বক্তা: অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুবাদ নাটক ‘নানা রঙের দিন’ এ দেখা যায়, দর্শকশূন্য অন্ধকার প্রেক্ষাগৃহে নাট্যাভিনয় শেষ হয়ে যাওয়ার পরে মঞ্চে একা অভিনেতা রজনীকান্ত চট্টোপাধ্যায় তাঁর অতীত জীবনের স্মৃতিচারণ করে চলেছেন।
উদ্দিষ্ট মন্তব্যের কারণ : অতীতের কথা মনে করতে গিয়ে রজনীকান্ত যেমন তার অভিনয় জীবনের রঙিন দিনগুলিকে মনে করেছেন, ঠিক তেমনই ব্যক্তিগত জীবনের গ্লানিও তাঁর স্মৃতিতে উঠে এসেছে। স্ত্রী-পুত্র-আত্মীয়স্বজনহীন নিঃসঙ্গ রজনীকান্তের মনে পড়েছে তার একমাত্র প্রেমের কথা। মেয়েটি অভিনয় দেখে রজনীকান্তের প্রেমে পড়লেও একমাত্র থিয়েটার ছাড়ার শর্তেই বিয়েতে রাজি হবে বলে জানায়। কিন্তু অভিনেতা হিসেবে রজনীকান্ত তখন খ্যাতির শীর্ষে, তার মনে তখন স্বাভাবিকভাবেই প্রবল উচ্চাশা। ফলে একান্তই শিল্পীসত্তার টানে তাকে সেই সম্পর্ক ভাঙতে হয়। অভিনয়ের সঙ্গে ব্যক্তিগত ও সামাজিক জীবনের এই দ্বন্দ্ব রজনীকান্তের মনে তীব্র যন্ত্রণার সৃষ্টি করে। তিনি উপলব্ধি করেন, দর্শকদের আনন্দ দেওয়াই অভিনেতার একমাত্র কাজ। যাবতীয় হাততালি বা প্রশংসা সবই শুধু মঞ্চে অভিনয়ের জন্য। কিন্তু মঞ্চের বাইরে সমাজজীবনে অভিনেতার কোনাে সামাজিক স্বীকৃতি নেই। তার সঙ্গে পারিবারিক বা ব্যক্তিগত সম্পর্ক গড়ে তুলতে কেউই আগ্রহী হয় না।
… প্রাক্তন অভিনেতা রজনী চাটুজ্জের প্রতিভার অপমৃত্যুর করুণ সংবাদ। -কে বলেছেন? এই অপমৃত্যু কীভাবে ঘটে বলে বক্তা মনে করেন?
কী সহজে এক-একটা চরিত্র বুঝতে পারতামকী আশ্চর্য সব নতুন রঙের চরিত্রগুলাে চেহারা পেত… -বক্তার এই মন্তব্যটি বিশ্লেষণ করাে।
..আমার প্রতিভা এখনও মরেনি,—শরীরে যদি রক্ত থাকে, তাহলে সে রক্তে মিশে আছে প্রতিভা।—মন্তব্যটির প্রেক্ষাপট আলোচনা করাে।
শিল্পকে যে-মানুষ ভালবেসেছে—তার বার্ধক্য নেই..—মন্তব্যটির তাৎপর্য লেখাে।
অথবা, শিল্পকে যে-সানুষ ভালােবেসেছে তার বার্ধক্য নেই কালীনাথ, একাকীত্ব নেই—বলতে রজনীকান্ত চট্টোপাধ্যায় কী বুঝিয়েছেন আলােচনা করাে।
আমাদের দিন ফুরিয়েছে।—কে, কোন্ প্রসঙ্গে এই উক্তি করেছেন? বক্তার এই উপলব্ধির কারণ ব্যাখ্যা করাে।
নানা রঙের দিন নাটকের মূল বক্তব্য সংক্ষেপে আলােচনা করাে।
অথবা, রজনীকান্তের চরিত্রের মধ্যে একজন অভিনেতার চিরকালীন যন্ত্রণাই প্রকাশিত হয়েছে।—আলােচনা করাে।
নানা রঙের দিন নাটকের সংলাপ সৃষ্টিতে নাট্যকারের দক্ষতা আলােচনা করাে।
নানা রঙের দিন নাটক অবলম্বনে রজনীকান্ত চট্টোপাধ্যায়ের চরিত্র বিশ্লেষণ করাে।
অথবা, নানা রঙের দিন নাটকে অভিনেতা রজনীকান্ত চট্টোপাধ্যায়ের যে নিঃসঙ্গতা ও একাকিত্বের ছবি ফুটেছে আলােচনা করাে।
নানা রঙের দিন নাটকে প্রম্পটার কালীনাথ সেনের চরিত্র আলােচনা করাে।
নানা রঙের দিন নাটকে বৃদ্ধ অভিনেতা রজনীকান্ত চট্টোপাধ্যায়ের মধ্যে যে দুটি সত্তার প্রকাশ দেখা যায়, তা আলােচনা করাে।
নানা রঙের দিন নাটকের সমাপ্তির তাৎপর্য আলােচনা করাে।
নানা রঙের দিন একাঙ্ক নাটক হিসেবে কতখানি সার্থক আলােচনা করাে।
Leave a comment