১। ব্রাউজিং হিস্টোরিঃ আপনার ফোন ব্রাউজারের ব্রাউজিং হিস্টোরি হল আপনার সকল তথ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ সংগ্রহ। মূলত ইন্টারনেট ব্যাবহার বলতে গেলে তেমন গোপন কোন বিষয়ই না। কারণ ইন্টারনেট প্রোভাইডার থেকে শুরু করে আপনার ওয়েব ব্রাউজারটি পর্যন্তও আপনার ব্রাউজিং এর সকল তথ্য সংগ্রহ করে থাকে। ওয়েব ব্রাউজারগুলো আপনার ব্রাউজিং হিস্টরি ট্র্যাক করে আপনার আই পি এড্রেসে যুক্ত করে দেয়। কাজেই সহজেই আপনার গোপনীয়তা বেহাত হয়ে যেতে পারে।
কিন্তু ভি পি এন যেহেতু আপনার ব্রাউজ করা তথ্য কে গোপন রাখে, তাই কোন ভাবেই আপনার গোপনীয়তা ফাঁস হওয়ার সুযোগ থাকে না।
২। আই পি এড্রেস এবং লোকেশনঃ যে কেউ আপনার আই পি এড্রেস ট্রেস করতে পারলে আপনার যাবতীয় অনলাইন তথ্য হাতিয়ে নিতে পারবে। এমনকি আপনার ডিভাইসটির অবস্থান সম্পর্কেও সকল তথ্য সম্পর্কেও করতে পারবে।
কিন্তু ভি পি এন যেহেতু আপনার ডিভাইসটির আই পি এড্রেসই চেঞ্জ করে দেয়, তাই আই পি এড্রেস হ্যাক করে কোন ভাবেই আপনার সঠিক অবস্থান সম্পর্কে ধারনা পাওয়া সম্ভব নয়।
৩। স্ট্রিমিং লোকেশনঃ ধরুন আপনি নির্দিষ্ট কোন স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মের সুবিধা নিয়ে থাকেন। এই স্ট্রিমিং সার্ভিসটির যদি নির্দিষ্ট কোন কান্ট্রি কোড থাকে তাহলে আপনি অন্য কোন দেশে গিয়ে এই স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মের সুবিধা নিতে পারবেন না। আবার ধরুন আপনি অন্য কোন দেশের একটি স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম ব্যাবহার করতে চাচ্ছেন, কিন্তু সেটি আপনার দেশে এভেইলেবল না। এমন ক্ষেত্র গুলোতে কার্যকর সুবিধা দেবে ভি পি এন।
আপনি ভি পি এন এর মাধ্যমে নির্দিষ্ট কোন দেশের নেটওয়ার্কের সাথে যুক্ত হয়ে খুব সহজেই এ সকল স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মের সুবিধা নিতে পারবেন।
৪। ডিভাইসঃ ইন্টারনেট ব্যাবহারে জন্য আমরা মূলত ফোন, ট্যাব, ল্যাপটপ বা ডেস্কটপ ব্যাবহার করে থাকি। আমরা যখন কোন পাবলিক নেটওয়ার্ক এর সাথে যুক্ত থাকি তখন সাইবার ক্রিমিনালরা খুব সহজেই আপনার ডিভাইস এর উপর নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিতে পারে। ফলে আপনার আদান প্রদান করা তথ্য গুলো খুব সহজেই চুরি হয়ে যেতে পারে।
তবে যেহেতু ভি পি এন আপনার আদান প্রদান করা তথ্য গুলো গোপন রাখে, এটি কার্যকর-ভাবে আপনার ডিভাইসকে হ্যাকারদের কবল থেকে রক্ষা করতে পারে।
Leave a comment