চণ্ডীমঙ্গল কাব্যের গতানুগতিক কাহিনীর মধ্যে মুকুন্দরাম কিছুটা বৈচিত্র্য সম্পাদন করেছেন বটে কিন্তু তাঁর প্রতিভার পরিচয় পাওয়া যায় এই কাব্যের কয়েকটি চরিত্রাঙ্কনের মধ্যে। তিনি একদিকে যেমন দেবচরিত্রগুলি মনুষ্যধর্মে রূপায়িত করেছেন অন্যদিকে তেমনি মনুষ্যচরিত্র রূপায়ণে তীক্ষ্ণ পর্যবেক্ষণ শক্তির পরিচয় দিয়েছেন। মনুষ্য চরিত্রগুলির মধ্যে স্ত্রী ও খল চরিত্রগুলির রূপায়ণেই মুকুন্দরাম অসাধারণ নৈপুণ্যের পরিচয় দিয়েছেন। খল চরিত্রগুলির মধ্যে মুরারি শীল ও ভাঁড়ুদত্ত বিশেষ উজ্জ্বল।
কালকেতু দেবীপ্রদত্ত অঙ্গুরীয় ভাঙ্গাতে গেল মুরারি শীল নামে এক বণিকের কাছে, মুরারি জাতিতে বেণিয়া, ‘লেখা-জোখা’ করে টাকাকড়ি। সে কালকেতুর নিকট মাংসের মূল্যের দরুণ দেড় বুড়ি কড়ি পেত। তাই কালকেতুর সাড়া পেয়ে মুরারি আত্মগোপন করে। বান্যাণী এসে কালকেতুকে বলে—‘ঘরেতে নাহিক পোতদার আরও বলে-
আজি কালকেতু যাহ ঘর।
কাষ্ঠ আন্য একভার একত্র শুধিব ধার
মিঠা কিছু আনিহ বদর ৷৷
কালকেতু উত্তর দেয় যে, সে অঙ্গুরী ভাঙ্গাতে এসেছে। যদি এখানে না মেলে তা হলে ‘যাই অন্য বণিকের বাড়ী। তখন বাণ্যানী মৃদু হেসে মোলায়েম সুরে বলে, ‘দেখি বাপা অঙ্গুরী কেমন। ধূর্ত ও অর্থগৃধু মুরারি শীল অর্থের গন্ধ পেয়ে তাড়াতাড়ি বের হয়ে আসে। কান্ধেতে তঙ্কার থলি লইয়া সে কালকেতুর সন্নিধানে আসিয়া হাজির হয়—
বাণ্যা বলে ভাইপো ইবে নাহি দেখি তো
এ তোর কেমন ব্যবহার।
কালকেতু তাকে তার আগমনের উদ্দেশ্য বলে। বণিক মুরারি শীল অনেকক্ষণ ধরে অঙ্গুরীয়টি পরীক্ষা করে কপট গাম্ভীর্যের সঙ্গে বলে—
সোনারূপা নহে বাপা এ বেঙ্গা পিতল।
ঘসিটা মাজিয়া বাপু করেছ উজ্জ্বল ৷৷
রতি প্রতি হইল বীর দশগণ্ডা দর।
দুই যে ধানের কড়ি পাঁচ গণ্ডা ধর ৷৷
অষ্টপণ পাঁচ গণ্ডা অঙ্গুরীয় কড়ি।
বাকি আর মাংসের ধারি যে দেড় বুড়ি।
একুনে হইল অষ্টপণ আড়াই বুড়ি।
চাল খুদ কিছু লহ, কিছু লহ কড়ি৷৷
কিন্তু কালকেতু নিরক্ষর ব্যাধ হলেও ততক্ষণে তার বিষয়বুদ্ধি জাগ্রত হয়েছে—
কালকেতু বলে বলে খুড়া মূল্য নাই পাই।
যে জন দিয়াছে ইহা তার ঠাঁই যাই ৷৷
