বেগম রোকেয়া হলেন নারী শিক্ষার অগ্রদূত। আমাদের শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন পরীক্ষায় বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন – রচনা লিখতে আসে তাই আমি বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন – রচনা যথাযথভাবে লিখার চেষ্টা করেছি। তোমরা যারা পরীক্ষায় বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন – রচনা লিখতে চাও আমার পোস্ট তাদের জন্য।
প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা, তোমাদের সুবিধার জন্য নিচে বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন – রচনা বিস্তারিত ভাবে তুলে ধরা হলো –
বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন – রচনা
ভূমিকা
বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন যিনি রোকিয়া নামেই বেশি পরিচিত রংপুর জেলার পায়রা বন্দ গ্রামে এক অন্ধকার কুসংস্কারা ছন্ন সমাজে জন্মগ্রহণ করেও অসাধারণ হয়ে বেড়ে ওঠেন। যার কারণে তাকে নারীজাগরণের অগ্রদূত হিসাবে অভিহিত করা হয়। কারণ তিনি ছিলেন একমাত্র মুসলিম নারী যিনি নারী সমাজের আলোকবর্তিকা। নারী সমাজ যখন অন্ধকার এবং কুসংস্কারের আঁধারে নিমজ্জিত, যখন অবজ্ঞা এবং অবহেলায় নারী সমাজ জর্জরিত সে সময় বেগম রোকেয়া শাখাওয়াত হোসেন একজন মহীয়সী নারী হিসেবে আবির্ভাব ঘটে আর সে সময় যদি তার নারী শিক্ষা ও নারী জাগরণ না হতো তাহলে নারী সমাজ অন্ধকারে বিলীন হয়ে যেত।
বেগম রোকেয়ার জন্ম
বেগম রোকেয়া ১৯৮০ সালের ৯ ডিসেম্বর রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার পায়রা বন্ধ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম ছিল জহির উদ্দিন মোহাম্মদ আবু আলী হায়দার সাবের এবং তার মাতার নাম ছিল রাহমাতুন্নেছা সাবেরা চৌধুরানী। রোকিয়ার পিতা একজন শিক্ষিত জমিদার ছিলেন এবং তিনি আরবি ও ফার্সি এবং ইংরেজি ভাষায় সুপন্ডিত ছিলেন।
বেগম রোকেয়ার ভাই বোন
বেগম রোকেয়ার দুই বোন ছিল যাদের নাম হল করিমুন্নেছা এবং হুমায়রা। রোকেয়ার তিন ভাই ছিল যাদের মধ্যে একজন শৈশবে মারা যায় এবং বড় দুই ভাইয়ের নাম হল মোহাম্মদ ইব্রাহিম আবুল আসাদ সাবের ও খলিলুর রহমান আবু যায়গাম সাবের। রোকেয়ার দুইজন ভাই ছিলেন বিদ্যানুরাগী। আর তার বড় দুই বোন করিমুন্নেছা ছিলেন সাহিত্যনুরাগী এবং বিদ্যানুরাগী। মূলত বেগম রোকেয়ার শিক্ষালাভ, সাহিত্যচর্চা, সামগ্রিক মূল্যবোধ গঠনে তার বড় ভাইবোনদের যথেষ্ট অবদান ছিল।
তার পরিবার মুসলিম পরিবার হওয়ার কারণে পর্দা প্রথা এত কঠোর ছিল যে পরিবারের নারীরা ঘনিষ্ঠ আত্মীয় ও চাকরানী ছাড়া অন্য কারো সামনে বের হতে পারতেন না। তাদের পরিবারের মেয়েদের মাত্র পাঁচ বছর বয়স হলেই পর্দা মেনে চলতে হতো।
বেগম রোকেয়ার শিক্ষা জীবন
বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন মাত্র পাঁচ বছর বয়সে তার মায়ের সঙ্গে কলকাতায় বসবাস করার সময় একজন ইংরেজি মেমর নিকট শিক্ষা লাভের সুযোগ পেয়েছিলেন। কিছুদিন লেখাপড়া করার পর তা বন্ধ করে দিতে হয় কারণ সেই সময় নারী সমাজ ব্যবস্থা এমন ছিল যে মেয়েদের গৃহ বা ঘরের বাইরে গিয়ে কোন প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা লাভের সুযোগ ছিল না। কিন্তু বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন এমন একজন নারী যিনি দমে যাননি। তিনি তার বড় ভাইদের সমর্থন এবং সহায়তায় বাংলা, উর্দু, ফারসি, ইংরেজি এবং আরবি ভাষা আয়ত্ত করেন।
