অবিচ্ছিন্ন গণসংখ্যা সারণির  লেখচিত্রকে আয়তলেখ বলে। 

আয়তলেখ হল অনুভূমিক সরলরেখার উপর অবস্থিত একগুচ্ছ আয়তক্ষেত্র যাদের ক্ষেত্রফল নির্ণীত পরিসংখ্যার সঙ্গে সমানুপাতিক।

প্রাপ্ত তথ্যের উপর ভিত্তি করে পরিসংখ্যা বিভাজন গঠন করা হয়। যেখানে পরিসংখ্যার উপর ভিত্তি করে X অক্ষের সঙ্গে উল্লম্বভাবে Y অক্ষের সমান্তরালে যে অবিচ্ছিন্ন স্তম্ভ লেখচিত্র অঙ্কন করা হয়, তাকে বলে আয়তলেখ বা Histogram।

আয়তলেখর সুবিধা

আয়তলেখ চিত্রের সুবিধাগুলি নিম্নলিখিত—

(১) পারদর্শিতার তুলনামূলক বিচার: বিভিন্ন শিক্ষার্থীর পারদর্শিতার তুলনামূলক বিচারের জন্য আয়তলেখ ব্যবহার করা হয়।

(২) তথ্যগত তুলনা : তথ্যের বিভিন্ন অংশগুলির মধ্যে সহজেই তুলনা করা যায় আয়তলেখর মাধ্যমে।

(৩) তাৎপর্যপূর্ণ প্রকাশ : পরিসংখ্যাকে তাৎপর্যপূর্ণভাবে প্রকাশ করা যায় আয়তলেখর মাধ্যমে।

(৪) পরস্পর সম্পর্কহীন তথ্যের প্রকাশ : যখন প্রাপ্ত তথ্যগুলি পরস্পর সম্পর্কহীন হয় তখন আয়তলেখর মাধ্যমে তা প্রকাশ করা সুবিধাজনক।

(৫) তথ্যসমূহের সহজ পরিবেশন : আয়তলেখর সাহায্যে যে-কোনাে তথ্যকে অতি সহজে পরিবেশন করা যায়।

(৬) ভূমিষ্ঠক নির্ণয় : আয়তলেখর মাধ্যমে ভূমিষ্ঠক (Mode) নির্ণয় করা যায়।

(৭) শিক্ষার অন্যান্য দিকের প্রকাশ : শিক্ষার বিভিন্ন দিক যথা— পাঠ্যক্রম, পদ্ধতি নির্ণয়, তুলনা। বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তুলনামূলক বিচারের জন্য এর ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

(৮) ত্রুটি সংশােধন : ভুল স্কোর থাকলে লেখচিত্রের মাধ্যমে তা সহজেই খুঁজে বের করা যায়।

আয়তলেখর অসুবিধা

আয়তলেখচিত্রের অসুবিধাগুলি নিম্নে বর্ণনা করা হল—

 

(১) বিস্তৃত বিবরণে অসুবিধা : আয়তলেখর সাহায্যে কোনাে বিষয়ের বিস্তৃত বিবরণ সম্ভব নয়।

(২) ত্রুটিপূর্ণ তথ্য : এর দ্বারা তথ্য পরিবেশন ত্রুটিপূর্ণ হয়ে থাকে।

(৩) সময়সাপেক্ষ : এই লেখচিত্র অঙ্কন সময়সাপেক্ষ।

(৪) তাৎপর্য নির্ণয় : আয়তলেখর সাহায্যে তথ্যাবলির তাৎপর্য নির্ণয়ে অসুবিধা সৃষ্টি হয়।

 

১০টি সংজ্ঞা

 

সংজ্ঞাঃ ০১

যে চিত্রে কোন চলকের গণসংখ্যা নিবেশন কতগুলো পাশাপাশি অংকিত আয়তাকার ক্ষেত্র দ্বারা প্রকাশ করা হয় তাকে আয়তলেখ বলে।

সংজ্ঞাঃ ০২

গণসংখ্যা নিবেশনের বিভিন্ন শ্রেণির গণসংখ্যাকে আয়তক্ষেত্রের সাহায্যে প্রকাশ করলে যে লেখ পাওয়া যায় তাকে আয়তলেখ বলা হয়।

সংজ্ঞাঃ ০৩

যে লেখচিত্র প্রত্যেক শ্রেণীর জন্য লম্বালম্বিভাবে অঙ্কিত এবং পরস্পর সংযুক্ত আয়তক্ষেত্রের ক্ষেত্রফল দ্বারা প্রকাশ করা হয় তাকে আয়তলেখ বলে।

সংজ্ঞাঃ ০৪

গণসংখ্যা নিবেশনের বিভিন্ন শ্রেণির গণসংখ্যাকে আয়তক্ষেত্রের মাধ্যমে উপস্থাপন করলে যে লেখ পাওয়া যায় তাকে আয়তলেখ (Histogram) বলে।

সংজ্ঞাঃ ০৫

যে লেখচিত্রে একটি আনুভূমিক রেখার ওপর লম্বালম্বিভাবে অঙ্কিত ও পরস্পর সংযুক্ত আয়তক্ষেত্রের ক্ষেত্রফল দিয়ে প্রকাশ করা হয় তাকে আয়তলেখ বলে।

সংজ্ঞাঃ ০৬

গণসংখ্যা নিবেশনকে যে লৈখিক চিত্র দ্বারা সমান্তরাল রেখার উপর লম্বালম্বি ভাবে অঙ্কিত ও পরস্পর সংযুক্ত আয়তক্ষেত্র দ্বারা প্রকাশ করা হয় তাকেই আয়তলেখ বলে।

সংজ্ঞাঃ ০৭

প্রাপ্ত তথ্যের উপর ভিত্তি করে পরিসংখ্যা বিভাজন গঠন করা হয়। যেখানে পরিসংখ্যার উপর ভিত্তি করে X অক্ষের সঙ্গে উল্লম্বভাবে Y অক্ষের সমান্তরালে যে অবিচ্ছিন্ন স্তম্ভ লেখচিত্র অঙ্কন করা হয়, তাকে আয়তলেখ (Histogram) বলে।

সংজ্ঞাঃ ০৮

পরিসংখ্যা বন্টনের প্রত্যেক শ্রেনির বিস্তারকে ভূমি ধরে শ্রেণি গুলির প্রত্যেকটির নিম্নসীমার সাপেক্ষে পরিসংখ্যার বিন্দু ছক কাগজে স্থাপন করে প্রয়োজনমতো সরলরেখা দিয়ে যুক্ত করলে যে অবিচ্ছিন্ন লেখচিত্র পাওয়া যায়, তাকে আয়তলেখ বলে।

সংজ্ঞাঃ ০৯

পরিসংখ্যা বন্টনের প্রত্যেক শ্রেণির বিস্তারকে ভূমি ধরে শ্রেণিগুলির প্রত্যেকটির নিম্নসীমার সাপেক্ষে পরিসংখ্যার বিন্দুগুলি ছক কাগজে (Graph Paper) স্থাপন করে প্রয়োজনমতো সরলরেখা দিয়ে যুক্ত করলে যে অবিচ্ছিন্ন লেখচিত্র পাওয়া যায়, তাকে হিস্টোগ্রাম বা আয়তলেখ বলে।

সংজ্ঞাঃ ১০

অবিচ্ছিন্ন গণসংখ্যা সারণির লেখচিত্রকে আয়তলেখ বলে।