তখন মুরারি শীল নিরুপায় হইয়া তাকে ধমক দিতে চেষ্টা করে—
ধৰ্ম্মকেতু ভায়া সনে কৈলু লেনা দেনা।
তাহা হতে ভাইপো হয়্যাছ সেয়ানা ৷৷
কালকেতু তাহাতে ভেজে না। সে বলে ‘অঙ্গুরী লইয়া আমি যাব অন্য পাড়া। এমন সময় দৈববাণী হল—
বীরের লইতে ধন না করিহ মতি৷৷
অকপটে সাতকোটি তঙ্কা দেহ বীরে।
বাড়িবে তোমার ঘর চণ্ডিকার বরে॥
তখন মুরারি কালকেতুকে বলে—’এতক্ষণ পরিহাস করিলাম তোমারে। মুরারি সাতকোটি টাকা কালকেতুকে গুনে দেয়।
এই সুবিপুল ধন দিয়া কালকেতু বন কেটে গুজরাট নামে বৃহৎ নগরীর পত্তন করল। অতঃপর কালকেতু গুজরাট নগরে সমবেত কলিঙ্গদেশীয় উদ্বাস্তুদের স্বাগত জানাল। কালকেতু বুলান মণ্ডলকে আহ্বান জানিয়ে বলল—
শুন ভাই বুলান মণ্ডল
আস্যগা আমার সম্ভাগ করিব দূর
কাণে দিব কনক কুণ্ডল।
আমার নগরে বৈস যত ইচ্ছা চাষ চষ
তিন সন বহি দিও করো।
হাল প্রতি দিবে তঙ্কা কারে না করিহ শঙ্কা
পাটায় নিশান মোর ধরো ॥
কালকেতুর রাজ্য আদর্শ রাজ্য। সম্পূর্ণ শোষণমুক্ত এক সমাজ। বলা বাহুল্য জমিদারের পীড়নে জর্জরিত মুকন্দরামের চোখের সম্মুখে স্বভাবতই এক আদর্শ শোষণমুক্ত সমাজ গঠনের স্বপ্ন উদ্ভাসিত হয়ে উঠেছিল। কালকেতু এখানে কবিরই প্রতিনিধি। তাই কালকেতুর মুখ হতে আমরা এ কথা শুনতে পাই—
নাহিক বাউড়ি দেড়ি রয়্যা বস্যা দিবে কড়ি
ডিহিদার নাহি দিব দেশে।
এর পর সভায় ভাঁড়ু দত্তের প্রবেশ ভাঁড়ুর রাজসভা প্রবেশের বর্ণনাটি বড়ো সুন্দর—
ভেট লয়্যা কাঁচকলা পশ্চাতে ভাঁড়ুর শালা
আগে ভাঁড়ুদত্তের পয়ান ৷
ভালে ফোঁটা মহাদম্ভ ছেঁড়া ধুতি কোঁচালম্ব
শ্রবণে কলম খরশান ৷৷
ভাঁড়ুর প্রধান অহঙ্কার সে কুলেশীলে মহৎ। তাই প্রণাম করে সে আপন পরিচয় দেয়—
কহিয়ে আপন তত্ত্ব আমল হাঁড়ার দত্ত
তিনকুলে আমার মিলন।
দুই নারী মোর ধন্যা ঘোষ ও বসুর কন্যা
মিত্রে কৈল কন্যা সমৰ্পণ৷৷
শুধু তাই নয়—‘গঙ্গার দুকূল কাছে যতেক কুলীন আছে, মোর ঘরে করয়ে ভোজন।’
ভাঁড়ু দত্ত ভিতরে ভিতরে শয়তান প্রকৃতির লোক। সে কালকেতুকে মিষ্ট কথায় তুষ্ট করে মণ্ডলের পদটি নিতে চাইল। কেমন করিয়া রাজ্য চালাতে হবে, সে সম্পর্কে যে উপদেশ দিয়ে কালকেতুকে বলে—
যখন পাকিবে খন্দ পাতিবে বিষম দ্বন্দ্ব
