“আমরা তাে অল্পে খুশি; কী হবে দুঃখ করে?”- দুঃখ করে কিছু হবে না বলে কবি কেন মনে করেছেন?
কবি জয় গােস্বামী তাঁর ‘নুন’ কবিতায় দুঃখ করে কিছু হবে না বলে মনে করেছেন, কারণ বেশি সুখের কোনাে সম্ভাবনাই দরিদ্র নিম্নবিত্ত মানুষের জীবনে নেই।
“আমাদের দিন চলে যায় সাধারণ ভাতকাপড়ে” -এর মধ্যে দিয়ে কী প্রকাশিত হয়?
বক্তব্যটির মধ্যে দিয়ে প্রকাশিত হয় হতদরিদ্র নিম্নবিত্ত মানুষের প্রতিনিধি কথকের কোনােরকমে দিনযাপনের কথা।
“রাত্তিরে দু-ভাই মিলে টান দিই গঞ্জিকাতে”- এই গঞ্জিকাতে টান দেওয়ার তাৎপর্য কী?
গঞ্জিকাতে টান দেওয়ার তাৎপর্য হল জীবনের যন্ত্রণাকে, কঠোর বাস্তবকে ভুলে থাকার ব্যর্থ চেষ্টা।
“সব দিন হয় না বাজার হলে, হয় মাত্রাছাড়া”- এই মাত্রাছাড়া’ কথাটির মাধ্যমে কবি কী বােঝাতে চেয়েছেন?
জয় গােস্বামী তার ‘নুন’ কবিতায় এই ‘মাত্রাছাড়া কথাটির মাধ্যমে গরিব মানুষের বেহিসেবি এবং অসংযমী জীবনােচ্ছাসকে বােঝাতে চেয়েছেন।
‘নুন’ কবিতায় কিনে আনা গােলাপচারাটি কীসের প্রতীক?
জয় গােস্বামীর নুন কবিতায় কিনে আনা গােলাপচারাটি নিম্নমধ্যবিত্তের গােপনে লালিত সৌন্দর্যবিলাসের প্রতীক।
“কিন্তু, পুতবাে কোথায়?” – গোলাপচারা সম্পর্কে কথকের এই মন্তব্য স্পষ্ট করাে।
“কিন্তু, পুঁতবাে কোথায়?”- গােলাপচারা সম্পর্কে এই মন্তব্যের কারণ হল দরিদ্র কথকের কোনােভাবে শুধু মাথাগোঁজার স্থানটুকুই আছে।
গােলাপচারায় ফুল হওয়াকে কবি সে অনেক পরের কথা বলেছেন। এর কারণ কী?
কবি গােলাপচারায় ফুল হওয়াকে সে অনেক পরের কথা বলেছেন, কারণ কথক তথা নিম্নবিত্ত হতদরিদ্র মানুষদের তখন সেই ভবিষ্যৎ সুখের বিষয়ে ভাবার ধৈর্য ছিল না।
বাংলা- একাদশ শ্রেণি
কর্তার ভূত MCQ (একাদশ শ্রেণি)
তেলেনাপােতা আবিষ্কার MCQ (একাদশ শ্রেণি)
ডাকাতের মা MCQ (একাদশ শ্রেণি)
সুয়েজখালে : হাঙ্গর শিকার MCQ (একাদশ শ্রেণি)
গালিলিও MCQ (একাদশ শ্রেণি)
নীলধ্বজের প্রতি জনা MCQ (একাদশ শ্রেণি)
বাড়ির কাছে আরশীনগর MCQ (একাদশ শ্রেণি)
দ্বীপান্তরের বন্দিনী MCQ (একাদশ শ্রেণি)
বিশাল ডানাওয়ালা এক থুরথুরে বুড়াে MCQ (একাদশ শ্রেণি)
‘শিক্ষার সার্কাস’ MCQ (একাদশ শ্রেণি)
“মাঝে মাঝে চলেও না দিন”- এই উক্তির মধ্য দিয়ে কবি কী বােঝাতে চেয়েছেন?
“মাঝে মাঝে চলেও না দিন”- এই উক্তির মধ্য দিয়ে কবি নিম্নবিত্ত হতদরিদ্র মানুষের অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার কথা বােঝাতে চেয়েছেন।
কথকের দুপুররাতে বাড়ি ফেরা কী প্রমাণ করে?
কথকের দুপুররাতে বাড়ি ফেরা প্রমাণ করে, কথককে জীবনধারণের জন্য উদয়াস্ত কঠোর পরিশ্রম করতে হয়।
“আমরা তাে সামান্য লোক”- সামান্য শব্দটি এখানে কীসের প্রতীক?
