অথবা, চর্যাপদ গ্রন্থের অন্তর্ভুক্ত প্রথম পদটি কার লেখা তা উল্লেখ করে আধুনিক বাংলায় রূপান্তর কর।
উত্তর: চর্যাপদ গ্রন্থে অন্তর্ভুক্ত প্রথম লুইপার লেখা। পদটি
নিম্নরূপ:
কাআ তরুবর পাঞ্চবি ডাল।
চঞ্চল চীএ পইঠা কালা।
দিঢ় ভণই মহাসূহ পরিমাণ।
লুই ভণই গুরু পুছিঅ জান।
সঅলু সমাহিঅ কাহি করিঅই।
সুখ দুখেতে, নিচিত মরিঅই।
এড়িঅউ ছান্দ বান্ধ করণ কপটের আস।
সুনু পথে ভিড়ি লাহু রে পাসয়
ভণই লুই আছে ঝাণে দীঠা।ধমণ চৰণ বেণি পিত্তী বইঠা।
আধুনিক বাংলায় রূপান্তর:
কায়া তরুর মতো, পাঁচটি তার ডাল,
চঞ্চল চিত্তে কাল প্রবেশ করেছে।
দৃঢ় করে নাও, মহাসুখ পরিণাম,
কবি লুই বলছে, গুরুকে জিজ্ঞেস করে জান।
সমস্ত সমাধিতে সমর্পিত কি করে,সুখ দুঃখে নিশ্চিত মরা (অবস্থান)।
এড়িয়ে যাওয়া যায় ছন্দ ও করণের পারিপাট্য,শূন্য পাখা পাশে চেপে ধর।
লুই বলছে, আমি স্বপনে দেখেছি,
ধমণ, চমণ দুই পিঁড়িতে আমি বসে।
Leave a comment