মানুষ যেসব কাজের মাধ্যমে সমাজকে পরিসেবা প্রদান করে তাকে তৃতীয় স্তরের অর্থনৈতিক কার্যাবলি বলে।
প্রথম ও দ্বিতীয় ক্ষেত্রের উৎপাদিত দ্রব্যের উৎকর্ষতা বৃদ্ধি, সঠিক বিনিময় ও বণ্টন তৃতীয় স্তরের কার্যাবলির মাধ্যমে সম্পন্ন হয়।
কোনাে দেশের আর্থিক উন্নয়ন বজায় রাখতে তৃতীয় স্তরের অর্থনৈতিক ক্রিয়াকলাপের গুরুত্ব অপরিসীম।
কোনাে দ্রব্যের উৎপাদন, বণ্টন ও বিনিময় ব্যবস্থা সুষ্ঠুভাবে সম্পাদন করার জন্য তৃতীয় স্তরের অর্থনৈতিক ক্রিয়াকলাপের ওপর নির্ভর করা হয়।
যে-কোনাে আকারের পণ্যকে স্থানীয়, দেশীয় ও বৈদেশিক বাজারে বিনিময়, লেনদেন, আমদানি-রপ্তানি করা এবং সেই-সংক্রান্ত সেবাক্ষেত্রকে বাণিজ্য বলে।
পণ্যসামগ্রী যখন দেশের অভ্যন্তরে ক্রয়বিক্রয় এবং আদানপ্রদান করা হয়, তখন তাকে অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য বলে।
পণ্যসামগ্রী যখন এক দেশ থেকে অন্য দেশে আদানপ্রদান করা হয়, তখন তাকে বৈদেশিক বাণিজ্য বা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বলে।
আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কারণ হল-প্রাকৃতিক সম্পদের অসম বণ্টন।
বেনেলাক্স হল একটি ইউরােপীয় ইউনিয়ন যার মাধ্যমে এর অন্তর্ভুক্ত দেশগুলিতে যথা বেলজিয়াম, নেদারল্যান্ডস ও লুক্সেমবার্গ প্রভৃতি দেশে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের পরিবর্তন ঘটে।
পণ্যসামগ্রী যখন অন্য দেশ থেকে নিজের দেশে আনা হয়, তখন তাকে আমদানি বাণিজ্য বলে।
পণ্যসামগ্রী যখন অন্য দেশে বিক্রি করা হয়, তখন তাকে রপ্তানি বাণিজ্য বলে।
বাজার থেকে তরিতরকারি ক্রয় করা হল খুচরাে বাণিজ্যের উদাহরণ।
কোনাে দেশের একটি নির্দিষ্ট বছরের মােট আমদানিমূল্য ও মােট রপ্তানিমূল্যের পার্থক্যকে বাণিজ্যিক উদ্বৃত্ত বলে।
ভারতীয় স্টেট ব্যাংক রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলির মধ্যে বৃহত্তম।
শিল্প ক্ষেত্রে মাঝারি ও দীর্ঘমেয়াদি ঋণদানের জন্য যেসকল ব্যাংক কাজ করে, তাদের শিল্প ব্যাংক বলে।
কৃষি যন্ত্রপাতি, উন্নতশীল বীজ, সার, কীটনাশক ওষুধ, ট্রাক্টর, পাম্পসেট ইত্যাদি ক্রয় করার জন্য যে ব্যাংক ঋণ দেয়, তাদের কৃষি ব্যাংক বলে।
কৃষক, শ্রমজীবী মানুষ, বিভিন্ন আয়ের চাকুরিজীবী মানুষ সমবায় ভিত্তিতে যে ব্যাংক গঠন করে, তাকে সমবায় ব্যাংক বলে।
বিভিন্ন যানবাহনের মাধ্যমে যাত্রী ও পণ্যদ্রব্য এক জায়গা থেকে আর-এক জায়গায় বহন করে নিয়ে যাওয়াকে পরিবহণ বলে।
ভারতের চারটি মেট্রোপলিটন শহর—দিল্লি, মুম্বাই, চেন্নাই ও কলকাতাকে যুক্তকারী ছয় চ্যানেলবিশিষ্ট সড়কপথ হল সােনালি চতুর্ভুজ।
সােনালি চতুর্ভুজের কলকাতা থেকে চেন্নাই অংশের দূরত্ব সবথেকে বেশি।
সােনালি চতুর্ভুজের মুম্বাই থেকে চেন্নাই অংশের দূরত্ব সবথেকে কম।
বিভিন্ন রাজ্যকে যুক্তকারী এবং NHAI দ্বারা নির্মিত ও রক্ষণাবেক্ষিত সড়কপথকে, জাতীয় সড়ক বলে।
