারা বিশ্বে মোবাইল ফোন ব্যবহার করতেন প্রায় ১ কোটি ২৪ লক্ষ মানুষ। অতি অল্প সময়ের মধ্যে মোবাইল ফোনের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পায় এবং ২০১০ সালের মধ্যে সারা বিশ্বে মোবাইল ব্যবহারকারীর সংখ্যা দাঁড়াই প্রায় ৪৬ কোটি।
মোবাইল ফোনের প্রচলন
টেলিফোনের আবিষ্কারক বিজ্ঞানী গ্রাহাম বেল ১৯ শতকে সর্বপ্রথম দূরে অবস্থিত মানুষের কথাবার্তা টেলিফোনের মাধ্যমে আদান-প্রদানের সক্ষম হন। আর এই টেলিফোনের সহজীকরণ ব্যবস্থা থেকে আজকের এই আবিষ্কার মোবাইল ফোন। মোবাইল ফোন প্রথম ব্যবহার শুরু হয় জার্মানিতে। ১৯৯৬ সালে বাংলাদেশে মোবাইল ফোন ব্যবহার শুরু হয়।
বাংলাদেশে মোবাইল ফোন
১৯৯৩ সালের এপ্রিল মাসে বাংলাদেশে প্রথম মোবাইল ফোন চালু হয়। ঢাকা শহরে প্রথম এএমপিএস (AMPS) মোবাইল প্রযুক্তি ব্যবহার করে বাংলাদেশে মোবাইল ফোন সেবা চালু করেন “হাচিসন বাংলাদেশ” টেলিকম লিমিটেড। ১৯৯৬ সালে মোবাইল ফোন ব্যবহার শুরু হয়। বর্তমানে বাংলাদেশের গ্রামীণফোন, বাংলালিংক, টেলিটক, সিটি সেল, এয়ারটেল কোম্পানি বাংলাদেশে বাজার দখল করে রেখেছে।
১৯৯৬ সালে সরকার গ্রামীণফোন, সেবা ও এয়ারটেল এই তিনটি কোম্পানিকে তাদের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য অনুমোদন প্রদান করেন। এবং এর ঐ পরিপ্রেক্ষিতে মোবাইল ফোন ব্যবহারে মধ্যবিত্তদের আশা পূরণ হয়। আর এর ফলে সাধারণ মানুষের কাছে মোবাইল ফোন হয়ে ওঠে সহজলভ্য।
মোবাইল ফোন সংযোগ
বৈজ্ঞানিকভাবে কিছু উপাদানকে সমন্বিত করতে হয় একটি মোবাইলের সংযোগ পেতে হলে। একটি মোবাইল হ্যান্ডসেটে সবার আগে প্রয়োজন হয় মোবাইলের আবশ্যকীয় উপাদানগুলোকে সঠিকভাবে ধরে রাখার জন্য। মোবাইলে সংযোগ সঠিকভাবে পেতে হলে সিম কার্ড, পিন কোড এবং ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত তথ্য ও ছবি সঠিকভাবে থাকতে হবে। এই তিনটি উপাদানের যেকোনো একটি না থাকলে মোবাইল সংযোগ করা যাবে না। সিম কার্ডের সাথে ফোনটিকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য যুক্ত থাকে একটি নেটওয়ার্ক। বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা নেটওয়ার্ক গুলো সিম কার্ডের সাথে শতভাগ যোগাযোগ রক্ষা করে থাকে।
মোবাইল ফোনের ব্যবহার
মোবাইল ফোনের ব্যবহার শুরু হয়েছে আজ থেকে প্রায় ৩০ বছর পূর্বে। বর্তমানে সারা দেশের মোট জনসংখ্যার শতকরা প্রায় ৮৭ ভাগ লোক মোবাইল যোগাযোগের আওতায় এসেছে। শুরুর দিকে মোবাইল ফোন ব্যবহার করতো ধনী এবং সৌখিন পরিবারের লোকজনেরা। কিন্তু বর্তমানে ধনী আর ফকির নয়, সবার কাছে মোবাইল ফোন দেখতে পাওয়া যায়। ২০১২ সালের জরিপ মোতাবেক বাংলাদেশে প্রায় ১১ কোটির ও বেশি লোক মোবাইলের আওতায় এসেছে। দিন দিন মোবাইলে জনপ্রিয়তা ও বৃদ্ধি পাচ্ছে।মোবাইল ফোনে শুধু কথা বলা নয়, মোবাইল ফোনের মাধ্যমে আরও অনেক সেবা গ্রহণ করা যায়। যেমন এসএমএস, এমএমএস, ইমেইল, ইন্টারনেট, ব্লুটুথ ইত্যাদি ব্যবহার করা যায়।
মোবাইল ফোনের প্রয়োজনীয়তা
