উত্তরঃ নতুন লোক প্রশাসনে এমন কোন তত্ত্ব নেই যে এ ব্যাপারে এ মতবাদের সকল প্রবক্তা একমত হতে পেরেছেন। বরং এর কেন্দ্রীয় বিষয়বস্তু এবং প্রধান বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে তাদের মধ্যে মতানৈক্য সৃষ্টি হয়েছে।
গোলবিওয়াসকি (Golembiewsky) তিনটি বিরোধী লক্ষ্য (যা তারা প্রত্যাখান করেছেন) এবং পাঁচটি লক্ষ্যের (যা অর্জনে আগ্রহী) কথা উল্লেখ করেছেন। বিরোধী লক্ষ্যগুলো (Anti- goals) হচ্ছে-
প্রথমত, লোক প্রশাসনে প্রকাশনা দৃষ্টবাদ বিরোধী (Anti-positivist)। একথার তিনটি অর্থ রয়েছে। (ক) মূল্যবোধমুক্ত লোকপ্রশাসনের সংজ্ঞা তারা প্রত্যাখ্যান করেছেন, (খ) মানবজাতি সম্পর্কে যুক্তিবাদ ও নির্ধারণবাদ ধারণা প্রত্যাখ্যান করেছেন, (গ) লোক প্রশাসনের সংজ্ঞা যা যথাযথভাবে নীতি প্রণয়নের সাথে সংশ্লিষ্ট নয় তাও প্রত্যাখ্যান করেছেন। (যেমন প্রত্যাখ্যান করেছেন রাজনীতি ও প্রশাসন বিভাজন)।
দ্বিতীয়ত, বিরোধী লক্ষ্য হলো, লোক প্রশাসন কারিগরি পদ্ধতি বিরোধী। এর অর্থ হচ্ছে মানুষকে কেবল যন্ত্র বা ব্যবস্থা পদ্ধতির যুক্তির নিকট বলি দেয়া যায় না ৷
তৃতীয়ত, লক্ষ্য নতুন লোক প্রশাসন কমবেশি আমলাতন্ত্র ও পদসোপান তত্ত্ব বিরোধী।
গোলবিওয়াসকি (Golembiewsky) ইতিবাচক দৃষ্টিকোণ থেকে নতুন লোক প্রশাসনের পাঁচটি উদ্দেশ্য বা বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করেছেন এবং এগুলো হলো নিম্নরূপ-
১। নৈতিক দিক থেকে পূর্ণাঙ্গতা অর্জনঃ নতুন লোক প্রশাসন মতবাদ অনুযায়ী মানবজাতি নৈতিক দিক থেকে পূর্ণাঙ্গতা অর্জনে প্রভূত সম্ভাবনার অধিকারী। এ ধারণা মানুষকে কমবেশি উৎপাদনের স্থবির কারণ হিসেবে গণ্য করার পরিপন্থী।
২। মূল্যবোধ ও নৈতিকতাঃ ব্যক্তি এবং সংগঠনের মূল্যবোধ এবং নৈতিকতা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার উপর এ মতবাদ গুরুত্ব আরোপ করে। উইল বেমের মতে, নতুন লোক প্রশাসন প্রশাসনিক প্রচেষ্টার কাঠামো ও প্রক্রিয়ার মধ্যে স্পষ্ট এবং এর উদ্দেশ্য ও লক্ষ্যের উপর গুরুত্ব আরোপ করে এবং এ লক্ষ্যনৈতিক ভিত্তিতে সচেতন ও স্বপ্রণোদিত হয়ে নির্বাচন করা হয় ৷
৩। সামাজিক ন্যায়বিচারঃ এ মতবাদের প্রবক্তাগণ মানবজাতি বিকাশে সামাজিক ন্যায়বিচারকে একটি গুরুত্বপূর্ণ বাহন মনে করেন এবং সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠাই লোক প্রশাসনের উদ্দেশ্য হওয়া উচিত। সামাজিক ন্যায়বিচার বলতে সমাজে অবহেলিত, মৌল প্রয়োজন থেকে বঞ্চিত গোষ্ঠীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের জন্য লোক প্রশাসনকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। লোক প্রশাসনকে অবশ্য আর্থ-সামাজিক পরিবর্তনের সক্রিয় উদ্যোগী হতে হবে।
৪। যুক্তিভিত্তিকঃ নতুন লোক প্রশাসন দৃঢ়ভাবে যুক্তিভিত্তিক। এ প্রশাসনের সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গ যারা সেবাগ্রহীতা বলে গণ্য তাদের উপর যথেষ্ট গুরুত্ব আরোপ করা হয়। সেবাগ্রহীতাদের কেবল পণ্যদ্রব্য সরবরাহ বা সেবা প্রদানের মাধ্যমেই প্রয়োজন মিটালেই চলবে না, কখন কি এবং কিভাবে এসব বিতরণ করা হবে এ সম্পর্কে ‘সিদ্ধান্ত প্রণয়ন প্রক্রিয়ায়’ তাদের অংশগ্রহণের সুযোগ প্রদান করতে হবে।
