বুর্জোয়া শ্রেণীর ধারণা
সামস্ততান্ত্রিক সমাজব্যবস্থার মধ্যেই সৃষ্টি হয়েছে ধনতান্ত্রিক উৎপাদন পদ্ধতির। আবার বুর্জোয়া শ্রেণীরও আবির্ভাব ঘটেছে সামন্ত সমাজের মধ্যেই। এ বিষয়ে কমিউনিস্ট ম্যানিফেস্টোতে সংক্ষিপ্ত উল্লেখ আছে। বস্তুত সামন্ত সমাজের ধ্বংসাবশেষ থেকেই জন্ম নিয়েছে বুর্জোয়া সমাজ। ম্যানিফেস্টোতে মার্কস-এঙ্গেলস বলেছেন: “The modern bourgeois society has sprouted from the runs of feudal society….” বুর্জোয়াশ্রেণীর বিকাশের ধারা সম্পর্কেও ম্যানিফেস্টোতে সংক্ষিপ্ত বিবরণ পাওয়া যায়। সমাজ ও সভ্যতার ক্রমবিবর্তনের ধারায় বাণিজ্য ও মুদ্রার প্রচলনের বিকাশ ঘটে। সঙ্গে বিশ্বব্যাপী বাজার গড়ে উঠে। এ অবস্থায় সামন্ত-সমাজের মধ্যেই সৃষ্টি হয়েছে একটি নতুন শ্রেণীর। এই শ্রেণীটিই হল বুর্জোয়া শ্রেণী, যা পুঁজিপতি শ্রেণী হিসাবেও পরিচিত। মধ্যযুগের ভূমিদাসদের ভিতর থেকে উদ্ভব হয়েছে প্রথম শহরগুলির স্বাধীন নাগরিকদের (Chartered burghers)। আবার এই নাগরিকদের ভিতর থেকে বিকশিত হয়েছে বুর্জোয়াশ্রেণীর প্রথম উপাদানগুলি। ম্যানিফেস্টোতে মার্কস-এঙ্গেলস বলেছেন: “From the serfs of the Middle Ages sprang the chartered burghers of the earliest towns. From these burgesses the first elements of the bourgeoisie were developed.” বুর্জোয়া শব্দের ব্যুৎপত্তিগত অর্থটি অনুধাবন করা দরকার। ‘বুর্জোয়া’ শব্দটির সৃষ্টি হয়েছে একটি জার্মান শব্দ থেকে। এই জার্মান শব্দটি হল ‘বার্গ’। বাংলায় এর অর্থ হল দুর্গ বা শহর। মধ্যযুগে ‘বার্গার’ বা ‘বার্জেস’ বলতে শহরের বণিক ও ওস্তাদ কারিগর সম্প্রদায়ের ব্যক্তিদের বোঝাত। এই সমস্ত ব্যক্তিবর্গকে সামস্ততান্ত্রিক ভূস্বামীদের বিরুদ্ধে অস্তিত্ব রক্ষার জন্য সংগ্রামের সামিল হতে হয়েছে। এদের উত্তরসূরী বলতে এখন মূলত শিল্পপতিদেরই বোঝায়। শিল্পোন্নত ধনতান্ত্রিক দেশগুলিতে এই শ্রেণীর ব্যক্তিবর্গ অন্যান্য সকল সম্পত্তিবান শ্রেণীর উপর তাদের কর্তৃত্ব কায়েম করেছে। এই কারণে এখন ধনতান্ত্রিক সকল দেশের শাসকশ্রেণীকে যৌথভাবে বলা হয় বুর্জোয়া শ্রেণী। প্রকৃত প্রস্তাবে বুর্জোয়া বলতে বোঝায় আধুনিক পুঁজিপতি শ্রেণীকে। এই পুঁজিপতি শ্রেণীই হল সামাজিক উৎপাদনের উপকরণগুলির মালিক এবং মজুরি-শ্রমের নিয়োগকর্তা।
সামন্ত সমাজের অবসান ও বুর্জোয়া সমাজের আবির্ভাব
