পরমাণুতে ইলেকট্রনের উচ্চ ঘনত্ব সম্পন্ন অঞ্চলকে অরবিটাল বলে। কোয়ান্টাম সংখ্যা অনুসারে পরমাণুতে ইলেকট্রন এর সঠিক অবস্থান ব্যাখ্যা করা যায়। কোয়ান্টাম সংখ্যা চারটি যথাক্রমে প্রধান কোয়ান্টাম সংখ্যা (n), সহকারী কোয়ান্টাম সংখ্যা ( l ), চুম্বকীয় কোয়ান্টাম সংখ্যা ( m) , স্পিন কোয়ান্টাম সংখ্যা (s)। সহকারী কোয়ান্টাম সংখ্যার মান থেকে অরবিটালের সম্ভাব্যতা ব্যাখ্যা করা যায়। সহকারী কোয়ান্টাম সংখ্যা দ্বারা পরমাণুর আকৃতি সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। 

সহকারী কোয়ান্টাম সংখ্যা l – এর মান 0 (শুণ্য)  হলে  s- অরবিটাল সম্ভব,
l – এর মান 1 (এক)  হলে  p- অরবিটাল সম্ভব,
l – এর মান 2 (দুই)  হলে  d- অরবিটাল সম্ভব,
l – এর মান 3(তিন) হলে f- অরবিটাল সম্ভব।

প্রধান কোয়ান্টাম সংখ্যা n এর মান 1, 2, 3, 4 ইত্যাদি পূর্ণ সংখ্যা হয়। সহকারী কোয়ান্টাম সংখ্যা l এর মান শূন্য থেকে (n – 1) পর্যন্ত হয়। 

অর্থাৎ l = 0, 1, 2, 3 ইত্যাদি হয়। সহকারী কোয়ান্টাম সংখ্যা প্রধান কোয়ান্টাম সংখ্যার উপর নির্ভর করে।

 1p, 1d, 1f -অরবিটালের জন্য প্রধান কোয়ান্টাম সংখ্যা
n-এর মান 1 হলে, 

সহকারী কোয়ান্টাম সংখ্যা l = 0 

অর্থাৎ প্রথম শক্তিস্তরে শুধু 1s অরবিটাল সম্ভব। 

কিন্তু 1p,1d,1f- অরবিটাল সম্ভব নয়।

আবার, 2d,2f- অরবিটালের জন্য প্রধান কোয়ান্টাম সংখ্যা
n-এর মান 2 হলে, 

সহকারী কোয়ান্টাম সংখ্যা l = 0, 1. 

অর্থাৎ দ্বিতীয় শক্তিস্তরে শুধু  2s ও 2p অরবিটাল সম্ভব। কিন্তু 2d,2f- অরবিটাল সম্ভব নয়।

আবার, 3f- অরবিটালের জন্য প্রধান কোয়ান্টাম সংখ্যা
n-এর মান 3 হলে, 

সহকারী কোয়ান্টাম সংখ্যা l = 0, 1, 2.  

অর্থাৎ তৃতীয় শক্তিস্তরে শুধু   3s, 3p ও 3d- অরবিটাল সম্ভব। কিন্তু 3f- অরবিটাল সম্ভব নয়।