যেসব সড়কপথ রাজ্য সরকার নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণ করে এবং জাতীয় সড়কপথের সঙ্গে যুক্ত, তাদের রাজ্য সড়কপথ বলে।
ভারতের দীর্ঘতম সড়কপথটি হল 7 নং জাতীয় সড়ক (বারাণসী থেকে কন্যাকুমারী)।
আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রে প্রধান রাজপথ বা Highway এক্সপ্রেসওয়ে (Expressway) নামে পরিচিত।
ভারতে প্রধান রাজপথ বা Highway জাতীয় রাজপথ (National Highway) নামে পরিচিত।
গ্রামে পায়ে চলা বা গােরুরগাড়ি চলার যে রাস্তা দেখা যায়, তাকে গ্রাম্য পথ বলে।
2 নং জাতীয় সড়কপথ আসানসােল রানিগঞ্জকে কলকাতার সাথে যুক্ত করেছে।
ভারতে জাতীয় সড়কপথ নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণের উদ্দেশ্যে গঠিত সংস্থাটি হল National Highway Authority of India।
ভারতের 1 নং জাতীয় সড়কের বর্তমান নাম শেরশাহ সুরি মার্গ।
2 নং জাতীয় সড়ক কলকাতা ও দিল্লির মধ্যে সংযােগ স্থাপন করেছে।
ভারতে প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যােজনায় রাস্তা নির্মাণ করা হয়।
যেসব সংস্থা বা কোম্পানির জাহাজ সমুদ্রে চলাচল করে, সেসব সংস্থা বা কোম্পানিকে শিপিং লাইন বলে।
নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছােনাের জন্য সমুদ্রের জাহাজ যে পথকে অনুসরণ করে চলে সেই নির্দিষ্ট পথকে শিপিং লেন বলে।
যে ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে একাধিক ব্যক্তি বা সংস্থার মধ্যে সংবাদ, তথ্য, আদেশ, নির্দেশ, সিদ্ধান্ত পরিবেশন ও আদানপ্রদান করা হয় সেই ব্যবস্থাপনাকে যােগাযােগ ব্যবস্থা বলে।
কৃত্রিম উপগ্রহ মারফত প্রেরিত চিত্রের মাধ্যমে পরিবহণের অতি সাম্প্রতিকতম এবং প্রকৃত অবস্থা জানা যায়।
কোনাে বস্তু বা উপাদান ও ব্যক্তি সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট কথা, সংবাদ ও সেই সংক্রান্ত জ্ঞানকে তথ্য বলে।
তথ্য পরিসেবা ক্ষেত্রের উন্নতির জন্য ইলেকট্রনিক্স বিপ্লব গুরুত্বপূর্ণ স্থান অধিকার করে।
ইন্টারনেট হল পরস্পর সংযুক্ত অনেকগুলি কম্পিউটার নেটওয়ার্ক বা কার্যক্রমের সমন্বয়।
কম্পিউটার বিজ্ঞানে ভাইরাস’ হল একধরনের ত্রুটি যার আক্রমণে কম্পিউটার পরিসেবা ব্যাহত হয়।
ইন্টারনেট ব্যবস্থার সুযােগ নিয়ে কম্পিউটারের মাধ্যমে যে ব্যাবসাবাণিজ্য করা হয়, তাকে ই-কমার্স বলে।
ই-মেল হল ইন্টারনেট ব্যবস্থার মাধ্যমে এক কম্পিউটার থেকে আর-এক কম্পিউটারে পাঠানাে বৈদ্যুতিন চিঠি।
উপগ্রহের সাহায্যে দেশি-বিদেশি হাসপাতালের বিশেষজ্ঞের দ্বারা রােগীর পরিসেবা দেওয়াকে টেলিমেডিসিন পরিসেবা বলে।
ইন্টারনেট পরিসেবার মাধ্যমে কণ্ঠস্বর প্রাপকের কাছে পাঠানাের পদ্ধতিকে ভয়েস মেল বলে।
ভারত টেলিযােগাযােগ ব্যবস্থার উন্নতির জন্য INSAT পর্যায়ের উপগ্রহ মহাকাশে পাঠিয়েছে।
বিশ্বের তথ্যপ্রযুক্তির রাজধানী আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালিতে অবস্থিত।
টেলিফোন যােগাযােগ ব্যবস্থার মাধ্যমে লিখিত বার্তা, নথিপত্র, মানচিত্র, সংবাদ, পরিসংখ্যান প্রভৃতি অবিকৃত অবস্থায় এক অফিস থেকে আর-এক অফিসে আদানপ্রদানকে ফ্যাক্স বলে।
