উত্তর : রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘শাস্তি’ গল্পে কুরি পরিবারের ছোটো বউ চন্দরা। সে দেখতে বেশ সুন্দর। পৃথিবীর সকল বিষয়ে তার একটা কৌতূহল আছে অনেক। পাড়ায় গল্প করতে যেতে ভালোবাসে। নদী থেকে ফেরার পথে সবকিছু দেখে নেয় তার স্বামী ছিদাম ও বেশভূষা ও সাজসজ্জার যত্ন নেয়া। গ্রামের সে স্ত্রীকে অন্য নারীদের প্রতি ছিদামের আসক্তি থাকলেও আর তার কারণে দু’জন দু’জনকে বিশ্বাস করে না। তাই ধরে রাখার প্রবণতা বেশি। একসময় চন্দরা লক্ষ্য করলো তার স্বামী কাজের কথা বলে অন্য গ্রামে দু’একদিন কাটিয়ে আসে কিন্তু কোনো টাকা পয়সা আনে না। লক্ষণ মন্দ দেখে সেও বাড়াবাড়ি শুরু করে- সারা পাড়া ঘুরে এসে কাশী মজুমদারের মেজ ছেলের প্রচুর প্রশংসা করে। এ সকল কারণে ছিদামের জীবন বিষময় হয়ে ওঠে। তাই সে একা চন্দরাকে ঘাটে যেতে নিষেধ করে। ছিদাম বউয়ের চুলের মুটি ধরে এনে ঘরে বদ্ধ করে রাখে। ছিদাম কাজ থেকে বাড়ি ফিরে দেখে চন্দরা ঘরে নেই। । তিন গ্রামপর মামা বাড়ি থেকে অনেক কষ্টে তাকে বাড়ি ফিরিয়ে আনে। । ছিদাম বুঝতে পারে পাথরকে যেমন মুষ্টির মধ্যে ধরে রাখা যায় না; চন্দরাকেও তেমন ধরে রাখা দুঃসাধ্য।