মাত্র তিরিশ বছরের সংক্ষিপ্ত জীবন-পরিধির মধ্যে বাঙালী জাতি ও বাংলা সাহিত্যের জন্য যিনি রেখে গেছেন এক অতুলন সারস্বতার্ঘ্য, তিনি ঊনবিংশ শতাব্দীর ঐতিহ্যপুষ্ট, রেনেসাঁসের অন্যতম দীপ্তিমান নক্ষত্র কালীপ্রসন্ন সিংহ। রামমোহন বিদ্যাসাগরের আদর্শে উদ্ভাসিত কালীপ্রসন্নের জীবন বুদ্ধি ও হৃদয়বৃত্তির সুষম সমন্বয়। অমৃতসমান মহাভারতের অনুবাদ, “বিদ্যোৎসাহিনী রঙ্গমঞ্চ” প্রতিষ্ঠা, মহাকবি মধুসূদনকে প্রথম গণসম্বর্ধনা জ্ঞাপন, সামাজিক ভণ্ডামীর বিরুদ্ধে বলিষ্ঠ পদক্ষেপ প্রভৃতি তাঁর সংক্ষিপ্ত জীবনের কয়েকটি আলোকোজ্জ্বল কীর্তিস্তম্ভ। কিন্তু কেবল ঐতিহ্যচর্চা এবং প্রগতিশীল আন্দোলনের অন্যতম পুরোধারূপেই তিনি বন্দিত নন, বাংলা গদ্যসাহিত্যের সূচীপত্রে এক অসামান্য ব্যক্তিত্বরূপেও নন্দিত।

কালীপ্রসন্ন সিংহের জন্ম ও কর্মজীবন:

জন্ম ও কর্মজীবন কলকাতার জোড়াসাঁকো অঞ্চলে এক ধনী জমিদার পরিবারে ১৮৪০ খ্রীস্টাব্দে কালীপ্রসন্ন সিংহের জন্ম হয়। তিনি ছিলেন প্রসিদ্ধ দেওয়ান শাস্তিরাম সিংহের প্রপৌত্র, জয়কৃষ্ণ সিংহের পৌত্র এবং নন্দলাল সিংহের একমাত্র পুত্র। শৈশবে তিনি হিন্দু কলেজে শিক্ষালাভ করেন। তবে কৃতী ছাত্র বলে স্বীকৃত হননি। বাড়িতে তিনি উইলিয়াম কার্কপ্যাটরিক নামে একজন সাহেবের কাছ থেকে সযত্নে ইংরেজী শিখেছিলেন। সংস্কৃত ভাষায় পাণ্ডিত্য অর্জন করেন। বঙ্গভাষা অনুশীলনের জন্য মাত্র তেরো বছর বয়সে বিদ্যোৎসাহিনী সভা’ প্রতিষ্ঠা (১৪ জুন, ১৮৫৩ খ্রীঃ) করেন। এই সভা বাংলা সাহিত্য সংস্কৃতি ও সমাজ-সংস্কার ইত্যাদি নানাবিধ প্রগতিমূলক কাজে এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করে। এই সভার সম্পাদকরূপে প্রথমে কালীপ্রসন্ন, পরে উমেশচন্দ্র মল্লিক, ক্ষেত্রনাথ বসু ও রাধানাথ বিদ্যারত্নের নাম পাওয়া যায়। এছাড়া কৃষ্ণকমল ভট্টাচার্য্য, প্যারীচঁাদ মিত্র, কৃষ্ণদাস পাল প্রমুখ সমকালের বহু স্বনামধন্য ব্যক্তি এই সভার সভ্য ছিলেন। এই সভার মাধ্যমেই সি. জি. মনটেগিউ (ডেভিড হেয়ার একাডেমীর প্রধান শিক্ষক), কার্কপ্যাটরিক প্রমুখ সাহেবদের বক্তৃতা, মধুসূদন এবং পাদরি লঙ্কে সম্বর্ধনাদান, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের বিধবাবিবাহ কাজের সমর্থনে স্বাক্ষর সংগ্রহ, মৃত হরিশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়ের পত্নীকে অর্থ সাহায্য ইত্যাদি বিবিধ জনহিতকর কাজ করা হয়েছিল। এই বিদ্যোৎসাহিনী সভার অধীনে ‘বিদ্যোৎসাহিনী রঙ্গমঞ্চ প্রতিষ্ঠা (১৮৫৬) কালীপ্রসন্নের উদ্যোগেই সম্ভব হয়। এখানে ‘বেণীসংহার’, ‘বিক্রোমোৰ্ব্বশী’ প্রভৃতি নাটক অভিনয় হয়। কালীপ্রসন্ন স্বয়ং কোন কোন নাটক অভিনয়ে অংশগ্রহণ করেন। ‘‘বিদ্যোৎসাহিনী’ মাসিক পত্রিকা (২০শে এপ্রিল, ১৮৫৫) তারই উদ্যোগে প্রকাশিত হয়। এছাড়া ‘সর্বতত্ত্বপ্রকাশিকা’, ‘বিবিধার্থ-সংগ্রহ’, ‘পরিদর্শক’ ইত্যাদি পত্রিকা সম্পাদনায় কালীপ্রসন্নের উল্লেখযোগ্য ভূমিকা ছিল। ১৮৬৩ খ্রীস্টাব্দে কালীপ্রসন্ন “অবৈতনিক ম্যাজিষ্ট্রেট ও জাস্টিস অব দি গীস্ নিযুক্ত” (দ্রষ্টব্য : “বিচারকের পদে কালীপ্রসন্ন”, ‘সাহিত্যসাধক চরিতমালা, ১ম খণ্ড, ব্রজেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়, ৬ষ্ঠ মুদ্রণ, বৈশাখ ১৩৮৩, পৃষ্ঠা ৬৭-৭২) হয়েছিলেন। সংস্কৃতিবান, দাতা, স্পষ্টবাদী, স্বজাতিপ্রেমিক কালীপ্রসন্ন নানা সামাজিক কীর্তির পরিচয় দিয়ে ১৮৭০ খ্রীস্টাব্দের ২৪ জুলাই অকালে প্রাণত্যাগ করেন।