৫। উদ্ভাবন এবং পরিবর্তনঃ নতুন লোক প্রশাসন ‘উদ্ভাবন এবং পরিবর্তনের’ উপর বিশেষ গুরুত্ব দেয়।
উপরোক্ত আলোচনার প্রেক্ষিতে এটি সুস্পষ্ট যে, নতুন লোক প্রশাসনের চারটি মৌল বৈশিষ্ট্য রয়েছে এবং এগুলো হলো প্রাসঙ্গিকতা, মূল্যবোধ, সামাজিক ন্যায়বিচার এবং পরিবর্তন। নিচে এগুলো অর্থবহুল বর্ণনা দেয়া হলো-
(ক) প্রাসঙ্গিকতাঃ সনাতনভাবে লোক প্রশাসন সমাজ ব্যবস্থাকে টিকিয়ে রাখার একটি প্রক্রিয়া বা যন্ত্র হিসেবে পরিগণিত। সেদিক থেকে প্রশাসনের লক্ষ্য ছিল কেবল দক্ষতা ও মিতব্যয়িতা অর্জন। এ নতুন লোক প্রশাসন আন্দোলনের সমর্থকগণ চিন্তা করে দেখলেন যে, সাম্প্রতিক সমস্যা ও বিষয়াদি সম্পর্কে লোক প্রশাসনের ভূমিকা খুব নগণ্য। ব্যবস্থাপনাকেন্দ্রিক লোক প্রশাসনের পাঠ্যক্রমকে. অপ্রাসঙ্গিক বলে বিবেচনা করা হয় এবং প্রশাসনিক কার্যাদির যে রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক তাৎপর্য রয়েছে সেদিকে প্রশাসনকে প্রকাশ্যভাবে তৎপর বা কর্মমুখর করে তোলার জন্য দাবি উত্থাপিত হয়। এ ‘প্রাসঙ্গিকতার’ আর একটি দিক লোক প্রশাসন বিষয়ে ‘জ্ঞানের প্রকৃতি ও ধরনের’ সাথেও সম্পর্কিত। প্রশ্ন যেটি উঠেছিল সেটি হলোঃ লোক প্রশাসনের জ্ঞান কিসের জন্য? লোক প্রশাসনের উদ্দেশ্য কি রাজনৈতিক ক্ষমতা শাশ্বতকরণের লক্ষ্যে প্রশাসনিক জ্ঞানের ব্যবহারকে সহজলভ্য করা? এ প্রসঙ্গে মিনোব্রুক সম্মেলনে যে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্থাপিত হয়েছিল।
এ সকল প্রশ্ন নিঃসন্দেহে খুব বিরক্তকর এবং লোক প্রশাসনের সনাতন অবস্থার জন্য চ্যালেঞ্জস্বরূপ। এ নতুন আন্দোলন লোক প্রশাসনের পাঠ্যক্রমে আমূল পরিবর্তন অত্যাবশ্যক।
(খ) মূল্যবোধ (Value): নতুন লোক প্রশাসন চিন্তাগোষ্ঠী প্রশাসনিক বিশ্লেষণে নীতিশাস্ত্রের প্রয়োগ প্রকাশ্যভাবে ঘোষণা করেন। রাষ্ট্রবিজ্ঞানে আচরণবাদীরা এবং ব্যবস্থাপনাকেন্দ্রিক লোক প্রশাসন বিশারদগণ লোক প্রশাসনে যে মূল্যবোধ নিরপেক্ষ অবস্থান নিয়েছেন তা সরাসরিভাবে প্রত্যাখ্যান করেন নতুন লোক প্রশাসন সমর্থকগণ। নতুন লোক প্রশাসন মতবাদ সমর্থকদের মতে মূল্যবোধ নিরপেক্ষ প্রশাসন অসম্ভব এবং তাদের মতে সমাজে অবহেলিত ও বঞ্চিত জনসমষ্টির আশা-আকাঙ্ক্ষা, অভাব, অভিযোগের আবেদন এ নতুন প্রশাসন কর্তৃক তুলে ধরা প্রয়োজন। প্রশাসনিক কার্য পদক্ষেপের মাধ্যমে কি মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠা বা কার্যকরণ হচ্ছে সে সম্পর্কে এ মতবাদের সমর্থকমুক্ত আলোচনা করতে প্রয়াসী, কেননা সেক্ষেত্রে প্রকৃত প্রশাসনের ‘নিরপেক্ষ অবস্থানের’ মুখোশ উন্মোচিত হবে এবং প্রশাসনিক কার্যপদক্ষেপ ও ফলাফলের তাৎপর্য মূল্যায়ন ত্বরান্বিত হবে। এ মতবাদের একজন প্রবক্তা নতুন লোক প্রশাসন সম্পর্কে মন্তব্য করেন যে, এ প্রশাসন পরিধি “কম ব্যাপক’ এবং সনাতন লোক প্রশাসনের চেয়ে বেশি ‘জনমুখী’, ‘কম বর্ণনাত্মক’ এবং বেশি ‘নির্দেশমূলক’, ‘কম প্রতিষ্ঠানকেন্দ্রিক’ এবং ‘বেশি সেবাগ্রহীতাকেন্দ্রিক’, ‘কম নিরপেক্ষ এবং বেশি নীতিসম্মত’ এবং আশা করা যাচ্ছে যে এটি কোন অংশে কম বিজ্ঞানসম্মত নয়।