দরিদ্রের ধান্যে দিবে লাগা।
লোক চরিত্র সম্পর্কে ভাঁড়ুর বিশেষ জ্ঞান। তাই সে আরও বলে—
নফরের হাতে খাণ্ডা বহুড়ীর হাতে ভাণ্ডা
পরিণামে দেই অতি দুখ ৷৷
ভাঁড়ুর কথায় কালকেতু বিশেষ আমল দিল না। ইহার পর ধীরে ধীরে গুজরাট নগরে মুসলমান, ব্রাহ্মণ, কায়স্থ, গোপ, ধীবর প্রভৃতি বিভিন্ন জাতি অসিতে লাগল। এই বিভিন্ন জাতির বিচিত্র আচার-ব্যবহার, বিচিত্র রীতিনীতি মুকুন্দরাম বিশেষ কৃতিত্ব ও কৌতুকের সহিত অঙ্কিত করেছেন। মুসলমানেরা যে ‘ভুঞ্জিয়া কাপড়ে মোছে হাত, কায়স্থ ও ব্রাক্ষ্মণদের মধ্যে যে কত বিচিত্র শ্রেণি, কুলশীলের যে কত ঠুনকো অভিমান, তা মুকুন্দরাম বিশেষ নৈপুণ্যের সহিত বর্ণনা করেছেন।
গুজরাট নগরে হাট পত্তন হল। কিন্তু ভাঁড়ু বলপূর্বক হাট হইতে তোলা নিতে শুরু করল। ভাঁড়ুর, অত্যাচারে জর্জরিত হইয়া হাটুরিয়ার দল কালুকেতুর নিকট তাদের অভিযোগ জানাল। ভাঁড়ুকে কালকেতু ভর্ৎসনা করল। ভাঁড়ু এতে কালকেতুর প্রতি ক্রুদ্ধ হয়ে উঠল। কালকেতুর প্রতি তার বরাবরই ঈর্ষা। সে তখন কালকেতুকে বলল—
তিন গোটা শর ছিল এক গোটা বাঁশ।
হাটে হাটে ফুল্লরা পসরা দিত মাস ৷৷
এতেক নিষ্ঠুর বল আমার কপাল।
তুমি ধনমন্ত এবে আমি যে কাঙ্গাল ৷৷
ভাঁড়র তর্জন গর্জন শুনে কালকেতু তাকে তাড়িয়ে দিল। যাবার আগে ভাঁড়ু শাসিয়ে গেল, সে যদি হরিদত্তের বেটা এবং জয়দত্তের নাতি হয়, তা হলে হাটে বীরের ঘোড়া ও হাতী বেচাইবে। আর ‘পুনর্বার হাটে মাংসে বেচিবে ফুল্লরা।
হরি দত্তের বেটা হই জয়দত্তের নাতি।
হাটে লয়্যা বেচাইব বীরের ঘোড়া হাতী৷৷
তবে সুশাসিত হবে গুজরাট ধরা।
পুনর্বার হাটে মাংস বেচিবে ফুল্লরা॥
কলিঙ্গরাজের গুজরাট আক্রমণ— ভাঁড়ু তার এক অবিবাহিত প্রৌঢ় জ্যেষ্ট ভ্রাতাকে সঙ্গে নিয়ে একটি ডালায় ভেট সাজাইয়া দূরবর্তী কলিঙ্গ রাজসভায় উপনীত হল। কলিঙ্গরাজের নিকট ভাঁড়ু কালকেতুর নামে কুৎসা রটাতে লাগল। বলল, কালকেতু কলিঙ্গরাজের রাজ্যে বাস করে গুজরাট নগর আর বিপুল ঐশ্বর্যের মালিক হয়ে ধরাকে সরা জ্ঞান করেছে। তাকে শিক্ষা দেওয়া প্রয়োজন। তখন রাজা কোটালকে ডেকে তিরস্কার করেন, ‘দেশের বারতা বেটা নাহি পাই আমি।’ আরও বলেন, ‘এক রাজ্যে দুই রাজা কেমন বিচার। অতএব আগামী কালের মধ্যেই কালকেতুর সন্ধান আনা চাই।
