প্রশ্নঃ “কিশাের ‘তিতাস একটি নদীর নাম’ উপন্যাসের এক অনন্য চরিত্র”- উক্তিটি আলােচনা সাপেক্ষে চরিত্রটি বিশ্লেষণ কর।

উত্তরঃ অদ্বৈতমল্ল বর্মণের ‘তিতাস একটি নদীর নাম’ উপন্যাসে কিশাের চঞ্চল, রােম্যান্টিক ও ভাবুক প্রকৃতির। তার ভাবনা মূলত বাস্তবতাভিত্তিক। “কিশাের ‘তিতাস একটি নদীর নাম’ উপন্যাসের এক অনন্য চরিত্র; উপন্যাসে ইচ্ছে করলেই লেখক তাকে নায়ক-চরিত্র হিসেবে গড়ে তুলতে পারতেন; কিন্তু লেখক শেষ পর্যন্ত তা করেননি।

কিশাের ও সুবল বাল্য বন্ধু, তাদের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের ব্যবধান বাল্যকাল থেকেই। কিশাের জনৈক বেদেনীর সংস্পর্শে এসে মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে তাকে মাছ দিয়েছে বিনা পয়সায়। আর সেখানে সুবল মাছের বিনিময়ে তার কাছে চেয়ে রেখেছে সাবান। তবু তারা শৈশব থেকে যৌবনে পাড়ি জমায় একে অপরের হাত ধরাধরি করে। শৈশবে তারা স্কুলের পড়া ফাঁকি দিয়ে কলা গাছের খােল কেটে চটি জুতা তৈরি করতাে। জুতা পায়ে দিয়ে কিশাের সুবলের কাছে ভক্তি চায়, নিজেকে বৈকুণ্ঠ চক্রবর্তী বলে দাবি করে। বাল্যকালে বাসন্তীর মাঘমণ্ডপের ব্রত তৈরিতে অংশ নিয়েছিল কিশাের ও সুবল। জলে ভাসানাে চৌয়ারি ধরার জন্য দুই ডানপিটে ছেলের দ্বন্দ্ব বেঁধে যায়। তাদের এ ঝগড়া বিবাদ বাসন্তীকে কষ্ট দিয়েছে। বিশেষ করে বাসন্তী ব্যথিত হয়েছে কিশােরের জন্য। এ প্রসঙ্গে বাসন্তী বলেছে-

“মা, ওমা দেখ, সুবল দাদা কিশাের দাদার কাণ্ড! আমি চৌয়ারির জলে ছাড়তে না ছাড়তে তারা দুই জনে ধরতে গিয়া কি কাইজ্যা। এ কয় আমি নিমু, হে কয় আমি নিমু। ডরে আর কেউ কাছেও গেল না। শেষে কি মারামারি।”

বাসন্তী তাদের এই কাড়াকাড়ি সইতে না পেরে দুজনকেই রাখতে বলেছে চৌয়ারি। কিশাের বাসন্তীর কথা মেনে নিয়ে ছেড়ে দেয় চৌয়ারি পাবার আশা। বাসন্তী মনের কোণে সূক্ষ্ম দরদ লুকিয়ে ছিল কিশােরের জন্য। প্রবাস খণ্ডে শুকদেবপুরের খলা বাইতে যাওয়ার সময় কিশাের ও সুবলের মধ্যে প্রেমভাব লক্ষ করা যায়। উভয়ে এ বিষয়ে আলাপ করেছে। কিন্তু কিশােরের মন রােমান্টিকতার পাখায় ভর করে উড়ে চলেছে অপ্রাণীয়ের খোজে। ফলে কিশােরের সঙ্গে বিয়ে হলাে না বাসন্তীর। শৈশবের এই খেলার গণ্ডি পেরিয়ে তারা সক্ষম পুরুষ হয়ে ওঠে মালাে সমাজের। সুবল ভাবত, বাসন্তী কিশােরের হাঁড়িতে চাল দিয়ে রেখেছে। সুবলের এই ধারণা ও কিশােরের নিজের বিয়ের পাত্রী সম্পর্কিত ভাবনার মধ্যকার ব্যবধানই কিশাের চরিত্রের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। কিশাের ভাবে-

“যারে লেংটা থাইক্যা দেখতাছি ছছাটোকালে যারে কোলে পিঠে লইছি হাসাইছি, কাদাইছি, ডি দেখাইছি, তেউরা বানাইয়া দিছি তারে কি বিয়া করণ যায়! বিয়া করণ যায় তারে, যার লগে কোনকালে দেখা সাক্ষাৎ নাই।”

