❋ বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালনের প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে সংবাদপত্রে প্রকাশের জন্য একটি পত্র লেখ।
অথবা, বৃক্ষরােপণের প্রয়ােজনীয়তা বিষয়ক জনমত সৃষ্টির লক্ষ্যে সংবাদপত্রে প্রকাশের জন্য একটি পত্র রচনা কর।
৫ জানুয়ারি ২০২১
বরাবর
সম্পাদক
দৈনিক কালের কণ্ঠ
বসুন্ধরা আর/এ, প্লট-৩৭১/এ, ব্লক-ডি, বারিধারা, ঢাকা-১২২৯।
বিষয় : সংযুক্ত পত্রটি প্রকাশের জন্য আবেদন।
মহােদয়
আপনি অবগত আছেন যে, নির্বিচারে বৃক্ষনিধন ও অধিকমাত্রায় কার্বন ডাইঅক্সাইড গ্যাস নিঃসরণের ফলে বিশ্বব্যাপী জলবায় মারাত্মকভাবে পরিবর্তিত হচ্ছে। এ জন্য অধিক পরিমাণে বৃক্ষরােপণ প্রয়ােজন। এ সম্পর্কিত পত্রটি আপনার দৈনিক কালের কণ্ঠ’-এ প্রকাশ করে কৃতাৰ্থ রাখবেন।
বিনীত
কায়সার আহমদ
উত্তরা, ঢাকা।
গাছ লাগান, নিজে বাঁচুন, পরিবেশ বাঁচান
গাছ আমাদের খুব উপকারী বন্ধু । এ কথা আমরা উপলব্ধি করতে পারলেও সবসময় সে অনুযায়ী কাজ করি না। একটি গাছ। কেটে ফেললে তিনটি বা তারও অধিক সংখ্যক গাছের চারা লাগানাে উচিত- এ কথা আমরা অনেকে জেনেও পালন করি না। পরিবেশবিজ্ঞানীদের মতে, একটি দেশের মােট আয়তনের ২৫% বনভূমি থাকা আবশ্যক। তা না হলে পরিবেশ বিপর্যয়ের আশঙ্কা থাকে। পরিসংখ্যানে দেখা গিয়েছে, বাংলাদেশে মাত্র ১৭% বনভূমি আছে। শুধু বাংলাদেশেই নয়, বিশ্বের প্রায় অধিকাংশ দেশেই প্রয়ােজনের তুলনায় বনভূমি নেই। বনভূমির এ অপ্রতুলতার কারণে আজ নানা দেশে অধিক পরিমাণে প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা দিচ্ছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ মানুষের পক্ষে থামানাে সম্ভব নয়। তবে বৃক্ষরােপণের মাধ্যমে এর প্রভাব কিছুটা কমানাে যায়। এ জন্য আমরা মানুষকে বৃক্ষরােপণে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে বৃক্ষরােপণ কর্মসূচি পালন করতে পারি। সরকারের একার পক্ষে এ কাজ করা সম্ভব নয়। তাই ব্যক্তিগত ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে বৃক্ষরােপণ কর্মসূচি পালন করতে হবে। গাছপালা আমাদের অতি প্রয়ােজনীয় অক্সিজেন প্রদান করে আমাদের ত্যাগকৃত বিষাক্ত কার্বন ডাইঅক্সাইড গ্রহণ করে। সাম্প্রতিক কয়েক দশকে বাতাসে কার্বন ডাইঅক্সাইড মাত্রাতিরিক্ত বেড়ে যাওয়ায় ওজোন স্তরে ক্ষয় দেখা দিয়েছে। ফলে বৈশ্বিক উষ্ণতা প্রবলভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিভিন্ন দেশে খরা ও অনাবৃষ্টি দেখা দিচ্ছে। মেরু অঞ্চলের বরফ গলে যাচ্ছে। বাংলাদেশের নিমাঞ্চল পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা আছে। শুধু উন্নত দেশগুলাের সহযােগিতার দিকে তাকিয়ে না থেকে আমাদেরকেই অধিক সংখ্যক গাছ লাগিয়ে দেশ ও দেশের পরিবেশ রক্ষা করতে হবে।
নিবেদক
কায়সার আহমদ
উত্তরা, ঢাকা।
Leave a comment