নাগরিকতা অর্জনের দুটি পদ্ধতি: কোন রাষ্ট্রে বসবাস করলেই তার নাগরিক হওয়া যায় না। নাগরিকতা হল একটি বিশেষ মর্যাদা। এ মর্যাদা একজন মানুষ দু’ভাবে অর্জন করতে পারে : (ক) জন্ম-সূত্রে (by birth) নাগরিকতা অর্জন এবং (খ) অনুমোদন দ্বারা (by naturalisation) নাগরিকতা অর্জন। জন্মসূত্রে এই মর্যাদা অর্জন করাই হল নাগরিকত্ব অর্জনের স্বাভাবিক পদ্ধতি। তাই নাগরিকতা জন্মসূত্রে অর্জিত হলে তাঁকে স্বাভাবিক নাগরিক (natural-born) বলা হয়। অপরদিকে অনুমোদনের দ্বারা এই মর্যাদা লাভ হল নাগরিকত্ব অর্জনের কৃত্রিম উপায়। এই পদ্ধতিতে যারা নাগরিক হয়, তাদের অনুমোদনসিদ্ধ (naturalised) নাগরিক বলে।
(ক) জন্মসূত্রে নাগরিকতা অর্জন:
জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব অর্জনের আবার দুটি নীতি আছে। এই দুটি নীতি হল:
(১) রক্তের সম্পর্ক নীতি: শিশু যেখানেই জন্মগ্রহণ করুক না কেন, রক্তের সম্পর্ক নীতি অনুসারে সে তার পিতার রাষ্ট্রের নাগরিকতা পাবে। তার মাতাপিতা যে রাষ্ট্রের নাগরিক, সন্তানও জন্মস্থান নির্বিশেষে সেই রাষ্ট্রের নাগরিক হবে। এই নীতি অনুসারে কোন সুইস নাগরিকের সন্তান ইংল্যাণ্ডে ভূমিষ্ঠ হলেও সে সুইজারল্যাণ্ডের নাগরিক হিসাবে গণ্য হবে। সুইডেন, সুইজারল্যাণ্ড প্রভৃতি রাষ্ট্রে নাগরিকতা নির্ধারণের ক্ষেত্রে এই নীতিটি মেনে চলা হয়। নাগরিকতা নির্ধারণের ব্যাপারে রক্তের সম্পর্ক নীতি কিছুটা প্রাচীন। এই নীতিতে নাগরিকতার ব্যাপারে ব্যক্তির ইচ্ছার জায়গায় রাষ্ট্রের ইচ্ছা প্রাধান্য পায়। এই নীতি প্রাচীনকালে গ্রীস ও রোমে অনুসৃত হত।
(২) জন্মস্থান নীতি: শিশু যে দেশে জন্মগ্রহণ করবে, জন্মস্থান নীতি অনুসারে সেই দেশেরই নাগরিকত্ব পাবে। মাতাপিতা যে রাষ্ট্রেরই নাগরিক হোক না কেন, সন্তান যে রাষ্ট্রে জন্মগ্রহণ করবে, সেই রাষ্ট্রের নাগরিক হিসাবে গণ্য হবে। এই নীতি অনুসারে বাংলাদেশের কোন দম্পত্তির সন্তান আর্জেন্টিনায় ভূমিষ্ঠ হলে সে আর্জেন্টিনার নাগরিকত্ব পাবে। অর্থাৎ জন্মস্থান অনুযায়ী নাগরিকত্বের প্রশ্নের মীমাংসা হবে। রোমান আইন এই নীতির প্রধান সমর্থক। নাগরিকতা নির্ধারণের ক্ষেত্রে জন্মস্থান নীতির প্রয়োগ বিশেষভাবে আর্জিণ্টিনায় দেখা যায়। তবে পররাষ্ট্রদূতদের সন্তানের নাগরিকত্বের ব্যাপারে জন্মস্থান নীতি প্রযুক্ত হয় না। এই নীতি অনুসারে নাগরিকত্ব নির্ধারণের ক্ষেত্রে কোন বিশেষ দেশের পতাকা সমন্বিত জাহাজকেও ঐ দেশের ভূখণ্ডের অংশ হিসাবে গণ্য করা হয়। কোন ভারতীয় দম্পতির সন্তান ইংল্যাণ্ডের কোন জাহাজে বা বিমানে জন্মগ্রহণ করলে, জন্মস্থান নীতি অনুসারে সে ব্রিটিশ নাগরিকত্ব পাবে। কোন স্ত্রীলোক যে রাষ্ট্রেরই নাগরিক হোক, বিবাহের পর সে স্বামীর নাগরিকত্ব পাবে।
