গীতি কবিতার ধারা সূচিত হয় আধুনিক যুগে। এর প্রবর্তক হলেন বিহারীলাল চক্রবর্তী। তিনিই সর্বপ্রথম হৃদয়ের আবেগের অনুভূতি নিয়ে নীরবে নিভৃতে রচনা করলেন গীতি কবিতা। গীতি কবিতার সূচনা হয় বিহারীলাল চক্রবর্তীর রচিত ‘সঙ্গীত শতক’ কাব্যের মাধ্যমে। তার অন্য গীতি কাব্যগুলো হচ্ছে-বঙ্গসুন্দরী, নিসর্গ সন্দর্শন এবং সাধের আসন। তাঁর শ্রেষ্ঠ গীতি কাব্য হচ্ছে ‘সারদা মঙ্গল’। গীতি কাব্যের ধারায় আরেক জন কবি হলেন সুরেন্দ্রনাথ মজুমদার। তাঁর বিখ্যাত গীতি কাব্য হচ্ছে ‘মহিলা কাব্য’। গীতি কাব্যের ধারায় দেবেন্দ্রনাথ সেন রচনা করলেন, ‘অশোকগুচ্ছ’, ‘শেফালী গুচ্ছ’ -যা যথেষ্ট জনপ্রিয়তা লাভ করে। অক্ষমকুমার বড়াল রচিত ‘প্রদীপ’, ‘কনকাঞ্জলি’, ‘ভুল’, ‘শঙ্খ’, ‘এষা’ প্রভৃতি উলেখযোগ্য গীতি কাব্য। দ্বিজেন্দ্র লাল নাট্যকার হলেও গীতিকাব্যে তার দখল ছিল অসাধারণ। তাঁর বিখ্যাত গীতিকাব্য হলো ‘আর্যগাথা’, ‘মন্দ্র’, ‘আলেখ্য’, ‘ত্রিবেণী’ প্রভৃতি।
গীতি কাব্যের ধারা পরিপূর্ণতা লাভ করে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের হাতে এসে।
Leave a comment