অথবা, উহুদ যুদ্ধের কারণ এবং এর জয় পরাজয় মূল্যায়ন কর। এ যুদ্ধের প্রধান শিক্ষা কী?
অথবা, উহুদ যুদ্ধের কারণ ও ফলাফল বর্ণনা কর।
ভূমিকাঃ A bottle took place of the foof of a hill called uhood. Which result in the defeat of the Medinifies. মুসলমানদের জন্য সর্বাধিক শিক্ষণীয় যুদ্ধ হলাে উহুদ যুদ্ধ। কুরাইশ নেতারা বদরে তাদের পরাজয় সহজে মেনে নিতে পারেনি। ফলে তারা মুসলমানদের বিরুদ্ধে আরেকটি যুদ্ধের জন্য উহুদ পাহাড়ের পাদদেশে মিলিত হয়েছিল।
উহুদ যুদ্ধের কারণঃ
১. কাফেরদের প্রতিহিংসাঃ দ্বিতীয় হিজরী সনে বদর প্রান্তরে মক্কার কুরাইশরা তাদের শােচনীয়ভাবে পরাজয়ের প্রতিশােধ নেয়ার নেশায় পরের বছর মদিনা আক্রমণের প্রস্তুতি নেয়। ফলে ঐতিহাসিক উহুদ প্রান্তরে কুরাইশ নেতৃবৃন্দ ও আপন জনদের মৃত্যুতে প্রতিশােধ নিতে শােককে শক্তিতে পরিণত করে যুদ্ধের প্রস্তুতি গ্রহণ করে যুদ্ধকে অনিবার্য করে তােলে।
২. ইহুদিদের কুমন্ত্রণাঃ মদিনার ইহুদি সম্প্রদায় মুসলমানদের মদিনা থেকে উচ্ছেদের লক্ষ্যে কুরাইশদের সাথে গােপনে হাত মিলায়। তাদের কুমন্ত্রণা ও সহযােগিতার আশ্বাসে মক্কার কুরাইশরা পুনরায় যুদ্ধের সিদ্ধান্ত নেয়।
৩. আবু সুফিয়ানের শপথঃ ঐতিহাসিক আমীর আলী বলেন, বদর যুদ্ধের পরাজয়ের প্রতিশােধ না নেয়া পর্যন্ত নারী ও তেল স্পর্শ করবে না বলে আবু সুফিয়ান শপথ গ্রহণ করে। তার এ প্রতিজ্ঞা উহুদের যুদ্ধ তুরান্বিত করে।
৪. আবু সুফিয়ানের হঠকারিতাঃ বদরে বিপর্যয়ের পর আবু সুফিয়ান ৪০০ সৈন্য নিয়ে মদিনা উপকণ্ঠে লুণ্ঠন, অগ্নিসংযােগ প্রভৃতি উসকানিমূলক অপকর্মে লিপ্ত হলে মুসলমানগণ তা প্রতিহত করতে অগ্রসর হয়। আর তখনই উহুদ যুদ্ধ সংঘটিত হয়।
৫. মদিনার প্রাধান্যঃ বদর যুদ্ধে বিজয়ের মাধ্যমে মদিনার প্রাধান্য প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ইসলামের প্রসার, মদিনার রাজনৈতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক গুরুত্ব বৃদ্ধি পায়। এতে কুরাইশগণ শঙ্কিত হয়ে পড়ে এবং অরাজকতার সৃষ্টি করে।
৬. মক্কায় উত্তেজনাঃ বদর যুদ্ধে কুরাইশদের বহুসংখ্যক নেতা কর্মী নিহত হওয়ায় মক্কার ঘরে ঘরে কান্নার রােল পড়ে যায়। তারা আরেকটি প্রতিশােধমূলক যুদ্ধের জন্য মক্কার আকাশ বাতাস মুখরিত করে তােলে।
