প্রতিটি মৌল তার সর্বশেষ শক্তিস্তরে নিকটতম নিষ্ক্রিয় গ্যাসের ইলেকট্রন বিন্যাস অর্জন করে স্থিতিশীলতা লাভ করতে চাই।  

অণু গঠনকালে প্রতিটি মৌল তার সর্বশেষ শক্তিস্তরে ইলেকট্রন গ্রহণ, বর্জন বা শেয়ারের মাধ্যমে অষ্টক পূর্ণ করে। একে অষ্টক নিয়ম বলে। 

কিন্তু অনেক পরমাণু, অনু গঠনকালে অষ্টক নিয়মের ব্যতিক্রম দেখায়। 

এ কারণে বিজ্ঞানীরা দুই এর নিয়ম উপস্থাপন করেন। দুই এর নিয়ম অষ্টক নিয়ম থেকে অধিকতর উপযোগী এবং আধুনিক। 

অনু গঠনে কোন পরমাণুর সর্বশেষ শক্তিস্তরে এক বা একাধিক জোড়া ইলেকট্রন বিদ্যমান থাকবে। এটি দুই এর নিয়ম। 

অর্থাৎ অণুতে যেকোন পরমাণুর সর্বশেষ শক্তিস্তরে এক বা একাধিক জোড়া ইলেকট্রন অবস্থান করবে।

যেমনঃBeCl₂ অনুর কেন্দ্রীয় পরমাণু Be এর সর্বশেষ শক্তিস্তরে দুই জোড়া অর্থাৎ 4 টি ইলেকট্রন বিদ্যমান।আবার Cl পরমাণুর সর্বশেষ শক্তিস্তরে 4 জোড়া ইলেকট্রন বিদ্যমান।

CH₄ অনুর কেন্দ্রীয় পরমাণু C এর সর্বশেষ শক্তিস্তরে চার জোড়া অর্থাৎ আটটি ইলেকট্রন বিদ্যমান। 

আবার প্রতিটি H এর শক্তিস্তরে একজোড়া করে অর্থাৎ দুটি ইলেকট্রন বিদ্যমান। 

BF₃ অনুর কেন্দ্রীয় পরমাণু B এর সর্বশেষ শক্তিস্তরে তিন জোড়া অর্থাৎ 6টি ইলেকট্রন বিদ্যমান। 

আবার Cl এর সর্বশেষ শক্তিস্তরে চার জোড়া অর্থাৎ আটটি ইলেকট্রন বিদ্যমান। 

পর্যায় সারণির 1 থেকে 20 পর্যন্ত মৌল সমূহ অষ্টক ও দুই এর নিয়ম অনুসরণ করে।