পৌর বসতির বাহ্যিক বৈশিষ্ট্য
-
সড়কপথগুলি বেশ চওড়া এবং এগুলি জালের ন্যায় বিস্তৃত। এখানকার প্রধান সড়কপথগুলি অসংখ্য সংযােগকারী সড়কপথের সঙ্গে যুক্ত।
-
শহর অঞ্চলের বাড়িগুলি বেশ উঁচু ও ঘনসন্নিবিষ্ট।
-
শহর অঞ্চলগুলি স্বাস্থ্য পরিসেবায় বেশ উন্নত। এখানে উন্নত মানের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ও বিনােদন কেন্দ্রের অস্তিত্ব লক্ষ করা যায়।
-
শহর বা নগরবসতির অঙ্গ হল বস্তির অস্তিত্ব। একটানা বস্তির বিস্তৃতি দেখে দূর থেকে শহর বা নগরের অস্তিত্বকে বােঝা যায়।
-
বিভিন্ন ধর্মের ও ভাষাভাষীর মানুষ একই সাথে পাশাপাশি বাস করে।
বয়ঃক্রম অনুযায়ী পৌর বসতির শ্রেণিবিভাগ
[1] প্রাচীন যুগের বসতি
বৈশিষ্ট্য :
-
এই জাতীয় বসতি লুপ্তপ্রায়।
-
এই বসতিগুলি বহুকাল ধরে বিবর্তিত হলেও এগুলিতে আংশিকভাবে প্রাচীনত্বের ছাপ আছে। পুরােনাে ধাঁচের ঘরবাড়ি ও গলিপথের প্রাধান্য এগুলির বিশেষত্ব।
উদাহরণ : বর্তমান পাকিস্তানের মহেন-জোদারাে ও হরপ্পা, ভারতের কাশী, মথুরা, বৃন্দাবন প্রভৃতি।
[2] মধ্যযুগের বসতি
বৈশিষ্ট্য :
-
এই জাতীয় বসতি বিবর্তিত এবং ভীষণভাবে আধুনিক হলেও এতে মধ্যযুগের স্থাপত্যের নিদর্শন থাকে।
উদাহরণ : ভারতের আগ্রা, কানপুর, লক্ষৌ, পুরােনাে দিল্লি, হায়দ্রাবাদ, ইটালির রােম, ফ্রান্সের প্যারিস প্রভৃতি।
[3] আধুনিক যুগের বসতি
বৈশিষ্ট্য :
-
এগুলি পরিকল্পিত ও অপরিকল্পিতভাবে গড়ে ওঠে এবং এগুলিতে আধুনিকতার ছাপ বেশ স্পষ্ট।
-
এখানে বহুতলবিশিষ্ট বাড়ি দেখা যায়। ফ্ল্যাটবাড়ির প্রাধান্যই বেশি।
-
রাস্তাগুলি বেশ চওড়া ও সুদৃশ্য।
-
বসতিগুলিতে সমস্ত আধুনিক সুযােগসুবিধা থাকে।
উদাহরণ : ভারতের চণ্ডীগড়, নতুন দিল্লি, কলকাতার বিধানগরে সল্টলেক উপনগরী, পাকিস্তানের ইসলামাবাদ প্রভৃতি।
নগরায়ণ কাকে বলে? নগরায়ণের পদ্ধতি ও কুফল সম্বন্ধে আলােচনা করাে।
আয়তন অনুযায়ী নগরবসতির শ্রেণিবিভাগ করাে।
শুঙ্কবিন্দু বসতি ও জলবিন্দু বসতি কাকে বলে? রৈখিক বসতি বা দণ্ডাকৃতি বসতি গড়ে ওঠার কারণ কী?
Geography সব প্রশ্ন উত্তর (দ্বাদশ শ্রেণীর)
Leave a comment