৭. মুসলমানদের শক্তি বৃদ্ধিঃ বদর যুদ্ধের পর মহানবী (স) মদিনার সকল গােত্রকে ঐক্যবদ্ধ করে মুসলিম শক্তিকে বৃদ্ধি করেন। ফলে ইসলামের অগ্রযাত্রা আরবসহ অন্যান্য দেশেও ছড়িয়ে পড়ে। দিন দিন মুসলমানদের শক্তি বৃদ্ধিতে কুরাইশরা, হিংসাত্মক হয়ে মদিনা আক্রমণ করে।
৮. কুরাইশ নেতৃবৃন্দের বক্তৃতাঃ এদিকে কুরাইশ নেতৃবর্গ জ্বালাময়ী বক্ততার মাধ্যমে মক্কাবাসীকে যুদ্ধের জন্য উৎসাহ উদ্দিপনা দিতে থাকে। ফলে এ যুদ্ধ অনিবার্য হয়ে পড়ে।
৯. নারী ও কবিদের অনুপ্রেরণাঃ মুশরিক নারী ও কবিরা বদর স্মৃতি মনে রেখে কবিতা ও গীতির মাধ্যমে কুরাইশদেরকে উত্তেজিত করে তােলে। ফলে উহুদ যুদ্ধ . অবশ্যম্ভাবী হয়ে পড়ে।
১০. হাশেমী ও উমাইয়াদের বিরোধঃ বদর যুদ্ধে নিহত অধিকাংশ নেতাই ছিল উমাইয়া বংশের, আর নবী করীম (স) ছিলেন হাশেমী। ফলে বদরে মুসলমানদের বিজয়কে তারা হাশেমীদের বিজয় বলেই ভাবতে শুরু করে। উমাইয়ার হাশেমী বংশের এ উত্থান মেনে নিতে পারেনি। ফলে যুদ্ধ অনিবার্য হয়ে ওঠে।
১১. প্রত্যক্ষ কারণঃ আবু সুফিয়ান মদিনার কতিপয় ষড়যন্ত্রকারী ইহুদিদের সাথে আলাপ আলােচনা করে সাহায্যের আশ্বাস পেয়ে মদিনার ইহুদিদেরকে অনুপ্রাণিত করতে দুশত অশ্বারােহীসহ মদিনার দিকে রওয়ানা করে। পথে সাদ ইবনে আমর একজন সাহাবীকে হত্যা করে। সেখানে কয়েকটি বাড়ি ঘর লুটপাট করে এবং মুসলমানদের চারণ ভূমিতে আগুন লাগিয়ে দেয়। এ সংবাদ পেয়ে মহানবী (স) তাদের পশ্চাদ্ধাবন করেন। এ কারণে মূলত উহুদের যুদ্ধ সংঘটিত হয়।
উহুদ যুদ্ধের ঘটনাপ্রবাহঃ হিজরী তৃতীয় সনে ৬২৫ খ্রিস্টাব্দের ২১ মার্চ আবু সুফিয়ান ৭০০ বর্মধারী, ৩০০ উষ্ট্রারােহী ও ২০০ অশ্বরােহীসহ ৩০০০ সৈন্যের এক বিশাল বাহিনী নিয়ে মদিনার পাঁচ মাইল পশ্চিমে উহুদ উপত্যকায় শিবির স্থাপন করে। কুরাইশদের যুদ্ধ প্রস্তুতির সংবাদ শুনে মহানবী (স) যুদ্ধাভিযানের অনিচ্ছা সত্ত্বেও ১০০ জন বর্মধারী ৫০ জন তীরন্দাজ, ২ জন অশ্বারােহীসহ ১০০০ সৈন্যের বাহিনী নিয়ে উহুদ ময়দানের দিক রওয়ানা করেন। যাত্রাপথে মুনাফিক নেতা আবদুল্লাহ ইবনে উবাই ৩০০ সৈন্য নিয়ে দল ত্যাগ করে আসে। অবশেষে মাত্র ৭০০ সৈন্য নিয়ে রাসূল (স) কুরাইশদের সম্মুখীন হন। তুমুল যুদ্ধ শুরু হলে প্রথমে শত্রু বাহিনী মাঠ ত্যাগ করতে বাধ্য হলেও মুসলিম বাহিনীর অসচেতনতার কারণে মুসলমানদেরকে দ্বিতীয় পর্যায়ে সাময়িক বিপর্যয়ের মুখে পড়তে হয়।
