অথবা, রাধার বিরহকে প্রকৃতি কীভাবে বহুগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে? সংক্ষেপে লেখ

উত্তর: “শ্রীকৃষ্ণকীর্তন” কাব্যে বসন্ত ঋতু বিরহ বেদনাকে কীভাবে বাড়িয়ে দেয়? আলোচনা করা হলো:

বৃন্দাবন ছেড়ে কৃষ্ণ মথুরায় চলে যাওয়ার পর রাধার বিরহবেদনাকে প্রকৃতি যেন আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। বসন্ত এসেছে। গাছে গাছে নতুন পাতা। আমগাছ মুকুলিত হয়েছে। মধুর লোভে ভ্রমর গুঞ্জরণ করছে। ডালে বসে কোকিল ডাকছে। সেই ডাক রাধার কাছে মনে হচ্ছে যেন কুকিলের ঘা। বসন্ত সমীরণে রাধার শরীর মন দুলে উঠেছে, তার যৌবনে নতুন প্রেমের জোয়ার জেগেছে। তাই সে বড়ায়িকে জিজ্ঞেস করছে যেদিকে চক্রপানি অর্থাৎ কৃষ্ণ গেছে সেদিকে কি বসন্ত নেই। রাধার মনের জ্বালা যেন কুমারের চুলার মতো। রাধা কোনো উদ্দেশ্যে যাবে, কোথায় গেলে সুন্দর কানাইকে খুঁজে পাবে। বৃন্দাবনের বসন্ত প্রকৃতি যেন রাধার কৃষ্ণবিরহ কাতরতাকে আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। কিন্তু কোথায় কৃষ্ণ। রাধা হাহাকার করা ছাড়া আর কোনো পথ পাচ্ছে না।

তাই রাধার কৃষ্ণবিরহকে বর্ণনা করতে একথাই প্রণিধান করতে পারি যে, প্রকৃতি প্রিয়জনের বিরহকে আরো বেদনাদীর্ণ করে তোলে।