নীতি দু’টির ত্রুটি: নাগরিকতা নির্ধারণের ক্ষেত্রে রক্তের সম্পর্ক নীতি এবং জন্মস্থান নীতি ত্রুটিমুক্ত নয়। রক্তের সম্পর্ক নীতিতে বংশপ্রাধান্য (Rule of heredity) এবং জন্মস্থান নীতিতে আঞ্চলিক প্রাধান্য (territorial supremacy) পরিলক্ষিত হয়। এই নীতি দুটির কোনটিই নাগরিকতা নির্ধারণের ব্যাপারে বিজ্ঞানসম্মত নয়। রক্তের সম্পর্ক নীতি নাগরিকতা নির্ধারণের ক্ষেত্রে অনিশ্চয়তা দোষে দুষ্ট। সব সময় পিতার জাতীয়তা নির্ধারণ করা সহজ নয়। তাই এই নীতির সাহায্যে নাগরিকতা নির্ধারণের প্রশ্নে অসুবিধা দেখা দেয়। আবার জন্মস্থান নীতিটি অযৌক্তিক ও অবৈজ্ঞানিক। কোন ভারতীয় নাগরিকের তিনটি সন্তান যদি তিনটি দেশে জন্মগ্রহণ করে, তা হলে এই নীতি অনুসারে সন্তান তিনটি ভিন্ন ভিন্ন তিনটি রাষ্ট্রের নাগরিক হবে। সন্তানের জন্মগ্রহণের ক্ষেত্রে স্থানের ব্যাপারটা আকস্মিক বিষয়; জন্মস্থান নীতিতে সেই আকস্মিক বিষয়ই গুরুত্ব পায়। এই কারণে নীতিটি অবাস্তব।
দ্বৈত নাগরিকতার সমস্যা: নাগরিকতা নির্ধারণের ক্ষেত্রে রক্তের সম্পর্ক ও জন্মস্থান দুটি নীতিই ত্রুটিযুক্ত। এই কারণে বর্তমানে অধিকাংশ রাষ্ট্রেই উভয় নীতিই অনুসৃত হয়। ভারতে দুটি নীতিই স্বীকৃত। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইংল্যাণ্ড প্রভৃতি দেশেও উভয় নীতিকে মেনে চলা হয়। এর ফলে অনেক সময় দ্বি-নাগরিকত্বের সমস্যা (double nationality) দেখা দেয়। যেমন, কোন প্রবাসী ভারতীয় দম্পত্তির সন্তান যদি ইংল্যাণ্ডে জন্মগ্রহণ করে তা হলে রক্তের সম্পর্ক নীতি অনুসারে সেই সন্তান ভারতের নাগরিক। আবার জন্মস্থান নীতি অনুসারে সে ইংল্যাণ্ডের নাগরিক। কিন্তু কোন ব্যক্তি একই সময়ে একাধিক রাষ্ট্রের নাগরিক হতে পারে না। একে দ্বি-নাগরিকত্ব বা দ্বি-জাতি সমস্যা বলে। এক্ষেত্রে শিশু প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত তার নাগরিকত্বের প্রসঙ্গে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় না। প্রাপ্তবয়স্ক হলে তাকে যে কোন একটি রাষ্ট্রের নাগরিকত্ব বেছে নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়। এভাবে দ্বি-নাগরিকত্বের সমস্যার সমাধান করা হয়।