বেগম রোকেয়ার শিক্ষাজীবনের বাধা
বেগম রোকেয়া এমন এক সময়ে জন্মগ্রহণ করেন যে সময় নারী শিক্ষা ছিল একেবারে ঘোর বিরোধী। আর তার পড়াশোনার সবচেয়ে বড় বাধা ছিল তার পিতা। যদিও বেগম রোকেয়ার পিতা বাংলা ও ইংরেজি শিক্ষায় পারদর্শী ছিলেন কিন্তু তিনি মেয়েদের পড়াশোনার ব্যাপারে ঘোর বিরোধী ছিলেন। কিন্তু বেগম রোকেয়ার বড় দুই ভাই কলকাতার সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজে অধ্যায়ন করেন যার কারণে তিনি তার ভাইদের সহায়তায় বাড়িতে পড়াশোনার সুযোগ লাভ করেন।
কিন্তু বেগম রোকেয়ার বাবা বাংলা ও ইংরেজি শিক্ষার ব্যাপারে ঘোর বিরোধিতা করার কারণে তিনি দিনের বেলায় পড়াশোনার সুযোগ পেতেন না, যার কারণে তিনি রাত্রে তার বাবা ঘুমালে বড় ভাই সাবের বোনকে পড়াশোনা শিখাতেন। এভাবে তিনি তার বড় ভাইয়ের কাছে গোপনে লেখাপড়া শিখতে লাগলেন।
বেগম রোকেয়ার বিবাহ
বেগম রোকেয়ার ১৮৯৮ সালে বিহারের ভোগলপুরের ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ সাখাওয়াত হোসেনের সঙ্গে বিবাহ হয়। বিয়ের পূর্বে বেগম রোকেয়া নামে সমাধিক পরিচিত থাকলেও বিয়ের পরে স্বামী সাখাওয়াত হোসেনের নামের সঙ্গে মিল রেখে তার নাম রাখা হয় বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন। বেগম রোকেয়ার বিয়ের পর তার স্বামীর সহযোগিতায় এবং ঐকান্তিক উৎসাহে তার পড়াশোনা ও সাহিত্য চর্চা তিনি অব্যাহত রাখেন। বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের বিবাহিত জীবনের সমাপ্তি ঘটে ১৯০৯ সালে তার স্বামীর জীবনাবাসন এর মাধ্যমে।
বিয়ের পর বেগম রোকেয়ার পড়াশোনা
বেগম রোকেয়ার বিবাহ হয় বিহারের ভগলপুরের সৈয়দ সাখাওয়াত হোসেনের সঙ্গে এবং তিনি একজন উর্দুভাষী মানুষ হলেও তিনি কুসংস্কারমুক্ত, প্রগতিশীল দৃষ্টিভঙ্গি সম্পন্ন এবং সমাজচেতন ছিলেন যার কারণে বেগম রোকেয়ার শিক্ষাজীবন শৈশবকালে কষ্টে কাটলেও বৈবাহিক জীবনে তিনি শিক্ষা লাভ করেন আনন্দের সাথে। বেগম রোকেয়ার সাহিত্য চর্চার বিস্তৃত হতে থাকে কারন তার স্বামীর মানসিকতা ছিল আধুনিক এবং উদার।
স্বামীর সহযোগিতায় বেগম রোকেয়া দেশি বিদেশি লেখকদের রচনার সঙ্গে নিবিড়ভাবে পরিচিত হন এবং তিনি ইংরেজি ভাষায় ক্রমশ দক্ষতা অর্জন করেন। স্বামীর অনুপ্রেরণাতেই তার সাহিত্যচর্চার সূত্রপাত ঘটে।
বেগম রোকেয়ার সন্তান-সন্ততি
বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন দুই কন্যা সন্তানের জননী ছিলেন। কিন্তু জন্মের কিছুদিন পরেই তারা মৃত্যুবরণ করেন। দুই কন্যার সন্তানের অকাল মৃত্যুতে এবং ১৯০৯ সালের ৩ মে তার স্বামী সৈয়দ সাখাওয়াত হোসেনের মৃত্যুতে তিনি একেবারে নিঃসঙ্গ হয়ে পড়েন।
বেগম রোকেয়ার সাহিত্যে অবদান
