অথবা, লেখক/সেকেন্ড মাস্টার কলকাতায় পালিয়ে গিয়ে কী করত?
অথবা, ‘একরাত্রি’ গল্পের সেকেন্ড মাস্টার কার দৃষ্টান্তে শৈশবে কলকাতায় পালিয়েছিল?
উত্তর : রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত ‘একরাত্রি’ গল্পে গল্পকথকের পিতা চৌধুরী জমিদারের নায়েব ছিল। সে কারণে পিতার ইচ্ছা ছিল যে, ছেলেকে সে জমিদারি সেরেস্তার কাজ শিখিয়ে একটা কোথাও গোমস্তাগিরিতে কাজ ধরিয়ে দেবেন। কিন্তু গল্পকথকের তা অপছন্দ ছিল; তাছাড়া তাদের পাড়ার নীলরতনের দৃষ্টান্তে সে শৈশবে কলকাতায় পালিয়ে গিয়েছিল।
গল্পকথকের পাড়ার নীলরতন কলকাতায় পালিয়ে যায় এবং পড়ালেখা শিখে কালেক্টার সাহেবের নাজির হয়। গল্পকথকেরও তাই ইচ্ছা ছিল। তাই সে এক সময় বাড়ির কাউকে না বলে কলকাতায় পালিয়ে যায় এবং গ্রামের এক আলাপী লোকের বাসায় অবস্থান করে। গল্পকথকের পিতা এ সংবাদ জানতে পারার পর গল্পকথকের জন্য টাকা পাঠাতে থাকেন আর গল্পকথকও যথারীতি পড়ালেখা চালাতে থাকেন। কিন্তু কলকাতায় এসে কিছুদিন পর জীবনের লক্ষ্য পরিবর্তন করে রাজনীতির সাথে সক্রিয় হয়ে উঠে। সে পড়ালেখার ফাঁকে হঠাৎই দেশের জন্য কিছু একটা করার আশায় সভাসমিতিতে যোগ দিতে থাকে। অন্যদের সাথে গল্পকথকও সভাসমিতির চাঁদা তুলত, রাস্তায় দাঁড়িয়ে বিজ্ঞাপন বিলি করত।
মন্তব্য অংশে এসে বলা যায়, গল্পকথক কলকাতায় এসে নিজের লেখাপড়া এবং ভারতবর্ষের উপকারার্থে নিজেকে বিলিয়ে দিয়েছিলেন।
Leave a comment