বর্তমানে বিজ্ঞানের এই অগ্রগতির যুগে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে দেশে-বিদেশে যোগাযোগ সহ শিক্ষা, সংস্কৃতি ও আচার ব্যবহার ইত্যাদির সাথে সম্পর্ক স্থাপন ক্ষেত্রে মোবাইল ফোনের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। বর্তমানে তথ্য ও প্রযুক্তি ছাড়া মানব জীবনকে যেন কল্পনাই করা যায় না। মোবাইল ফোন এমন একটি বৈদ্যুতিক ডিভাইস যার প্রয়োজনীয়তা আধুনিক জীবনে সর্বাত্মক লক্ষ্য করা যায়। অতীতের সেই চিঠি লেখা, চিঠি পাওয়ার অপেক্ষা ও অনিশ্চয়তাকে দূর করতে মোবাইল নিয়ে এসেছে পরিষেবা এস এম এস।
কম্পিউটার দুনিয়া হাতের মুঠোয় এনে দিয়েছে বর্তমানে এই মোবাইল ফোন। ইমেইল, ইন্টারনেট সবই এখন মোবাইল ফোনে। সহজলভ্য স্থির ও চলমান সব ধরনের ফটোগ্রাফি ও সম্ভব হচ্ছে এই মোবাইল ফোনের মাধ্যমে। নিত্য দিনের প্রয়োজনীয়তা ছাড়াও মোবাইলে রয়েছে বিনোদনের অজস্র ব্যবস্থা। রেডিও, গেমিং, mp3সহ টিভির সকল অনুষ্ঠান ও উপভোগ করা যায় মোবাইলের মাধ্যমে। মিনিটের মধ্যেই পরীক্ষার্থীরা তাদের পাবলিক পরীক্ষার ফলাফল ঘরে বসে দেখতে পাচ্ছে।
কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা, চাকরির পরীক্ষার ফরম পূরণ ইত্যাদি ও কাজ করা হয় মোবাইল ফোনের মাধ্যমে। মোবাইলের মাধ্যমে নেট ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থাকে কার্যকর করা সম্ভব হচ্ছে। আশা করা যায় ভবিষ্যতে ক্রেডিট কার্ডের বিকল্প হিসেবে ও মোবাইল ফোন ব্যবহার করা সম্ভব হবে।মোবাইল ফোন এমন একটি যন্ত্র যা সাহায্যে ঘরে বসে সবকিছু পাওয়া যাবে আলাদিনের প্রদীপের মত।
মোবাইল ফোন যোগাযোগের মাধ্যম
যোগাযোগের মাধ্যম হলো সুষ্ঠুভাবে জীবন ধারণের অপরিহার্য উপাদান। মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যবহার করে আমরা ইমেল এর মাধ্যমে বিশেষে কোন বিষয় সংগ্রহ করতে পারি। দূর দূরান্তে বসবাসকারী মানুষের খবর নিতে পারি মুহূর্তের মধ্যে। যেকোন প্রয়োজনীয় বিষয় ডাউনলোড করে রেখে দিয়ে প্রয়োজনে আবার ব্যবহার করা যায় মোবাইলের কল্যাণে।
ইন্টারনেটের ব্যবহার
ইন্টারনেটের কল্যাণে পুরো বিশ্ব আজ একটি একক কমিউনিটিতে পরিণত হয়েছে গড়ে উঠেছে বিশ্বগ্রাম। মোবাইলের মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যবহার করে যেকোনো তথ্য সেকেন্ডের মধ্যে অন্য দেশে পাঠানো সম্ভব হয়। বিশ্বের যে কোন প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ এবং সংরক্ষণ সম্ভব হয়। বিশ্বের যে কোন লাইব্রেরী থেকে বই ডাউনলোড করে পড়া যায়।
মোবাইল চিত্ত বিনোদনের মাধ্যম
মোবাইল ফোন মানুষের চিত্ত বিনোদনের অন্যতম মাধ্যম। মোবাইল ফোনে গান শোনা, ছবি তোলা, গেম খেলা, ভিডিও দেখা ইত্যাদির মাধ্যমে মানুষের চিত্ত বিনোদনের চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হয়।
মোবাইলের অন্যান্য সেবা
জীবন যাত্রার মান উন্নয়নে মোবাইল ফোন বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। মোবাইল ফোনের মাধ্যমে জনসাধারণকে বিভিন্ন সেবা প্রদান করা যায়। এছাড়াও বিভিন্ন অপারেটর কর্তৃক স্বাস্থ্য সেবা বা টেলিমেডিসিন, কৃষি সেবা, আবহাওয়ার খবর সহ সকল তথ্য প্রচার করা হয় যা জনগণের জীবন যাত্রার মান অনেক উন্নততর করে তুলতে সহায়তা প্রদান করে থাকে।
জাতীয় জীবনে মোবাইল ফোনের অবদান