দ্বৈত নাগরিকতার সমাধান: অন্যান্য উপায়েও দ্বৈত নাগরিকতার সমস্যার সমাধান হয়ে থাকে। (ক) অনেক রাষ্ট্রের নাগরিকতা আইনের বিধান অনুসারে, নাগরিক তার জন্মস্থানের নাগরিকতা স্বেচ্ছায় ত্যাগ করতে এবং অন্য কোন রাষ্ট্রের নাগরিকতা গ্রহণ করতে পারে। ভারতের নাগরিকতা আইনে এ সুযোগ স্বীকৃত। (খ) শিশুর বসবাস, লেখাপড়া সাধারণতঃ প্রথম থেকেই একটি রাষ্ট্রে সম্পন্ন হয়। অর্থাৎ সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রের নাগরিকতার পরিচয়ে সে মানুষ হয়। আন্তর্জাতিক আইনে এ ধরনের নাগরিকতাকে ‘কার্যকর নাগরিকতা’ (effective citizenship) বলে। (গ) তা ছাড়া চুক্তির মাধ্যমে দুটি রাষ্ট্র দ্বৈত নাগরিকতার সমস্যার স্থায়ী সমাধানের ব্যবস্থা করতে পারে।
কোন নীতিটি গ্রহণযোগ্য?: নাগরিকতা নির্ধারণের ক্ষেত্রে রক্তের সম্পর্ক ও জন্মস্থান—এ দুটি নীতির মধ্যে কোন্ নীতিটি গ্রহণযোগ্য এ বিষয়ে প্রশ্ন উঠে। এই নীতি দুটির কোনটিই পুরোপুরি ত্রুটিমুক্ত নয়। তবে অনেকের মতে রক্তের সম্পর্ক নীতিটিই প্রাচীন এবং বিজ্ঞানসম্মত। এই নীতির সমর্থনে বলা হয় যে, রক্তের সম্পর্ক নীতি সুনির্দিষ্ট, সুস্পষ্ট ও জটিলতামুক্ত। ভ্রাম্যমান দম্পতির সন্তান বিভিন্ন দেশে জন্মগ্রহণ করলে তাদের নাগরিকত্বের ব্যাপারে জন্মস্থান নীতি অনুসারে যে সমস্যার সৃষ্টি হয়, রক্তের সম্পর্ক নীতি অনুসারে তা হয় না। মানুষের রক্তের সম্পর্ক ধ্রুব, কিন্তু জন্মস্থানের ব্যাপারে স্থিরতা নাও থাকতে পারে।
(খ) অনুমোদনের দ্বারা নাগরিকতা অর্জন
অনুমোদনসিদ্ধ পদ্ধতি: অনুমোদনের দ্বারা বা কৃত্রিম উপায়েও রাষ্ট্রের নাগরিকত্ব অর্জন করা যায়। কোন রাষ্ট্রের নাগরিক অন্য কোন রাষ্ট্রের নাগরিকতা লাভের জন্য সেই রাষ্ট্রের কাছে আবেদন করতে পারে। সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্র সেই আবেদন মঞ্জুর করলে বা অনুমোদন করলে আবেদনকারী সেই রাষ্ট্রের নাগরিকত্ব পায়। নাগরিকতা অর্জনের এই পদ্ধতিকে অনুমোদনসিদ্ধ পদ্ধতি বলে।
ব্যাপক ও সংকীর্ণ অর্থে অনুমোদন: অনুমোদন ব্যাপক ও সঙ্কীর্ণ উভয় অর্থে হতে পারে। ব্যাপক অর্থে অনুমোদন-সিদ্ধ নাগরিক হওয়ার জন্য রাষ্ট্রের কাছে আবেদন করার দরকার হয় না। সরকারী চাকরি গ্রহণ, সম্পত্তি ক্রয়, বিবাহ, সৈন্যবাহিনীতে যোগদান প্রভৃতি যে-কোন একটি উপায় অবলম্বন করে সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রের নাগরিক হওয়া যায়। যেমন, কোন জাপানী স্ত্রীলোককে বিয়ে করলেই যে কোন বিদেশী জাপানের নাগরিকত্ব পেতে পারে। এক্ষেত্রে কোন আনুষ্ঠানিক অনুমোদনের প্রয়োজন হয় না। কিন্তু