কোটাল এক যোগীর বেশ ধরে গুজরাট নগরে গেল। গুজরাট নগরের তখন জমজমাট অবস্থা, চারিদিকে প্রাচুর্য আর ঐশ্বর্যের ছড়াছড়ি। দেখে কোটালের চক্ষু ছানাবড়া হয়ে গেল। ফিরিয়া আসিয়া সে কলিঙ্গরাজের সম্মুখে নিবেদন করল—
বীরের ঐশ্বর্য দেখি অনুমানে আমি লখি
তোমাকে না করে ভয় বীর।
তখন কলিঙ্গরাজ কালকেতুকে শায়েস্তা করবার জন্য যুদ্ধযাত্রার আয়োজন করলেন। বিরাট সৈন্য সাজান হল। অসংখ্য পদাতিক, অশ্বারোহী সৈন্য ও গজ নিয়ে কলিঙ্গরাজ যুদ্ধযাত্রা করলেন।
কালকেতু চর মুখে সংবাদ পেল যে, কলিঙ্গরাজ গুজরাট আক্রমণ করতে আসছেন। তখন কালকেতুও প্রস্তুত হইয়া সৈন্য সামন্ত নিয়ে যুদ্ধযাত্রা শুরু করল। যুদ্ধ হল। উভয় পক্ষের বাণে বাণে আকাশ পরিপূর্ণ হইয়া উঠিল, কিন্তু চণ্ডিকা যাহার সহায় তার সহিত পেরিয়ে উঠা দুঃসাধ্য। তাই ‘ভাঙ্গিল রাজার বল হৈয়্যা ছত্রাকার। এদিকে যুদ্ধ দর্শনে ভাঁড়ুর বড়ো দুশ্চিন্তা হল। তখন কোটাল ভাঁড়ুকে বলে কালকেতুকে ধরে এনে দিতে হবে।
এক লক্ষ টাকা তুমি খাইলে যে ধৃতি।
ভাঁড়ু দত্ত জীতে পলাইয়া যাবে কতি৷৷
তখন আবার বিরাট সৈন্য সমাবেশ করা হল। কালকেতু যুদ্ধার্থে প্রস্তুত হচ্ছে। কিন্তু ফুল্লরা তাঁকে কিছুতেই যুদ্ধে যেতে দিল না। ফুল্লরার উপদেশ মত কালকেতু ধান্যঘরে লুকিয়ে পড়ল। কোটাল কালকেতুর কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে ভীত হল। ভাবল বোধ হয় কালকেতু ছল করে লুকিয়ে আছে। তখন ভাঁড়ু বলল—
বাহির গড়েতে সবে থাকহ বসিয়া।
মোর বুদ্ধে মহাবীর আনিব ধরিয়া।
মোর সঙ্গে দেহ তুমি একটি ব্রাহ্মণ।
তার হাতে পান দেহ কুসুম চন্দন ॥
রাজা দিয়াছেন পান তোমার প্রসাদ।
এ বোল বলিয়া আমি ভাঙাইব ব্যাধ ॥
আজ্ঞা পেয়ে ভাঁড়ু কালকেতুর প্রাসাদে প্রবেশ করল। কোনো লোকজনের সাড়াশব্দ নেই। শুধু সপ্তম মহলে ফুল্লরা সুন্দরী পঞ্চসহচরীর সঙ্গে বসে আছে। ভাঁড়ু তাকে দেখে খুড়ী খুড়ী বলেন আহ্বান জানাল। ভাঁড়ু ফুল্লরাকে বলে—
বীরের পাকাল্যা দেখি রাজা হইল বড়ো সুখী
বীরে বড়ো হইলো সন্তোষ।