(গ) সামাজিক ন্যায়বিচার (Social Justice): এ মতবাদের মতে লোক প্রশাসনের মৌল বিষয় হলো সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠাকল্পে প্রশাসনিক সেবার বিতরণ। এ দৃষ্টিকোণ থেকে প্রশাসনের এ দর্শন নব বেন্থামপন্থীর অতি কাছাকাছি অবস্থান নিচ্ছে। এ প্রবক্তাদের মতে, সরকারি সংগঠনের উদ্দেশ্য হলো সংগঠনের ভেতরে ও বাইরে অবস্থিত জনগোষ্ঠীর আর্থ-সামাজিক ও মনস্তাত্ত্বিক দুর্দশা হ্রাস করা ও জীবনের সুযোগ সুবিধা বাড়িয়ে তোলা। ফ্রেডারিকসন (Frederickson) আরো এক পদক্ষেপ এগিয়ে সামাজিক ন্যায়বিচার লক্ষ্যে এক সাহসী দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করেছেন। তার মতে, যে প্রশাসন পরিবর্তন আনতে ব্যর্থ হয়েছে সে প্রশাসন সংখ্যালঘুদের উৎপীড়ন করার জন্য ব্যবহৃত হতে পারে। ফ্রেডারিকসন (Frederickson) মনে করেন, সরকারি কর্মকর্তাগণ যে সেবা প্রদান করেন তাতে নাগরিকের মর্যাদাভিত্তিক তারতম্য পরিলক্ষিত হয়। যেসব নাগরিক আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক মর্যাদার অধিকারী তারা সরকার থেকে অধিকতর সেবা ও সুযোগ ভোগ করবেন। কিন্তু নতুন প্রশাসন সমর্থকদের মতে লোক প্রশাসন প্রবলনৈতিকতার অনুশাসনে পরিচালিত হবে এবং নাগরিকভেদে সেবা প্রদানের তারতম্যমূলক মনোভাব অবশ্যই পরিহার করতে হবে। সরকারি কর্মকর্তাদের নিরপেক্ষতার মেকি মুখোশকে খুলে ফেলতে হবে। সমাজে অসহায়, বঞ্চিত এবং অপেক্ষাকৃত কম সুযোগ সুবিধার অধিকারী গোষ্ঠী বা শ্রেণীর স্বার্থ আদায় ও সংরক্ষণের জন্য আর্থ-সামাজিক এবং অন্য যেসব কর্মসূচি রয়েছে তা বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে তাদের স্ববিবেচনামূলক ক্ষমতা ব্যবহার করা উচিত। নিগ্রো এবং নিগ্রো (Nigro and Nigro) এ প্রশাসনকে সেবা গ্রহীতাকেন্দ্রিক প্রশাসন’ (Client Focused Administration) বলে আখ্যায়িত করেছেন এবং এরূপ প্রশাসনে অধিকতর কার্যকরী এবং মানবিক দৃষ্টি নিয়ে সরকারকে সেবা প্রদানের জন্য প্রশাসনে বি-আমলাতান্ত্রিক, গণতান্ত্রিক সিদ্ধান্ত প্রণয়ন এবং প্রশাসনিক প্রক্রিয়ার বিকেন্দ্রীকরণ প্রভৃতি গ্রহণ করতে হবে। লোক প্রশাসনকে সমাজের অন্যায় রহিত এবং সামাজিকভাবে বঞ্চিত জনসমষ্টির পাশে এসে দাঁড়াতে হবে।
(ঘ) পরিবর্তন (Change): সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করতে হলে সামাজিক পরিবর্তন সূচনার জন্য সচেতনতার সাথে কাজ করতে হবে এবং এ পরিবর্তন ও নতুন সৃষ্টি এ দুটি হবে নতুন প্রশাসনের উদ্দেশ্য। স্থায়ী প্রতিষ্ঠানগুলো দাসত্বের শৃঙ্খলে আবদ্ধ হয়ে প্রাধান্য বিস্তারকারী স্বার্থ গোষ্ঠীর শাশ্বত ক্ষমতা কেন্দ্রে পরিণত হোক নতুন লোক প্রশাসন তা চায় না। লোক প্রশাসনে সনাতন মর্যাদার অধিকারী এবং একদল শক্তিশালী স্বার্থ গোষ্ঠী যাদের শিকড় স্থায়ী প্রতিষ্ঠানে গেঁথে আছে তাদের বিরুদ্ধেই অভিযান ঘোষণা করেছে নতুন লোক প্রশাসন প্রবক্তাগণ । মিনোব্রুক সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী বৃহৎ সংগঠনের আমলাতান্ত্রিক প্রবণতার প্রতিকার এবং কিভাবে পরিবর্তনকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেয়া যায় সে ব্যাপারে চিন্তাভাবনা করে দেখেছেন।