কোনাে একটি নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠানের মধ্যে অভ্যন্তরীণ যােগাযােগের জন্য যে টেলিফোন ব্যবহার করা হয়, তাকে ইন্টারকম টেলিফোন পদ্ধতি বলে।
Telecom Regulatory Authority of India (TRAI) 1997 সালে স্থাপন করা হয়েছে।
যে যন্ত্রের মাধ্যমে টাইপ করা বার্তা দ্রুত এক স্থান থেকে আর এক স্থানে পাঠানাে হয়, তাকে টেলিপ্রিন্টার বলে।
1844 খ্রিস্টাব্দে স্যামুয়েল মাের্স সর্বপ্রথম টেলিগ্রাফ পদ্ধতির আবিষ্কার করেন।
টেলিগ্রাফ যন্ত্রের মাধ্যমে পাঠানাে সংবাদকে টেলিগ্রাম বলে।
ভারতে সম্প্রতি টেলিগ্রাম ব্যবস্থার বিলুপ্তি ঘটেছে।
প্রথম ও দ্বিতীয় ক্ষেত্রের যে-কোনাে ধরনের অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে সচল রাখতে যেসব কাজগুলি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নেয় তাদের এককথায় পরিসেবা বলে।
মােবাইল ফোনের সাহায্যে পৃথিবীর যে-কোনাে প্রান্তের মানুষের সাথে যােগাযােগ করা যায়।
বর্তমানে সমস্ত রকম পণ্যদ্রব্যের বিক্রয় যেহেতু বিজ্ঞাপন ও প্রচারের ওপর বহুলাংশে নির্ভর করে, তাই বর্তমান বা আধুনিক যুগকে বিজ্ঞাপনের যুগ বলা হয়।
বিজ্ঞাপনের দুটি মাধ্যম। যথা- মুখ্য মাধ্যম ও গৌণ মাধ্যম।
যে বিশেষ ধরনের কারবারি সংস্থা বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংগঠন থেকে বিভিন্ন মেয়াদে টাকা জমা নেয় এবং ঋণ প্রদান করে ব্যাবসাবাণিজ্য ও শিল্পের কাজকে উৎসাহিত করে তাকে ব্যাংক বলে।
বিশ্বব্যাপী সুসংগত অর্থনৈতিক নীতি প্রণয়নকারী সংস্থাটি হল আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডার বা IMF (International Monetary Fund)।
কোনাে অনিশ্চিত ঘটনার দরুন ক্ষয়ক্ষতির ঝুঁকি কমানাের জন্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার উপায়কে বিমা বলে।
তৃতীয় স্তরের অর্থনৈতিক কাজে পর্যটন অন্তর্ভুক্ত।
জীবন বিমা হল মানুষের জীবনের ওপর বিমা, যার সাহায্যে যে-কোনাে মানুষ ও তার পরিবারের ভবিষ্যৎ নিরাপত্তা সুনিশ্চিত হয়
ভারতে বিমা পরিসেবায় প্রধান ও বৃহত্তম সংস্থাটি হল ভারতীয় জীবন বিমা কর্পোরেশন (Life Insurance Corporation of India)|
বিভিন্ন উদ্দেশ্যে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে কিংবা এক দেশ থেকে অন্য দেশে ভ্রমণ করাকে পর্যটন বলে।
বাস্তু পর্যটন হল প্রকৃতিভিত্তিক পর্যটন যার মাধ্যমে প্রকৃতি সম্পর্কে জানা যায় ও পরিবেশের সুস্থায়ী উন্নয়নে অংশ নেওয়া হয়।
বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়স্বজন, স্কুল কলেজের ছাত্রছাত্রীরা বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্রে দলবদ্ধভাবে ভ্রমণ করলে, তাকে দলবদ্ধ পর্যটন বলে।
দেশে পর্যটন পরিকাঠামাে উন্নতির লক্ষে 1966 সালে গঠিত সংস্থাটি হল ‘ভারত পর্যটন উন্নয়ন কর্পোরেশন বা ITDC (Indian Tourism Development Corporation)।