তাই—
মনে পেয়্যা পরিতোষ ক্ষেমিল সকল দোষ
বীরকে কহিল সেনাপতি।
গুজরাটে জায়গীরি আর দিবে মধুপুরী
হবে তুমি বড়ো ভাগ্যবতী ৷৷
ভাঁড়ু দত্তের কথায় আস্থা স্থাপন করে ফুল্লরা ‘ধান্যঘর কৈল বিলোকন’। আর সুচতুর ভাঁড়ুদত্ত সে ইঙ্গিত ধরে ফেলিল। ভাঁড়ুর ফিরতে বিলম্ব দেখে কোটাল সসৈন্যে কালকেতুর ঘর ঘিরে ফেলল। তখন আবার যুদ্ধর শুরু হল। কালকেতু একাকী বীর বিক্রমে লড়তে লাগল।
এদিকে কালকেতুর শাপের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে। ইন্দ্র পুত্রের জন্য চিন্তিত হয়ে পড়েছেন। অথচ এই অল্পকালের মধ্যে দেবীর পূজার প্রচার করতে হবে। এজন্য চণ্ডী কালকেতুর বল হরণ করেলেন। পরাজিত হল কালকেতু। কোটাল শিকল দিয়ে কালকেতুকে বেঁধে ফেলল। ফুল্লরা কোটালের নিকট বহু অনুনয় বিনয় করল। কিন্তু কোটাল কালকেতুকে কিছুতেই মুক্তি দিতে স্বীকৃত হল না। কিন্তু দেবীর কৃপায় কালকেতু মুক্তি পেয়ে গেল।
রাজা বলে কালকেতু ক্ষেম অপরাধ।
চণ্ডীর সেবক তুমি করো আশীর্বাদ৷৷
গজরাজে চাপাইয়া দিলেন বিদায়।
পদব্রজে নরপতি পিছে পিছে যায় ৷৷
চণ্ডীর কৃপায় গুজরাটের মৃত সৈনিকেরা আবার প্রাণ পেল। গুজরাটে আনন্দোৎসব শুরু হল। এদিকে ভাঁড়ু দত্ত শাক-বেগুন-কচু মূলা ইত্যাদি ভেট নিয়ে কালকেতুর সমীপে এসে তার তোষামোদ শুরু করল—
তুমি খুড়া হৈলে বন্দী অনুক্ষণ আমি কান্দি
বহু তোমার নাহি খায় ভাত।
দেখিয়া তোমার মুখ পাসরিলু ‘সব দুখ
দশদিক হইল অবদাত।
কিন্তু কালকেতু আর বার বার ভাঁড়ুর ফাঁদে পা দেয় না। ভাঁড়ুর শঠতা ধরে ফেলে আদেশ দেয়—
মুড়াহ ভাঁড়ুর মুণ্ড অভক্ষ্যে পূরিয়া তুণ্ড
দুই গালে দেহ কালি চূণ ॥
তখন কালকেতুর আদেশে সকলে—
পাঁচ ঠাঞি ভাঁড়ু মাথায় রাখে চুলি।
একগালে দিল চূণ আর গালে কালি ৷৷
আনিয়া ভাঁড়ুর শিরে কেহ ঢালে ঘোল।
পিছে পিছে কোনজন বাজাইছে ঢোল ৷৷
কিন্তু কালকেতু দয়ালু। তাই—
ভাঁড়ুর লাঘবে বীর দুঃখভাবে বড়ি।
কৃপা করি পুনর্বার দিল ঘর বাড়ি৷৷
মুরারি শীল এবং ভাঁড়ুদত্তের চরিত্রাঙ্কন মুকুন্দরামের তীক্ষ্ণ পর্যবেক্ষণ শক্তি, উদার জীবনবোধ এবং অপক্ষপাত সহানুভূতি পূর্ণ মনোভাবের পরিচায়ক।
Leave a comment