নতুন লোক প্রশাসনের মূল্যায়নঃ
লোক প্রশাসনের সাম্প্রতিক প্রকাশ ‘নতুন লোক প্রশাসন তত্ত্ব সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছে। এ মতবাদকে কেউ কেউ তত্ত্ব বিরোধী, দৃষ্টবাদ বিরোধী এবং ব্যবস্থাপনা বিরোধী বলে সমালোচনা করেছেন। শুধু সংজ্ঞার দিক থেকে এ প্রশাসনে পার্থক্য দৃষ্টিগোচর হয়। রবার্ট টি. গোলবিওয়াসক্রি মতে, নতুন লোক প্রশাসন কেবল আংশিক সাফল্য অর্জন করেছে। বড় জোর এ প্রশাসন আকাঙ্ক্ষা ও কার্যসম্পাদনের মধ্যে যে ব্যবধান বিরাজ করছে তা স্মরণ করে দেয়। তিনি এ প্রশাসনকে কথায়, সনাতন নৈপুণ্য এবং কলাকৌশলের ক্ষেত্রে বিপ্লব বা আমূল সংস্কার বলে আখ্যায়িত করেছেন। এ মতবাদের সমালোচকরা উল্লেখ করেন যে সামাজিক ন্যায়বিচারের নামে প্রশাসকরা সহজেই আইন পরিষদ এবং অধিকাংশের মতামত উপেক্ষা করতে পারেন। প্রশাসকগণ নতুন কর্মসূচি বাস্তবায়ন ক্ষেত্রে অনেক নীতি প্রণয়ন করতে পারেন যা হয়ত নিৰ্বাচিত প্রতিনিধি এবং জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নাও হতে পারে।
তবে সমালোচনা যতই করুন না কেন, এটি স্পষ্ট করে বলা যায় যে নতুন লোক প্ৰশাসন আন্দোলন প্রশাসনের বিষয়বস্তু ও কর্মপদক্ষেপে এক উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছে। নিগ্রো এবং নিগ্রো এদের মতে, লোক প্রশাসনের বিষয়বস্তুতে এ মত এক নতুন ভাবধারা প্রবর্তন করেছে। এ মতবাদের ফলে লোক প্রশাসন বিষয়ে এক গঠনমূলক বিতর্কের অবতারণা হয়েছে এবং প্রশাসনের নৈতিক এবং ইতিবাচক উদ্দেশ্যের প্রতি গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে এবং এগুলোর স্থায়ী প্রভাব রয়েছে।
নতুন লোক প্রশাসন মতবাদ চালু হওয়ার পর থেকেই লোক প্রশাসনে মূল্যবোধ ও নীতিশাস্ত্র এক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়রূপে অভিহিত হয়েছে। এ গোষ্ঠীর আর একটি বিশেষ অবদান হলো লোক প্রশাসনকে এরা রাষ্ট্রবিজ্ঞানের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত করেছেন এবং সাফল্যের সাথে লোক প্রশাসনকে রাজনৈতিক তত্ত্বের মৌল আলোচ্য বিষয়ের সাথে একত্র করেছেন। নতুন লোক প্রশাসনে সামাজিক ন্যায়বিচার এবং সেবাগ্রহীতাকেন্দ্রিক প্রশাসনের উপর অধিক গুরুত্ব আরোপ তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোতে লোক প্রশাসনের তত্ত্ব ও ব্যবহারিক ক্ষেত্রে খুবই প্রাসঙ্গিক বলে মনে হয়। তৃতীয় বিশ্বে সমাজের মৌল এবং গুণগত পরিবর্তনের জন্য প্রশাসনকে বাঁধন ডিঙিয়ে বি আমলাতান্ত্রিকরণের পথ একান্তভাবে বেছে নিতে হবে।
Leave a comment