‘নুন’ কবিতায় ‘সামান্য’ শব্দটি নিম্নবিত্ত হতদরিদ্র মানুষের সামান্য অধিকার রক্ষিত না হওয়ার ক্রোধ ও অভিমানের প্রতীক।
‘নুন’ কবিতায় কবি কাদের কথা তুলে ধরেছেন?
জয় গােস্বামী তার ‘নুন’ কবিতায় দীনদরিদ্র শ্রমজীবী মানুষের কথা তুলে ধরেছেন।
অসুখ করলে তারা কীভাবে দিন কাটায়?
জয় গােস্বামীর নুন কবিতায় দেখা যায়, অসুখ করলে তারা ধারদেনা করে এবং যন্ত্রণা ভুলতে নেশা করে দিন কাটায়।
সবদিন বাজার হয় না কেন তাদের?
জয় গােস্বামীর ‘নুন’ কবিতায় দেখা যায়, নিম্নবিত্ত হতদরিদ্র মানুষদের সবদিন বাজার হয় না কারণ সবদিন ঠিকমতাে কাজ করে উপযুক্ত পারিশ্রমিক মেলে না বা কাজও মেলে না।
গােলাপচারা কিনে আনার অর্থ কী?
গােলাপচারা কিনে আনার অর্থ হল দীনদরিদ্র গরিব মানুষেরও সৌন্দর্যবােধ ও বিলাসিতার শখ আছে, যা তারা সুযােগ পেলেই পূরণ করার চেষ্টা করে।
গােলাপচারা নিয়ে শেষে কী সমস্যার উদ্ভব হয়?
জয় গােস্বামীর নুন কবিতায় দেখা যায়, গরিব মানুষের বসবাসের সামান্য সংস্থানে গােলাপচারা পোঁতবার জন্য উপযুক্ত স্থান পাওয়া যায় না।
গােলাপচারায় ফুল ফুটবে কি না তা নিয়ে সংশয়ের কারণ কী?
গােলাপচারায় ফুল ফুটবে কি না তা নিয়ে সংশয়ের কারণ উপযুক্ত পরিচর্যা করে গােলাপচারা থেকে ফুল ফোটানাের জন্য প্রচুর অবসর সময় চাই, যা গরিব মানুষের নেই।
“সে অনেক পরের কথা”—এখানে কোন্ কথা বলা হয়েছে?
আলােচ্য অংশে গােলাপচারায় ফুল ফোটবার কথা বলা হয়েছে।
‘নুন’ কবিতায় ‘আমরা’ কারা?
জয় গােস্বামীর নুন কবিতায় আমরা বলতে দীনদরিদ্র, গরিব-দুঃখী, যারা অল্পেই খুশি তাদের কথা বলা হয়েছে।
“খেতে বসে রাগ চড়ে যায়”- রাগ চড়ে যাওয়ার কারণ কী?
জয় গােস্বামীর নুন কবিতায় দেখা যায়, যখন রাতদুপুরে বাড়ি ফিরে ঠান্ডা ভাতে একটু নুন পায় না নিম্নবিত্ত হতদরিদ্র মানুষেরা, তখন তাদের রাগ চড়ে যায়।
মাঝে মাঝে এদের দিন চলে না কেন?
জয় গােস্বামীর নুন’ কবিতায় দেখা যায়, মাঝে মাঝে নিম্নবিত্ত হতদরিদ্র মানুষদের অর্থের অভাবে দিন চলে না।
মাথায় রাগ চড়লে বাপব্যাটা কী করে?
জয় গােস্বামীর নুন কবিতায় দেখা যায়, মাথায় রাগ চড়লে বাপব্যাটা মিলে চেঁচিয়ে অশান্তি করে সারাপাড়া মাথায় করে।
“করি তাে কার তাতে কী”—একথা বলার কারণ কী?
গরিব মানুষের অনিয়মিত অশান্তিময় অভাবী জীবন থেকে জন্ম নেওয়া অসংযম এবং অশালীন ঔদ্ধত্যের প্রকাশ ফুটে উঠেছে আলােচ্য উদ্ধৃতিটিতে।
এখানে শুকনাে ভাতের কথা বলা হয়েছে কেন?
জয় গােস্বামীর ‘নুন’ কবিতায় শুকনাে ভাতের কথা বলা হয়েছে কারণ পব্যঞ্জনে সজ্জিত অন্ন গরিবের কাছে স্বপ্নের অতীত।
কবি এই কবিতায় গরিব মানুষের কেবল নুনের চাহিদাকেই তুলে ধরেছেন কেন?