যুদ্ধের ফলাফল/গুরুত্বঃ
১. ঈমানের পরীক্ষাঃ ঐতিহাসিক ওয়াট বলেন, উহুদের এ চরম অবস্থায় না পডলে মুসলমানরা বুঝতে পারত না তারা কতটুকু খাটি। এটা ছিল মুসলমানদের জন্য ঈমানের পরীক্ষা।
১ ধৈর্য পরীক্ষাঃ ঐতিহাসিক হিট্টি বলেন, “উহুদের যুদ্ধে বিপর্যয় ছিল। মুসলমানদের জন্য ধৈর্যের অগ্নি পরীক্ষ।” পরাজয়ের গ্লানি যে কত মর্মান্তিক, মুসলমানগণ উহুদ যুদ্ধে তা উপলব্ধি করেছিল।
৩. ঈমানে দৃঢ়তা লাভঃ যুদ্ধোত্তরকালে মহান আল্লাহ সূরা আলে ইমরানে মুসলমানদের খাটি মুমিন হয়ে সত্যের ওপর দৃঢ়পদ থাকার নির্দেশ প্রদান করেন।
৪ মুসলমানদের সাহসঃ উহুদ যুদ্ধে সাময়িক বিপর্যস্ত হয়েও মুসলিম বাহিনী দুর্বলচিত্ততা বা অন্তর্দ্বন্দ্বে ভােগেনি; বরং এ যুদ্ধের মাধ্যমে তাদের সাহস আরাে বহু গুণে বৃদ্ধি পায় এবং তারা সুশৃঙ্খলাবদ্ধ সামরিক জাতিতে পরিণত হয়।
৫.পরবর্তী বিজয়ের পথ উন্মুক্তঃ উহুদের যুদ্ধ ছিল মুসলমনিদের জন্য এক বিরাট শিক্ষা। যুদ্ধক্ষেত্রে শৃঙ্খলা ভঙ্গ ২২ নেতার আদেশ অমান্য করলে তার ফল যে ভয়াবহ হয় তা প্রমাণিত হলাে। সুতরাং মুসলমানগণ উহুদ যুদ্ধে এ শিক্ষা গ্রহণ করছিলেন বলেই পরবর্তীকালের কোনাে যুদ্ধে তারা আর ভুল করেনি। অতএব যুদ্ধে পরাজয়ের শিশ্ন। মুসলমানদের ভবিষ্যৎ সামরিক পথ উন্মুক্ত করেছিল।
৬. কুরাইশদের ক্ষণকালীন বিজয়ঃ বিজয়ােল্লাসী কুরাইশ কাফেররা মুসলিম বাহিনীর সাথে যুদ্ধে জয়লাভ করলেও প্রকৃত পক্ষে তারা মানসিক ও শারীরিক শক্তি হারিয়ে ফেলে এবং এ কারণে জয়কে পরাজয়ের নামান্তর বলে ধারণা করা যায়।
৭. আত্মনির্ভরশীলতা সৃষ্টিঃ উহুদের যুদ্ধ মুসলমানদের ভক্তি বিশ্বাস ও আত্মজিজ্ঞাসার এক অগ্নিপরীক্ষা। আর উহুদের এ অগ্নিপরীক্ষা ইসলামের দৃঢ় সংকল্প ও আত্মনির্ভরশীলতার একটি জ্বলন্ত উদাহরণ। যেমন আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, অবসন্ন ও বিষন্ন হয়াে না। যদি তােমরা বিশ্বাসী হও, তা হলে তােমরাই উন্নত।
