ঢালাই লোহাকে জারিত করলে এর মধ্যস্থিত ভেজাল কার্বন, সিলিকন, ম্যাঙ্গানিজ, সালফার ও ফসফরাস ধাতুমল রূপে পৃথক হয়ে যায়।এরপর লোহার সাথে নির্দিষ্ট পরিমাণে স্পাইজেল যোগ করে ইস্পাত তৈরি করা হয়। স্পাইজেল হল আয়রন, কার্বন ও ম্যাঙ্গানিজ এর মিশ্রণ।
ওপেন হার্থ প্রণালীঃ
ওপেন হার্থ প্রণালীতে ঢালাই লোহা থেকে ইস্পাত তৈরি করা যায়।
চুল্লির গঠন প্রণালীঃ এ পদ্ধতিতে অগ্নিসহ ইটের তৈরি চতুস্কোন চুল্লী ব্যবহার করা হয়। চুল্লীর অভ্যান্তরে প্রশস্ত ও অগভীর। এর উপরে একটি নিচু ছাদ আছে যা উত্তপ্ত গ্যাস প্রতিফলিত করে চুল্লির আঁধারকে উত্তপ্ত করে। এর এক প্রান্তে গ্যাস প্রবেশের ও অপরপ্রান্তে গ্যাস নির্গমনের ব্যবস্থা থাকে। ঢালাই লোহায় ফসফরাসের পরিমাণ বেশি থাকলে চুল্লীর ভেতরের অংশে চুন ও ম্যাগনেশিয়ামের আস্তরণ দেওয়া হয়। এ অবস্থায় পদ্ধতিকে ক্ষার ওপেন হার্থ পদ্ধতি বলে।
আবার, ঢালাই লোহায় ফসফরাস কম থাকলে চুল্লির ভেতরে সিলিকন পদার্থ দ্বারা আস্তরন দেওয়া হয়। তখন এ পদ্ধতিকে অ্যাসিড ওপেন হার্থ পদ্ধতি বলে।
কার্যপ্রণালীঃ চুল্লির নিকটস্হ স্হানে কয়লা পুড়িয়ে প্রডিউসার গ্যাস
(CO+N₂) উৎপন্ন করা হয় এবং এর সাথে বায়ু মিশ্রিত করে চুল্লীর ভেতর চালনা করা হয়। বাত্যাচুল্লী হতে প্রাপ্ত ঢালাই লোহা কারখানায় অব্যবহৃত ছাঁটাই ইস্পাত, সামান্য পরিমাণ হেমাটাইট চুল্লিতে নেওয়া হয়। হেমাটাইট ঢালাই লোহার কার্বন, সিলিকন, ম্যাঙ্গানিজ, ফসফরাস, সালফার প্রভৃতিকে জারিত করে এদের অক্সাইডে পরিণত করে।
Fe₂O₃ +3C —–> 2Fe + 3CO
Fe₂O₃ + 3Mn —-> 2Fe +3MnO
Fe₂O₃+3Si —–> 4Fe + 3SiO₂
2Fe₂O₃+3S —-> 4Fe + 3SO₂
P₂O₅ + 5C —–> 2P + 5CO
SiO₂ + 2C —–> Si + 2CO
Mn₂O₃ + 3C —-> 2Mn + 3CO
এভাবে প্রাপ্ত ঢালাই লোহায় কিছু C, Mn, Si, P, S ভেজাল হিসেবে থাকে
Leave a comment