সমাজবিকাশের ধারায় পরিলক্ষিত হয় যে, এক সময় সমাজে বাণিজ্য ও মুদ্রা প্রচলন ব্যবস্থা বিকশিত হল। বিশ্বব্যাপী বাজার গড়ে উঠলো। এই সময় সামন্ততান্ত্রিক সমাজের ভিতরেই উদ্ভূত হল এক নতুন শ্রেণী। এই শ্রেণীটিই হল বুর্জোয়া শ্রেণী বা পুঁজিপতি শ্রেণী। মধ্যযুগের শেষে আমেরিকা আবিষ্কৃত হল। তারপর অতিমাত্রায় বৃদ্ধি পেল বিশ্ব-বাণিজ্য। এবং তখনই পুঁজির সৃষ্টি হল। পণ্য ও পণ্যের আদান-প্রদান এবং টাকার শক্তির ভিত্তিতে সৃষ্টি হল পুঁজির শক্তি। সামস্ত শ্রেণীর আর্থনীতিক ক্ষমতা ক্রমশ হ্রাস পেতে লাগল। এই সময় নতুন শ্রেণী হিসাবে বুর্জোয়া শ্রেণীর ক্ষমতা ক্রমশ বৃদ্ধি পেতে লাগল। বস্তুত অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষাংশ থেকে ঊনবিংশ শতাব্দীতে পৃথিবীব্যাপী যে বিপ্লব ঘটে গেল তারফলে মূলত পশ্চিম ইউরোপের সকল দেশেই সামন্ত-ব্যবস্থার আধিপত্য অপসৃত হল এবং বুর্জোয়া শ্রেণীর কর্তৃত্ব কায়েম হল। সামস্তশ্রেণী ক্ষমতা ও কর্তৃত্ব থেকে অপসারিত হল। রাষ্ট্রক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হল পুঁজির মালিক শ্রেণী বা বুর্জোয়া শ্রেণী।
ম্যানিফেস্টোর বর্ণনা
বুর্জোয়া শ্রেণীর আবির্ভাব ও বিকাশের বিষয়টির একটি ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট আছে। কমিউনিস্ট ম্যানিফেস্টোতে তা সংক্ষেপে কিন্তু সুস্পষ্টভাবে বর্ণনা করা হয়েছে। ম্যানিফেস্টোর সংশ্লিষ্ট অংশটি হুবহু উদ্ধৃত করা আবশ্যক। ম্যানিফেস্টোতে মার্কস-এঙ্গেলস বলেছেন: “আমেরিকা আবিষ্কার, উত্তমাসা অন্তরীপ (Cape) উঠতি বুর্জোয়াদের সামনে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত করল। পূর্বভারত ও চীনের বাজার, আমেরিকায় উপনিবেশ প্রতিষ্ঠা, উপনিবেশসমূহের সঙ্গে বাণিজ্য, বিনিময় ব্যবস্থা ও সাধারণভাবে পণ্যের প্রসার বাণিজ্যে, নৌযাত্রায়, শিল্পক্ষেত্রে নিয়ে এল এক অজ্ঞাতপূর্ব উদ্যোগ এবং তার দ্বারা টলমল অবস্থার সামন্ত সমাজের অভ্যন্তরে অবস্থিত বিপ্লবী উপাদানগুলির জন্য এনে দিল দ্রুত এক বিকাশ।”
“সামন্ততান্ত্রিক শিল্পব্যবস্থায় গণ্ডিবদ্ধ গিল্ডগুলি শিল্পোৎপাদনকে একচেটিয়া করে রেখেছিল। বর্তমানে নতুন বাজারের ক্রমবর্ধমান চাহিদার পক্ষে তা আর পর্যাপ্ত হল না। তার জায়গায় হস্তশিল্প কারখানার আবির্ভাব ঘটল। হস্তশিল্প কারখানার মধ্যশ্রেণী গিল্ড-কর্তাদের ঠেলে সরিয়ে দিল একপাশে। বিভিন্ন যৌথ গিল্ডগুলির পারস্পরিক শ্রমবিভাগ প্রতিটি একক কর্মশালার ভিতরকার শ্রমবিভাগের সামনে মিলিয়ে গেল।”