১৯০২ সালে বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের সাহিত্যিক হিসেবে আত্মপ্রকাশ ঘটে। কলকাতায় প্রকাশিত নবপ্রভা পত্রিকায় ছাপা হয় পিপাসা নামক প্রবন্ধ। আরে প্রবন্ধ প্রকাশের মাধ্যমে পর্যায়ক্রমে তার নাম বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় ছাপা হতে থাকে। এরপর তিনি সওগাত, মোহাম্মাদী, নবনুর নামক বিভিন্ন সমসাময়িক পত্রিকায় নিয়মিত লেখা শুরু করেন। তৎকালীন মুসলিম সমাজে তার লেখা দারুন ভাবে সাড়া দেয় যদি ও তৎকালীন রক্ষণশীল সমাজ বেগম রোকেয়ার যুক্তিপূর্ণ লেখা সহজ ভাবে মেনে নিতে পারেনি কিন্তু তিনি তার লেখায় সবসময় নারী মুক্তির কথা বলেছেন।
মতিচুর প্রথম খন্ড ও দ্বিতীয় খন্ড প্রকাশের মাধ্যমে তিনি তার নারীবাদী চিন্তার প্রকাশ ঘটিয়েছেন। এছাড়া তিনি সুলতানাজ ড্রিম নামক একটি ইংরেজী সাহিত্য রচনা করেন যা পরবর্তীকালে সুলতানার স্বপ্ন নামে প্রকাশিত হয়। এছাড়া তিনি পদ্মরাগ, অবরোধবাসিনী উল্লেখযোগ্য দুটি গ্রন্থ রচনা করেন। তিনি তার প্রত্যেকটি প্রবন্ধ গল্প এবং উপন্যাসের মধ্যে দিয়ে নারী শিক্ষার প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেন যা সকল নারী শিক্ষার বিস্তার এবং সমাজ সংস্কারের মধ্যে প্রকাশিত হয়।
বেগম রোকেয়ার কর্মজীবন
বেগম রোকেয়া তার স্বামীর অনুপ্রেরণায় নিজেকে নারী শিক্ষা বিস্তার এবং সমাজ সেবায় আত্মনিয়োগ করেন। তার স্বামী ১৯০৯ সালে মৃত্যুবরণ করলে তার স্বামীর দেওয়া অর্থ দিয়েই তার স্বামীর মৃত্যুর মাত্র ৫ মাসের মাথায় সাখাওয়াত মেমোরিয়াল গার্লস স্কুল নামে একটি স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন এবং সেই স্কুলের ছাত্রী ছিল মাত্র পাঁচ জন। পরে সম্পত্তি নিয়ে বিভিন্ন ঝামেলার কারণে তিনি এক পর্যায়ে স্কুলটি বন্ধ করতে বাধ্য হন। এরপর তিনি চলে আসেন কলকাতায়।
মহীয়সী এই নারী ১৯১১ সালের ১৫ ই মার্চ আবার সাখাওয়াত মেমোরিয়াল গার্লস স্কুল চালু করেন এই সময় তার স্কুলের ছাত্রী ছিল মাত্র আটজন। স্কুল প্রতিষ্ঠার ৪ বছরের মধ্যেই তিনি তার স্কুলের ছাত্রী বৃদ্ধি করেন ১০০ জনে। তিনি এই বিদ্যালয়টিকে পূর্ণাঙ্গ বিদ্যালয়ে প্রতিষ্ঠা করেন ১৯৩০ সালে। ১৯১৬ সালে তিনি আনজুমানে খাওয়াতিনে ইসলাম প্রতিষ্ঠা করেন যা বাঙালি মুসলিম নারীদের সংগঠন হিসেবে পরিচিত ছিল।
১৯২৬ সালে তিনি কলকাতায় অনুষ্ঠিত নারী শিক্ষা বিষয়ক বাংলার সম্মেলনের সভাপতিত্ব করেন। ১৯৩0 সালে তিনি বেঙ্গল মুসলিম কনফারেন্সে বাংলা ভাষার পক্ষে জোরালো বক্তব্য দেন যা তৎকালীন সমাজের প্রেক্ষাপটে দুঃসাহসিকতার পরিচয় বহণ করে।
বেগম রোকেয়া নারী জাগরণের অগ্রদূত
বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন ছিলেন একজন সমাজ সংস্কারক, প্রগতিশীল ও দূরদৃষ্টি সম্পূর্ণ সমাজকর্মী এবং লেখক। তিনি তার লেখনীর মাধ্যমে নারী শিক্ষার অধিকার বাস্তবায়ন করেন। তিনি মনে করেন নারীরা শুধু অন্যের গলগ্রহ হয়ে বাঁচবে না এবং সে শুধু রান্না ঘরের মধ্যে নিজেকে বিলীন করে দিবে না, শুধু খাবার রান্না করা একজন নারীর প্রকৃত উদ্দেশ্য নয়, অন্ধকার এবং কুসংস্কারচ্ছন্ন সমাজ থেকে বেরিয়ে এসে স্বাতন্ত্র ও নারী স্বাধীনতার প্রতিবাদে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখায় হল একজন নারীর আদর্শ কাজ
পরিবারে পুরুষের পাশাপাশি নারীর সমান অধিকারের দাবি তিনি প্রথম তুলে ধরেন এবং তিনি নারী স্বাধীনতার পক্ষে নিজের মত প্রচার করতে থাকেন। বেগম রোকেয়া তৎকালীন গোড়ামির বিরুদ্ধে তার লেখনীর মাধ্যমে নারীর অধিকার নিশ্চিত করেন এবং পুরুষদের বহুবিবাহ, নারীদের বাল্যবিবাহ এবং পুরুষদের একতরফা মেয়েদেরকে তালাকের বিরুদ্ধে তার লেখনীর মাধ্যমে প্রতিবাদ জানান যার কারণে ১৯৬১ সালে মুসলিম পারিবারিক আইন পাস করা হয়।
