জামিনের অর্থ হল কোন ব্যক্তিকে আদালত কর্তৃক ধার্য তারিখসমূহে হাজির করার শর্তে পুলিশ বা আদালতের এখতিয়ার থেকে জামিনদারের হাতে সমর্পণ। জামিন হলো আইনানুগভাবে আটক হতে কোন ব্যক্তিকে মুক্তি দেওয়া। কোন ব্যক্তিকে আদালত কর্তৃক ধার্য তারিখসমূহে হাজির করার শর্তে পুলিশ বা আদালতের একতিয়ার থেকে জামিনদারের হাতে সমর্পণকেই জামিন( Bail) বলে।
জামিন প্রদানের সময় জামিন প্রার্থীর অপরাধের অভিযোগ জামিনযোগ্য না জামিন অযোগ্য সেটি প্রধান বিবেচ্য বিষয় হয়। ফৌজদারী কার্যবিধির ৪(১)(খ) ধারায় জামিন যোগ্য অপরাধ ও জামিন অযোগ্য অপরাধের সংজ্ঞা প্রদান করা হয়েছে। জামিনযোগ্য অপরাধ বলতে সে সকল অপরাধকে বুঝায় যা ফৌজদারি কার্যবিধির দ্বিতীয় ০৫ কলামে জামিনযোগ্য বলে দেখানো হয়েছে। অথবা বর্তমান অন্য কোন আইন দ্বারা জামিনযোগ্য করা হয়েছে।
জামিন অযোগ্য অপরাধ বলতে সে সকল অপরাধকে বুঝায় যা ফৌজদারি কার্যবিধির দ্বিতীয় তফসিলে পঞ্চম কলামে জামিন অযোগ্য বলে উল্লেখ করা হয়েছে। অথবা অন্য কোন আইন দ্বারা জামিন অযোগ্য বলা হয়েছে। অন্য কোন আইনে অপরাধের জামিন সম্বন্ধে কোন প্রকার উল্লেখ না থাকলে ফৌজদারি কার্যবিধির দ্বিতীয় তফসিলে শেষভাগের অন্যান্য আইনের সংঘটিত অপরাধ শিরোনামে অপরাধটি জামিনযোগ্য কিনা তা দেখানো হয়েছে।
জামিন মঞ্জুরকারী কর্তৃপক্ষ
ফৌজদারি কার্যবিধির ৪৯৬ ও ৪৯৭ ধারা মোতাবেক জামিন মঞ্জুরকারী কর্তৃপক্ষ হলেন হাইকোর্ট বিভাগ, দায়রা আদালত ও ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। ফৌজদারী কার্যবিধি ৪৯৮ ধারা মোতাবেক হাইকোর্ট বিভাগ ও দায়রা আদালত গ্রেপ্তারের পূর্বে জামিনের আবেদন গ্রহণ করে সিদ্ধান্ত প্রদান করতে পারেন। আবার একজন পুলিশ অফিসার ফৌজদারী কার্যবিধির ৫৭(২), ৫৯(৩),১৬৯,১৭০,৪৯৬ ও ৪৯৭ ধারার অধীনে আদালত বা ম্যাজিস্ট্রেটের অনুমতি ব্যতিরেকে আসামি জামিনে মুক্তি দিতে পারেন।
খসড়া…।
Leave a comment