৮. দ্বিতীয় বদর যুদ্ধঃ আবু সুফিয়ান যখন জানতে পারল, মুহাম্মদ (স) উহুদ যুদ্ধে মারা যাননি তখন সে পুনরায় মুসলমানদের সাথে বদর প্রান্তরে মােকাবেলা করতে চাইলেন। দু’দিন অগ্রসর হওয়ার পর এবারের রণসাজে সজ্জিত মহানবী (স)-এর বিরাট বাহিনী দেখে পশ্চাদপসরণ করে। এটাই দ্বিতীয় বদর নামে পরিচিত।
৯. ইহুদিদের চুক্তি ভঙ্গের শাস্তিঃ এ যুদ্ধের পর মহানবী (স) চুক্তি ভঙ্গের দায়ে ইহুদি বনু নযির ও বনু কাইনুকা গােত্রকে মদিনা থেকে বহিষ্কার করেন।
১০. মুসলমানদের পরােক্ষ জয়ঃ বাহ্যিক দৃষ্টিকোণে পরাজয় মনে হলেও উহুদ যুদ্ধে মুসলমানদের পরাজয় হয়নি। বাহ্যিক বিজয় সত্ত্বেও কুরাইশরা মদনা দখল করতে পারেনি; বরং উহুদ যুদ্ধের পর থেকে কুরাইশদের শক্তি ক্ষয় প্রাপ্ত হয়ে। মুসলমানদের সামরিক শক্তি উত্তরােত্তর বৃদ্ধি পেয়েছে।
মুসলমানদের বিপদগ্রস্ত হওয়ার কারণ/ এ যুদ্ধের প্রধান শিক্ষাঃ
১. অপপ্রচারঃ মহানবী (স)-এর সাথে সামান্য সাদৃশ্য থাকায় মুসাব যুদ্ধে নিহত হলে গুজব রটে যে, রাসূল (স)-নিহত হয়েছেন। এ অপপ্রচারে মুসলমানগণ হতােদ্যম হয়ে পড়ে। তখন মুসলিম বাহিনী পরাজয় নিশ্চিত মনে করে ছুটোছুটি করতে থাকে এবং বিভ্রান্ত হয়ে পড়ে।
২. নেতার আদেশ অমান্য ও শৃঙ্খলার অভাবঃ ৫০ জনের একটি তীরন্দাজ বাহিনীকে আইনায়েন পাহাড়ের মধ্যবর্তী গিরিপথে নিয়ােজিত করা হয়েছিল। তাদের প্রতি নির্দেশ ছিল, জয় পরাজয় কোনো অবস্থাতেই তারা গিরিপথের অবস্থান ত্যাগ করবে না, কিন্তু তারা মুসলমানদের জয় দেখে মহানবী (স)-এর আদেশ লঙ্ঘন করায়। তাদের মধ্যে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। সে সুযােগে বিপক্ষ দল তাদের আক্রমণ করে নাজেহাল করে। নেতার আদেশ লঙ্ঘন ও শৃঙ্খলার অভাবই ছিল উহুদ যুদ্ধে মুসলমান পরাজয়ের প্রধান কারণ।
৩. প্রবল বায়ু প্রবাহঃ রণক্ষেত্র অসময়ে প্রবল বেগে বায়ু প্রবাহিত হওয়ায় মুসলিম বাহিনীকে যথেষ্ট অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয়েছিল। এ বায়ু প্রবাহের ফলে রণক্ষেত্রে মুসলিম সৈন্যরা শক্ৰমিত্র সনাক্ত করে সংঘবদ্ধ হতে পারেনি।
৪. খালিদের রণকৌশলঃ মহাবীর খালিদের রণদক্ষতা ও চাতুর্য শত্রু পক্ষের বিজয়কে সম্ভব করেছিল। মুসলিম সেনাদল যখন রণক্ষেত্রে গুরুত্ত্বপূর্ণ স্থান ত্যাগ করে। গনীমত সংগ্রহে ব্যস্ত, ঠিক সে মুহূর্তে খালিদের নেতৃত্বে চরম আঘাত হানা হলে মুসলিম সেনাদল ছত্রভঙ্গ হয়ে যুদ্ধক্ষেত্র হতে পলায়ন করে।
