পরীক্ষাগারে কাঁচের তৈরি বিভিন্ন জিনিসপত্র ব্যবহার করা হয়। একটি বিক্রিয়া সংগঠনের সময় যেসব যন্ত্রপাতি ব্যবহার করার প্রয়োজন হয় তাদের অধিকাংশ কাঁচের তৈরি। অপরিষ্কার কাঁচপাত্রে বিক্রিয়া ঘটালে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। তাছাড়া অপরিষ্কার অবস্থায় রেখে দিলে তা নষ্ট হয়ে যায়। এজন্য কাঁচের সামগ্রী নিয়মিত পরিষ্কার করা উচিত। 

কাঁচের সামগ্রী পরিষ্কার করার কৌশল নিম্নরূপঃ 

১. কাঁচের পাত্রকে প্রথমে ভাল করে সাবান-পানি দিয়ে পরিষ্কার করে নিতে হবে। 

২. কাঁচের পাত্রে জৈব পদার্থ যেমনঃ তেল, গ্রীজ অপসারণ করতে অ্যাসিটোন, ডাইক্লোরোমিথেন, ইথানল ব্যবহার করা হয়।

৩. কাঁচপাত্রে যদি অজৈব পদার্থ থাকে তাহলে সামান্য অজৈব এসিড বা ক্ষার দিয়ে পরিষ্কার করে নিতে হবে।

৪. গ্রীজ, সিলিকন অয়েল বা পলিমার বিশেষ ময়লা পরিষ্কার করার জন্য ডেকন- 90 ডিটারজেন্ট ব্যবহার করা হয়। এই ডিটারজেন্টে ফসফেট থাকে না বলে এটি পরিবেশ দূষণ করে না।

৫. কাঁচের যন্ত্রপাতির ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া ও অণুজীব ধ্বংস করার জন্য ইথানল ব্যবহার করা যায়।

৬. তেল বা গ্রীজ জাতীয় পদার্থ থাকলে ক্রোমিক এসিড মিশ্রণ দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে।

৭. কাঁচসামগ্রীতে কপার লবণ, আয়রন লবণ, পটাশিয়াম পারম্যাঙ্গানেট, পটাশিয়াম ডাইক্রোমেট ইত্যাদির দ্রবণ ব্যবহারের পর টেস্টটিউবকে পরিষ্কার করে রাখতে হবে।

৮. কনিক্যাল ফ্লাস্ক, মেজারিং ফ্লাক্স ইত্যাদিকে ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে পরিষ্কার করতে হবে।

৯. আগার বা জিলেটিন পদার্থ পরিষ্কার করতে কাঁচের যন্ত্রপাতিকে পানিতে ভালো করে ফুটিয়ে নিতে হবে।

১০. ব্যুরেটের স্টপকর্কে গ্রীজ জাতীয় পদার্থকে পরিষ্কার করার জন্য সতর্কতার সাথে ক্রোমিক এসিড মিশ্রণ ব্যবহার করা হয়।

১১. অম্লয় পদার্থকে পরিষ্কার করতে অ্যামোনিয়ার দ্রবণ ব্যবহার করা যায়।

১২. রাসায়নিক পদার্থের অবশিষ্ট অংশ কাঁচের গায়ে লেগে থাকলে তা ব্রাশ দিয়ে ভালো করে পরিষ্কার করতে হবে। 

১৩. সবশেষে কাঁচসামগ্রী ট্যাপের পানিতে ভাল করে ধুয়ে নিয়ে পাতিত পানি দ্বারা রিন্ঞ্জ করে নিতে হবে।