জয় গােস্বামী তার নুন কবিতায় গরিব মানুষের কেবল নুনের চাহিদাকেই তুলে ধরেছেন, কারণ ভাতের সঙ্গে শুধুমাত্র নুনের সংস্থান হলেই গরিবের সুখে দিন চলে যায়।
কবির কথায় তাদের মতাে মানুষের দিন কীভাবে চলে যায়?
কবির কথায় তাদের মতাে মানুষের সাধারণ ভাতকাপড়ে, অসুখে আর ধারদেনাতে অর্থাৎ কষ্টেসৃষ্টে দিন চলে যায়।
কবি বেশি কিছু না চাওয়ার কথা বলেছেন কেন?
হেসেখেলে কষ্ট করে অল্পতেই খুশি থাকার জন্যই কবি বেশি কিছু না চাওয়ার কথা বলেছেন।
কথক কখন বাড়ি ফিরতেন?
রাতে, কখনাে কখনাে দুপুররাতে কবি বাড়ি ফিরতেন।
খেতে বসে কথকের রাগের কারণ কী ছিল?
খেতে বসে ঠান্ডা ভাতে নুন না জুটলে কথকের মাথায় রাগ চড়ে যেত।
ঠান্ডা ভাতে নুন না থাকাকে কীসের প্রকাশ বলে মনে করা যায়?
ঠান্ডা ভাতে নুন না থাকাকে দারিদ্র্যের প্রকাশ বলে মনে করা যায়।
‘নুন’ কবিতার শেষে কবি কীসের ব্যবস্থা করার দাবি জানিয়েছেন?
নুন কবিতার শেষে কবি তাঁর মতাে সাধারণ মানুষের জন্য অন্ততপক্ষে শুকনাে ভাতে একটু লবণের ব্যবস্থা করার দাবি জানিয়েছেন।
‘নুন’ কবিতায় বক্তা গােলাপচারা কিনে এনে কী ভাবেন?
নুন কবিতায় বক্তা গােলাপচারা কিনে এনে ভাবেন যে, সেটি কোথায় পুঁতবেন বা তাতে আদৌ ফুল হবে কি না।
‘নুন’ কবিতার শেষে কবি কী বাসনা জানিয়েছিলেন?
‘নুন’ কবিতার শেষে একজন সামান্য লােক’ হিসেবে কবি তাদের শুকনাে ভাতে যাতে একটু লবণের ব্যবস্থা হয় সেই বাসনা জানিয়েছিলেন।
‘নুন নেই ঠাণ্ডা ভাতে’ জীবনের কোন সত্যকে স্পষ্ট করে?
নুন নেই ঠাণ্ডা ভাতে কথাটির দ্বারা নিম্নবিত্ত মানুষদের জীবনের দারিদ্র্য আর অসহায়তার কথা বলা হয়েছে।
“ফুল কি হবেই তাতে?”- বক্তার এই সংশয়ের কারণ কী?
বক্তার এই সংশয়ের কারণ তাদের অসহায় দরিদ্র-জীবনে সঠিকভাবে গােলাপচারাকে পরিচর্যা করার সুযােগ বা সময় নেই।
“আমি তার মাথায় চড়ি”— কবি কার মাথায় চড়েন এবং কেন?
কবি রাগের মাথায় চড়েন কারণ রাতে বাড়ি ফিরে ঠান্ডা ভাতে নুনটুকুও না পেয়ে কবি সংযম হারান।
“চলে যায় দিন আমাদের”- দিন কীভাবে চলে যায়?
বক্তার দিন চলে যায় অসুখে এবং ধারদেনাতে, আর রাত্তিরে গঞ্জিকা সেবনের মধ্য দিয়ে।
“বাড়িতে ফেরার পথে কিনে আনি গােলাপাচারা”- বক্তা কেন গোলাপ চারা কিনে আনেন?
নিম্নবিত্ত মানুষরা অনেক অভাবের মধ্যেও তাদের শখ পূরণের জন্য গােলাপচারা কিনে আনে।
“বাপব্যাটা দু’ভাই মিলে সারা পাড়া মাথায় করি”- কেন তাদের এমন ব্যবহার?
গভীর রাতে বাড়ি ফিরে যখন ঠান্ডা ভাতে নুনটুকুও পাওয়া যায় না তখন রাগ অনিয়ন্ত্রিত হয়ে বাপব্যাটা সারা পাড়া মাথায় করে।
Leave a comment