৫. কর্তব্য কর্মে অবহেলাঃ বিজয় অবশ্যম্ভাবী মনে করে মুসলিম বাহিনী। সামরিক আদর্শ রক্ষার পরিবর্তে শত্রুদের রেখে যাওয়া ধনসম্পদ সংগ্রহে লিপ্ত হয়ে পড়ে। কর্তব্যজ্ঞান অপেক্ষা তাদের গনীমত সংগ্রহের প্রবৃত্তি প্রবল হয়ে দেখা দেয়; বরং তারা যদি নিজ নিজ স্থানে দৃঢ় থাকত, তাহলে খালিদ ইবনে ওয়ালিদ পশ্চাদ্ভাগ হতে মুসলিম বাহিনীর ওপর আক্রমণ করার সুযােগ পেত না।
৬. নারী ও কবিদের উন্মাদনা সৃষ্টিঃ ঐতিহাসিক বালাযুরি বলেন, আবু সুফিয়ানের স্ত্রী হিন্দা এবং অন্যান্য কাফের রমণী ও কবিরা গান গেয়ে কুরাইশ সৈনিকদের মুসলমানদের বিরুদ্ধে উত্তেজিত করে তােলে।
৭. মুসলিম সৈন্যদের দলত্যাগঃ উহুদের দিকে রওয়ানার পথে ষড়যন্ত্রকারী মুনাফিক নেতা আবদুল্লাহ ইবনে উবাই ৩০০ সৈন্য নিয়ে রাসূল (স)-এর পেছন থেকে সরে পড়ে। এতে কুরাইশদের তুলনায় মুসলিম সৈন্য সংখ্যা কমে যায়। ফলে ময়দানে বিশাল শত্রু বাহিনী কমসংখ্যক মুসলিম বাহিনীর সাথে সহজেই বিজয় লাভে সক্ষম হয়।
৮. ইহুদিরা কুরাইশদের পক্ষাবলম্বনঃ মদিনার ইহুদিরা কুরাইশদের পক্ষাবলম্বন করায় মুসলিম বাহিনী অনেক বাধা বিপত্তির সম্মুখীন হয়।
উহুদ যুদ্ধে মুসলমানরা পরাজিত কিনাঃ সর্বোপরি বলা যায়, কতিপয় সাহাবীর শাহাদাত মুসলমানদের সাময়িক পরাজয় হলেও প্রকৃতপক্ষে মুসলমানদের পরাজয় হয়নি; বরং এটাকে সাময়িক বিপর্যয় বলা চলে। কেননা তারা কোনাে মুসলমান মুজাহিদকে বন্দি করতে পারেনি এবং মুসলমানরা যুদ্ধক্ষেত্র ত্যাগ করেনি; বরং কিছু সময়ের ব্যবধানে মুসলমান সৈন্যরা পুনরায় উহুদ প্রান্তরে সমবেত হয়ে কুরাইশ কাফেরদেরকে যুদ্ধের জন্য আহ্বান করেছিল। কিন্তু কাফেরা আর আসতে সাহস পায়নি। এটাই তাদের পরাজয় প্রমাণ করে। প্রতিপক্ষে এ যুদ্ধের পরেই ইসলামের দাওয়াত ও সম্প্রসারণের গতি পূর্বের চেয়ে অনেক গুণ বৃদ্ধি পেয়েছিল।
উপসংহারঃ উহুদ যুদ্ধ মুসলমানদের জন্য এক চরম শিক্ষার দ্বার উন্মােচিত করে দেয়। কারণ এ যুদ্ধে তাওহীদের পতাকাবাহীরা রক্তাক্ত হলে তাদের শহীদী খুনের অমর জ্যোতির্ময় শিখা যুগ যুগ ধরে মর্দে মুজাহিদদের স্মৃতিফলকে গভীর রেখা এঁকে দেয় এবং উহুদের শহীদী রক্তের বিনিময়ে মুসলিম জাতি এক সুশৃঙ্খল জাতি হিসেবে পৃথিবীর বুকে আবির্ভূত হয়।
Leave a comment