সামাজিক ও জাতীয় জীবনে মোবাইল ফোনের গুরুত্ব অপরিসীম। মোবাইল ফোন ব্যবহার করে জনগণকে খুদে বার্তার মাধ্যমে জনগণের অর্থনৈতিক অবস্থা, পরিবার পরিকল্পনা, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, সর্বোপরি শিক্ষাব্যবস্থা সম্পর্কে সচেতন করে তোলা সম্ভব হয়। আর এই সচেতনতা জাতীয় জীবনে ব্যাপক প্রভাব ফেলে।
মোবাইল ফোনের অপকারিতা
মোবাইল ফোন আমাদের নিত্য প্রয়োজনীয় একটি ডিভাইস। মোবাইল ফোনের যেমন উপকারিতা রয়েছে তেমনি এর অপকারিতা ও রয়েছে। বিজ্ঞানের যে কোন আবিষ্কারের মত মোবাইলের ক্ষতিকর দিক রয়েছে। বর্তমান সময়ে মোবাইল ফোন উপকারের চেয়ে ক্ষতিকর দিক বেশি পরিলক্ষিত হয়। মোবাইল ফোনের ক্ষতিকর দিকগুলো নিচে তুলে ধরা হলো-
অর্থের অপচয়
সবচেয়ে বেশি অর্থের অপচয় হয় মোবাইল ফোনের মাধ্যমে। ২০১৩ সালের জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের মতে, মোবাইল সিমের ওপর আমদানি ফর ৬০০ টাকা থেকে কমিয়ে ৩০০ টাকা ধার্য করা হয়েছে। আর এই সহজলভ্যতার ফলে গ্রাহক বাড়ছে। আর অর্থের অপচয় হচ্ছে। মানুষ এক মিনিটে যে কথা শেষ করতে পারে তা ১০ মিনিটে শেষ করছে। যা তার অর্থনৈতিক ক্ষতির দিকে নিয়ে যাচ্ছে।
অপরাধ বৃদ্ধি
বর্তমান সময়ের অপরাধের প্রধান হাতিয়ার হল মোবাইল ফোন। মোবাইলের মাধ্যমে সবচেয়ে বেশি যে অপরাধ সংঘটিত হয় তা হল মিথ্যা কথা বলা। এছাড়াও খুন, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি, অপহরণ সবকিছুই সংঘটিত হয়েছে মোবাইল ফোনের ব্যবহার করে। সাইবার অপরাধ বৃদ্ধি পাচ্ছে মোবাইল ফোনের জন্য। মোবাইল ফোন সময় নষ্ট করে শিক্ষার্থীদের চরিত্র নষ্ট করে দিচ্ছে। বর্তমানের অনৈতিক অবক্ষয়ের জন্য একমাত্র দায়ী মোবাইল ফোন।
স্বাস্থ্যের ক্ষতি
মোবাইল ফোন মানুষের স্বাস্থ্যের ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। যেমন-
- মোবাইল ফোনের রেডিয়েশন ক্যান্সার রোগের জন্য দায়ী
- অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহারে মানুষের প্রজনন ক্ষমতা কমে যাচ্ছে
- একটানা তিন মিনিটের বেশি কথা বলে রক্ত চলাচলে ব্যাঘাত ঘটে
- কানের ক্ষতি হয় যার কারণে মানুষের শ্রবণশক্তি লোপ পায়
- ফুসফুস ও হার্টে চাপ পড়ে
- মস্তিষ্কের ক্ষতি হয়
- পড়াশোনার ক্ষতি হয়
- কাজকর্মের ক্ষতি হয়
- মোবাইলে কথা বলার সময় রাস্তা পারাপারে দুর্ঘটনা ডেকে আনে
তাই মোবাইল ফোন অতিরিক্ত ব্যবহার না করে শুধু প্রয়োজনে সময় ব্যবহার করা উচিত। এতে সময়ের অপচয় রোধ হবে এবং অপচয় ও কমানো সম্ভব হবে।
উপসংহার
মোবাইল ফোন বিজ্ঞানের একটি অনন্য অবদান। মোবাইল ফোনের মাধ্যমে এক মিনিটের মধ্যে পুরো বিশ্বের খবর সংগ্রহ করা সম্ভব যা প্রাচীনকালে খবর পেতে সময় লেগে যেত মাসের পর মাস দিনের পর দিন। কিন্তু বর্তমান সময়ের মোবাইল ফোনের অবদানে মুহূর্তের মধ্যে সব কিছু মানুষ জানতে পারে ঘরে বসেই। মোবাইল ফোন বর্তমান বিশ্বের আশীর্বাদ হলেও এর কতিপয় নেতিবাচক দিক রয়েছে। আর এই নেতিবাচক দিক গুলো কমিয়ে সঠিকভাবে মোবাইল ফোন ব্যবহার করলে বয়ে আনবে সবার জন্য। সঠিকভাবে মোবাইল ফোন ব্যবহারে উন্নত অগ্রগতি তে আমাদের অনেক দূর নিয়ে যাবে। তাই মোবাইল ফোনের সঠিক ব্যবহারে আমাদের সবাইকে সচেষ্ট হতে হবে।
Leave a comment