কিশােরের প্রতি বাসন্তীর ভালােবাসার প্রকাশ ঘটেনি; প্রেমের শেষ আভাটুকু মিলিয়ে যায় কিশােরের উন্মাদগ্রস্ততায় এবং তা তার মনের গভীরে জ্বালিয়ে রাখে অন্তহীন বেদনার দীপশিখা। নিজেদের আর্থিক অবস্থার উন্নতির জন্য কিশাের উত্তরের প্রবাসে মাছ ধরতে যাওয়ার পরিকল্পনা করে। জগৎপুরের ডহরে যাওয়ার পরিকল্পনাও কিশােরের। কিশাের তিলক ও সুবলকে সঙ্গে নিয়ে যাত্রা করে উত্তরের পথে। জলের বুক চিরে নৌকার দাড় বেয়ে তারা নৌকা টেনে নিয়ে যায় মেঘনার দিকে। সীমাহীন সুদূর জলরাশির দিকে তাকিয়ে কিশােরের মনে জেগে ওঠে এক ধরনের আনন্দ শিহরণ। নয়াকান্দার মালােদের স্বাধীনতা ও সুখের কথা মনে পড়ে কিশােরের।

রােমান্টিক কিশাের স্বপ্ন দেখে একটি সুন্দর পরিবারের। কল্পনা ও বাস্তবতার ধ্যানে কিশােরের নৌকা ক্রমে এগিয়ে চলে উত্তরের দিকে। যাত্রাপথে কিশাের মালােদের সুখ-দুঃখ নিয়ে ভাবে। কিশােরের জানা মতে নয়াকান্দা, শুকদেবপুরের মালােরা রয়েছে সুখে; সে ভাবে তাদের সুখের কারণ সম্পর্কে। এখানকার মালােরা জলে কাদায় নিয়ত সংগ্রামে অর্জন করেছে। অন্য রকম এক যােগ্যতা; তাদের ফলে তার মাছ ধরা বন্ধ হলেও অনাহারে মরবে না। তাদের অর্জিত কৃষিকাজের যােগ্যতা দিয়ে তারা বাঁচতে পারবে। এখানকার মালােদের জীবনের সঙ্গে কিশাের তুলনা করে গােকনঘাটের মালােদের জীবন ধারা। শুকদেবপুরের মালােরা ক্ষেতে ধান বােনে। তারাই নিজেদের ধান কাটবে। তাদের এই গৌরবে কিশাের নিজেও আনন্দিত। নতুন দেশে পৌছে নতুন পরিবেশ ও মানুষের সঙ্গে পরিচিত হতে কিশাের আগ্রহী।

তিলক বা সুবলের মধ্যে এ মনােভাব ছিল না। সে কারণেই কিশাের ‘মুগরাচণ্ডী’ ফুল পছন্দ করেছে সহজেই। নতুনের প্রতি তার এই অদম্য ভালাে লাগার জন্যই হয়তাে মুহূর্তের মধ্যে কিশাের ভুলেছে বাসন্তীকে। এ ‘খল-বাওয়া’ উপলক্ষে এখানকার একটি পরিবারের কেননা এক তম্বী-তরুণীকে কেন্দ্র করে চৈত্রের মাঝামাঝি পর্যায়ে ফাগ-রাঙানাে দোলপূর্ণিমার উৎসবে কিশাের অপ্রত্যাশিত অভিজ্ঞতার মুখােমুখি হয়। বসন্তের উৎসবমুখর এ উদাত্ত দিবসে অজানা আবেগে স্পন্দিত হয়। কিশােরের হৃদয়, পরস্পরের সঙ্গে দৃষ্টি বিনিময়কালে অনঙ্গ দেবতা যেন তাদের অজান্তেই নিক্ষেপ করে পুস্পশর-

“কিশােরের গালে আবির দিতে মেয়েটার হাত কাঁপছিল; বুক দুরু দুরু করিতে লাগিল। তার ছন্দময় হাতখানার কোমল স্পর্শ কিশােরের মনের এক রহস্যলােকের পদ্মরাজের ঘােমটা ঢাকা দলগুলিকে একটি একটি করিয়া মেলিয়া দিল। সেই অজানা স্পর্শের শিহরণে কাপিয়া উঠিয়ী সে তাকাইল মেয়েটির চোখের দিকে। সে চোখে মিনতি। সে মিনতি বুঝি। কিশােরকে ডাকিয়া বলিতেছেঃ বহু জনমের এই আবিরের থালা সাজাইয়া রাখিয়াছি। তােমারই জন্য। তুমি লও। আমার আবিরের সঙ্গে তুমি আমাকেও লও।”