“ইতিমধ্যে বাজার বাড়তে থাকে, বাড়তে থাকে চাহিদাও। হস্তশিল্প কারখানাও আর পর্যাপ্ত প্রতিপন্ন হল না। তখন শিল্পোৎপাদনের বৈপ্লবিক পরিবর্তন সাধন করল বাষ্প ও কলের যন্ত্র। হস্তশিল্প কারখানার জায়গায় আবির্ভূত হল অতিকায় আধুনিক যন্ত্রশিল্প। শিল্পজীবী লক্ষপতিরা, সমগ্র শিল্পবাহিনীর নিয়স্তারা, আধুনিক বুর্জোয়ারা শিল্পজীবী মধ্যশ্রেণীর জায়গা নিল।”
“আধুনিক শিল্প বিশ্ববাজার প্রতিষ্ঠা করেছে, যার পথ পরিষ্কার করেছে আমেরিকা আবিষ্কার। বাণিজ্য, নৌযাত্রা, স্থলপরিবহণে এই বাজার প্রভৃত বিকাশ সাধন করেছে। আবার এই বিকাশ প্রভাবিত করেছে শিল্পের প্রসারকে। এবং যে হারে শিল্প, বাণিজ্য, নৌ-পরিবহণ, রেলপথের প্রসার ঘটেছে সেই হারেই বিকশিত হয়েছে বুর্জোয়ারা, তারা পুঁজি বাড়িয়ে তুলেছে ও মধ্যযুগ থেকে আগত সকল শ্রেণীকেই পিছনে ঠেলে দিয়েছে।”
“এইভাবে দেখা যায় যে আধুনিক বুর্জোয়া শ্রেণী স্বয়ং হল এক দীর্ঘ বিকাশ ধারার ফল, উৎপাদন ও বিনিময়-প্রক্রিয়ায় ক্রমান্বয় বিপ্লবের এক পরিণতি” (We see, therefore, how the modern bourgeoisie is itself the product of a long course of development, of a series of revolutions in the modes of production and of exchange.)।
“বুর্জোয়া শ্রেণীর বিকাশের পথে প্রতিটি পদক্ষেপের সঙ্গে সমানে চলেছে সেই শ্রেণীর রাজনীতিক অগ্রগতি (Each step in the development of the bourgeoisie was accompanied by a corresponding political advance of that class.)। সামন্ত প্রভুদের আমলে যে বুর্জোয়ারা ছিল একটি নিষ্পেষিত শ্রেণী, মধ্যযুগীয় কমিউনে যারা সশস্ত্র ও স্বশাসিত সমিতি হিসাবে, কোথাও-বা স্বাধীন শহরে সাধারণ-তন্ত্র হিসাবে (যেমন ইতালি ও জার্মানীতে), কোথাও-বা আবার রাজতন্ত্রের করদাতা তৃতীয় মণ্ডলী’ হিসাবে (যেমন ফ্রান্সে) ছিল, তারপর প্রকৃত হস্তশিল্প পদ্ধতির প্রাক্কালে যারা অভিজাতবর্গকে দাবিয়ে রাখার জন্য আধা-সামস্ত বা নিরঙ্কুশ রাজতন্ত্রের সাহায্যে লাগে এবং প্রকৃতপক্ষে যারা ছিল সাধারণভাবে বৃহৎ রাজতন্ত্রসমূহের স্তম্ভস্বরূপ, অবশেষে সেই বুর্জোয়াশ্রেণী আধুনিক যন্ত্রশিল্প ও বিশ্ববাজারের প্রতিষ্ঠার পর আধুনিক প্রতিনিধিত্বমূলক রাষ্ট্রের অভ্যন্তরে নিজেদের জন্য একচেটিয়া রাজনীতিক আধিপত্য অর্জন করতে পেরেছে। আধুনিক