ভূমিরূপের পুনর্যৌবন লাভের ফলে নদীর দৈর্ঘ্য বরাবর মৃদু পুরাতন ঢাল ও নতুন খাড়া ঢালের সৃষ্টি হয়। এই দুই ঢালের সংযােগ বিন্দুতে যে খাঁজের সৃষ্টি হয়, তাই হল নিক বিন্দু।
1899 খ্রিস্টাব্দে ভূমিরূপ-বিজ্ঞানী ডাব্লিউ. এম. ডেভিস প্রথম স্বাভাবিক ক্ষয়চক্রের ধারণা প্রদান করেন। এই ধারণা অনুযায়ী, উত্থিত কোনাে ভূমিরূপ নদীর ক্ষয়কার্যের মাধ্যমে প্রাথমিক অবস্থা থেকে নির্দিষ্ট ক্রম অনুসারে যৌবন, পরিণত অবস্থার মধ্য দিয়ে বার্ধক্য বা শেষ অবস্থায় পৌঁছায়। ডেভিস এই যে স্বাভাবিক ক্ষয়চক্রের ধারণা দিয়েছেন অনেক ক্ষেত্রেই তার বাস্তবতা অসম্ভব। কারণ一
-
স্বাভাবিক ক্ষয়কার্যের ধারণা অনুযায়ী ভূমিভাগের উত্থান শেষ হওয়ার পরেই ক্ষয়কার্য শুরু হবে। কিন্তু বাস্তব ক্ষেত্রে দেখা যায় উত্থান ও ক্ষয় একই সাথে চলতে থাকে।
-
ডেভিসের মতে ক্ষয়চক্র সম্পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত ভূমিভাগ সুস্থির থাকবে। কিন্তু দীর্ঘমেয়াদি এই ক্ষয়চক্রের মাঝে একাধিকবার ভূমির উত্থান ঘটে।
-
হ্যাক-এর গতিশীল ভারসাম্য ধারণা অনুযায়ী স্বাভাবিক ক্ষয়চক্রের বাস্তবতা নেই। ক্ষয়কারী শক্তি ও ভূমির গঠন অনুসারে বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন ভূমিরূপ সৃষ্টি হয়।
-
ডেভিসের মতে একটি নির্দিষ্ট ক্রম এবং পর্যায় বা অবস্থা অনুসারে ভূমিরূপ বিবর্তিত হবে অর্থাৎ ভূমিরূপের বিকাশ সময় দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। কিন্তু পেঙ্ক এবং হ্যাকের মতে সময় নয়, উত্থানের সাথে সংগতি রেখে ভূমিভাগের বিকাশ ঘটে।
বাজাদার বৈশিষ্ট্য
-
পেডিমেন্টের সম্মুখভাগে অবনমিত অংশে জলধারা বাহিত বিভিন্ন আকৃতির শিলাখণ্ড, নুড়ি, কাঁকর, বালি, পলি ও কাদা প্রভৃতি সঞ্চিত হয়ে বাজাদা সৃষ্টি হয়।
Leave a comment