শুকদেবপুরের প্রথম দর্শনেই প্রেমে আক্রান্ত হয়েছিল কুমারী মেয়েটি এবং কিশাের। আবার দোল উৎসবের দিনেও নৃত্যরত মেয়েটির রূপে মুগ্ধ হয়েছিল কিশােরও, মেয়েটির তাল কেটে যায় তাকে দেখে। প্রথম দর্শনের সেই মুগ্ধতা দীর্ঘস্থায়ী হয়েছিল। কিশােরও মনে মনে কামনা করে নতুন কুমারী নারীকে। একদিন মােড়লের স্ত্রী কিশােরকে নিজের বাড়িতে সংবাদ পাঠায়। কিশাের তাকে ডাকার কারণ কিছুই জানতাে না। মােড়ল-গিন্নি পায়ের ধুলাে নিতেই গিন্নি তাকে একটা ঘরের মধ্যে নিয়ে যায়। সেখানে নতুন একটা শাড়ি পরে, পানের রসে ঠোট রাঙিয়ে বসেছিল সেই কুমারী মেয়েটি। এখানেই মােড়লের স্ত্রীর উদ্যোগেই অনন্তর মায়ের সঙ্গে কিশােরের মালাবদলের মাধ্যমে বিয়ে সম্পন্ন হয়। বাঁশিরাম মােড়লের স্ত্রী দু’জনের হাতে দুটি ফুলের মালা তুলে দিয়ে দেশে গিয়ে শাস্ত্রমতে বিয়ে করার পরামর্শ দেয়। শুকদেবপুরের পরিবেশ খারাপ হওয়ার কারণে আরেকদিন মােড়ল মেয়ের বাপের সামনে কিশােরকে ডেকে বলে- কন্যা পেয়েছে। এবার দেশে নিয়া ধর্মসাক্ষী করে বিয়ে করিও। সে তােমার জীবনের সাথী, ধর্মকর্মের সাথী, ইহকাল পরকালের সাথী। তাকে কোনােদিন অযত্ন করিও না। মালা বদল করে গান্ধর্ব বিয়ের সুবাদে স্ত্রীকে নিয়ে কিশাের তার নিজ গ্রাম গােকনঘাটের পথে যাত্রা করে।

কিশাের শুকদেবপুরে বিয়ে করে নববধুকে সাথে নিয়ে গােকনঘাটে নিজের গ্রামে ফিরে আসার জন্য. সুবল তিলকাদকে সঙ্গে নিয়ে নদীতে নৌকা ভাসায়। সন্ধ্যা নাগাদ তারা নয়াগাঙের মােহনায় পৌছায়; যখন নদীতে নৌকা চালানাে ছিল বিপজ্জনক জায়গাটি বিভিন্ন কারণে ভয়ঙ্কর। তারা তিনজনে যুক্তি করে এখানেই রাতটা কাটানাের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। সেখানে আগে থেকেই অনেক ধরনের নৌকার মাঝি-মাল্লারা রাত কাটানাের জন্য আশ্রয় নিয়েছিল। রাতে চাপা গলায় ফিসফাস আওয়াজে তিলকচাদের ঘুম ভেঙে যায়। তিলক ভেবেছিল কিশাের বুঝি তার নববধূর সাথে গল্প করছে। পরক্ষণে পায়ে দড়ির টান পড়াতে সে বুঝতে পারে তারা ডাকাতের কবলে পড়েছে। তখন সে চিৎকার করে ওঠে- “অ কিশাের, আর কত ঘুমাইবা, চাইয়া দেখ, সর্বনাশ হইয়া গেছে।” ততক্ষণে তাদের নৌকার পাটাতন থেকে অপহৃত হয়েছে কিশােরের নববধূ এবং বেসাতের মুনাফা দুইশত টাকা। কিশাের ঘুম থেকে উঠে কিছু বুঝে উঠতে পারে না- বুঝার পরে সে ‘হায়, কি হইল রে’ বলে পাগলের মতাে একবার চিৎকার করে। অপ্রত্যাশিত ও মর্মান্তিক এ ঘটনায় বিধ্বস্ত হয়। কিশােরের হৃদয় এবং চিরকালের জন্য উন্মাদ হয়ে যায়।

