উপন্যাসের কাহিনি বা প্লট বিন্যস্ত হয় চরিত্রকে আশ্রয় করে মূলতঃ-যাকে বা যাদের কে নিয়ে কাহিনি গড়ে ওঠে, তাকে বা তাদেরকে চরিত্ররূপে আখ্যাত করা হয়। জনৈক ভাষ্যকার চরিত্র বা Character সম্পর্কে অভিমত পােষণ করেছেন— “an extended verbal representation of human being , the inner self that deter mines througt, spech, and behaviour.” অর্থাৎ চরিত্র বলতে ব্যক্তির বহিরঙ্গের আচার ব্যবহার নয়, তার অন্তরঙ্গের বিষয়, ভাবনা অভিব্যক্তিকে নির্দেশ করে।

উপন্যাসের চরিত্র সমূহকে প্রধানত দুটি শ্রেণিতে ভাগ করা হয়ে থাকে নির্বিশেষ বা টাইপ (Type) চরিত্র, আর ব্যক্তি কেন্দ্রিক (Individual) চরিত্র। নির্বিশেষ চরিত্র বলতে বােঝায় যে চরিত্র আর ব্যক্তি পরিচিতি অপেক্ষা একটা সাধারণ সত্তাকে অথাৎ গােষ্ঠী বা শ্রেণির বিশেষ ভাবভঙ্গি, ভাষা ইত্যাদি ফুটিয়ে তােলে। আর নিজস্ব চরিত্র বৃত্তি বা ব্যক্তি স্বাতন্ত্রে অনেক মানুষের ভিড়েও যাকে আলাদা ভাবে চিনে নেওয়া যায় তাকে ব্যক্তিকেন্দ্রিক চরিত্র বলা হয়।

তবে সমালােচকগণ উপন্যাসের চরিত্রকে অন্যভাবে দুটি শ্রেণিতে বিভাজন করেছেন। যথা— বৰ্ত্তলাকার বা পরিবর্তনশীল চরিত্র (dynamic/round/thick Character) ও স্থির বা সমতল সদৃশ চরিত্র (Static/flat/thin/dise/character)। সে চরিত্রের কোনও রূপান্তর বা পরিবর্তন চোখে পড়ে না তাকে সমতল বা স্থির চরিত্র বলে।