প্রশ্নঃ দৈহিক নৃবিজ্ঞান কী?

অথবা, দৈহিক নৃবিজ্ঞান কাকে বলে?

ভূমিকাঃ নৃবিজ্ঞান সমাজ বিজ্ঞানের একটি অতীব গুরুত্বপূর্ণ শাখা। নৃবিজ্ঞান মানুষের উৎপত্তি এবং বিবর্তনের ধারায় কিরূপ পরিবর্তন হয়েছে এবং তার সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্য কেমন ইত্যাদি বিষয় নিয়ে আলােচনা পর্যালােচনা, গবেষণা ও ব্যাখ্যা দানের চেষ্টা করে থাকে। নৃবিজ্ঞান মানুষকে প্রাণী জগতের একটি জীব হিসাবে আলােচনা করে। বিষয়ের ব্যাপকতার কারণে নৃবিজ্ঞানকে দৈহিক নৃবিজ্ঞান ও সাংস্কৃতিক নৃবিজ্ঞান এ দুভাগে বিভক্ত করা হয়েছে।

দৈহিক নৃবিজ্ঞানঃ যে নৃবিজ্ঞান মানুষের দৈহিক আকার আকৃতির বৈশিষ্ট্য এবং প্রাণী হিসাবে পৃথিবীতে মানুষের আগমনের ইতিহাস নিয়ে আলােচনা করে তাকে দৈহিক নৃবিজ্ঞান বলে থাকে। দৈহিক নৃবিজ্ঞানকে জৈব নৃবিজ্ঞান নামেও অনেকে আখ্যায়িত করেছেন। দৈহিক নৃবিজ্ঞান গবেষণার জন্য যে সকল বিষয় সহায়ক ভূমিকা পালন করে থাকে সেগুলাে সম্বন্ধে সঠিক জ্ঞান থাকা প্রয়ােজন। দৈহিক নৃবিজ্ঞানের কতকগুলাে শাখা প্রশাখা রয়েছে। এগুলাে হচ্ছে-মানুষের অঙ্গ সংস্থান, বিদ্য, বিবর্তনধর্মী জীববিজ্ঞান, মনুষ্য জীব বিজ্ঞান, মানব জীববিজ্ঞান, মানবদেহের গঠন তন্ত্র, পরিমাপ বিদ্যা প্রভৃতি।

পরিশেষঃ পরিশেষে বলা যায় যে, দৈহিক নৃবিজ্ঞান ও সাংস্কৃতিক নৃবিজ্ঞানের মধ্যে নানাবিধ পার্থক্য বিদ্যমান। দৈহিক নৃবিজ্ঞানে মানুষের দৈহিক আকার আকৃত্রির বৈশিষ্ট্য তথা মানুষের ইতিহাস নিয়ে আলােচনা করা হয়। আর সাংস্কৃতিক নৃবিজ্ঞানে মানুষের সংস্কৃতি নিয়ে আলােচনা করা হয়। তবে দৈহিক নৃবিজ্ঞান ও সাংস্কৃতিক নৃবিজ্ঞানের পার্থক্য সত্ত্বেও কিছু কিছু ক্ষেত্রে সম্পর্কও রয়েছে।