‘নয়াবত’ অংশে ঘটনার আকস্মিকতা লক্ষ করা যায়- চার বছর পর কিশােরের স্ত্রী ও তার গর্ভের সন্তান অনন্তর সংবাদ পাওয়ায়। নদীর তীরে গৌরাঙ্গ মালাে ও নিত্যানন্দ মাললা পেয়েছিল মৃতপ্রায় অনন্তর মাকে। ‘রাজার ঝি’ বলে তারা তাকে লালন পালন করেছিল। গােকনঘাট গ্রামে নতুন করে পুত্র অনন্তকে নিয়ে সংসারধর্ম শুরু হয় কিশােরের স্ত্রীর। উন্মাদ কিশােরকে সে তার স্বামীরূপে নিঃসন্দিগ্ধভাবে শনাক্ত করতে ব্যর্থ হলেও অচেতনসত্তায় সে তার প্রতি একটা বেদনাময় আকর্ষণ অনুভব করে। অনন্তর মা সব লাজ-লজ্জা বিসর্জন দিয়ে পাগল কিশােরের সুস্থতার কাজে মনােনিবেশ করে। সে নিজে ঘােরাঘুরি করে কবিরাজের নিকট থেকে গাছগাছড়ার ওষুধ নিয়ে আসে। প্রথম প্রথম অনন্তর মার ওপর কিশাের বেশ অত্যাচার করতাে পরবর্তীতে ধীরে ধীরে কিশাের পাগল আত্মসমর্পণ করে নীরব হয়। লােকেও দেখে পাগল কিশােরকে অনন্তর মা প্রাণপণে চেষ্টা করে সুস্থ করার। বাসন্তীর সঙ্গে গল্প করে অনন্তর মা বুঝতে পারে, কিশাের পাগলই তার স্বামী। তারপর সে তাকে ভালাে করার জন্য প্রাণান্ত চেষ্টা করে।

দোল-উৎসব উপলক্ষে অপ্রকৃতিস্থ কিশােরকে আবিরে রাঙিয়ে তাদের প্রথম প্রেমাভিষেক স্মৃতি উদ্বোধনের জন্য অনন্তর মা উদ্যোগী হয়। গােকনঘাটে শুকদেবপুরের মতাে মানুষেরা দোল উৎসবে মেতে ওঠে- বাসন্তী, অনন্ত, অনন্তর মা-ও আবির নিয়ে সে উৎসবে যােগদান করে। কিশাের পাগলের উঠানের ওপর দিয়ে পথ- সে-পথ দিয়ে বাসন্তীরা যেতে গেলে পাগল তাদের পথ আটকিয়ে আবির দেওয়ার কথা বলে। বাসন্তী কোনাে রকমে পাগলকে পাশ কাটিয়ে চলে আসে। কিন্তু অনন্তর মা পাগলকে আবির দিয়ে রাঙিয়ে দেয়। সুবলার বউ হতবুদ্ধি হয়ে জিজ্ঞাসা করে সে কেন এমন করলাে। এ প্রশ্নের উত্তরে অনন্তর মা বলে দোল উৎসবে সবাই সবাইকে রাঙালেও পাগলেরে কেউ না রাঙানাের কারণে সে তাকে আবির দিয়ে রাঙিয়েছে।

উন্মাদ কিশোর ধীরে ধীরে সুস্থতার পথে এগিয়ে চলে। আবির রাঙানাের পরে কিশাের সুস্থ হয়ে পূর্ব স্মৃতি ফিরে পায়। ফলে সে আবার আগের মতাে প্রেয়সী অনন্তর মাকে পাজাকোলে তুলে নিয়ে লাঠির সন্ধান করে- সতীর গায়ে হাত দিয়েছে এই অজুহাতে। হােলির আসর ভেঙে লােকজন কিশােরের বাড়িতে জড়াে হয়। সবাই ভুল করে পাগল কিশােরকে লাথি, চড়, কিল, ঘুষি, ধাক্কা- কয়েকজন তাকে লাঠির প্রহারে বিষমভাবে আহত করে। সে এতদিন পর স্বাভাবিকভাবে তার বাবার কাছে জল চায় এবং ঘরে তুলে নিতে বলে। সে রাতটা কোনাে রকমে বেঁচে থাকলেও পরেরদিন ভােরে সে মারা যায়। অনন্তর মায়ের সেবায় সে যখন সুস্থ হয়ে ওঠে তখন সে আবার অন্যদের নির্যাতনের কারণে পৃথিবী থেকে চিরবিদায় গ্রহণ করেছে।

সুতরাং সার্বিক বিচারে বলা যায়- কিশাের অনন্তর মায়ের পরিচর্যায় ফিরে পেয়েছিল স্বাভাবিক জ্ঞান। কিন্তু মানুষের হৃদয়হীনতার কারণেই তা ব্যর্থ হয়। কিশােরের মৃত্যুর পর অনন্তর মাও চারদিনের ব্যবধানে মৃত্যুবরণ করে। যেন এক অদৃশ্য সুতােয় বাঁধা ছিল দুজনের জন্য একই পরিণতি। শৈশবের দুরন্ত চরিত্রের কিশাের পরিণত বয়সে হয়ে যায় ভাবুক এবং আবেগ, উচ্ছ্বাসভরা প্রেম বিলাসী নিত্য পরিশ্রমী একজন জেলে। সে মালাে সমাজের অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ সম্পর্কে ভাবতে আগ্রহী। গােষ্ঠীগত উন্নয়নের চিন্তা তার চরিত্রটিকে করে দেয় কোমল ও মানবিক। তবে তার নিয়তি এবং নির্মম পরিণতি পাঠকের মনকে ভিজিয়ে দিয়ে যায়।