অথবা, নঞর্থক ও সদর্থক দিক কি?
অথবা, ধ্বংসমূলক ও সংগঠনমূলক দিক বলতে কি বুঝায়?
অথবা, ধ্বংসমূলক বা নঞর্থক ও সংগঠনমূলক বা সদর্থক দিক কি?
ভূমিকাঃ দর্শনের একটি অন্যতম শাখা হলাে নীতিবিদ্যা। সমাজে বসবাসকারী মানুষের ঐচ্ছিক আচরণের ন্যায়ত্ব অন্যায়ত্ব, ভালােতৃ-মন্দত্ব ইত্যাদি নৈতিক আদর্শের আলােকে মূল্যায়ন করে যে বিদ্যা তাকে নীতিবিদ্যা বলে। নীতিবিদ্যায় নঞর্থক ও সদর্থক দিক বর্তমান। নিচে তা আলােচনা করা হলােঃ
ধ্বংসমূলক বা নঞর্থক দিকঃ ধ্বংসমূলক বলতে কোনাে কিছু শেষ করা ধ্বংস করা নয়। বরং নীতিবিদ্যার নঞর্থক দিক বলতে বুঝায়, সকল ত্রুটি দূর করে সঠিক বিষয় স্থাপন করা। সাধারণ জ্ঞান আমাদের প্রতিনিয়ত সমাজে বসবাস করতে সাহায্য করে। আমাদের জীবনকে সহজ ও সাবলীল করে। বিজ্ঞান ও আমাদের জীবনকে অনেক সহজ করেছে। কঠিনকে হাতের মুঠোয় দিয়েছে। তাই বিজ্ঞান ও সাধারণ জ্ঞানের মধ্যে নিবিড় সম্পর্ক আছে। সমাজে বাস করতে গিয়ে আমরা অনেক প্রচলিত মতের মুখােমুখি হই। সামাজিক রাজনৈতিক অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে কোনাে ত্রুটি থাকলে তা সমাধান করা এবং প্রকৃত অর্থ খুঁজে বের করাই ধ্বংসাত্মক বা নঞর্থক দিক।
সদর্থক দিকঃ নীতিবিদ্যা বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলােচনা-করে। নৈতিক ক্রিয়ার মনস্তত্ত্ব, নৈতিক চেতনা, নৈতিক অবধারণ, নৈতিক অবধারণের স্বীকার্য সত্য, নৈতিক মানদণ্ড, নৈতিক নিয়ন্ত্রণ, নৈতিক আদর্শ, নৈতিক সমস্যা, ইত্যাদি নীতিবিদ্যার আলােচ্য বিষয়। নীতিবিদ্যা পাঠ করলে তা ভালাে, মন্দ, ন্যায়, অন্যায়, সৎ, অসৎ বিচার করতে পারি। নীতিবিদ্যা পাঠ করলে আমরা নৈতিকতা সম্পকে শুধু জ্ঞান লাভ করতে পারি। নৈতিক হওয়া স্বাধীন বিষয়। যদি কেউ নীতিবিদ্যা পাঠের মাধ্যমে নৈতিকভাবে জীবন যাপন করতে পারে তাকে বলে সংগঠনমূলক দিক।
উপসংহারঃ পরিশেষে বলা যায় যে, সত্য জানার একটি হাতিয়ার। জ্ঞান অর্জনই নীতিবিদ্যার প্রধান কাজ। নীতিবিদ্যা মানুষের ভালাে-মন্দ সম্পর্কে জ্ঞান দিয়ে থাকে। যার মধ্যে ধ্বংসমূলক জ্ঞান ও সংগঠনমূলক জ্ঞান অন্যতম। তাই আমাদের কর্তব্য এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানা।
Leave a comment