কালীপ্রসন্ন সিংহের রচনাসমূহ:

‘বাবুনাটক’ (১৮৫৪), ‘বিক্রমোৰ্ব্বশী নাটক’ (১৮৫৭), ‘সাবিত্রী সত্যবান নাটক’ (১৮৫৮), ‘মালতীমাধব নাটক’ (১৮৫৯), ‘হিন্দু পেট্রিয়ট’ সম্পাদক মৃত হরিশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়ের স্মরণার্থ কোন বিশেষ চিহ্ন স্থাপনের জন্য ‘বঙ্গবাসীবর্গের প্রতি নিবেদন’ (১৮৬১), ‘হুতোম প্যাচার নক্শা’ (১৮৬১-৬২), ‘পুরাণসংগ্রহ’ (১৮৬০-৬৬) বা বেদব্যাস-প্রণীত মহাভারতের অনুবাদ, ‘বঙ্গেশবিজয়’ (অসমাপ্ত, ১৮৬৮), ‘শ্রীমদ্ভগবদগীতার বঙ্গানুবাদ’ (১৯০২, মৃত্যুর পর প্রকাশিত)।

১৮৬২ খ্রীস্টাব্দে প্রকাশিত কালীপ্রসন্নের ‘হুতোম প্যাচার নক্সা” অদ্বিতীয় সমাজ চিত্রশালা। চড়ক পার্বণের রঙ্গ, বারোয়ারীর নেপথ্যে সামাজিক ব্যভিচার, ছেলেধরা, মিউটিনী, বিচিত্র হুজুগের ব্যঙ্গ, ‘হঠাৎ অবতারবাবু’ পদ্মলোচনের শ্লেষতিক্ত উপাখ্যান, মাহেশের স্নানযাত্রার বর্ণনা, রাসলীলার উৎসব, নবপ্রবর্তিত রেলওয়ের বাস্তববিবরণী—সবকিছুর বিশ্বস্ত চিত্র নিপুণ রসস্রষ্টার তুলিতে রূপাঙ্কিত। সদ্যোবিগত ভারতচন্দ্রীয় যুগের যাযাবরী উদ্দামতা, সংস্কারান্ধ যুগের মূঢ়তা ও কুপ্রথার ফোটোগ্রাফিক ছবি কালীপ্রসন্ন তাঁর ক্ষুরধার দৃষ্টির এক্স-রে লেন্সে ধরে ফেলেছেন। তাঁর দ্ব্যর্থহীন স্বীকারোক্তিটিও বলিষ্ঠ মানসিকতার বাণীবাহী “এই নক্সায় একটি কথা অলীক বা অমূলক ব্যবহার হয় নাই।” কোথাও বাস্তব নামধাম বজায় রেখে, কোথাও সামান্য আবরণ টেনে তিনি অনেক তথাকথিত বিখ্যাত’ ব্যক্তির মুখোশ খুলে দিয়েছেন।