সংকীর্ণ অর্থে, অনুমোদনসিদ্ধ নাগরিক হতে গেলে নির্দিষ্ট শর্তাদি পালন করার পর রাষ্ট্রের কাছে আবেদন করতে হয় এবং আনুষ্ঠানিক সরকারী স্বীকৃতির প্রয়োজন হয়। এই সমস্ত শর্তের মধ্যে স্থায়ীভাবে বসবাসের শর্ত (Lex domicili) – ই অধিক গুরুত্বপূর্ণ। আবেদনকারী যে রাষ্ট্রের নাগরিক হতে চায়, তাকে সেই রাষ্ট্রে একটা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য বসবাস করতে হবে। তা ছাড়া অঙ্গীকার ও কাজের দ্বারা আজীবন বসবাসের ইচ্ছা প্রমাণ করতে হবে। তবে নির্দিষ্ট সময় বলতে একনাগাড়ে কতদিনের বসবাসকে বোঝাবে, সে বিষয়ে সকল রাষ্ট্রের নিয়ম একরকম নয়। ভারতে আবেদনকারীকে অন্তত চার বছর স্থায়ীভাবে বসবাস করতে হয় বা ঐ সময়ের জন্য ভারত রাষ্ট্রের চাকরিতে নিযুক্ত থাকার কথা প্রমাণ করতে হয়। ফ্রান্সে আবেদনকারীকে দশ বছর স্থায়ীভাবে বসবাস করতে হয়। তা ছাড়া সচ্চরিত্র, সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রে রাষ্ট্রভাষার জ্ঞান প্রভৃতিও শর্ত হিসেবে পূরণ করতে হয়। ভারত, ইংল্যাণ্ড প্রভৃতি দেশে এই সংকীর্ণ অর্থেই ‘অনুমোদন’ শব্দটি প্রয়োগ করা হয়।
জন্মসূত্রে ও অনুমোদনসিদ্ধ নাগরিকের মধ্যে পার্থক্য: অনুমোদনসিদ্ধ পদ্ধতিতে নাগরিকতা অর্জনের ক্ষেত্রে নাগরিকতার পরিবর্তন ঘটে। আবেদনকারী তার আগের রাষ্ট্রের নাগরিকত্ব এবং সেই রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্য ত্যাগ করে। সে নতুন রাষ্ট্রের প্রতি তার আনুগত্যের অঙ্গীকার ঘোষণা করে। আগের রাষ্ট্র কর্তৃক প্রদত্ত সকল অধিকার ত্যাগ করে নাগরিক নতুন রাষ্ট্রের অধিকারসমূহ অর্জন করে।
অধিকাংশ দেশে জন্মসূত্রে নাগরিক ও অনুমোদনসিদ্ধ নাগরিকের মধ্যে সাধারণতঃ কোন পার্থক্য করা হয় না। ভারতেও এই নীতি মেনে চলা হয়। ভারত, গ্রেট ব্রিটেন প্রভৃতি দেশে অনুমোদনসিদ্ধ নাগরিকতা পূর্ণ নাগরিকতা হিসাবে স্বীকৃত। এই সমস্ত দেশে সামাজিক ও রাজনীতিক অধিকার ভোগের ক্ষেত্রে জন্মসূত্রে ও অনুমোদনসিদ্ধ নাগরিকের মধ্যে কোন পার্থক্য করা হয় না। কিন্তু কোন কোন দেশে এই দুই শ্রেণীর নাগরিকের মধ্যে পার্থক্য করা হয়। যেমন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কোন অনুমোদনসিদ্ধ নাগরিক রাষ্ট্রপতি বা উপ রাষ্ট্রপতির পদপ্রার্থী হতে পারে না। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, বেলজিয়াম প্রভৃতি দেশে অনুমোদনসিদ্ধ নাগরিক পূর্ণ নাগরিক নয়। এরা হল আংশিক বা অপূর্ণাঙ্গ (partial or incomplete) নাগরিক। এই সমস্ত দেশে সামাজিক ও রাজনৈতিক অধিকার ভোগের ক্ষেত্রে জন্মসূত্রে নাগরিকগণ অনুমোদনসিদ্ধ নাগরিকদের তুলনায় অধিক মর্যাদা ও সুযোগ-সুবিধার অধিকারী।