যখন দেশের সীমারেখার মধ্যেই পর্যটন সীমাবদ্ধ থাকে, তখন তাকে দেশীয় পর্যটন বলে।
পর্যটন যখন দেশের সীমারেখা অতিক্রম করে অন্য দেশে ছড়িয়ে পড়ে, তখন তাকে আর্ন্তজাতিক পর্যটন বলে।
ঐতিহাসিক স্থানে ভ্রমণকে পর্যটনশিল্প বলে।
আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের একটি অর্থনৈতিক গুরুত্ব হল-আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বৃদ্ধি পেলে কৃষি, শিল্প ও পরিসেবাক্ষেত্রের উন্নতিকে কেন্দ্র করে বহু মানুষের কর্মসংস্থানের সুযােগ সৃষ্টি হয়।
আন্তর্জাতিক বাণিজ্য তৃতীয় স্তরের অর্থনৈতিক ক্রিয়াক্ষেত্রের অন্তর্গত।
পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে প্রাকৃতিক সম্পদগুলির অসম বণ্টন হল আন্তর্জাতিক বাণিজ্য গড়ে ওঠার অন্যতম কারণ।
General Agreement on Tariffs and Trade।
বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার প্রধান নীতি হল পক্ষপাতহীন বা মুক্ত বাণিজ্যের মাধ্যমে অর্থনৈতিক বিকাশ ঘটানাে।
বাণিজ্যিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সহযােগিতা বাড়ানাের উদ্দেশ্যে 1985 সালে গঠিত ভারতসহ তার প্রতিবেশী ৭টি দেশের সংগঠন হল SAARC।
SAARC গােষ্ঠীভুক্ত বাংলাদেশ, নেপাল, ভুটান, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ এবং আফগানিস্তানের সাথে ভারতের বাণিজ্যিক সম্পর্ক আছে।
1960 সালের 14 ই সেপ্টেম্বর গঠিত মধ্যপ্রাচ্য এবং পৃথিবীর অন্যান্য খনিজ তেল রপ্তানিকারক দেশগুলির সংগঠন হল OPEC।
অর্থনৈতিক বুনিয়াদ শক্তিশালী করতে, বাণিজ্যিক স্বার্থ সুরক্ষিত করতে এবং বাণিজ্যের পরিমাণ বাড়াতে 1975 সালে গঠিত পৃথিবীর আটটি শিল্পোন্নত দেশের সংগঠন হল G-8।
2003 সালে মেক্সিকোর কানকুনে WTO-এর বৈঠকে উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলির বিরােধের কারণে পৃথিবীর 21 টি উন্নয়নশীল দেশ বিশ্ব বাণিজ্যের মঞ্চে যে নতুন গােষ্ঠী গঠন করে তা হল G-21।
WTO-র সদর দপ্তরটি সুইটজারল্যান্ডের জেনিভাতে অবস্থিত।
বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল বা SEZ হল দেশের মধ্যে গড়ে ওঠা এমন এক ভৌগােলিক অঞ্চল যেখানে সমগ্র দেশের জন্য প্রযােজ্য সরকারি বিশেষ কিছু অর্থনৈতিক বাধানিষেধ বা রক্ষণশীলতা নেই।
ASEAN (Association of South-East Asian Nations) 1967 সালে গঠন করা হয়।
উৎপাদিত পণ্যদ্রব্য অস্বাভাবিক কম দামে বাজারে বিক্রি করে অন্যায়ভাবে প্রতিযােগীদের সরিয়ে দেওয়ার নীতিকে ডাম্পিং বলে।
স্থলভাগের ওপর নির্মিত পরিবহণ পথকে স্থলপথ বলে।
জলরাশির ওপর যে নির্দিষ্ট পথে নৌকা, লঞ্চ, স্টিমার, ও জাহাজ চলাচল করে, সেই পথকে জলপথ বলে।
পৃথিবীর দীর্ঘতম খালপথ হল—পানামা।
কোনাে দেশের অভ্যন্তরে নদী ও খালপথে যেখানে নৌকা, ল, স্টিমার ইত্যাদি চলাচল করে সেই জলপথকে অভ্যন্তরীণ জলপথ বলে।
গঙ্গা নদী হল ভারতের একটি অভ্যন্তরীণ জলপথের উদাহরণ।
ভারতের দীর্ঘতম খাল হল ইন্দিরা গান্ধি খাল।
বায়ুমণ্ডলের যে পথে বিমান চলাচল করে তাকে, বিমানপথ বা আকাশপথ বলে।