দীনবন্ধু সম্পর্কে বঙ্কিমচন্দ্রের অবিস্মরণীয় মন্তব্য কালীপ্রসন্ন সম্পর্কেও প্রযোজ্য হতে পারে : “তিনি তুলি ধরে সামাজিক বৃক্ষে সমারূঢ় বানরের ল্যাজশুদ্ধ ছবি” এঁকে নিয়েছেন। ভুবনচন্দ্র মুখোপাধ্যায় ‘হুতোম কে এইভাবে অভিনন্দন জানিয়ে বলেছেন : “বাজারে হুতোম পাচা বেরুলো, বদমায়েশের তাক্ লেগে গ্যালো, ছেলেরা চমকে উঠলো, আমরা জেগে উঠলুম।” কিন্তু শুধু অম্লাক্ত তির্যকতা নয়, অকৃত্রিম দেশপ্রেম আর সত্যের শক্তিই ছিল কালীপ্রসন্নের অমোঘ যুদ্ধাস্ত্র।

‘হুতোমে’ সর্বস্তরের মানুষ উপস্থিত। কিন্তু লেখকের ব্যঙ্গের অস্ত্রে আহত হয়েছে প্রধানতঃ “আজব শহর কলকেতার” “হঠাৎবাবুর” গোষ্ঠী—সামাজিক গ্লানি-মন্থনের কাজে যাদের অপভূমিকা ছিল মুখ্য। লালসা-লাঞ্ছিত জীবনযাত্রার উল্লোল পঙ্কে এরা ছিল আকণ্ঠ নিমজ্জিত। বীরকৃষ্ণ দা আর পদ্মলোচন দত্তজার দল তার সার্থক প্রতিনিধি। তার শাণিত বিদ্রুপ-বাণ চলতি ভাষায় নিখুঁতভাবেই বিশ্লেষিত—“হঠাৎ টাকা হলে মেজাজ যেরকম গরম হয়, একদম গাঁজাতেও তা হয় না।…. কিছুদিনের মধ্যে পদ্মলোচন কলিকাতা শহরের একজন প্রধান হিন্দু হয়ে পড়েন—তিনি হাই তুল্লে হাজার তুড়ি পড়ে। —তিনি হাঁচলে জীব! জীব! জীব। শব্দে ঘর কেঁপে উঠে।” সমাজ-শত্রুরা এখানে মসী অসির আঘাতে রক্তাক্ত। ব্যঙ্গ-সমালোচক রোনাল্ড নক্স বলেছেন: “…. the laughter which satire provokes has malice in it always.” এই যে ‘malice’ বা বিদ্বেষ তা ক্ষতিকর নয় উপভোগ্য এবং কল্যাণকর। নিজেকে নিরাপদ দূরত্বে রেখে শত্রুপুরীতে তীর নিক্ষেপ করা হয় তবে তীরটি যাতে বাইরের দৃষ্টিতে উপভোগ্য হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখেন ব্যঙ্গশিল্পী।

আক্রমণের অম্লাক্ত তির্যকতাই নয়, দেশ ও মানুষের প্রতি বেদনার অশ্রুরেখাই নক্সাটির ধ্রুবপদ। তার সমবেদনার স্মারক চিহ্ন—‘রেলওয়ে’। তৃতীয় শ্রেণীর দরিদ্র যাত্রীদের কারুণ্য কৌতুকের আবরণে উদ্‌ঘাটিতবুকিং ক্লার্ক “কারো টাকা নিয়ে চার আনার টিকিট ও দুই দোয়ানি দেওয়া হচ্ছে, বাকি চাবামাত্র ‘চোপরও’ ও ‘নিকালো’। কারো শ্রীরামপুরের দাম নিয়ে বালির টিকিট বেরুচ্চে, কেউ টিকিটের দাম নিয়ে দশ মিনিট চিৎকার কচ্চে, কিন্তু সেদিকে ভ্রুক্ষেপ মাত্র নাই।” তৃতীয় শ্রেণীর যাত্রীরা কিভাবে পদে পদে বঞ্চিত হয়, জমাদার ও চাপরাশীদের বেত কি নির্মমভাবে বর্ষিত হয় এবং কিভাবে তারা গাড়িতে স্থান লাভ করে, রেলকর্মচারীদের অত্যাচার অবিচারের চেহারা কালীপ্রসন্নের বিরল-সৌষ্ঠব বর্ণন-নৈপুণ্যে জীবন্ত হয়ে উঠেছে। ‘মিউটিনী’ প্রসঙ্গে বাঙালীর ভীরুতার উপর ‘হুতোম’ হেনেছেন লেখনীর কষাঘাত। নীলকরদের রক্তলাঞ্ছিত পাপের বিরুদ্ধে তার অন্তর্জালা যেন রক্তনিঃশ্বাসে উচ্চারিত। সমাজ সচেতন সাহিত্য হিসাবে নক্সাটির মৌলিকতা তাই সর্বজনস্বীকৃত। উপন্যাস না হলেও চরিত্রসৃষ্টি ও বীক্ষণ নৈপুণ্যে অনেক জায়গায় উপন্যাসের উদ্ভাস দেখা যায়। সমসাময়িক পুলিশী ব্যবস্থার একটি বাস্তবালেখ্য তার নিপুণ তুলিতে ধরা পড়েছে: “পুলিশের সার্জন দারোগা জমাদার প্রভৃতি গরীবের যমেরা মমস্ করে থানায় ফিরে যাচ্ছেন, সকলেরি সিকি, আধুলী, পয়সা ও টাকায় ট্যাক পরিপূর্ণ।” রুচির শুচিতা রক্ষায় লেখক ছিলেন যথাসাধ্য সংযম শাসিত। স্নানযাত্রার সামান্য কিছু অংশ ছাড়া বইখানি হয়ে উঠেছে প্রসন্ন কৌতুকে দীপ্ত।

