1964 খ্রিস্টাব্দে গঠিত ভারতীয় শিক্ষা কমিশন বা কোঠারি কমিশন 1966 খ্রিস্টাব্দে মাধ্যমিক শিক্ষার যে পাঠক্রমটি সুপারিশ করে তা নিম্নরূপ一
(১) নিম্নমাধ্যমিক [VI-VIII] এবং মাধ্যমিক [DX-x] স্তরের পাঠক্রম: এই স্তরগুলির জন্য ভাষা বিভাগে মাতৃভাষা এবং ইংরেজি বা হিন্দি; বিজ্ঞান বিভাগে গণিত, ভৌতবিজ্ঞান ও জীবনবিজ্ঞান এবং সমাজবিজ্ঞান বিভাগে ইতিহাস, ভূগােল ও সমাজসেবা ইত্যাদি বিষয় পড়ানোর কথা বলা হয়। এ ছাড়া SUPW নামক কর্মশিক্ষা পাঠদানের কথাও বলা হয়।
(২) উচ্চমাধ্যমিক স্তরের [XI-XII] পাঠক্রম: এই স্তরের পাঠক্রমে দুই ধরনের শিক্ষাপ্রবাহের কথা বলা হয়一
-
সাধারণ শিক্ষাপ্রবাহের পাঠক্রম: এক্ষেত্রে ভাষা হিসেবে মাতৃভাষা বা আঞ্চলিক ভাষা এবং ইংরেজি বা হিন্দি পড়ানাের কথা বলা হয়। এ ছাড়া যে-কোনাে তিনটি আবশ্যিক বিষয় এবং একটি অতিরিক্ত ঐচ্ছিক বিষয়ে পাঠদানের সুপারিশ করা হয়। ঐচ্ছিক বিষয়টিতে ছাত্রছাত্রীর ইচ্ছে না থাকলে বিষয়টি সে গ্রহণ না-ও করতে পারে। এ ছাড়া শারীরশিক্ষা, কর্মশিক্ষা এবং সমাজসেবা এই পাঠক্রমের অন্তর্ভুক্ত।
-
বৃত্তিমূলক শিক্ষাপ্রবাহের পাঠক্রম: এক্ষেত্রে দুটি ভাষা পাঠের সুপারিশ করা হয়। পদার্থবিদ্যা, রসায়ন, জীববিদ্যা, হিসাবশাস্ত্র, বাণিজ্যিক অর্থনীতি ইত্যাদি বিষয় থেকে যেকোনাে তিনটি বেছে নেওয়ার কথা বলা হয়। এ ছাড়া, বৃত্তিমূলক বিষয় থেকে যেকোনাে একটি গ্রহণের কথা বলা হয়। বৃত্তিমূলক বিষয়ে রয়েছে কৃষিবিজ্ঞান, কারিগরি, প্যারামেডিসিন প্রভৃতি। এগুলি ছাড়াও এই পাঠক্রমে শারীরশিক্ষা, কর্মশিক্ষা ও সমাজসেবা পড়ানাের কথা বলা হয়। তবে এতে পরীক্ষার সুপারিশ করা হয় না৷
কোঠারি কমিশন প্রবর্তিত পাঠক্রমটি দীর্ঘ ত্রিশ বছরেরও বেশি সময় ধরে পশ্চিমবঙ্গের বিদ্যালয়গুলিতে অনুসরণ করা হচ্ছে।
Leave a comment