শিক্ষিকা হিসেবে বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন
বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন জানতেন নারী জাগরণের একমাত্র হাতিয়ার হল শিক্ষা। শিক্ষা ছাড়া নারীর জাতিকে অগ্রগতির পথে নিয়ে যাওয়া যাবে না যার কারণে তিনি সাখাওয়াত মেমোরিয়াল গার্লস স্কুল নামে একটি স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন এবং মাত্র পাঁচ জন ছাত্রী নিয়ে সেই স্কুল পরিচালনা করেন। পরবর্তীতে বিভিন্ন সমস্যার কারণে তাকে স্কুল বন্ধ করে দিতে হলেও তিনি তার স্বামীর মৃত্যুর পরে আবার সাখাওয়াত মেমোরিয়াল গার্লস স্কুল চালু করেন
এবং আটজন শিক্ষার্থী নিয়ে তার যাত্রা শুরু হয়। পরবর্তীতে তিনি তার স্কুলে ১00 জন ছাত্রী পাঠদান করাতে সক্ষম হন। পরবর্তী সময়ে ১৯১৯ সালে কলকাতায় তিনি মুসলিম মহিলা ট্রেনিং স্কুল স্থাপন করেন। তিনি নিজেই বিভিন্ন শিক্ষিকাদের প্রশিক্ষণ দিতেন। শিক্ষিকা হিসেবে তিনি ছিলেন অনেক উদার মনের একজন মানুষ।
বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের রচনাবলী
বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন তার কর্মজীবনে অনেক গ্রন্থ রচনা করেন এর মধ্যে বিখ্যাত গ্রন্থগুলো হল সুলতানের স্বপ্ন, পদ্মরাগ, অবরোধবাসিনী, মতিচুর উল্লেখযোগ্য। ১৯২৭ সালে যেখানে নারী শিক্ষার কথা বলায় দুরূহ কাজ ছিল সেখানে তিনি বাংলা ভাষার পক্ষে জোরালো বক্তব্য রাখেন যা ছিল সেই সময়ের পরিপ্রেক্ষিতে অত্যন্ত দূঃসাহসিকতার কাজ।
বেগম রোকেয়ার মৃত্যু
নারী জাগরণের অগ্রদূত বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন ১৯৩২ সালের ৯ ডিসেম্বর কলকাতায় মৃত্যুবরণ করেন। এই মহীয়সী রমণীর জীবনকাল ছিল মাত্র ৫২ বছর। তিনি এখন কলকাতার সোদপুরে শায়িত আছেন।
বেগম রোকেয়ার স্মৃতি কেন্দ্র
রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার পায়রা বন্ধ গ্রামে বেগম রোকেয়ার নিজ বাড়ি। সেখানে রয়েছে ৩.১৫ একর ভূমি আর এই ভূমিতে স্মৃতি রক্ষার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ইচ্ছায় ১৯০১ সালের পয়লা জুলাই বেগম রোকেয়া স্মৃতি কেন্দ্র স্থাপন করা হয়। এই স্মৃতি কেন্দ্রের ভবনে রয়েছে অফিস ভবন, চার তলা ডরমেটরি ভবন, গবেষণা কক্ষ, সর্বাধুনিক গেস্ট হাউস এবং রয়েছে লাইব্রেরী এবং এই স্মৃতি কেন্দ্র পরিচালনার জন্য বাংলাদেশের মহিলা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব রয়েছে।
উপসংহার
বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন ছিলেন নারী জাগরণের অগ্রদূত। তিনি দিনের আলোতে লেখাপড়া করার সুযোগ পাননি, কারণ তখনকার সময় ছিল কুসংস্কারে পরিপূর্ণ যার কারণে তিনি মোমবাতির আলোতে লুকিয়ে লুকিয়ে ভাইয়ের কাছ থেকে শিক্ষা অর্জন করেছেন এবং সমাজে জ্বালিয়ে গেছেন তিনি সূর্যের আলো। তিনি নারী শিক্ষার জন্য সারাটা জীবন বিলিয়ে দিয়েছেন এবং করেছেন নারীর মুক্তির আন্দোলন। তার মতে নারী শুধু দাসী নয়, নারী হল সমাজের অধ্যাঙ্গ।
Leave a comment