[1] অনুন্নত কাঁচামাল : ভারতে কাগজ শিল্পে ব্যবহৃত কাঁচামালের অধিকাংশই অনুন্নত শ্রেণির। এ ছাড়া হিমালয়ে নরম কাঠের বনভূমি থাকলেও পরিবহণের অসুবিধার জন্য তা ঠিক মতাে কাজে লাগানাে যায় না।
[2] রাসায়নিক দ্রব্যের অভাব : চাহিদার তুলনায় রাসায়নিক দ্রব্যের জোগান যথেষ্ট নয়। কিছু রাসায়নিক দ্রব্য বেশি দামে বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়।
[3] শক্তির অভাব : কয়লার অসম বণ্টন ও কম জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের ফলে কাগজকলগুলিতে শক্তি সরবরাহে যথেষ্ট সমস্যা দেখা দেয়।
[4] পুরোনো যন্ত্রপাতি : অধিকাংশ কাগজকলগুলি এখনও পুরােনাে যন্ত্রপাতির সাহায্যে উৎপাদন করে। ফলে উৎপাদনের পরিমাণ কম হওয়ায় উৎপাদন ব্যয়ও বেড়ে যায়।
[5] অনুন্নত মানের কাগজ : কাঁচামাল ভালাে না হওয়ায় উন্নতমানের কাগজ উৎপাদিত হয় না। ভারতকে চড়া দামে উন্নতমানের কাগজ আমদানি করে চাহিদা মেটাতে হয়।
[6] অন্যান্য সমস্যা : এ ছাড়া, অনুন্নত প্রযুক্তি, শ্রমিক-মালিক সংঘর্ষ, অত্যধিক উৎপাদন ব্যয়, বর্জ্য নির্গমন সমস্যা, অভ্যন্তরীন ও আন্তর্জাতিক বাজারে ভারতীয় কাগজের চাহিদা হ্রাস, অদক্ষ শ্রমিকগােষ্ঠী এবং সর্বোপরি মূলধনের অভাব কাগজ শিল্পের উন্নতিতে অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ভারতে কাগজ শিল্পের সমাধান
-
নতুন নতুন কাগজের কল স্থাপন।
-
ধানের তুষ, গমের খােসা, খড় প্রভৃতি কৃষি বর্জ্য পদার্থকে কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহার।
-
রাসায়নিক দ্রব্য এবং অন্যান্য প্রয়ােজনীয় দ্রব্যের আমদানিতে শুল্ক হ্রাস।
-
কলগুলিতে প্রযুক্তিবিদ্যার উন্নতি ঘটিয়ে আধুনিক যন্ত্রপাতি স্থাপন।
-
সরকারি সাহায্য এবং পরিকাঠামােগত উন্নতি সাধন করে কাগজ শিল্পের সমস্যা কিছুটা সমাধান করা যায়।
Leave a comment