রাষ্ট্রের শাসন বিভাগ হল সমগ্র বুর্জোয়া শ্রেণীর সাধারণ কাজকর্ম পরিচালনার একটি কমিটি মাত্র (“The executive of the modern State is but a committee for managing the common affairs of the whole bourgeoisie”)। ‘কার্ল মার্কস’ শীর্ষক প্রবন্ধেও এঙ্গেলস এ বিষয়ে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করেছেন।
‘কমিউনিস্ট ম্যানিফেস্টোতে’ বুর্জোয়া শ্রেণীর বিকাশের ধারা সম্পর্কে আরও আলোচনা আছে। বলা হয়েছে : ‘বুর্জোয়া শ্রেণী নিজেদের গড়ে তুলেছে উৎপাদন ও বিনিময়ের কতকগুলি উপায়কে অবলম্বন করে। এই সমস্ত উপায়ের উৎপত্তি হয়েছে সামন্ত সমাজের ভিতরে। কালক্রমে উৎপাদন ও বিনিময়ের এই সমস্ত উপায় বিকাশের এক বিশেষ পর্যায়ে উপনীত হল। তখন সামন্ততান্ত্রিক উৎপাদন ও বিনিময় শর্ত, সামন্ততান্ত্রিক কৃষি ও হস্তশিল্প কারখানার সংগঠন, সংক্ষেপে মালিকানার যাবতীয় সামন্ততান্ত্রিক সম্পর্ক বিকশিত উৎপাদন-শক্তির সঙ্গে কিছুই আর খাপ খেল না। মালিকানার সামস্ত সম্পর্কগুলি শৃঙ্খল হয়ে দাঁড়িয়েছিল। এই শৃঙ্খল ভাঙ্গতে হত। তা ভেঙ্গে ফেলা হল।’
বুর্জোয়াদের পুঁজির বিকাশ
বিকশিত নতুন উৎপাদন শক্তি এবং বিদ্যমান উৎপাদন সম্পর্কের মধ্যে সামন্ততান্ত্রিক সমাজে সামঞ্জস্য বজায় রাখা সম্ভবপর ছিল না। কতকগুলি বিষয় সমকালীন সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্থায় বৈপ্লবিক উপাদানসমূহের দ্রুত বিকাশে সাহায্য করেছিল। এই বিষয়গুলি হল ভৌগোলিক আবিষ্কার, উপনিবেশ স্থাপন, উপনিবেশগুলির সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার, পণ্যের প্রসার এবং এই সমস্ত কিছুর ফলে বাণিজ্যে, নৌবাহে ও শিল্পে অগ্রগতির অভূতপূর্ব প্রেরণার সঞ্চার। উৎপাদন শক্তির দ্রুত বিকাশের ফলে বৃহৎ কলকারখানার সৃষ্টি হল। নতুন দেশ আবিষ্কারের ফলে আধুনিক উন্নত শিল্পের জন্য নতুন বাজার সৃষ্টি হল ও প্রসারিত হল। বাজার প্রসারিত হওয়ার ফলে যোগাযোগ ব্যবস্থার উল্লেখযোগ্য উন্নতি হল। এই উন্নতি শিল্পের প্রসারকে ত্বরান্বিত করল। শিল্পোৎপাদন, ব্যবসা-বাণিজ্য, যোগাযোগ ও যাতায়াত ব্যবস্থার বিকাশ ও প্রসারের সঙ্গে সামঞ্জস্য বজায় রেখে বিকশিত হল বুর্জোয়াদের পুঁজি।
পুঁজিবাদ ও জাতীয়তাবাদ