জলপথ নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণের খরচ খুব কম।
দেশের অভ্যন্তরে দুর্গম স্থানগুলিতে যেখানে রেলপথ, জলপথ ও বিমানপথে যাতায়াত সম্ভব নয়, সেসকল স্থানে সড়কপথই পরিবহণের গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম।
সড়ক পরিবহণ ব্যবস্থার একটি অসুবিধা হল—যানজটের কারণে সড়কপথে যাত্রী ও পণ্য পরিবহণে বাধার সৃষ্টি হয়।
ভারতের মােট জাতীয় সড়কপথে দৈর্ঘ্য প্রায় 92851 কিলােমিটার।
ভারতের মােট রাজ্য সড়কপথের দৈর্ঘ্য প্রায় 154522 কিলােমিটার।
রেলপথের মাধ্যমে অপেক্ষাকৃত ভারী পণ্য দ্রুত পরিবহণ করা সুবিধাজনক।
রেল পরিবহণ ব্যবস্থার গতিপথ নির্দিষ্ট, অর্থাৎ রেললাইন ছাড়া রেল চলাচল করতে পারে না এবং প্রয়ােজনে পথ পরিবর্তনও করতে পারে না।
পৃথিবীর উচ্চতম ব্রডগেজ রেলপথ চিনে (পেইচিং-লাসা রেলপথের অন্তর্গত থাংগুলা) অবস্থিত।
খনিজ তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাস পরিবাহিত হয় প্রধানত নলপথের মাধ্যমে।
বন্ধুর ভূপ্রকৃতি বা পার্বত্য অঞ্চলে রেলপথ নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণ খুবই কষ্টসাধ্য ও ব্যয়বহুল।
আকাশপথ পরিবহনের একটি অসুবিধা হল—স্বল্প দূরত্বে আকাশপথ পরিবহণ ব্যবস্থা উপযােগী নয়।
জরুরি অবস্থায় (যেমন-যুদ্ধ, প্রাকৃতিক বিপর্যয়) উদ্ধার কাজ এবং ত্রাণ কাজ চালাতে আকাশপথ পরিবহণ ব্যবস্থা অত্যন্ত সুবিধাজনক।
আন্তর্জাতিক বিমানপথে নিযুক্ত ভারতের সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রায়ত্ত বিমান সংস্থাটি হল এয়ার ইন্ডিয়া (Air India)।
ভারতের রাষ্ট্রায়ত্ত হেলিকপ্টার সংস্থাটির নাম হল Pawan Hans Limited।
যেসব রেলপথ মহাদেশের একপ্রান্তের মহাসাগরীয় উপকূল থেকে অন্যপ্রান্তের মহাসাগরীয় উপকূল পর্যন্ত বিস্তার লাভ করে, সেইসব রেলপথকে সাধারণভাবে মহাদেশীয় রেলপথ বলে।
এক দেশ থেকে পণ্য আমদানি করে অন্য দেশে ওই পণ্য রপ্তানি করাকে পুনঃরপ্তানি বাণিজ্য বলে।
যখন কোনাে দেশের আমদানি দ্রব্যমূল্য রপ্তানি দ্রব্যমূল্যের থেকে বেশি হয় তখন তাকে ঘাটতি বাণিজ্য বলে।
দূর থেকে ভূপৃষ্ঠের কোনাে উপাদান সম্পর্কে তথ্য আহরণ করাকে প্রযুক্তিকে রিমােট সেন্সিং বলে।
GIS হল তথ্য সংগ্রহ, সংরক্ষণ, সংস্করণ, সমন্বয় ও বিশ্লেষণের মাধ্যমে একটি তথ্য ব্যবস্থাপনা গড়ে তােলা এবং তার সাহায্যে ভৌগােলিক অবস্থানের মানচিত্র উপস্থাপন করা।
কোনাে পণ্য সম্পর্কে বা কোনাে বিষয় সম্পর্কে জনসাধারণকে অবহিত করার যে পদ্ধতি তাকে বিজ্ঞাপন বলা হয়।
ভারতের বৃহত্তম সংবাদ এজেন্সির নাম হল Press Trust of India PTI.
যে পরিকল্পনায় চার চ্যানেলবিশিষ্ট রাজপথ নির্মাণের মাধ্যমে ভারতের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বন্দরগুলিকে যুক্ত করা। তাকে বন্দর সংসােজক পরিকল্পনা বলে।
Press Trust of India (PTI) 1947 সালে গঠন করা হয়।
Geography সব প্রশ্ন উত্তর (দ্বাদশ শ্রেণীর)
Leave a comment