কালীপ্রসন্ন সিংহের গদ্যরীতি :

বাংলা গদ্য সাহিত্যের ইতিহাসে ‘হুতোম পাচার নক্সা’ গ্রন্থটির গুরুত্ব অপরিসীম। তার প্রধান কারণ এর ভাষা। চলিত গদ্যরীতির প্রকাশে বইটির অভিনবত্ব আছে। এই অভিনব বৈশিষ্ট্যগুলি হল :

(ক) সমাজচিত্র বর্ণনায় বা লোকজীবনের প্রাত্যহিক বিবরণে চলিত ভাষা যে সার্থক প্রকাশ মাধ্যম হতে পারে তা স্বীকৃত হল। ‘কলকেতার ভাষা’ যে আগামী বাংলা সাহিত্যের অন্যতম অবলম্বন হবে, বিবেকানন্দ ও প্রমথ চৌধুরীর কথায় তা উচ্চারিত হওয়ার অনেক পূর্বে কালীপ্রসন্নই প্রথম এই গ্রন্থে তার আভাস দিয়েছিলেন। অবশ্য হুতোমের পূর্ববর্তী লেখক টেকচাদ বা প্যারীচাদের লেখাতেও (‘আলালের ঘরের দুলাল) বিভিন্ন স্থানে এই মৌখিক রীতির ব্যবহার শুরু হয়েছিল। কিন্তু তার ভিত ছিল সাধুভাষা।

(খ) হুতোমের গদ্যের দ্বিতীয় বৈশিষ্ট্য হল, লেখকের বীক্ষণ-নৈপুণ্য এবং উচ্চারণভিত্তিক বানান ব্যবহার; যেমন “শোভাবাজারের রাজাদের ভাঙ্গা বাজারে মেছুনীরা প্রদীপ হাতে করে ওঁচা পচা মাছ ও লোনা ইলিশ নিয়ে ক্রেতাদের ‘ও গামচা কাঁদে ভাল মাছ নিবি?’ ‘ও খেরা ওঁপো মিসে চার আনা দিবি’ বলে আদর কচ্চে।” এই বানানরীতি, মৌখিক উচ্চারণ বা ‘কক্‌নি’র বৈশিষ্ট্য নির্দেশ করে।

(গ) ধ্বন্যাত্মক শব্দ (যেমন, ‘দুম্ করে তোপ পড়ে গ্যালো’), প্রাত্যহিক বাচনভঙ্গী, সংলাপধর্মী বর্ণনা, চিত্রকরের ছবির মত দৃশ্যগুণ হুতোমের রচনায় দেখা যায়।

(ঘ) হাস্য পরিহাস বা ব্যঙ্গ-বিদ্রূপ প্রয়োগে চলিত গদ্যের উপযোগিতা প্রমাণিত হল। হুতোম মুখ্যত ব্যঙ্গ লেখক। এই ব্যঙ্গে মাঝে মাঝে আক্রমণ বা বিদ্বেষ থাকলেও তা ক্ষতিকর নয়, উপভোগ্য এবং কল্যাণকর। অন্যদিকে সহানুভূতি এবং প্রসন্ন কৌতুক এই গ্রন্থের বহু লেখায় ছড়িয়ে আছে।

(ঙ) ‘হুতোম প্যাচার নক্সা’ শহর কলকাতার তৎকালীন একখণ্ড সামাজিক ইতিহাস তথ্যচিত্রের মতো উজ্জ্বল ও নির্ভরযোগ্য। একালের সাংবাদিক সুলভ ‘রম্যরচনা’র প্রথম প্রয়াস বলে গণ্য হতে পারে।

কালীপ্রসন্ন প্রথম শ্রেণীর ভাষাস্রষ্টা। কিন্তু পরিতাপের বিষয়, তার বক্তব্য ও ভাষা বঙ্কিমচন্দ্রের ভাল লাগে নি। কিন্তু মহান ‘সাহিত্যসম্রাটে’র রাজকীয় উপেক্ষা সত্ত্বেও ‘হুতোম পাচার নক্সা’ নিজস্ব মর্যাদায় স্বমহিমায়, বাংলা গদ্য সাহিত্যের ইতিহাসে এক উল্লেখযোগ্য সংযোজন।