ইউরোপের সামন্ত সমাজের অবসান ও পুঁজিবাদের সঙ্গে সংযুক্ত ছিল জাতীয়তাবাদ। লেনিনের অভিমত অনুসারে ধনতন্ত্রের বিজয় জাতীয়তাবাদের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। বুর্জোয়া বিপ্লবের অপরিহার্য পরিণতি হল জাতীয়তাবাদ। পৃথিবী জুড়ে সামন্ততন্ত্রের উপর ধনতন্ত্রের চরম বিজয় জাতীয় আন্দোলনের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। পুঁজিবাদের প্রসারের সঙ্গে গভীর যোগাযোগ ছিল জাতীয়তাবাদী সত্তার। ইউরোপে জাতীয় ধর্ম ও জাতীয় শাসনের ধারণা সৃষ্টির মাধ্যমে ধর্মসংস্কার আন্দোলন ধনতন্ত্রের বিকাশে সাহায্য করেছে।
বুর্জোয়া শ্রেণীর বিকাশের দু’টি পর্যায়
শ্রীসুধাংশু দাসগুপ্ত বুর্জোয়া শ্রেণীর বিকাশের ইতিহাসকে দু’টি পর্যায়ে বিভক্ত করেছেন। প্রথম পর্যায়ে সামন্তপ্রভুদের কর্তৃত্বাধীনে বুর্জোয়ারা একটি নিষ্পেষিত শ্রেণী হিসাবে বর্তমান ছিল। তখন তারা নিজেদের শ্রেণী হিসাবে সংগঠিত করার জন্য সক্রিয় হয়। তারা তাদের আর্থনীতিক ক্ষমতার বিস্তারের স্বার্থে রাজনীতিক ক্ষমতা দখলের প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করে। তখন রাজনীতিক ক্ষমতা দখলের তাগিদে তারা সামন্ততন্ত্র ও রাজতন্ত্রের বিরুদ্ধে সংগ্রামের সামিল হয়। এই সংগ্রামের সময় থেকেই শুরু হয় বুর্জোয়াদের বিকাশের দ্বিতীয় পর্যায়। বিকাশের দ্বিতীয় পর্যায়ে বুর্জোয়া সংগঠিত শ্রেণী হিসাবে আত্মপ্রকাশ করে। এবং সামন্ততন্ত্র ও রাজতন্ত্রকে বিলুপ্ত করে। তার জায়গায় তারা প্রতিষ্ঠিত করে বুর্জোয়া সমাজ ও শাসনব্যবস্থা। বুর্জোয়া বিপ্লবের মাধ্যমে এই ঘটনা ঘটে। এই বিপ্লবের ফলশ্রুতি হিসাবে রাষ্ট্রক্ষমতা সামস্তশ্রেণীর হাত থেকে বুর্জোয়া শ্রেণীর হস্তগত হয়। এইভাবে ইউরোপে বুর্জোয়া যুগ প্রতিষ্ঠিত হয়।
উপসংহার: ইউরোপে বুর্জোয়া বিপ্লবের সূচনা হয় ইংল্যাণ্ডের ১৬৪৮ সালের বিপ্লবে এবং পরবর্তীকালে ১৭৮৯ সালের ফরাসী বিপ্লবের মাধ্যমে এর পরিণতি ঘটে। আমেরিকায় এই বিপ্লব সংঘটিত হয়েছে ১৭৭৫ সালে। পশ্চিম ইউরোপে সপ্তদশ থেকে ঊনবিংশ শতাব্দীর মধ্যে বুর্জোয়া বিপ্লব সম্পন্ন হয় এবং সামন্ত-সমাজের অবসান ও পুঁজিবাদের প্রতিষ্ঠা ঘটে। অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষাংশ থেকে ঊনবিংশ শতাব্দীর মধ্যে বিশ্বব্যাপী বুর্জোয়া বিপ্লব সংঘটিত হয়। এই বিপ্লবের পরিণতি হিসাবে বুর্জোয়া শ্রেণী রাষ্ট্রক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়, আর্থ-রাজনীতিক বিচারে বুর্জোয়া শ্রেণী পরিণত হয় শাসক শ্রেণীতে।
Leave a comment