সমষ্টিগত অনুমোদন: নাগরিকতা অর্জনের ক্ষেত্রে সমষ্টিগত অনুমোদন ( group naturalisation) হল আর একটি পদ্ধতি। কোন একটি অঞ্চল বা দেশ রাষ্ট্রের অন্তর্ভুক্ত হলে সেই অঞ্চল বা দেশের অধিবাসীরা সমষ্টিগত অনুমোদনের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রের নাগরিকত্ব লাভ করে। ভারত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইংল্যাণ্ড প্রভৃতি দেশে এই নিয়ম প্রচলিত আছে। এক্ষেত্রে ভারত কর্তৃক গোয়া, দিউ, দমন—এই তিনটি পর্তুগীজ উপনিবেশ দখল এবং সমষ্টিগত অনুমোদনের দ্বারা অধিবাসীদের ভারতের নাগরিকতা প্রদান উদাহরণ হিসাবে উল্লেখযোগ্য।
নাগরিকতার বিলোপ
কোন নাগরিক বিভিন্ন কারণে তার রাষ্ট্রের নাগরিকত্ব হারাতে পারে। কতকগুলি শর্ত পূরণ করলে তবে একটি রাষ্ট্রের নাগরিকতা অর্জন করা যায়। অনুরূপভাবে নাগরিকতা রক্ষার জন্যও কতকগুলি শর্ত মেনে চলতে হয়। তা না হলে নাগরিকতার বিলোপ ঘটে। নানা কারণে নাগরিকতার বিলোপ ঘটতে পারে।
-
(১) অপর রাষ্ট্রের নাগরিকত্ব গ্রহণ করলে নিজ রাষ্ট্রের নাগরিকত্ব লোপ পায়। কারণ কোন ব্যক্তি একই সময়ে একাধিক রাষ্ট্রের নাগরিক থাকতে পারে না। তবে একে নাগরিকতার বিলোপ না বলে, নাগরিকতার পরিবর্তন বলা উচিত।
-
(২) বিদেশীর সঙ্গে বিবাহিত স্ত্রীলোক নিজের নাগরিকত্ব হারিয়ে স্বামীর নাগরিকত্ব পায়। এও হল নাগরিকতার পরিবর্তন।
-
(৩) কোন কোন রাষ্ট্রে পররাষ্ট্র কর্তৃক প্রদত্ত উপাধি গ্রহণ করলে ব্যক্তিকে নিজ রাষ্ট্রের নাগরিকত্ব হারাতে হয়। ভারতে এই নিয়ম আছে।
-
(৪) অপর কোন রাষ্ট্রের অধীনে সরকারী চাকরি নিলে অনেক ক্ষেত্রে নিজ রাষ্ট্রের নাগরিকত্ব হারাতে হয়।
-
(৫) আবার নিজ দেশ থেকে দীর্ঘকাল অনুপস্থিত থাকলে নাগরিকতা বিলুপ্ত হয়।
-
(৬) যুদ্ধের সময় সৈন্যদল থেকে পলায়ন করলে বা বিদেশের সেনাবাহিনীতে যোগ দিলে নিজ দেশের নাগরিকত্ব বিলুপ্ত হয়।
-
(৭) কোন কোন রাষ্ট্রে আবার গুরুতর অপরাধে দণ্ডিত নাগরিককে তার নাগরিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়।
-
(৮) আবার দেশদ্রোহিতার অপরাধেও কোন ব্যক্তির নাগরিকতার বিলুপ্তি ঘটতে পারে।
যাই হোক, নাগরিকতার বিলোপের ব্যাপারে সব দেশের নিয়মকানুন একরকম নয়। এ ব্যাপারে বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন রকম নিয়মকানুন দেখা যায়।
Leave a comment