প্রশ্নঃ আত্মহত্যা কি?
অথবা, আত্মহত্যা বলতে কি বুঝ ?
ভূমিকাঃ নীতিবিদ্যা একটি আদর্শ নিষ্ঠ এবং মূল্যায়ন ধর্মী মানুষের সকল কাজের উচিত অনুচিৎ সম্পর্কে মত প্রকাশ করে। এরই ধারাবাহিকতায় এটি আত্মহত্যা একটি মানবতাবিরোধী কাজ এবং নীতিবিদ্যা এটি কোনোভাবেই সমর্থন করে না। আত্মহত্যা নৈতিক ও প্রাকৃতিক নিয়মের পরিপন্থী, নীতিবর্জিত এবং অন্যায় কাজ বলে নীতিবিদগণ মনে করেন।
আত্মহত্যাঃ আত্মহত্যা বলতে বুঝায়, ব্যক্তির নিজেকে নিজেই হত্যা করা বা আত্মবিশ্বাস করা। সমাজে বসবাস করতে গিয়ে মানুষ যখন দুঃখ শোক, জ্বালা-যন্ত্রণা, অভাব-অনটন ইত্যাদির জাঁতাকলে, পিষ্ঠ হয়ে নাভিশ্বাস ছাড়ে তখন সেই দুর্বিসহ যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে মানুষ কখনো কখনো আত্মহননের পথ বেছে নেয়। একজন মানুষ তখনই আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। যখন সে সমাজের প্রতিকূল পরিবেশের সাথে সংগ্রাম করার মত মানসিক শক্তি হারিয়ে ফেলে এবং তখন তার বিবেকবুদ্ধি লোপ পায় এবং সে কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে ভাবাবেগ দ্বারা চালিত হয়। সুতরাং ব্যক্তির হীনমন্যতা, দুর্বলতা, ভীরুতার চূড়ান্ত পরিণতি হলো আত্মহত্যা।
উপসংহারঃ পরিশেষে বলা যায় যে, আত্মহত্যা সমাজের স্বাভাবিক জীবনযাত্রার পরিপন্থী এবং এটি সমাজে ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। তাই আত্মহননের পথ বেছে না নিয়ে বুদ্ধি বিবেচনা দিয়ে সকল সমস্যা সমাধান এবং দুঃখ দুর্দশা বাড়ানোর প্রত্যয় ব্যক্ত করলে ব্যক্তি ও সামাজিক জীবন অনেক বেশি সুন্দর হবে এটা নিশ্চিতভাবেই বলা যায়।
Leave a comment