একটি বিজারক পদার্থ অন্য একটি পদার্থকে বিজারিত করার সময় নিজে ইলেকট্রন ত্যাগ করে জারিত হয়।
আর এই ইলেকট্রনটি জারক পদার্থ গ্রহণ করে বিজারিত হয়।
একইভাবে, জারক পদার্থ কোন পদার্থকে জারিত করার সময় নিজে ইলেকট্রন গ্রহন করে বিজারিত হয়।
সুতরাং দেখা যায়, একটি পদার্থ ইলেকট্রন দান করলে অপর পদার্থটি ইলেকট্রন গ্রহণ করে। বিপরীতক্রমে একটি পদার্থকে ইলেকট্রন গ্রহণ করতে হলে অপর পদার্থকে ও ইলেকট্রন সরবরাহ করতে হয়।
সুতরাং জারণ বিজারণ একই সাথে ঘটে।
যেমনঃ Na ও Cl এর বিক্রিয়ায় NaCl উৎপন্ন হয়।
Na+ ——->Na+ + e (জারন)
Cl + e —–> Cl- (বিজারন)
বিক্রিয়াটিতে সোডিয়াম একটি ইলেকট্রন ক্লোরিনকে দান করে জারিত হয়।
অপরদিকে, ক্লোরিন সোডিয়ামের কাছ থেকে একটি ইলেকট্রন গ্রহণ করে সোডিয়ামকে জারিত করে এবং নিজে বিজারিত হয়।
সুতরাং বলা যায়, সোডিয়াম ক্লোরিন কে বিজারিত এবং ক্লোরিন সোডিয়ামকে জারিত করে।
অর্থাৎ জারণ-বিজারণ যুগপৎ সংঘটিত হয়।
Leave a comment